Careless (কেয়ারলেস) | Bengla love story | ভালোবাসার গল্প

                      কেয়ারলেস

                                        নোমান 

এই তুই এত কেয়ারলেস কেন???
 -তোর হিমু পছন্দ না?? 
~হ্যা পছন্দ।
হিমুর সাথে তোর কেয়ারলেস হওয়ার সম্পর্ক কি??
 -সম্পর্ক আছে।হিমু কেয়ারলেস তাই আমিও কেয়ারলেস
 ~না তুই কেয়ারলেস হবি না।আমার কেয়ারিং হিমু পছন্দ।তুই আমার কেয়ারিং হিমু হবি
 -এএএএ তোর জন্যে কি পুরো হিমুকে পাল্টে দিব আমি??
 ~পাল্টে দিতে কে বলছে।তুই খালি একটু কেয়ারিং হবি।জানিস খুব ইচ্ছে আমার একটা কেয়ারিং বয়ফ্রেন্ড হবে
 -তাহলে তো তোর ইচ্ছে পূরণ করতেই হয়। আচ্ছা যা আজ থেকে আমি কেয়ারিং হিমু হলাম
 ~লাভ ইউ
-হ্যা লাভ ইউ।কেয়ারিং হলেই লাভ ইউ নইলে হারামী 
~হ্যা।চল এখন আমাকে বাসায় পৌছে দে
 -চল।আচ্ছা একটা কথা বলি??
 ~হ্যা বল 
-বিয়ের পরও কি তুই আমার সাথে তুই- তোকারি করবি???
 ~হ্যা করব।কোন সমস্যা???
 -না।সমস্যা থাকলেও বলব না। যে রাক্ষসী মেয়ে। সমস্যা আছে বললে এখনই চিবিয়ে খেয়ে ফেলবি
 ~হি হি হি যাই।লাভ ইউ বাবু
 -লাভ ইউ ঠু ময়না . বলেই জারিন গেট খুলে বাসার ভেতর চলে গেল।আর রাহাত তার মেসে চলে গেল........ 

    . রাহাত একাদশ শ্রেণীতে পড়ে আর জারিন অনার্স প্রথম বর্ষে।এইটাই ব্যবধান ওদের মধ্যে। যা নিয়ে জারিন প্রায়ই চিন্তা করে। সম্পর্কের শুরুতে জারিন বলেছিল রাহাতকে .
   -তুই অত চিন্তা করিস ক্যান??? 
  ~না চিন্তা করব না আয় দুইজন মিলে নাচি 
   -হ্যা আয় নাচি
   ~থাপড়িয়ে তোর দাঁত ফেলে দেব
   -আর আমি তোরে উম্মাহ দেব 
   ~তুই অসম্ভব খারাপ
    -তুই ভাল
  
    আসলে রাহাতের মনে কি আছে তা শুধু সে নিজেই জানে . সম্পর্কটা শুরু হয়েছে বেশিদিন না।তবে এই কয়দিনে জারিন রাহাতকে অনেক বেশিই ভালবেসে ফেলেছে।প্রতিটা মূহুর্ত শুধু রাহাতকে নিয়েই স্বপ্ন বুনে... .
     রাহাত সেই স্বপ্নকে আরো জোরালো করে। সে জারিনের সাথে সংসার করার স্বপ্ন দেখে এবং জারিনকে স্বপ্ন দেখায়।রাহাত তার মেয়ের নামও ঠিক করে রেখেছে। তিশা হবে তাদের মেয়ের নাম।তবে জারিনের কিছু বাচ্চামি স্বভাব আছে।এই কারনে সে প্রায়ই রাহাতের কাছে বকা খায় .
    -তুই আমার সিনিয়র না??
    . জারিন মাথা নীচু করে জবাব দেয় .
    ~হ্যা
     -তাহলে তোর ভেতর এই বাচ্চা স্বভাব কেন?? 
    ~আমি কি জানি
    -আরেকদিন যদি এমন বাচ্চামি স্বভাব দেখি তাহলে থাপড়িয়ে তোর দাঁত ফেলে দেব বড় ছোট মানব না 
   ~আচ্ছা
   -আয় কাছে আয় একটু আদর করে দেই
   ~না আসব না।তুই আমাকে বকা দিয়েছিস
   -বকা কি সাধে দিছি?? তুই এমন না করলেই হত 
    ~হুমম।আচ্ছা যাই আমি
    -কই যাস?? 
    ~বাসায়
     -বাসায়কেন??
    ~আমার কাজ আছে।আর বই কিনেছি অনেকদিন। পরীক্ষা দুইদিন পরে।ওইগুলো ছুঁয়েও দেখি নি। আমার তো বাচ্চামি স্বভাব।এখন বড় হয়ে দেখাব
      -আমার মিষ্টিটা কি রাগ করেছে??? 
     ~কই না তো .
     রাহাত বুঝতে পারল জারিন রাগ করেছে এবং খুব বেশি।তার রাগ ভাঙাতে রাহাত মুহূর্তেই হাটু গেড়ে বসে জারিনের হাত ধরে প্রপোজ করল।
    . এইটা জারিনের খুব পছন্দ।একদিন সেইটা রাহাতকে বলেছিল আর তারপর থেকে যখনই জারিন রাগ করে তখনই রাহাত এই কাজটা করে | জারিন হাসছে।আর রাহাত হাটুর ওপর সমস্ত শরীরের ভর দিয়ে সেই ভুবনজয়ী হাসিটা দেখছে . 
    ~সারাজীবন কি এইভাবেই বসে থাকবি না কি রে হারামী??? 
   -হ্যা।আরেকবার হাসি দে তো 
   ~কেন???
   -আমাদের বাসায় না খুব বেশি লোডশেডিং হয়।তুই হাসি দিলে মুক্তো ঝরে।আর তার দরুন পুরো পৃথিবী আলোকিত হয়ে যায়।আমার মোমবাতির বিল তুই বাঁচিয়ে দিবে
 ~হারামী . বলেই জারিন রাহাতের পিঠে দুম দাম করে মারতে থাকে . 
   -আরে আরে মারছিস কেন?? 
   ~তুই এই কথা বললি কেন???
    -কি এমন বলে ফেললাম যার জন্য বিরোধীদলীয় সদস্যের মত সরকারি দলের গায়ে হাত দিচ্ছিস  |
    ~ওরে আমার সরকারি দল রে।কিভাবে তুই সরকারি দল হলি বল
    -আমি তোকে বিয়ে করব।তার মানে তোকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি থাকব।আর আমার শ্বশুর এই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবে। তাহলে শ্বশুরমশাই বিরোধীদল আর আমি সরকারি দল।আর তুই যেহেতু ওনার মেয়ে তাই তুই ও বিরোধীদল
     ~হি হি হি।চমৎকার যুক্তি।আচ্ছা এখন শুন
    -হুম বল
    ~আমার পরীক্ষা।আমি কয়েকদিন তোর কাছে থেকে দূরে থাকব।দেখা হবে না হয়ত। তুই ভাল থাকিস।নিজের খেয়াল রাখিস।
     -একটু ও দেখা করবি না???
    ~না বাবু।বুঝো না কেন আমার পরীক্ষা। উল্টাপাল্টা কিছু হলে খবর আছে।মাত্র তো কয়েকটা দিন।আমার কি কষ্ট হবে না বল 
    -হ্যা হবে ময়না।তুমিও ভাল থেকো ময়না। নিজের খেয়াল রেখো 
    ~ধুর এইভাবে বলিস না।মনেহয় একেবারেই চলে যাচ্ছি।তুমি করে বলবি না।যাওয়ার আগমুহূর্তে মনটা খারাপ করে দিস না 
     -স্যরি রে ময়না।আয় তোকে বাসায় পৌছে দেই 
     ~না লাগবেনা।আমি একাই যেতে পারব 
    -জেদ করিস না ময়না।আয়।হয়তবা আজকেই শেষ 
     ~না বাবু আজকে শেষ না।শেষ হবে কেন?? 
    -হ্যা আচ্ছা আয় এখন 

     . জারিনকে বাসায় পৌছে দিল রাহাত।বাসায় ঢুকার আগে জারিন অনেক কান্না করেছিল। যা রাহাত দেখে নি। . জারিন পড়াশোনায় মনযোগ দিল।তবে হ্যা এই দুইদিনে রাহাত একটা বার ও জারিনকে কল দেয় নি। জারিন ও জেদ করে বসল যে সে ও কল করবেনা . আজকে কেন জানি জারিনের হঠাৎ ফেসবুকে যাওয়ার খুব ইচ্ছে হল।তাই সে ফেসবুকে লগ ইন করল।রাহাতকে অনলাইনে দেখতে পেল 
   . ~কেমন আছ??? 
    -ভাল
    ~মনে আছে আমাদের সম্পর্কের দ্বিতীয় দিন তুমি কি বলেছিলে??? .
    "কেয়ার করব ঠিক ততটাই যতটা তুই করবি বেশি করলে স্বার্থপর হয়ে যাবি"
    . জানো??? . স্বার্থপর এখন তুমি হয়ে গেছ। ভালবেসে যদি একটু সুখই না পাই তাহলে সেই ভালবাসার দরকার নাই আমার।তোমাকে আমি খুব বেশি কেয়ার করি তো তাই আমাকে কেয়ার করার প্রয়োজন হয় না।আমি কালকে সারাটা দিন একটা ম্যাসেজের অপেক্ষা করছিলাম।কিন্তু পাইনি। পুড়া কপালে এসব থাকে না।থাকবেও না। আচ্ছা নাইবা থাকল।এত কষ্ট আমি সহ্য করতে পারব না।তোমাকে স্বাধীন করে দিলাম। তুমি অন্যত্র পরাধীন হও।আমি না হয় দূর থেকেই দেখব। . ভাল থেকো
    -হুম .
    ~হুম কি রে হারামী?? তোর কি কিছুই বলার নেই?? 
   . -জানিনা পরীক্ষাটা দিয়ে আয় তোর সাথে কথা আছে। আমারও কিছু কাজ আছে।ভাল থাকিস 
   . ~কি কথা?? 
    -এখন না পরীক্ষা শেষ হলে বলব .
     ~কেন শুধু শুধু টেনশন দিস?? . 
     -টেনশন করিস না।পরীক্ষা দিস ভালমতো 
    ~আমি মারা যাব 
     -একটা স্বার্থপরের জন্য মারা যাস না। .
     ~তাতে তোর কি?? .
     -আচ্ছা শুন বলছি . 
     ~হুমম .
     -এইসব ভালবাসা টাসা আমার দ্বারা হবে না।আমি আমার নিজেকে ছাড়া আর কাওকে ভাল বাসতে পারি না। . 
    ~তাহলে এতদিন কি সব মিথ্যে ছিল?? 
   . -না চেষ্টা করেছিলাম তবে আমি ব্যর্থ .
    ~কিন্তু আমি যে তোকে ভালবাসি .
      -আর আমি আমার নিজেকে ভালবাসি। নিজেকে ছাড়া আর কাওকে ভালবাসতে পারব কি না তাও জানিনা 
      ~আমি তোকে ছাড়া বাঁচব না এইটা বলব না তবে তোকে ছাড়া আমার নিঃশ্বাস নেওয়াটা খুব কষ্টের হয়ে পড়বে রে। আমাকে এইভাবে ছেড়ে চলে যাস না। আমি নাহয় চেষ্টা করব 
      -হ্যা চেষ্টা করতে পারিস।তবে আমার মনেহয় না সফল হবি।ব্যর্থ চেষ্টা .
      ~না আমি করব।তুই একটা বার আমাকে সুযোগ দে .
       -আচ্ছা।যা এখন পড় গিয়ে 
     ~আচ্ছা।যাই বাবু লাভিউ . সেদিনের পর থেকে রাহাত আর কখনই জারিনকে "ভালবাসি" বলে নি।আর জারিন একটু পর পর রাহাতকে ম্যাসেজ দেয়।রাহাতের খুঁজ নেয়। তার অনেক কেয়ার করে।তবে একদিন তার মনে হয় এতে রাহাত বিরক্ত হচ্ছে না তো?? তাই রাহাতের কাছে একটা ম্যাসেজ পাঠাল সে 
  . ~ আমি সিদ্ধান্তহীন।কি করব বুঝতে পারছিনা। ভাবি তোমাকে কাছে টানার চেষ্টা করব। তারপর আবার ভাবি এতে যদি তুমি বিরক্ত হও। যদি আমাকে ছেড়ে চিরতরে দূরে সরে যাও। তাহলে আমার কি হবে।যত দিন যাচ্ছে আমি ততই তোমাকে ভালবেসে যাচ্ছি।জানিনা ঠিক কি না। ভাবতেছ মেয়েটা কত নাছোড়বান্দা।পিছু ছাড়াতে চাচ্ছি।তবুও ছাড়ছে না। পিছনে জোকের মত লেগে আছে।যে সময় এই কথাটা ভাবি তখন সরে আসি . নানান প্রতীজ্ঞা করি যে আর ম্যাসেজ দিব না আর ভালবাসব না আর বিরক্ত করবনা। . কিন্তু আবার যখন মনে হয় যে তুমি চেষ্টা করতে বলেছিলে তখন আবার ফিরে আসি। আবার তোমাকে জ্বালাতন করি ম্যাসেজ দেই। আবার ভালবাসতে শুরু করি। আবার বিরক্ত করতে শুরু করি। এইটাতেও সমস্যা।আমি যে কি করব তা বুঝতে পারছিনা।তুমি একটু বলে দাও না আমি এখন কি করব। তবে তোমাকে ভুলে যেতে বল না।সেইটা আমি পারব না।সত্যিই পারব না। ভালবাসি বাবু বাসব আজীবন .
      -কেন শুধু শুধু আমাকে অপরাধী করছ??? . 
    জারিন তার জবাব দেয় নি।সেইদিন থেকে জারিন নিজের কাছেই বলে গেছে আমি রাহাতকে ভালবাসি।আর কখনই রাহাতের সাথে দেখা বা ম্যাসেজ দেওয়া কিছুই করে নি।একমনে অপেক্ষা করে চলেছে।মা- বাবা বিয়ের জন্য অনেক জোরাজুরি ও করেছেন কিন্তু লাভ হয় নি।জারিনের একটাই কথা সে বিয়ে করবে না * * * * * 

     চার বছর পর * * * 
      
     জারিন একটা ভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে আছে। তবে এখনএ একাই।কিছু মধুময় স্মৃতি আর জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার শক্তি নিয়ে সে এখন বেঁচে আছে . রিক্সা থেকে নামছিল জারিন।খুব ব্যস্ত ছিল তাই কোনদিকেই খেয়াল ছিল না হঠাৎ করেই একটা বাবুর সাথে ধাক্কা খেল .
      ~স্যরি মামনি আমি দেখিনি 
      -ইটস ওকে 
      ~ওরে বাপরে।এত পাকা কথা
       -কথা আবার পাকা হয় না কি?? 
       ~হ্যা হয়।যেমন তোমারটা হচ্ছে। তা তুমি এইখানে কেন মামনি???
      -আব্বুর সাথে এসেছি।আব্বু পাঞ্জাবী কিনছে। আমার ভাল লাগছিল না তাই বাইরে এসেছি 
     ~তা এখন তোমার আব্বু কোথায়??
      -ওই যে ওইখানে . বলেই মেয়েটা তার আঙুল দিয়ে সামনের দিকে দেখাল।জারিন তাকাল।শুধু পিছনের দিক দেখা যাচ্ছে।বুকটা ধক করে উঠল তার। সে তো মনেহয় একে চিনে 
   . মেয়েটা কে নিয়ে ওর বাবার কাছে যাচ্ছে
     ~এই যা!!!আমি তো তোমার নাম জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি । আচ্ছা মামনি তোমার নাম কি??? 
     -তিশা
    ~তিশা!!!!! . বুকটা খুব বেশিই ধক পক করছে তার। এইটা রাহাতের মেয়ে নয় তো???? . ধুর কি যে চিন্তা করছি।তবে তিশার বাবাকে কয়েকটা কথা শুনান উচিৎ। এইভাবে কেও মেয়েকে রাস্তায় একা একা ছেড়ে দেয় এই ভেবে জারিন তিশাকে নিয়ে তার বাবার কাছে গেল 
   . ~এই যে!! আপনি এত কেয়ারলেস কেন??? 
   . কেয়ারলেস!!!!! শব্দটা শুনে রাহাত পিছন ফিরে তাকাল।আর তাকিয়েই আশ্চর্য 
   -তু তু তুমি
    ~হ্যা আমি।তোতলাচ্ছ কেন?? নতুন রোগ নাকি?? 
    -না আআআসলে তোমাকে দেখে এত্ত আশ্চর্য হয়েছি যে মুখ দিয়ে কথা বের হতে অনেক কষ্ট হচ্ছে 
   ~হা হা হা।আমাকে দেখে আশ্চর্য হওয়ার কি যাইহোক আছ কেমন??? বিয়েও করে ফেলেছ দেখছি।তা তোমার বউকে কি ভালবাসতে শিখেছ নাকি তাও শেখনি??? আচ্ছা আমি যাই।স্যরি তোমাকে জেরা করার জন্য। অধিকার নেই আমার . বলেই জারিন হাটা শুরু করল।চোখের কোণে জল
   . রাহাত দৌড়ে গিয়ে জারিনের হাতটা ধরে ফেলল 
   -হ্যা আমি এখন ভালবাসতে শিখেছি। তবে যে শিখিয়েছে তাকে পাই নি তাই বিয়েও করি নি। আর এইটা আমার ভাইয়ের মেয়ে।ভাই ভাবী দুজনই এ্যাক্সিডেন্ট করে মারা গেছেন। তাই আমাকেই এখন আব্বু ডাকে।আব্বু ডাকে বলেই নামটা তিশা রেখেছি .
   জারিন চোখের পানি না মুছেই বলল . ~ভালবাস??????
    -ভালবাসি কি না জানিনা।তবে এখনও কেও কেয়ারলেস বললে পিছন ফিরে তাকাই।এখনও রাস্তার পাশ দিয়ে হাটলে মনেহয় কেও এসে ধমক দিয়ে বলবে . "দেখি এইপাশে আস তো।তুমি যেই কেয়ারলেস রাস্তায় হাটলে তো মনেই থাকেনা ওইখানে তুমি ছাড়াও আরো অনেক কিছু চলাচল করে" এখনও সিগারেট খাওয়ার সময় মনেহয় কেও এসে বলবে . "তুমি সিগারেট খাও না।আমার কলিজাটা খাও" . যদি এর মানে ভালবাসা হয়ে থাকে তবে হ্যা আমি তোমাকে ভালবাসি .
      কথাটা শুনেই জারিন রাহাতকে জড়িয়ে ধরল। রাহাত জারিনের চোখের পানি মুছে দিচ্ছে . তিশা চোখ বড় বড় করে এতক্ষণ সব দেখছিল। আস্তে করে বাবার কাছে গিয়ে বলল 
    _এই আন্টিটা কে বাবা??? 
    -তোমার আম্মু
    _কিন্তু তুমি তো বলেছিলে আম্মু হারিয়ে গেছে 
   -হ্যা কিন্তু এখন ফিরে এসেছে
    _আম্মু কি আমাকে আদর করবে???

   . জারিন হাসছে।সে তিশাকে কোলে নিল
    ~হ্যা মামনি তোমাকে অনেক আদর করব . তিশা জারিনের সাথে গল্প জুড়ে দিল 
  _জান আম্মু বাবা না পচা।বাবা আমার কথা শুনেনা ~তাই নাকি?? _হ্যা . জারিন তিশার কথা শুনে হাসছে।আর রাহাত জারিনের হাসি দেখে হাসছে।এরা দুইজন হাসছে তাই কিছু না বুঝে তিশাও হাসছে.!! 

               সমাপ্ত 

0 Comments: