Thomas Alva Edison ( টমাস আলভা এডিসন ) এর জীবন কাহিনী | A Success Story Thomas Alva Edison | Bangla Inspriational Success story

Bangla success story :- This success story written by jayanti chakrabarti.This story revolves around Thommas Alva Edison like Thomas Alva Edison biography.We are collected this type success story that revive your lost mind.You get more success story on bengali in our website. And I think  all success story will take place in your mind.So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story.Thank you so much.     

     টমাস আলভা এডিসন 

Thomas Alva Edison ( টমাস আলভা এডিসন ) এর জীবন কাহিনী |

           টমাস আলভা এডিসন আজ আমাদের এই আধুনিক জীবনে বিজ্ঞানের দান ছড়ানাে চারিদিকে । পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের ভূতটাকে নিজের নিজের বুদ্ধির ফাদে ধরে নিজের নিজের পছন্দমতাে নানা কাজ করিয়ে নিয়েছেন । এঁদের মধ্যে টমাস আলভা এডিসন নামের এক আমেরিকান বিজ্ঞানীর নাম বােধহয় সবার আগেই উচ্চারণ করতে হয় কারণ তিনি দু - একটা নয়- বিজ্ঞানভূতের ঘাড়ে ধরে একসঙ্গে একগাদা যন্ত্রপাতি তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন । যেমন , চলচ্চিত্র ,লাইট বাল্ব , গ্রামাফোন , কাইনােটোস্কোপ , ইলেকট্রিপ পেন ইত্যাদি প্রায় ১৩০০ টিরও বেশি আবিষ্কারের জন্য পেটেন্ট নিয়েছিলেন আলভা এডিসন । আজ আমরা যা দিয়ে প্রতিদিন কাজকর্ম করি তার বেশির ভাগই এডিসনের আবিষ্কার । 

        অথচ শুনলে কেউ কি বিশ্বাস করবে স্কুল থেকে এই এডিসনকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন তার শিক্ষিকারা । কারণ ছােটোবেলায় মােটেই ভালাে ছেলে ছিলেন না এডিসন । দরিদ্র পিতা স্যামুয়েল এডিসন ও মা ন্যান্সি ইলিয়ট এডিসনের সপ্তম সন্তান এডিসন ছােটোবেলায় মােটেই কোনাে বিশেষত্বের পরিচয় দেননি । তার কানে কিছু খুঁত থাকার জন্য ক্লাশের পড়াশােনা , শিক্ষিকাদের কথাবার্তা শুনতে তার খুব অসুবিধা হত । তাই তারা কোনাে প্রশ্ন করলে তিনি তাঁর কোনাে সদুত্তর দিতে পারতেন না । চুপ করে বােকার মতাে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতেন শুধু । শিক্ষিকারা রাগ করে এডিসনকে বলতেন অপদার্থ , পচা ডিম । সব ক্লাসেই দাঁড়িয়ে থাকতেন বলে শিক্ষিকারা তাকে কোনাে পড়াই আর জিজ্ঞেস করতেন না । বছরের পর বছর , একই ক্লাসে , একই কোণে চুপচাপ বসে বসেই কেটে যেত আলভা এডিসনের শৈশবের দিনগুলাে । স্কুলে যেতে একটুও ভালাে লাগত । ছুতােয় নাতায় স্কুল কামাই করে ঘরে বসে থাকতেন তিনি । সমবয়সী শিশুরা তাকে খেলায় সঙ্গে নিত না । তাকে দেখলে ব্যঙ্গ , বিদ্রুপ করত । একলা একঘরে হয়ে সর্বদা মনমরা হয়ে থাকত ছেলেটা । এইসব দেখে মার মন কেঁদে উঠতাে । 

          এদিকে স্কুল থেকেও সমানে আসছে অনুযােগের পর অনুযােগ , পড়াশােনায় মন নেই । শুধু বাইরে তাকিয়ে থাকে , কোনাে কিছু বুঝতে পারে না । এসব কমপ্লেন শুনতে শুনতে কান ঝালা পালা হয়ে গেল ন্যান্সির । শেষপর্যন্ত বিরক্ত হয়ে তিনি স্কুল ছাড়িয়ে দিলেন । আলভা এডিসন মাত্র ৯ বছর বয়সেই স্কুলের পড়াশােনায় ইতি টেনে ঘরে চলে এলেন । 

         আসলে ন্যান্সি বুঝতে পেরেছিলেন আলভা এডিসন এক বিশেষ ধরনের শিশু । বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষায় এদের মনের বিকাশ ঘটে না । চিন্তা ও কাজকর্মের স্বাধীনতা পেলে এই ধরনের বিশেষ স্বভাবের শিশুরা অনেক সময় আশ্চর্য আশ্চর্য ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে । সাধারণত এইসব অন্তর্মুখী শিশুরা হয় অলৌকিক প্রতিভাসম্পন্ন । এক্কেবারে আলাদা , মৌলিক চিন্তাভাবনা করে বলেই সাধারণের থেকে তারা একটু আলাদা । শিশু চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরনের বিশেষত্ব বা লণকে বলে ডিসলেক্সিয়া ( disexsia ) । 

         বিশ্ববাসীর সৌভাগ্য যে ন্যান্সি এডিসন তার সন্তানকে সঠিকভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন । স্কুল ছেড়ে বাড়িতে বসে থাকার সময় গাদা গাদা বইপত্র পড়তে শুরু করে দিলেন এডিসন । যখন যা হাতের কাছে পেতেন গোগ্রাসে পড়ে ফেলতেন । ফলে মাত্র বছর দশেক বয়সের মধ্যেই প্রচুর সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী হয়ে উঠলেন তিনি । এছাড়াও ছিলেন বাবা - মা । যখনি মনে কোনাে বিষয়ে কোনাে প্রশ্ন জাগত এডিসন বাবা মা - কে প্রশ্ন করতেন । যতক্ষণ না সম্পূর্ণ তৃপ্ত হতেন ততক্ষণ প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে জেরবার করে তুলতেন মা - বাবাকে । তারাও বিরক্ত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে তার প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাব দিতেন । এভাবেই এডিসন ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে লাগলেন নিজস্ব পথে , জ্ঞানবিজ্ঞানের মহাতীর্থের দিকে । 

         একটু বয়স বাড়তেই এডিসনের মনে জ্ঞানতৃষ্ণা আরাে গভীর হল । তার মনে হল বইতে যে সব কথা লেখা আছে- মা মুখে যা যা বলেন— সবই যে সত্যি তার প্রমাণ কি ? প্রমাণ পেতে হলে চাই পরীক্ষাগার বা ল্যাবরেটরি । কিন্তু স্কুলের পাড়া মাড়ায় নি যে ছেলে , সে ল্যাবরেটরি কোথায় পাবে ? 

        তাই বলে হাল ছাড়লেন না এডিসন । এখান ওখান থেকে এটা সেটা যােগাড় যন্ত্র করে এনে নিজের বাড়িতেই একটা ছােটোখাটো গবেষণাগার গড়ে তুললেন এডিসন । দিন নেই , রাত নেই সেখানেই পড়ে থাকেন এডিসন । নিজের খেয়ালখুশি মতাে পরীক্ষানিরীক্ষা করে যান তার সাধের এই কেমিস্ট্রি ল্যাবে বসে । ধোঁয়ার কুণ্ডলী সহ বিচিত্র সব দুর্গন্ধ বের হতে থাকে ল্যাব থেকে । এক একদিন তাে এমন দুগন্ধি ছাড়তে থাকে যে এডিসনের মা ন্যান্সির প্রায় পাগল হবার যােগাড় । একদিন রেগেমেগে তিনি সাফ বলে দিলেন ‘ বাড়ির মধ্যে ও সব পাগলামাে চলবে না । 

         কিন্তু হাল ছাড়লেন না এডিসন । গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রেলওয়ের ট্রেনবয় হিসাবে কাজ করা শুরু করেছিলেন । সেইসঙ্গে সমান তালে চলল গবেষণা । এবার আর তাড়া খাবার কোনাে ভয় নেই কারণ দাড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত একটি মালগাড়ির কামরায় কিছুদিনের মধ্যেই তিনি তৈরি করে নিয়েছেন তার নতুন গবেষণাগার । 

          শুধু কি গবেষণা ? এডিসনের বয়স যখন মাত্র ১২ বছর তখনি তিনি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করতে লাগলেন , নাম দিলেন গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক হেরাল্ড । ১২ বছরের সম্পাদক মশাই নিজেই স্টেশনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিক্রি করতেন এই সাপ্তাহিক । যারা কিনে পড়তেন তাদের কেউ বলতেন নেহাতই পাগুলে কাণ্ড , আবার কেউ কেউ বলতেন জিনিয়াস । 

         এভাবেই কাটছিল । হঠাৎ একটা আশ্চর্য ঘটনায় পুরােপুরি পাল্টে গেল এডিসনের জীবনের ছক । সেদিনও অন্যান্য দিনের মতাে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লাইন মেরামতির কাজে সাহায্য করছিল এডিসন । পাশের লাইনে দূর থেকে এগিয়ে আসছিল একটি দ্রুতগামী দূরপাল্লার ট্রেন । হঠাৎ এডিসনের নজরে পড়ল একটি ছােটো ছেলে লাইনের ঠিক মাঝখান দিয়ে হেঁটে চলেছে । কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রেন এসে পড়বে । এক মুহূর্ত চিন্তা না করে এডিসন দৌড়ে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে ছেলেটাকে দুহাতে তুলে নিয়ে লাইনের বাইরে সরে এলাে । মাত্র কয়েকটি মুহূর্তের জন্যে বেঁচে গেল দুটি প্রাণ কারণ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুতগামী ট্রেনটি চারিদিক কাপিয়ে ঝড়ের গতিতে পার হয়ে । গেল স্টেশন এলাকা । 

        খবর পেয়ে দৌড়ে এলেন সদ্য রক্ষা পাওয়া শিশুটির বাবা । তিনি আর কেউ নন , স্বয়ং স্টেশন মাস্টার । এডিসনকে আনন্দে বুকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি । বললেন- ‘ আজ থেকে তােমার লেখাপড়া শেখার সব দায়িত্ব আমার । 

        কিন্তু এডিসন যে লেখাপড়া শিখতে চান না । স্কুল কলেজের নামে গায়ে জ্বর আসে তার । তিনি চান যন্ত্রপাতি , কলকজার ভিতরে কী রহস্য লুকোনাে , সেগুলােকেই জেনে বুঝে নিতে , নিজে হাতে নেড়ে চেড়ে । 

        তাই হল । এডিসনের অনুরােধে স্টেশন মাস্টার কেমন করে টেলিগ্রাফের সাহায্যে খবর দেওয়া নেওয়া করা হয় তার কলাকৌশল যত্ন করে শিখিয়ে দিলেন এডিসনকে । তখন তার বয়স মাত্র পনেরাে বছর । তখন অর্থাৎ ১৮৬২ থেকে ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত এই ৬ বছর ভ্রাম্যমান টেলিগ্রাফার হিসাবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলেন এডিসন । 

        টেলিগ্রাফ আরাে উন্নত করার তাগিদ থেকেই এডিসনের যাবতীয় আবিষ্কার । এইসময় তিনি এমন একটি টেলিগ্রাফিক রিপিটিং যন্ত্র আবিষ্কার করলেন যার সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বার্তা প্রেরণ করা সম্ভব হল । আরাে কিছুদিনের মধ্যেই আবিষ্কার করে ফেললেন ডুপ্লেক্স টেলিগ্রাফ ও ম্যাসেজ প্রিন্টার । এইসব আবিষ্কারের ফলে এডিসনের নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল । অর্থাগমও হতে থাকল । প্রচুর । তখন টেলিগ্রাফের চাকরি ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে এডিসন পুরােপুরি আত্মনিয়ােগ করলেন আবিষ্কার করা আর সেই আবিষ্কারকে বাজারে চালু করার কাজে । এরপর আর পিছনে তাকাতে হয় নি । বিয়ে করে রীতিমতাে সংসারী হয়ে পাকাপাকিভাবে আবিষ্কারের কাজে আত্মনিয়ােগ করলেন টমাস আলভা এডিসন । 

          সংসারের খরচপত্রের হিসাব রাখা তার ধাতে ছিল না । দিনরাত মশগুল হয়ে থাকতেন নতুন নতুন আবিষ্কারের চিন্তায় । নিজস্ব এক গবেষণাগার তৈরি করলেন । রেখে দিলেন দুজন সহকারী বিজ্ঞানীকে চার্লস ব্যাচেলর ও জন ক্ৰয়েশি । শুরু হল একের পর এক উদ্ভাবন । কার্বন বাটন ট্রান্সমিটার , টিন ফয়েল ফোনােগ্রাফ ইত্যাদি আবিষ্কার ও তার বাণিজ্যিক ব্যবহার এডিসনকে প্রচুর অর্থ ও সুনাম এনে দিল । ১৮৭০ সালে পত্তন করলেন এডিসন ইলেকট্রিক লাইন কোম্পানি । ক্রমে ক্রমে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ল তার আবিষ্কারের কথা । লােকে তার নাম দিল ‘ উইজার্ড অব মেনলাে পার্ক ’ | বা মেনলাে পার্কের যাদুকর । মেনলাে পার্কেই এডিসন তার বাবার অর্থসাহায্যে গড়ে তুলেছিলেন তার নিজস্ব স্বপ্নের গবেষণাগার । কেমন করে করলেন এই অসাধ্য সাধন ? স্কুল যার গায়ে সেঁটে দিয়েছিল addled ' অর্থাৎ ‘ পচা ’ - র তকমা  সেই এক্কেবারে বাজে ছেলেটি কেমন করে হয়ে দাঁড়ালেন বিশ্বের আন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ? 

         শুধুমাত্র একাগ্রতার জোরে । শুধুমাত্র ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাসের জোরে । পৃথিবী যার ওপর সব রকম বিশ্বাস হারিয়েছে সে নিজে কিন্তু একটুও বিশ্বাস হারায় নি নিজের ওপর । 

         তাই তাকেও হারতে হলাে না । জয়ী হলেন সব কাজে । শােনা যায় ইলেকট্রিক বালব আবিষ্কার করার সময় তিনি নাকি ৭০০ বার ব্যর্থ হয়েছিলেন । কোনাে একজন এ ব্যাপারে যখন তাকে প্রশ্ন । করল যে এতােবার ব্যর্থ হবার পর তার মনে কিরকম হতাশা এসেছিল ? 

        এডিসন হাসতে হাসতে উত্তর দিয়েছিলেন কৈ ? আমি তাে একবারও ব্যর্থ হইনি ? বরং বলতে পারেন ৭০০ টি সফল পরীক্ষায় ৭০০ টি ভুল পথকে চিহ্নিত করতে পেরেছি । I have not failed 700 times ... I have not failed once . I have successeded in proving that those 700 ways will not work .

         ' জীবনের প্রতি এই গভীর ইতিবাচক ( positive ) দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে কেউ কি কোনােদিন কোনােকিছুতে বিফল হয় ?

               " God helps those
                          Who help themselves .


Thomas Alva Edison :- Thomas Alva Edison was an American inventor and bussinessman who has been described as America's greatest inventor . He developed many devices in fields such as electric power generation ,the incandescantlight bulb, mass communication , the phonograph, sound recordning , and motion picture.In his 84 years , he acquired astounding 1,093 patents . He was born Milan, Ohio, United States ( 11 February 1847 ) and died West Orange , New Jersey, United States ( 18 October 1931 ) .



0 Comments: