Bangla success story :- This success story written by Jayanti Chakrabarti.This story revolves around Acharya Jagadish Chandra Bose like Jagadish Chandra Bose biography.We are collected this type success story that revive your lost mind.You get more success story on bengali in our website. And I think all success story will take place in your mind.So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story.Thank you so much.
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু
'সহস্র প্রতিকূল অবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিতে হইবে । অবিরাম চেষ্টা ও বিরুদ্ধ শক্তির সহিত যুদ্ধ করিয়া এবং মনের শক্তি বৃদ্ধি করিয়াই আমরা দেশের ও জগতের কল্যাণসাধন করিতে পারিব ।... মানসিক শক্তির ধ্বংসই প্রকৃত মৃত্যু '--
কে বলেছিলেন বলাে তাে কথাগুলাে ? আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু । একমাত্র বাঙালি বৈজ্ঞানিক যিনি সাম্রাজ্যবাদী যাঁতাকলের চাপে পড়ে ন্যায্য পাওনা নােবেল পুরস্কার থেকে নিষ্ঠুরভাবে বঞ্চিত হয়েছিলেন । যিনি পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে বলেছিলেন উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে । ভয় , ভালােবাসা , রাগ , দুঃখ সবই আছে ঠিক যেমন থাকে একটি মানুষের ।
তিনি আরাে অনেক কিছু বলেছিলেন বা বলতে চেয়েছিলেন । কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অহংকার ও উন্নাসিকতা তার কণ্ঠরুদ্ধ করে দিয়েছিলো । ভারতীয়রাও যে মানুষ , তারাও যে বিজ্ঞান সাধনায় শ্রেষ্ঠের শিরােপা পতে পারে , এই বাস্তব সত্যকে মেনে নিতে শাসক ইংরেজের ইগোয় বেঁধেছিল । তাই জগদীশ চন্দ্র বসুর মতাে বিরল প্রতিভা তাঁর সমস্ত সম্ভাবনাকে বিকশিত করার কোনাে সুযােগ পাননি । এমনকি , ন্যায্য পানা নােবেল পুরস্কার থেকেও বঞ্চিত হয়েছিলেন । কিন্তু তবু তিনি হাল ছাড়েন নি । আমরণ লড়াই চালিয়ে গেছেন এবং শেষপর্যন্ত জগৎবাসীকে শুনিয়েই ছেড়েছেন তার অভিনব আবিষ্কারের কথা । আজ তোমাদের কাছে সেই অসম সংগ্রামের গল্প বলব ।
প্রথমেই বলে রাখি , আচার্যদেব জন্ম থেকেই কিন্তু অনমনীয় দৃঢ়তার অধিকারী । তার বাবাকে তিনি দেখেছেন একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাত দিতে , নিজের ব্যক্তিগত তহবিল উজাড় করে দিতে এবং শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হতে এবং কিছুদিন বাদে , ব্যর্থতার গ্লানি কাটিয়ে উঠে আবার নতুন কোনাে প্রকল্পে ঝাপিয়ে পড়তে । তিনি কাপড়ের কল । করেছিলেন । কৃষি ব্যাঙ্ক , স্বদেশী চা বাগান , টেকনােলজির স্কুল কোনােটাই টেকেনি । প্রচুর লােকসান হয় তার এসব করার ফলে । কাজেই ব্যর্থতার মুখােমুখি হওয়া এবং তা থেকে উঠে আসা মানসিক অবসাদ কাটিয়ে ওঠা দুটোকেই তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন ।
পিতার মৃত্যুর পর মায়ের গহনাবিক্রির টাকায় জগদীশ চন্দ্র চললেন বিলাতে । কিন্তু জাহাজে ওঠার পর থেকেই সংঘাতিক কালাজ্বরে একেবারে ঘায়েল হয়ে পড়লেন তিনি । দিনের মধ্যে বেশির ভাগ সময়টাই নিথর হয়ে বিছানায় পড়ে থাকেন । একদিন তাে এমন হল যে সবাই প্রাণের আশাই ছেড়ে দিল । কিন্তু প্রচণ্ড মনের জোরে , তীব্র ইচ্ছাশক্তির প্রয়ােগে ইংল্যান্ডের উপকূলে নামার আগেই মােটামুটি সুস্থ হয়ে উঠলেন তিনি ।
এবার আর এক মােক্ষম বাধার সম্মুখীন হতে হল । ডাক্তারি শিখতে গেলে মড়া কাটতে হয় । কিন্তু জগদীশ চন্দ্র এই মড়াকাটার গন্ধ একদম সহ্য করতে পারতেন না । হাজার প্রতিজ্ঞা নিয়ে গিয়ে দাঁড়ালেও যেই গন্ধ নাকে যেত অমনি সমস্ত শরীর গুলিয়ে উঠত তার । বমি হত । প্রবল জ্বর আসত রাতে । শেষপর্যন্ত ডাক্তারি পড়ার আশা ছেড়ে দিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশােনা করলেনও কেন্ত্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি নিয়ে দেশে ফিরে এলেন চার বছর পর ।
দিনের পর দিন কোনাে চাকরি নেই । মাথার ওপর বাবার পাহাড় পরিমাণ দেনা । তবু চাপের কাছে মাথা নত করেন নি । অনেক টালবাহনার পর , শেষে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা চাকরি মিলল । অস্থায়ী অধ্যাপকের পদ । মাইনে সাহেব অধ্যাপকদের তিনভাগের দুভাগ ।
প্রতিবাদ করলেন জগদীশ চন্দ্র । টানা ৩ টি বছর সম্পূর্ণ বিনা বেতনে চাকরি করে গেলেন । শেষে তার এই অনমনীয় দৃঢ়তার কাছে নতিস্বীকার করতে হল কর্তৃপক্ষকে । ৩ বছরের পুরাে বকেয়া মাইনে মিটিয়ে দিল তারা সেইসঙ্গে চাকুরিও হল পাকা । জয় হল ধৈর্যের । বকেয়া পাওনা দিয়ে জগদীশ চন্দ্র বাবার বিপুল দেনা সব শােধ করে দিলেন ।
গবেষণার কাজে জগদীশ চন্দ্রকে কোনােদিন কোনাে সাহায্য করেনি ভারতের ব্রিটিশ সরকার । বিদেশে একজন গবেষক পান একাধিক নি জ সা সহকারী ( প্রত্যেকেই প্রায় ডক্টরেট উপাধিধারী ) প্রচুর যন্ত্রপাতি ও অঢেল সময় । সপ্তাহে মাত্র ৫/৬ ঘণ্টা পড়াতে হয় তাদের । জগদীশ চন্দ্রকে পড়াতে হত সপ্তায় ২৬ ঘণ্টা । কোনাে সহকারী ছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা তৃতীয় শ্রেণির গবেষণাগারে কাজ করে যেতে হত ।
শেষে ব্রিটিশের সাহায্যের আশা ছেড়ে দিয়ে এবার নিজেই উঠে পড়ে লাগলেন । চেনাজানা মিস্ত্রীদের ডেকে নিজেই খরচ করে বানিয়ে নিলেন প্রয়ােজনীয় সূক্ষ্ম সব যন্ত্রপাতি । তাই দিয়েই চলল গবেষণা । এক বছরের মধ্যেই গবেষণার ফলাফল জানিয়ে লন্ডনের রয়্যাল । সােসাইটিতে পত্র দিলেন । পেলেন DSC উপাধি ও বৃত্তি ।
এই সময় জগদীশ চন্দ্র বিনা তারে , শব্দতরঙ্গের মাধ্যমে খবর পাঠানাের বিষয়ে গবেষণা করছিলেন । তাঁর গবেষণা নিয়ে সারা পৃথিবীতে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল । এই বেতার ব্যবস্থাকে মূলধন করে কোটি কোটি টাকা রােজগারের সম্ভাবনা ।
পেটেন্ট নেওয়ার পরামর্শ নিয়ে বহু ব্যবসায়ী আসতে লাগল তার করা কাছে মুঠো মুঠো টাকার প্রলােভন দেখিয়ে । কিন্তু অর্থের জন্য তাে বিজ্ঞান নয় , বিজ্ঞান মানবসেবার জন্য । তাই জগদীশ চন্দ্র সরে দাঁড়ালেন । এমনকি বেতার আবিষ্কারের জন্য যখন নােবেল পুরস্কার ঘােষণার সম্ভাবনা দেখা দিল তখন ব্রিটিশ সরকার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামই পাঠালাে না সুইডেনের নােবেল কমিটির কাছে । কারণ একটাই— পদানত ভারতীয়ের এই শ্রেষ্ঠ সম্মান তারা মেনে নিতে পারেনি । এই সুযােগে আমেরিকার গুগলি এলসাে মার্কনী বেতার আবিষ্কার কর্তা হিসাবে নােবেল পুরস্কার পেয়ে গেলেন ।
বঞ্চিত , হতভাগ্য বঙ্গসন্তানের প্রতিভা রয়ে গেল সবার অগােচরে কিন্তু তবুও হতাশার শিকার হননি তিনি । ভেঙে পড়েন নি । বরং নতুন উদ্যমে নিজের সাধনায় মগ্ন হয়ে গেছেন । দ্বিতীয়বার বিদেশে গিয়ে খুঁটিয়ে দেখে এসেছেন সেখানকার বিজ্ঞানসাধনার পদ্ধতি ।
বিজ্ঞান সাধনার জন্য চাই উপযুক্ত গবেষণাগার । আগে বহুবার ব্যর্থ । হয়েছেন । আবার একবার ভারতের নতুন গভর্নর লর্ড কার্জনের কাছে । জগদীশ চন্দ্র আবেদন জানালেন বাংলাদেশে একটি আধুনিক মানের উন্নত গবেষণাগার তৈরি করে দেওয়া হােক যাতে প্রতিভাবান যুবকরা বিজ্ঞান সাধনার সুযােগ পায় এবং বিশ্বের দরবারে নিজেদের প্রমাণ করতে পারে ।
লর্ড কার্জন চারজন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর কাছে মতামত বা রিপাের্ট চেয়ে পাঠালেন এ ব্যাপারে । তার মধ্যে দুজন ছিলেন ড . বসুর বন্ধু । তাঁরা সমর্থন করলেন কিন্তু বাকি দুজন কার্জনকে চিঠি লিখে জানালেন - ‘ চন্দ্র বসু তেমন কিছু উঁচুদরের বিজ্ঞানী নন । কাজেই তার আবেদনের তেমন কোনাে মূল্য নেই । তাছাড়া ভারতের মতাে অশিক্ষিতদের দেশে কেরানি বানানাের উপযােগী কটা স্কুল কলেজই যথেষ্ট । তাদের জন্য আবার গবেষণাগার তৈরি করে মহামান্য সরকারের অর্থের অপব্যয় । করার কোনাে মানেই হয় না ।'
স্তম্ভিত হয়ে গেলেন জগদীশ চন্দ্র । দীর্ঘশ্বাস ফেললেন । তার জেদ চেপে গেল— স্বপ্নের গবেষণাগার তিনি গড়ে তুলবেনই ।
এরপর টানা ১৭ বছর তিল তিল সঞ্চয় আর হাড়ভাঙা পরিশ্রমে সম্পূর্ণ একক প্রচেষ্টায় গড়ে তুললেন বসু বিজ্ঞান মন্দির । আবারও জয় হল ধৈর্য নিষ্ঠা আর জেদের ।
ইতিমধ্যে ‘ উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে’– এই বিষয়ে তাঁর গবেষণা পৃথিবীর বিজ্ঞানীমহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে । বেঁধে গেছে জোর বিতর্ক । একদল তার যুক্তি শুনে বলছে এ সম্ভব । অন্য দল- বিশেষত ফিজিওলজিস্ট , কেমিস্ট ও ফিজিসিস্টরা প্রাণপণে প্রতিবাদ করে বলছেন— এ অসম্ভব । আজগুবি । ডাক এলাে প্যারী প্রদর্শনী থেকে । তৃতীয়বার বিদেশ যাত্রা করলেন জগদীশ চন্দ্র । সভায় তার গবেষণাটি বুঝিয়ে বলার জন্য সময় পেলেন মাত্র ১৫ মিনিট । যা তিন ঘণ্টাতেও ঠিক মতাে বলা হয় না তাকেই মাত্র ১৫ মিনিটে ব্যাখা করলেন তিনি । এরপর সব শুনে কারােরই সন্দেহের আর কোনাে অবকাশ রইল না । স্বয়ং প্রফেসর লজ উঠে এসে জড়িয়ে ধরলেন জগদীশ চন্দ্রকে । অথচ ইনিই ছিলেন বিরােধী দলের পাণ্ডা ।
অন্যদিকে ইউরােপীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটা বড় অংশ জোট বেঁধে ষড়যন্ত্র পাকাতে লাগল জগদীশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে । বিজ্ঞানী ওয়ালার ও স্যান্ডারমান এঁদের নেতা । তারা দল বেঁধে জগদীশ চন্দ্রকে চেপে ধরলেন । এক অদ্ভুত দাবী তাদের মুখে । তারা বললেন—
‘ স্বয়ং গাছ যদি স্বহস্তে লিখে দেয় তবে এরকম অবাস্তব আষাঢ়ে কথা তাঁরা মেনে নেবেন যে গাছেদেরও প্রাণ আছে ।
গাছ নিজের হাতে লিখে দেবে ? এতাে রূপকথা । ম্যাজিক । এই ম্যাজিক দেখাতে না পারলে পশ্চিম দুনিয়া তার আবিষ্কারকে অস্বীকার টানে পাত কিন্তু কাগ দেও তে লিখে করবে ? সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে যাবে এতাে বছরের সাধনা ? বিশ্বের এক অমােঘ সত্য অজানা থেকে যাবে মানুষের কাছে ?
কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না তিনি । চিন্তিত , বিষন্ন মনে পশ্চিম থেকে দেশে ফিরে এলেন । চক্রান্তকারীদের চেষ্টায় বিলাতের রয়্যাল বাঙালি করে দেওয়া হল । অধ্যাপক র্যামসে বিদায়ী সংবর্ধনার আসরে একঘর সাড়া । এব দৃঢ়তার বিজ্ঞানীর সামনে হাসতে হাসতে বললেন ,' ভারতের মতাে দেশ থেকে । একজন বিজ্ঞানীর এতােদূর উঠে আসা নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ । কিন্তু একটা কোকিলের ধ্বনি শুনেই বসন্তের আগমন ঘটে গেছে এরকম মনে করা ঠিক নয় ।
কথাটি শুনে তৎক্ষণাৎ জগদীশ চন্দ্র উঠে দাঁড়িয়ে সসম্রমে বললেন , ‘ আপনার চিন্তার কোনাে কারণ নেই । শিগগীরই শত শত কোকিল ডাকতে শুরু করবে ভারতের বাগান মুখর করে ।'
সেবার প্রতিজ্ঞায় চোয়াল শক্ত করে দেশে ফিরলেন এই বঙ্গ তনয় । না , হার মানব না কিছুতেই । টানা ১২ বছর ধরে আবার শুরু হল সাধনা ।
বিজ্ঞানাচার্য জগদীশ চন্দ্র পেলেন বাগদেবীর কাছে অমরত্বের বর । ১২ বছরের চেষ্টায় গড়ে তুললেন resonant recorder নামে এক অতিসংবেদনশীল অতি সূক্ষ্ম যন্ত্র । বাংলা নাম সমতাল ।
অতি সূক্ষ্ম তার দিয়ে একান্ত হালকা একটি কলম তৈরি হল । সেটি রাখা হল মরকত নির্মিত জুয়েলের ওপর যাতে গাছের পাতার সূক্ষ্মতম টানেও সেটি ঘুরতে পারে । এবার টবসুদ্ধ একটি গাছকে খােলা জানলার পাশে সূর্যালােকের মধ্যে বসিয়ে রাখা হল । এবার সূর্যের আলাের স্পর্শে পাতার বুকে জাগল আনন্দের স্পন্দন । সঙ্গে সঙ্গে pen ঘুরতে লাগল । কিন্তু সাধারণ কাগজের সঙ্গে ঘর্ষণে অত সূক্ষ্ম পেন আর চলে না । কাগজ ছেড়ে এবার মসৃণ কাচের ওপর প্রদীপের কালি বা ভুযাে লেপে দেওয়া হল । এবার আর কোনাে অসুবিধা রইলাে না । সূর্যালােকের স্পর্শে আনন্দিত পাতার হৃদয় স্পন্দনের কথা , গাছ নিজেই কলম ধরে লিখে দিলাে কালাে কাচের ওপর , আঁকাবাঁকা রেখার স্পষ্ট অক্ষরে । ছােট্ট নতুন যন্ত্রটি বাক্সে ভরে এবার হাসি মুখে বীরদর্পে বের হলেন বাঙালি বিজ্ঞানী বিশ্বজয়ে । হ্যা , সঙ্গে কাচের জারে গুটিকয় লজ্জাবতীর গাছ এবং বনচাড়ালের গাছও নিতে ভুললেন না ।
বলা যায় না বিলিতি গাছও যদি নেটিভ কালা ভারতীয়ের যন্ত্র বলে সাড়া না দেয় !
এবার আর তাকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়নি । জয় হয়েছিল সাধনার , দৃঢ়তার আর আত্মবিশ্বাসের ।
No great man even complains of want of opportunities .
-Ralph Waldo Emerson
Jagadish Chandra Bose :- Sir Jagadish chandra Bose was born November 30, 1858, Mymensingh, Bengal. Died November 23, 1937, Giridih, Bihar . Jagadish Chandra Bose is one of the most prominet first Indian scientists who proved by experimentation that both animals and plants minute responses to external stimulants.
0 Comments: