Bangla success story :- Swami Vivekananda Bio graphy( Success Story) Bangla. This success story written by jayanti Chakraborty. This story revolves around Swami Vivekananda like Swami Vivekananda biography. Swami Vivekanada life story in bengali. We are collected this type success story that revive your lost mind. You get more success story on Bengali in our website. And I think all success story will take place in your mind. So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story. Thank you so much.
স্বামী বিবেকানন্দ
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বলেছিলেন— The future belongs to those who believe in the beauty of their dreams .
স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন এমনি একজন স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষ । তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর স্বদেশবাসী , পরাধীন , পদদলিত , দরিদ্র মূখ চির হতভাগ্য এই ভারতবাসীরা একদিন মানুষের মতাে মানুষ হয়ে উঠবে । ফিরে পাবে আত্মমর্যাদা , ফিরে পাবে স্বাধীনতা । জ্ঞানে , গরিমায় , শক্তিতে সাহসে এই অবহেলিত ঘৃণিত ভারতবর্ষই একদিন বিশ্বসভায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন গড়ে নেবে ।
এ স্বপ্ন যখন তিনি দেখেন তখন তিনি একজন কপর্দকশূন্য কৌপীন মাত্র সম্বল সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী । কখনাে ভিক্ষান্নে , কখনাে কোনাে সদাশয় গৃহস্থের দানে গ্রাসাচ্ছাদন চলে তার । তবু তিনিই এই স্বপ্ন দেখেছিলেন ।
কিন্তু কে শুনবে তাঁর কথা ? অভাত অখ্যাত সন্ন্যাসীকে সাহায্য করতে কে আসবে এগিয়ে ?
অথচ দেশকে জাগাতে হলে চাই সংগঠন , চাই প্রচার আর চাই প্রচুর অর্থ ।
পথ খুঁজতে লাগলেন স্বামীজি । কেমন করে স্বপ্নকে সার্থক করা যায় তারই পথ ।
হঠাৎ একটা খবর পৌছুল তার কানে । আমেরিকার শিকাগাে শহরে বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে । এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি যদি হিন্দুধর্মের ওপর ভাষণ দেবার সুযােগ পান তাহলে তিনি প্রমাণ করে দিতে পারবেন যে হিন্দুধর্ম পৃথিবীর কোনাে ধর্মের চেয়ে ছােটো নয় বরং পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনাে , সবচেয়ে উদার আর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হল হিন্দু ধর্ম ।
পাশ্চাত্যের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই সত্যকে একবার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে আর ভাবনা কি ? তখন ভারতীয়রাও তাদের আত্মবিশ্বাস , আত্মমর্যাদা বােধ ফিরে পাবে । তখন আর তারা দলে দলে খ্রিস্টান হতে ছুটবে না ।
নিজের ধর্ম , নিজের জাতি , নিজের দেশকে ভালােবাসতে শিখবে , শ্রদ্ধা করতে শিখবে ।
আর অর্থের অভাব ? একবার বিদেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেলে সে অভাবও দূর হয়ে সহজেই । শুধু বক্তৃতা দিয়েই উপার্জন করতে পারবেন রাশি রাশি টাকা । অতএব যেতেই হবে আমেরিকা । স্বপ্নে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে গেছেন গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ । গুরুমা সারদাদেবীও পাঠিয়েছেন আশীর্বাদ ।
কিন্তু কোথায় পাথেয় ? কোথায়ই বা বিদেশ যাত্রার উপযুক্ত পােশাক ? খেতড়ির রাজা এগিয়ে এলেন । দিলেন প্রয়ােজনীয় টাকাপয়সা ও জামাকাপড় ।
স্বামীজি ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মে বােম্বাই বন্দর থেকে জাহাজে উঠে আমেরিকার পথে পাড়ি দিলেন । চলেছেন কিন্তু জানেন না কোথায় গিয়ে উঠবেন । কারণ ধর্মমহাসভার পক্ষ থেকে তাকে কোনাে আমন্ত্রণপত্র পাঠানাে হয় নি । সে দেশে কোনাে চেনাজানা লােকও নেই তার । এমনকি একটি পরিচয়পত্র পর্যন্ত সঙ্গে নেই তার যা দিয়ে তিনি নিজেকে প্রমাণ করবেন ।
শুধুমাত্র একবুক স্বপ্ন আর গুরুর আদেশ সম্বল করে ৩০ জুলাই এক কনকনে শীতের রাত্রে শিকাগাে শহরে এসে পৌঁছলেন স্বামীজি ।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনীদের শহর । হােটেলের চার্জ নাগালের বাইরে । এদিকে সঙ্গে আনা টাকাপয়সাও প্রায় ফুরিয়ে এসেছে । তারপর বর্ণবিদ্বেষী শ্বেতাঙ্গরা খাবারের দোকানে ঢুকতে দেয় না , চুল কাটার সেলুনে ঢুকতে দেয় না , গৃহস্থ বাড়িতে ভিক্ষা চাইলে কেউ ভিক্ষাও দেয় না । মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয় ।
স্বামীজি বুঝলেন এভাবে শিকাগাে শহরে আর কয়েকদিন থাকলে অনাহারেই মারা যাবেন । তার ওপর প্রচণ্ড শীত । সঙ্গে আনা পােশাকগুলােও প্রায় ছিড়ে গেছে । এই নিদারুণ সময়ে স্বামীজি দেশে তার এক গুরুভাইকে চিঠিতে লিখছেন—
‘ এখানে আসিবার পূর্বে যে সব সােনার স্বপ্ন দেখিতাম তাহা ভাঙিয়াছে । এক্ষণে অসম্ভবের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে হইতেছে ।... মরি - বাঁচি , আমার উদ্দেশ্য ছাড়িতেছি না । '
শিকাগাে থেকে কিছু দূরে বােষ্টন শহর । সেখানে থাকা খাওয়ার খরচ কিছুটা কম । স্বামীজি চললেন বােষ্টনের উদ্দেশ্যে । পথে ট্রেনে এক দয়াবতী মহিলার সঙ্গে আলাপ হল তার । তিনি স্বামীজির সব কথা শুনে তাকে নিজের বাড়িতে অতিথি হিসাবে আশ্রয় দিলেন । থাকা খাওয়ার সমস্যা মিটল ।
কিন্তু আসল কাজের তাে কিছুই হল না । যে জন্য এতাে দূরে , এতাে কষ্ট স্বীকার করে আসা সেই বিশ্বধর্ম সম্মেলেনের মহাসভায় যােগ দেবার কোনাে সুরাহাই তাে হল না ! তবে কি শূন্য হাতেই ফিরে যেতে হবে ? স্বামীজি হাল ছাড়লেন না । মানুষের জেদের পরিচয় পেলে ঈশ্বরও হাত বাড়িয়ে দেন ।
হঠাৎই একদিন পথ চলতে চলতে স্বামীজির আলাপ হয়ে গেল মি . রাইটের সঙ্গে । মাত্র তিনঘণ্টার আলাপে অধ্যাপক রাইট এতােটাই অভিভূত হয়ে পড়লেন যে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে নিজের এক বন্ধু জে এইচ ব্যারেজের কাছে চিঠি লিখে স্বামীজির হাতে দিয়ে তাকে শিকাগাে শহরে পাঠিয়ে দিলেন । মি ব্যারেজ ছিলেন এমন এক সভার সদস্য যে সভার হাতেই ছিল ধর্মসম্মেলনের প্রতিনিধি নির্বাচনের ভার ।
ডক্টর রাইটের চিঠি নিয়ে স্বামীজি আবার ফিরে এলেন শিকাগাে শহরে । কিন্তু ট্রেন ঢুকতে দেরী করল । গভীর রাত । ঝােলা ঝুলি হাতড়ে খুঁজতে লাগলেন অধ্যাপক রাইটের দেওয়া চিঠি আর সমিতির ঠিকানা । কিন্তু কোথায় সে সব । পথের মধ্যে মনের ভুলে কোথায় ফেলে এসেছেন কে জানে ! সঙ্গে টাকাপয়সাও নেই । কোনাে হােটেলেও ঠাই হলাে না । হাড় কাপানাে ঠাণ্ডায় হাত - পা অসাড় হয়ে গেছে । মৃত্যু অবধারিত ।
এমন সময় হঠাৎ চোখে পড়ল একটি কাঠের খালি প্যাকিং বাক্স স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের এক কোণে পড়ে আছে । স্বামীজি সে রাতের মতাে সেই বাক্সের মধ্যে ঢুকে কোনােমতে প্রাণ বাঁচালেন । সারারাত কেটে গেল অনাহারে । তবু হাল ছাড়লেন না । সকালে উঠেই ক্লান্ত অবসন্ন পায়ে ফের বেরিয়ে পড়লেন সমিতির খোঁজে ।
কিন্তু খোঁজ তাে পেলেনই না উপরন্তু বিস্তর হাঁটাহাঁটি করে খিদে আরাে বেড়ে গেল । নিরুপায় স্বামীজি ভিক্ষা চাইতে লাগলেন দ্বারে দ্বারে এককণা খাবারের জন্য । কিন্তু ধনী , অহংকারী আমেরিকান গৃহস্থরা এক মুঠো খাবার তাে দিলই না বরং যারপরনাই অপমান করে তাকে - তাড়িয়ে দিল । এ দুয়ার থেকে ও দুয়ার ক্রমাগত বিতাড়িত হতে হতে একসময় স্বামীজি আর পারলেন না । খিদেয় লুটিয়ে পড়লেন রাস্তার মাঝখানে ফুটপাতের ওপর ।
এই দৃশ্য উল্টোদিকের বাড়ির বারান্দা থেকে দেখতে পেয়েছিলেন এক দয়াবতী মহিলা মিসেস হেল । তিনি তক্ষুনি নিজে গিয়ে স্বামীজিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এলেন । যত্ন করে তাকে খাওয়ালেন । বিশ্রামেরও ব্যবস্থা করে দিলেন ।
কিন্তু স্বামীজি তাে সাধারণ ভিক্ষুক নন । তিনি তাে চান ধর্মসভায় বক্তৃতা দিতে । তিনি তাে থাকা খাওয়ার নিশ্চিত আশ্রয় পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না । তাই সময় বুঝে একদিন বলে ফেললেন মিসেস হেলকে তার মনের কথা । ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করলেন তার সাহায্য ।
অনেক চেষ্টা করে শেষপর্যন্ত ব্যবস্থা একটা হল । হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে ইতিমধ্যে অনেকেই পৌঁছে গেছেন । অভ্যর্থনা সমিতির অতিথি নিবাসে । সেইসব ভারতীয়ের মধ্যে বেশ কজন বাঙালিও আছেন । কাজেই হিন্দু ধর্মের ওপর বলার জন্য যে সময়সীমা নির্দিষ্ট করা আছে তা আর কোনাে মতেই বাড়ানাে যাবে না । তবে একান্তই নাছােড়বান্দা এই তরুণ সন্ন্যাসীর জন্য অনেক বলে কয়ে কোনােমতে দু মিনিট সময় বরাদ্দ করা গেল । স্বামীজি তাতেই সন্তুষ্ট হলেন । মনে মনে প্রস্তুত করতে লাগলেন নিজেকে । ওই দু মিনিট সময়কেই কিভাবে পুরােপুরি কাজে লাগানাে যায় তাই ভাবতে লাগলেন দিন রাত ।
১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শিকাগাের কলম্বাস হলে শুরু হল বিশ্বধর্ম মহা সম্মেলন । পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাছা বাছা সাত হাজার মহাপণ্ডিত সেই সভার দর্শকাসনে । এছাড়া বক্তা হিসাবে যাঁরা বসে আছেন মঞ্চে তাদের পাণ্ডিত্য তাে সন্দেহাতীত । এই সভায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতে হবে ভেবে ভয়ে স্বামীজির কণ্ঠ তালু শুকিয়ে গেল , বুকের মধ্যে দুরু দুরু । জীবনে যে কখনাে তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেন নি । তাছাড়া সকলেই বক্তৃতা লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন । স্বামীজি তাও করেন নি ।
একমনে গুরুকে স্মরণ করে স্বামীজি নিজের নিলেন । ঘােষক তার নাম ঘােষণা করতেই ধীর পায়ে মঞ্চে উঠে এলেন মনকে প্রস্তুত করে স্বামীজি । তার তরুণ তেজপূর্ণ চেহারা , গৈরিক পােশাক ও আত্মবিশ্বাস মাখানাে দুটি চক্ষুর নির্মল জ্যোতি দর্শকদের মুগ্ধ করে দিল । স্বামীজি শুরু করলেন—
‘ আমেরিকাবাসী ভগ্নী ও ভ্রাতাগণ’– সভাকক্ষে , যেন বিদ্যুত চমকিত হল । শ্রোতারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে করতালি দিতে লাগল । এতাে আন্তরিক সম্বােধন আগে কোনাে বক্তা তাে করেননি । মুগ্ধ করতালি চলল টানা দু মিনিট ধরে ।
এরপর স্বামীজি যা বললেন তার সারসংক্ষেপ হল এই - বিশ্বের সব ধর্মই মহান । সব ধর্মেরই লক্ষ্য এক ঈশ্বর । হিন্দুধর্মের মহান্থি গীতা এই সত্যকেই প্রকাশ করেছে । আজকের এই ধর্মহাসম্মেলন বিশ্ব থেকে ধর্মান্ধতা , সংকীর্ণতা , সাম্প্রদায়িকতা ও যাবতীয় ধর্মোন্মত্ত পৈশাচিকতাকে দূর করুন । তুমুল করতালির মধ্যে বক্তৃতা শেষ হল ।
জনপ্রিয়তার প্রবল স্রোতে ভেসে গেলেন স্বামীজি । আমেরিকাবাসীর মুখে মুখে ফিরতে লাগল তার নাম । সবাই তার কথা শুনতে চায় । ফলে আরাে দশ বারােদিন ভাষণ দিতে হল তাকে ধর্মসভায় ।
না , আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে । এরপর দিনের পর দিন , মাসের পর মাস , বছরের পর বছর , আমেরিকা , লন্ডন সহ পাশ্চাত্যের নানা দেশে বক্তৃতা করে বেড়িয়েছেন তিনি । পৃথিবীর দিগভ্রান্ত , নষ্ট চৈতন্য , হতাশ মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন জীবনের মহামন্ত্র -
‘ উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরাণ নিবেধিত ।
Arise , awake stop return till you reach the goal .
আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অসংখ্য শাখাপ্রশাখা । শিবজ্ঞানে জীবসেবাই যার একমাত্র উদ্দেশ্য । বিবেকানন্দ রচিত প্রচুর বই ও বক্তৃতামালা আজ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে সঞ্চারিত করে । দিচ্ছে দিব্যজীবনের , প্রকৃত আনন্দময় জীবনের মন্ত্র
- He only lives , who lives for others .
- Swami Vivekananda
Swami Vivekanda:- Swami Vivekanada was an Indian Hindu monk. He was born ( 12 january 1863 ) in a bengali family at his ancestral home at 3 gourmohon mukherjee street in kolkata. His another name was Narendra nath datta. He was death on 4th july 1902 in Belur Math Howrah.