হেলেন কেলার | Helen keller success story | হেলেন কেলার এর জীবন কাহিনী | Bangla success story

Bangla success story :- This success story written by Jayanti Chakrabarti.This story revolves around Helen Keller.We are collected this type success story that revive your lost mind.You get more success story on bengali in our website. And I think  all success story will take place in your mind.So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story.Thank you so much.                                        

                           হেলেন কেলার 

  ' So much has been given to me ; I have no time to ponder over that which has been denied . 

       ' এতাে পেয়েছি জীবনে যে কি কি পাইনি তা নিয়ে মিছিমিছি মাথা ঘামাবার মতাে সময়ই নেই আমার ।

       -কে বলেছেন বলাে তাে এই কথাগুলি ? বলেছেন এমন একজন মহিলা যিনি তাঁর চোখ আর কান দুটো ইন্দ্রিয়কেই সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছিলেন মাত্র ১৮ মাস বয়সে । কিন্তু মনের জোর হারান নি ।

      এই পৃথিবীতে এরপরও ৮৭ টি বছর তিনি শুধু যে তুমুলভাবে বেঁচেই রইলেন তা নয় কোটি কোটি মানুষের কানে দিয়ে গেলেন বাঁচার এক মহামন্ত্র । 

      ‘ হার মেনাে না , হাল ছেড়াে না জয় তােমার হবেই । 

     হেলেন কেলারের জন্ম আমেরিকার আলবামা শহরে । বছর দেড়েকের ছােট্ট খুকি । কথাও ফোটেনি মুখে । এমন সময় দুরন্ত জ্বরে পড়লেন । অনেকদিন পর , জ্বর যখন ছাড়ল তখন দেখা গেল মেয়েটি আর চোখেও কিছু দেখতে পায় না , কানেও কিছু শুনতে পায় না । কানে কারাে কথা শুনতে পেতেন না বলেই নিজেও কথা বলতে শিখলেন না । সবাই জানল- এ মেয়ে শুধু অন্ধ এবং কালা নয়- বােবাও । জীবনে আর কোনােদিনই ও কথা কইবে না ।

       এমন মেয়ে নিয়ে বাবা মা - এর হতাশা আর দুশ্চিন্তা যে কতখানি তা নিশ্চয়ই তােমরা অনুমান করতে পারছ ।

         কিন্তু তারা হাল ছাড়লেন না । প্রতিবন্ধী বলে ভাগ্যের দোহাই দিয়ে মেয়েটিকে বাড়ির এককোণে আবর্জনার মতাে ফেলে রাখলেন না । তারা চারিদিকে খোঁজ করতে লাগলেন এমন একজন সহৃদয়া , দয়াবতী শিক্ষিকার যিনি ধৈর্য ধরে , একটু একটু করে হেলেনকে জীবনযাত্রার সাধারণ কাজগুলি করতে শেখাবেন , যাতে ভবিষ্যতে তাকে পরমুখাপেক্ষি হয়ে না থাকতে হয় । হেলেন এবং তার বাবা মায়ের ভাগ্য ভালাে- ঠিক এমনই একজন শিক্ষিকা মিস এ্যানে মেসফিল্ড সুলিভান সানন্দে এগিয়ে এলেন হেলেনের দায়িত্ব নিতে । হেলেনের জীবনে তিনি ছিলেন দেবদূতী স্বরূপ । যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন হেলেনের ছায়াসঙ্গী হয়েছিলেন তিনি । 

     হেলেনের জন্য মিস সুলিভান বিয়ে করলেন না সারাজীবন । তারই ভালােবাসার যাদুস্পর্শে অন্ধ , বােবা , কালা মেয়েটি কিভাবে একটু একটু করে পৌছলেন সফলতার শীর্ষ বিন্দুতে , সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ যা পারে । তাই সে করে দেখাল— সে এক রূপকথার কাহিনি । 

    কি করে এই অসাধ্য সাধন করলেন মিস সুলিভান ? 

    প্রথমে নানা আকৃতির বিভিন্ন জিনিস হেলেনের হাতে তুলে দিয়ে সুলিভান একটু একটু করে তাকে অক্ষর ও শব্দ শেখালেন । অক্ষরগুলাে অবশ্যই ছিল ব্রেইলের । ব্রেইল হল অন্ধদের জন্য বিশেষ ভাবে বানানাে কাগজের ওপর উঠে থাকা নানা চিহ্ন যা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে বােঝা যায় । ব্রেইলির সাহায্যে অল্পদিনের মধ্যেই অন্ধ হেলেন লিখতে আর পড়তে শিখে গেলেন । লেখা ও পড়ার কৌশল শেখবার পর খুবই তাড়াতাড়ি হেলেন শিখে গেলেন ফরাসী , জার্মান , গ্রীক ও ল্যাটিন এই চারটি ভাষা । ১৮ বছর বয়সেই বি এ পাশ করে গেলেন তারপর লিখতে শুরু করলেন নিজের জীবন কাহিনি । এক আশ্চর্য উত্তরণের রূপকথা The story of my life । বইটি পৃথিবীর ৫০ টি ভাষায় অনুবাদ হল । লেখিকা হিসেবে তিনি স্বীকৃতি পেলেন সারা বিশ্বে ।

        সেই বােবা কালা অন্ধ মেয়েটি , একদিন যে ছিল পরিবার আর সমাজের বােঝা আজ সে - ই এগিয়ে এলাে সমাজের সেবায় । সুস্থ সবল । ধনী আর সুখী মানুষেরা যাদের কান্না শুনেও কর্ণপাত করে না , তাদের দুঃখের কথা আজ মর্মে মর্মে অনুভব করতে পারলেন এই প্রতিবন্ধী মেয়েটি । সারা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াতে লাগল সে আর সেই বক্তৃতা যারা শুনতে এল তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে লাগলেন অর্থ । অন্ধদের জন্য গড়ে তােলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সেই অর্থ অকাতরে দান করে দিলেন তিনি । 

        হেলেনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক গল্প , সিনেমা , উপন্যাস । এর মধ্যে দুটি সিনেমা অস্কার পেয়েছে । এছাড়াও মিস হেলেন কেলার পেয়েছেন নানা দেশ থেকে অসংখ্য পুরস্কার । 

     আমেরিকার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান হল মেডেল অব ফ্রিডম । স্বয়ং প্রেসিডেন্ট এই সম্মান তুলে দিলেন হেলেনের হাতে । সারা বিশ্বের মানুষ আজ হেলেন কেলারের নামে জয়ধ্বনি দেয় । তার জীবনের ইতিহাস থেকে দুঃখী অসহায় হতাশ মানুষ খুঁজে নেয় জীবনের রসদ , খুঁজে নেয় কিছুতেই হাল না ছাড়ার , হার না মানার মন্ত্র ।

     The most pathetic person in the world is someone , who has sight , but has no vision.- Helen Keller

সমাপ্ত 

0 Comments: