এমন একটা বন্ধু চাই | সিরাজাম মুনিরা | Bangla Romantic Kobita Lyrics

এমন একটা বন্ধু চাই  | সিরাজাম মুনিরা | Bangla Romantic Kobita Lyrics
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে সিরাজাম মুনিরার,  "এমন একটা বন্ধু চাই " কবিতাটি রইলো তোমার জন্য । 

এমন একটা বন্ধু চাই 

সিরাজাম মুনিরা


 জীবনসঙ্গী হিসেবে স্বামী বা স্ত্রী তো আমরা সবাই পাই,
কিন্তু আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন বন্ধু চাই।

এমন একজন বন্ধু চাই 
যার কাছে আমার লুকোনোর কিছু থাকবেনা।
যার কাছে আমি আমার জীবনের প্রতিটি হেরে যাওয়ার গল্প নিঃসংকোচে বলতে পারবো। 
যার কাছে একটা বিষাক্ত অতীতের গল্প বলতে গিয়ে কান্না করা যাবে।
আমি তার কাছে ভালোবাসা চাই না,
আমি চাই বিশ্বস্ততা।
এমন বিশ্বস্ততা যেখানে ঠকে যাওয়ার ভয় কাজ করবেনা।
যে আমাকে ভরসা দিবে।
আমাকে অনুধাবন করাবে যে, "সব বন্ধু বন্ধুত্বে ঠকায় না।"

আমি এমন একজনকে চাই যে আমার প্রেমে না পড়ে আমার মায়ায় পড়বে।
যে আমার ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন গুলো জুড়ে দিবে।
ভীতগ্রস্ত এই আমিকে অভয় দিয়ে যে হাত ধরে আবারও ভালোবাসা পর্যন্ত নিয়ে যাবে। 

এমন একজন বন্ধু চাই যাকে প্রতিটি মন খারাপের কথা নির্দ্বিধায় বলা যাবে।
প্রচন্ড মন খারাপে যার কাঁধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে বসে থাকা যাবে।
মাঝ রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙালে যে বিরক্ত হয়ে অসহ্য বলবেনা।

আমি এমন একজন বন্ধু চাই যাকে খুব কান্না পেলে জড়িয়ে ধরে কাঁদা যাবে।
আমি চাই না সে আমার কান্না দেখে আমার মন ভালো করার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠুক।
আমি চাই আমার কান্নার মুহুর্তে সে শুধু তার বুকে আমাকে আগলে রাখুক।
ঠিক যেমন এক মা তার শিশুবাচ্চাকে আগলে রাখে তেমন ভাবে।

আমি এমন একজন বন্ধু চাই যে আমার ভালো খারাপ সকল সময়ে পাশে থাকবে।
আমার সকল সৃষ্টিশীল কাজে যে আমার অনুপ্রেরণা হবে।
যে আমার কাছে একটি খোলা বইয়ের মতো হবে যার শুরু থেকে শেষ সবগুলো পৃষ্ঠাই আমার জানা থাকবে।
আমি প্রেমিকা বা স্ত্রী হওয়ার আগে তার খুব কাছের একজন বন্ধু হতে চাই। 

আমি এমন সম্পর্ক চাই যে সম্পর্কে ইগো নামক দেয়াল থাকবেনা।
সম্পর্কে ঝড় ঝাপটা যাই আসুক না কেন, 
দিনশেষে আমার ক্লান্তি দূরের একমাত্র আশ্রয়স্থল হবে
এমন একজন মানুষ চাই। 
এর চেয়ে বেশি কিছুই চাওয়ার নেই আমার।

সমাপ্ত 

আমাদের আর ও প্রেমের কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇


Bengali Poem :- This poem is written by "Sirajam Munira". Poem name, "Emon Ekta Bondhu Chai". We are collected best love and romantic poem in Bengali. We can also published your poem or story in Bengali. If you want to send your Bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in Bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website. Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment. Thank you so much.


পরিত্যক্ত | Israt Jahan Panna | Bangla Sad Kobita Lyrics

পরিত্যক্ত | Israt Jahan Panna | Bangla Sad Kobita Lyrics
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে ইসরাত জাহান পান্নার "পরিত্যক্ত" কবিতাটি রইলো তোমার জন্য । 

পরিত্যক্ত 

ইসরাত জাহান পান্না

পরিত্যক্ত রেললাইন, 

পরিত্যক্ত মোহনা বস্তির খেটে-খাওয়া আবর্জনা;

খুব দ্রুত হেঁটে যাচ্ছো!

হাতে পৃষ্ঠাভর্তি চিঠি,

কপালে প্রেমিকা হারানোর হেডলাইন, 

চুলে জমা ধুলো,

পায়ে প্যাচিয়ে পড়া মোহনা বস্তির ঘাম।

তবুও তুমি হাঁটছো-যেন মুক্ত প্রদীপ, 

ইচ্ছে হলেই জ্বলবে,

ইচ্ছে হলেই নিভিয়ে দিবে পৃথিবীর যত আকাংখা।

তোমায় আজ তুচ্ছ মনে হচ্ছে খুব।

যেন অব্যবহৃত ফেলনা যাকে সাজিয়ে না রেখে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে নর্দমায়। 

তুমি মিশে যাচ্ছো পরিত্যক্ত হয়ে!


প্রিয়, ফিরে চেও না আর ;

ফিরে চাইলে তোমার মায়া হবে, 

মনে হবে আমি তো সেই -যে পৃথিবীর সব সংকট কাটিয়ে পরিত্যক্ত হয়েই বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম,

 তোমার বুকের বা-পাশের উত্তরাধিকারী হয়ে।

তোমার মনে হবে আমি ডাকছি,

বলছি, "ফিরে এসো।"

এসব মিথ্যে, আমি বাহানা করছি!

এ পথের সঙ্গী তো আমরা দুজন ,

 তোমায় একা মানায় কি করে?

তোমার মনে হবে দেয়াল ফাঁটা রোদ্দুরে এক বোতল জলের তৃষ্ণায় দুঃস্বপ্ন দেখছো।

ফিরে চেও না প্লিজ।


তুমি হাঁটো-নয়তো মিশে যাও মোহনা বস্তির উঁড়ে বেড়ানো স্বাধীন দুর্গন্ধের সঙ্গে।

আমায় উপভোগ করতে দাও প্রেমিক নিঃশেষের যন্ত্রণা।

গেঁথে যাক তোমার নিস্পাপ চোখের জল আমার বুকে কাঁচ হয়ে।

তুমি সহ্য করো,

কিন্তু ফিরে চেও না।


প্রয়োজনে সন্ধ্যার চাঁদ ধরে হেঁটে যাওয়ার সে সময় তুমি ভুলে যাও

ভুলে যাও কনকলতা ফুলের ঘ্রাণ, 

ফুলতলীতে ফেলে আসা চায়ের কাপ, 

শেষ মাসে কেনা টিপের পাতা,

যমুনার ঘাটে করা শপথ -সব ভুলে আমাকে স্বার্থপর হতে দাও।


তুমি থেমে যেও না।

বলার সাহস করো না,

যে উঠোনে রৌদ্র হলেই শস্যের ঘ্রাণ গিলে খেতে -শালিক,ময়না,টিয়া।

তাতে আজ কাকের ভীড় কেন!

তুমি হাঁটো -রেলগাড়ীর মত নির্দিষ্ট হও।

ফিরে আর চেও না ।

আমাকে স্বার্থপরতার সার্টিফিকেট 

অর্জন করতে দাও।

প্লিজ তুমি হাঁটো !

সমাপ্ত 

আমাদের আর ও প্রেমের কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇



Bengali Poem :- This poem is written by "Israt Jahan Panna". Poem name, "পরিত্যক্ত". We are collected best love and romantic poem in Bengali. We can also published your poem or story in Bengali. If you want to send your Bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in Bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website. Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment. Thank you so much.


এমন একটা মানুষ দরকার | পুস্কর পাল | Bengali poem | Sad Love Poem In Bengali

এমন একটা মানুষ দরকার | পুস্কর পাল | Bengali poem | Sad Love Poem In Bengali
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে পুষ্কর পালের,  "এমন একটা মানুষ দরকার" রইলো কবিতাটি তোমার জন্য ।   

এমন একটা মানুষ দরকার 

পুস্কর পাল 

প্রতিটা  মানুষের জীবনে এমন একটা মানুষ দরকার
তাকে খুব শাসন করবে ,
 কেয়ার করবে, ভালোবাসবে । 
মাঝ রাতে অনলাইন দেখলে রাগী স্বরে বলবে,
 "তুমি কি ঘুমাবে নাকি আমি I'd ডিএক্টিভ করে ফেলবো ,
পরে কিন্তু সারাদিন চিল্লালে ও id একটিভ করবো না ।"
ব্যাস্ত রাস্তা পার হওয়ার  সময় সাবধানী স্বরে বলবে,
"এই সাবধানে রাস্তা পার হও ।" 

এমন একটা মানুষের ভীষণ দরকার
 যে কিনা হ্যালো শুনলেই বুঝে ফেলবে মন খারাপ ।
 জিজ্ঞাসা করবে,
"কি হয়েছে বলো, আমি মন ভালো করে দেবো ।"
হুট্হাট ছবি দেখিয়ে বলবে,
 "এই দেখো তো আমাকে কেমন লাগছে , সুন্দর লাগছে না ? " 
মাঝে মধ্যে অভিমান করে বলবে, 
"আমি রাগ করেছি, রাগ ভাঙাও । 
এমন একটা মানুষের সত্যিই ভীষণ দরকার 
 যে কিনা প্রচন্ড মন খারাপের সময় পাশে বসে ভরসা দিয়ে বলবে ,
 "চিন্তা কোরো না, আমি আছি সব সময় থাকবো ।"
রাস্তায় হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে কাটিয়ে দেবে অনেকক্ষন । 
তারপর হুট্ করে বাদাম দেখে চিৎকার করে আবদার করে বলবে,
"এই বাদাম খাবো, তাড়াতাড়ি বাদাম নাও । 
হুট্ করে একটা চা দোকান দেখে বলবে,
"শোনো না অনেক দিন চা খাই নি, 
পাঁচ টাকা দামের একটা চা নাও তো একই কাপে দুজন বিস্কুট ভিজিয়ে খাবো ।"
এমন একটা মানুষের ভীষণ দরকার
 যাকে কিনা বিনা সংকোচে নির্দ্বিধায় অনেক কিছু বলা যাবে ।
নিজের মন খারাপ,
মন ভালোর কথা সারাদিন বক বক করে বললে ও বিরক্ত হবে না ।
এমন একটা মানুষের দরকার
যে কিনা ভীষণ মন খারাপের সময় বলে যাবে,
"এই শোনো , আমার মন খারাপ তাড়াতাড়ি মন ভালো করে দাও ,
প্রতি টা মানুষের জীবনে এমন একটা মানুষের দরকার , 
হ্যাঁ , ভীষণ দরকার । 

সমাপ্ত 


Bengali Poem :- This poem is written by Pushkar Paul. Poem name, "Emon Ekta Manush Darkar". We are collected best love and romantic poem in Bengali. We can also published your poem or story in Bengali. If you want to send your Bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in Bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website. Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment. Thank you so much.

স্বামী বিবেকানন্দ এর সফলতার কাহিনী | Swami Vivekananda life story in bengali

স্বামী বিবেকানন্দ এর সফলতার কাহিনী | Swami Vivekananda life story in bengali
Bangla success story :- Swami Vivekananda Bio graphy( Success Story) Bangla. This success story written by jayanti Chakraborty. This story revolves around Swami Vivekananda like Swami Vivekananda biography. Swami Vivekanada life story in bengali. We are collected this type success story that revive your lost mind. You get more success story on Bengali in our website. And I think  all success story will take place in your mind. So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story. Thank you so much. 

 স্বামী বিবেকানন্দ 

      আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বলেছিলেন— The future belongs to those who believe in the beauty of their dreams . 

      স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন এমনি একজন স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষ । তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর স্বদেশবাসী , পরাধীন , পদদলিত , দরিদ্র মূখ চির হতভাগ্য এই ভারতবাসীরা একদিন মানুষের মতাে মানুষ হয়ে উঠবে । ফিরে পাবে আত্মমর্যাদা , ফিরে পাবে স্বাধীনতা । জ্ঞানে , গরিমায় , শক্তিতে সাহসে এই অবহেলিত ঘৃণিত ভারতবর্ষই একদিন বিশ্বসভায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন গড়ে নেবে । 

      এ স্বপ্ন যখন তিনি দেখেন তখন তিনি একজন কপর্দকশূন্য কৌপীন মাত্র সম্বল সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী । কখনাে ভিক্ষান্নে , কখনাে কোনাে সদাশয় গৃহস্থের দানে গ্রাসাচ্ছাদন চলে তার । তবু তিনিই এই স্বপ্ন দেখেছিলেন । 

      কিন্তু কে শুনবে তাঁর কথা ? অভাত অখ্যাত সন্ন্যাসীকে সাহায্য করতে কে আসবে এগিয়ে ? 

     অথচ দেশকে জাগাতে হলে চাই সংগঠন , চাই প্রচার আর চাই প্রচুর অর্থ । 

    পথ খুঁজতে লাগলেন স্বামীজি । কেমন করে স্বপ্নকে সার্থক করা যায় তারই পথ ।

     হঠাৎ একটা খবর পৌছুল তার কানে । আমেরিকার শিকাগাে শহরে বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে । এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি যদি হিন্দুধর্মের ওপর ভাষণ দেবার সুযােগ পান তাহলে তিনি প্রমাণ করে দিতে পারবেন যে হিন্দুধর্ম পৃথিবীর কোনাে ধর্মের চেয়ে ছােটো নয় বরং পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনাে , সবচেয়ে উদার আর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হল হিন্দু ধর্ম । 

      পাশ্চাত্যের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই সত্যকে একবার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে আর ভাবনা কি ? তখন ভারতীয়রাও তাদের আত্মবিশ্বাস , আত্মমর্যাদা বােধ ফিরে পাবে । তখন আর তারা দলে দলে খ্রিস্টান হতে ছুটবে না ।

      নিজের ধর্ম , নিজের জাতি , নিজের দেশকে ভালােবাসতে শিখবে , শ্রদ্ধা করতে শিখবে । 

     আর অর্থের অভাব ? একবার বিদেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেলে সে অভাবও দূর হয়ে সহজেই । শুধু বক্তৃতা দিয়েই উপার্জন করতে পারবেন রাশি রাশি টাকা । অতএব যেতেই হবে আমেরিকা । স্বপ্নে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে গেছেন গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ । গুরুমা সারদাদেবীও পাঠিয়েছেন আশীর্বাদ ।

      কিন্তু কোথায় পাথেয় ? কোথায়ই বা বিদেশ যাত্রার উপযুক্ত পােশাক ? খেতড়ির রাজা এগিয়ে এলেন । দিলেন প্রয়ােজনীয় টাকাপয়সা ও জামাকাপড় । 

      স্বামীজি ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মে বােম্বাই বন্দর থেকে জাহাজে উঠে আমেরিকার পথে পাড়ি দিলেন । চলেছেন কিন্তু জানেন না কোথায় গিয়ে উঠবেন । কারণ ধর্মমহাসভার পক্ষ থেকে তাকে কোনাে আমন্ত্রণপত্র পাঠানাে হয় নি । সে দেশে কোনাে চেনাজানা লােকও নেই তার । এমনকি একটি পরিচয়পত্র পর্যন্ত সঙ্গে নেই তার যা দিয়ে তিনি নিজেকে প্রমাণ করবেন । 

       শুধুমাত্র একবুক স্বপ্ন আর গুরুর আদেশ সম্বল করে ৩০ জুলাই এক কনকনে শীতের রাত্রে শিকাগাে শহরে এসে পৌঁছলেন স্বামীজি । 

      বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনীদের শহর । হােটেলের চার্জ নাগালের বাইরে । এদিকে সঙ্গে আনা টাকাপয়সাও প্রায় ফুরিয়ে এসেছে । তারপর বর্ণবিদ্বেষী শ্বেতাঙ্গরা খাবারের দোকানে ঢুকতে দেয় না , চুল কাটার সেলুনে ঢুকতে দেয় না , গৃহস্থ বাড়িতে ভিক্ষা চাইলে কেউ ভিক্ষাও দেয় না । মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয় । 

     স্বামীজি বুঝলেন এভাবে শিকাগাে শহরে আর কয়েকদিন থাকলে অনাহারেই মারা যাবেন । তার ওপর প্রচণ্ড শীত । সঙ্গে আনা পােশাকগুলােও প্রায় ছিড়ে গেছে । এই নিদারুণ সময়ে স্বামীজি দেশে তার এক গুরুভাইকে চিঠিতে লিখছেন— 

      ‘ এখানে আসিবার পূর্বে যে সব সােনার স্বপ্ন দেখিতাম তাহা ভাঙিয়াছে । এক্ষণে অসম্ভবের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে হইতেছে ।... মরি - বাঁচি , আমার উদ্দেশ্য ছাড়িতেছি না । '

        শিকাগাে থেকে কিছু দূরে বােষ্টন শহর । সেখানে থাকা খাওয়ার খরচ কিছুটা কম । স্বামীজি চললেন বােষ্টনের উদ্দেশ্যে । পথে ট্রেনে এক দয়াবতী মহিলার সঙ্গে আলাপ হল তার । তিনি স্বামীজির সব কথা শুনে তাকে নিজের বাড়িতে অতিথি হিসাবে আশ্রয় দিলেন । থাকা খাওয়ার সমস্যা মিটল ।

         কিন্তু আসল কাজের তাে কিছুই হল না । যে জন্য এতাে দূরে , এতাে কষ্ট স্বীকার করে আসা সেই বিশ্বধর্ম সম্মেলেনের মহাসভায় যােগ দেবার কোনাে সুরাহাই তাে হল না ! তবে কি শূন্য হাতেই ফিরে যেতে হবে ? স্বামীজি হাল ছাড়লেন না । মানুষের জেদের পরিচয় পেলে ঈশ্বরও হাত বাড়িয়ে দেন । 

       হঠাৎই একদিন পথ চলতে চলতে স্বামীজির আলাপ হয়ে গেল মি . রাইটের সঙ্গে । মাত্র তিনঘণ্টার আলাপে অধ্যাপক রাইট এতােটাই অভিভূত হয়ে পড়লেন যে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে নিজের এক বন্ধু জে এইচ ব্যারেজের কাছে চিঠি লিখে স্বামীজির হাতে দিয়ে তাকে শিকাগাে শহরে পাঠিয়ে দিলেন । মি ব্যারেজ ছিলেন এমন এক সভার সদস্য যে সভার হাতেই ছিল ধর্মসম্মেলনের প্রতিনিধি নির্বাচনের ভার । 

       ডক্টর রাইটের চিঠি নিয়ে স্বামীজি আবার ফিরে এলেন শিকাগাে শহরে । কিন্তু ট্রেন ঢুকতে দেরী করল । গভীর রাত । ঝােলা ঝুলি হাতড়ে খুঁজতে লাগলেন অধ্যাপক রাইটের দেওয়া চিঠি আর সমিতির ঠিকানা । কিন্তু কোথায় সে সব । পথের মধ্যে মনের ভুলে কোথায় ফেলে এসেছেন কে জানে ! সঙ্গে টাকাপয়সাও নেই । কোনাে হােটেলেও ঠাই হলাে না । হাড় কাপানাে ঠাণ্ডায় হাত - পা অসাড় হয়ে গেছে । মৃত্যু অবধারিত । 

        এমন সময় হঠাৎ চোখে পড়ল একটি কাঠের খালি প্যাকিং বাক্স স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের এক কোণে পড়ে আছে । স্বামীজি সে রাতের মতাে সেই বাক্সের মধ্যে ঢুকে কোনােমতে প্রাণ বাঁচালেন । সারারাত কেটে গেল অনাহারে । তবু হাল ছাড়লেন না । সকালে উঠেই ক্লান্ত অবসন্ন পায়ে ফের বেরিয়ে পড়লেন সমিতির খোঁজে । 

        কিন্তু খোঁজ তাে পেলেনই না উপরন্তু বিস্তর হাঁটাহাঁটি করে খিদে আরাে বেড়ে গেল । নিরুপায় স্বামীজি ভিক্ষা চাইতে লাগলেন দ্বারে দ্বারে এককণা খাবারের জন্য । কিন্তু ধনী , অহংকারী আমেরিকান গৃহস্থরা এক মুঠো খাবার তাে দিলই না বরং যারপরনাই অপমান করে তাকে - তাড়িয়ে দিল । এ দুয়ার থেকে ও দুয়ার ক্রমাগত বিতাড়িত হতে হতে একসময় স্বামীজি আর পারলেন না । খিদেয় লুটিয়ে পড়লেন রাস্তার মাঝখানে ফুটপাতের ওপর । 

       এই দৃশ্য উল্টোদিকের বাড়ির বারান্দা থেকে দেখতে পেয়েছিলেন এক দয়াবতী মহিলা মিসেস হেল । তিনি তক্ষুনি নিজে গিয়ে স্বামীজিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এলেন । যত্ন করে তাকে খাওয়ালেন । বিশ্রামেরও ব্যবস্থা করে দিলেন । 

       কিন্তু স্বামীজি তাে সাধারণ ভিক্ষুক নন । তিনি তাে চান ধর্মসভায় বক্তৃতা দিতে । তিনি তাে থাকা খাওয়ার নিশ্চিত আশ্রয় পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না । তাই সময় বুঝে একদিন বলে ফেললেন মিসেস হেলকে তার মনের কথা । ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করলেন তার সাহায্য । 

       অনেক চেষ্টা করে শেষপর্যন্ত ব্যবস্থা একটা হল । হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে ইতিমধ্যে অনেকেই পৌঁছে গেছেন । অভ্যর্থনা সমিতির অতিথি নিবাসে । সেইসব ভারতীয়ের মধ্যে বেশ কজন বাঙালিও আছেন । কাজেই হিন্দু ধর্মের ওপর বলার জন্য যে সময়সীমা নির্দিষ্ট করা আছে তা আর কোনাে মতেই বাড়ানাে যাবে না । তবে একান্তই নাছােড়বান্দা এই তরুণ সন্ন্যাসীর জন্য অনেক বলে কয়ে কোনােমতে দু মিনিট সময় বরাদ্দ করা গেল । স্বামীজি তাতেই সন্তুষ্ট হলেন । মনে মনে প্রস্তুত করতে লাগলেন নিজেকে । ওই দু মিনিট সময়কেই কিভাবে পুরােপুরি কাজে লাগানাে যায় তাই ভাবতে লাগলেন দিন রাত । 

        ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শিকাগাের কলম্বাস হলে শুরু হল বিশ্বধর্ম মহা সম্মেলন । পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাছা বাছা সাত হাজার মহাপণ্ডিত সেই সভার দর্শকাসনে । এছাড়া বক্তা হিসাবে যাঁরা বসে আছেন মঞ্চে তাদের পাণ্ডিত্য তাে সন্দেহাতীত । এই সভায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতে হবে ভেবে ভয়ে স্বামীজির কণ্ঠ তালু শুকিয়ে গেল , বুকের মধ্যে দুরু দুরু । জীবনে যে কখনাে তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেন নি । তাছাড়া সকলেই বক্তৃতা লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন । স্বামীজি তাও করেন নি । 

     একমনে গুরুকে স্মরণ করে স্বামীজি নিজের নিলেন । ঘােষক তার নাম ঘােষণা করতেই ধীর পায়ে মঞ্চে উঠে এলেন মনকে প্রস্তুত করে স্বামীজি । তার তরুণ তেজপূর্ণ চেহারা , গৈরিক পােশাক ও আত্মবিশ্বাস মাখানাে দুটি চক্ষুর নির্মল জ্যোতি দর্শকদের মুগ্ধ করে দিল । স্বামীজি শুরু করলেন—

       ‘ আমেরিকাবাসী ভগ্নী ও ভ্রাতাগণ’– সভাকক্ষে , যেন বিদ্যুত চমকিত হল । শ্রোতারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে করতালি দিতে লাগল । এতাে আন্তরিক সম্বােধন আগে কোনাে বক্তা তাে করেননি । মুগ্ধ করতালি চলল টানা দু মিনিট ধরে । 

      এরপর স্বামীজি যা বললেন তার সারসংক্ষেপ হল এই - বিশ্বের সব ধর্মই মহান । সব ধর্মেরই লক্ষ্য এক ঈশ্বর । হিন্দুধর্মের মহান্থি গীতা এই সত্যকেই প্রকাশ করেছে । আজকের এই ধর্মহাসম্মেলন বিশ্ব থেকে ধর্মান্ধতা , সংকীর্ণতা , সাম্প্রদায়িকতা ও যাবতীয় ধর্মোন্মত্ত পৈশাচিকতাকে দূর করুন । তুমুল করতালির মধ্যে বক্তৃতা শেষ হল । 

      জনপ্রিয়তার প্রবল স্রোতে ভেসে গেলেন স্বামীজি । আমেরিকাবাসীর মুখে মুখে ফিরতে লাগল তার নাম । সবাই তার কথা শুনতে চায় । ফলে আরাে দশ বারােদিন ভাষণ দিতে হল তাকে ধর্মসভায় । 

      না , আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে । এরপর দিনের পর দিন , মাসের পর মাস , বছরের পর বছর , আমেরিকা , লন্ডন সহ পাশ্চাত্যের নানা দেশে বক্তৃতা করে বেড়িয়েছেন তিনি । পৃথিবীর দিগভ্রান্ত , নষ্ট চৈতন্য , হতাশ মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন জীবনের মহামন্ত্র -

       ‘ উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরাণ নিবেধিত । 

        Arise , awake stop return till you reach the goal . 

        আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অসংখ্য শাখাপ্রশাখা । শিবজ্ঞানে জীবসেবাই যার একমাত্র উদ্দেশ্য । বিবেকানন্দ রচিত প্রচুর বই ও বক্তৃতামালা আজ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে সঞ্চারিত করে । দিচ্ছে দিব্যজীবনের , প্রকৃত আনন্দময় জীবনের মন্ত্র

         - He only lives , who lives for others . 

                                            - Swami Vivekananda

Swami Vivekanda:- Swami Vivekanada was an Indian Hindu monk. He was born ( 12 january 1863 ) in a bengali family at his ancestral home at 3 gourmohon mukherjee street in kolkata. His another name was Narendra nath datta. He was death on 4th july 1902 in Belur Math Howrah.

অভিযোগ | Avijog | Tisan Tasrin | Bangla Sad Love Poem

অভিযোগ | Avijog | Tisan Tasrin | Bangla Sad Love Poem
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে তিসান তাসরিনের, "অভিযোগ" কবিতাটি রইলো তোমার জন্য । 

 অভিযোগ 

তিসান তাসরিন 

অভিমান হয়নি তো আমার 

 হয়েছিলো শুধু অভিযোগ,

তোমাকে দেখার অভিযোগ ।

আমার কপালে একটা ছোট্ট কালো টিপ্ দেখার অভিযোগ ,

চোখের কাজলে আমার ঠোঁট ছোঁয়ার অভিযোগ 

 তোমার উপর আমার অভিমান  হয় না 

আমার শুধু 

তোমার পাশে বসে আকাশ দেখতে ইচ্ছা করে ।

তোমার আঙুলে আমার আঙ্গুল ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা করে ,

এই অভিযোগে আমি কত রাত ঘুমায় নি 

তুমি তা জানো না ।

এই অভিযোগে আমার চা এর নেশা বেড়েছে 

ঘড়ির কাটা থেমে গেছে ,

সময়ের বদল ঘটে কিন্তু অভিযোগ কমে না 

বরং বেড়ে যায় ।

বর্ষা থেকে শরৎ চলে এলো ,

চিঠির বদলে মুঠো হাতে রং নাম্বার  এলো ।

কিন্তু আমি সেই  ''তুমিতে"' আটকে গেলাম ।।

অভিযোগ গুলো ফোন বক্সে বন্দী হলো 

শুধু দূরত্ব বাড়লো না ,

তোমার পছন্দ রং বদলালো 

অভিমান করে নীল রং ছাড়লে 

দু হাত ভর্তি লাল রঙের রক্ত জবা কিনলে ,

আমি শুধু অভিমান করে গেলাম 

আজ লালের না হয় সাদা জবা নাও ।

সমাপ্ত।

আমাদের আর ও ভালোবাসার কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

Bengali Poem :- This poem is written by Tisan Tasrin. Poem name, "Avijog". We are collected best love and romantic poem in Bengali. We can also published your poem or story in Bengali. If you want to send your Bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in Bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website. Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment. Thank you so much.