নতুন অতিথি || Bengali love story ||

নতুন অতিথি || Bengali love story ||

                নতুন অতিথি 


--এভাবে তাকিয়ে থাকলে কি
ঘুমানো যায়!!?
.
--হুম
.
--ঘুমাবো।তুমিও ঘুমাও..
.
কথাগুলো বলে ঘুমিয়ে পড়ে
রাহি।রাহিকে ঘুমানোর সময় এক
স্বর্গের অপ্সরী মনে হয়।
তার ঘুম জড়ানো মুখটা বরাবরই মুগ্ধ
নয়নে দেখে রাত পার করাটা
অভ্যাসে পরিণত হয়েছে
নিলয়ের।মাঝে মাঝে রাহিও
না ঘুমিয়ে নিলয়ের এই
ছেলেমানুষী ভীষণভাবে অনুভব
করে।
.
আজ রাহি আর নিলয়ের ২য়
বিবাহবার্ষিকী।
নিলয় খুব অবাক হচ্ছে!!
রাহি খুব স্বাভাবিক আচরণ
করছে।অন্যদিন গুলোর মত খুব
স্বাভাবিকভাবে সকালের
নাশতা দিল তাকে।
নিলয় বুঝতে পারে,
রাহি ভুলে গেছে তাদের
বিবাহবার্ষিকীর কথা।নিলয়
কিছু না বলে রেডি হয়ে
অফিসে চলে যায়।
.
নিলয় সারাদিন খুব মন খারাপ
করে থাকে।
রাহি কিভাবে ভুলে যেতে
পারে আজকের দিনটা।
শুধু আজ না দুদিন হল রাহি খুব
অন্যমনস্ক আর চুপচাপ আছে।
নিলয় ঠিক করে রাহি যখন ভুলেই
গেছে,আজকের দিনটা,তখন সে
অফিস থেকে ফিরে সারপ্রাইজ
দিবে রাহিকে।
.
.
সময়টা ছিল সন্ধিক্ষণ।
নিলয় অনার্স ফাইনাল ইয়ারের
ছাত্র আর রাহি অনার্স ফাস্ট
ইয়ারের ছাত্রী।ভার্সিটির এক
অনুষ্ঠানে স্যারদের কথানুযায়ী
অনুষ্ঠানের মূল দায়িত্ব পড়ে
নিলয়ের উপর।
নিলয় কাজে খুব ব্যস্ত।
বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবীতে
সত্যি সেদিন খুব সুন্দর লাগছিল
নিলয়কে।
অনেক সময় তাকিয়ে ছিল
রাহি,কোন ছেলেকে
পাঞ্জাবীতে এত সুন্দর লাগে
রাহির জানা ছিল না।
রাহি যখন সবার সাথে গল্পতে
ব্যস্ত হঠাৎ নিলয়ের চোখ পড়ে
রাহির দিকে।
নীল রঙের শাড়ি আর খোপায়
বেলীফুলের মালা.....
কিছুক্ষণের জন্য নিলয় হারিয়ে
যায় অন্য এক জগতে।সেদিন শুধু
চোখাচোখি।
.
তারপর দুজন দুজনকে দেখলেও কখনও
কথা বলে নি।
ঠিক ৪৯দিনের মাথায় গিয়ে
রাহি কথা বলে নিলয়ের
সাথে,তাও নীলার খবর নেবার
জন্য।নিলয়ের ছোট বোন নীলা
আর রাহির ইয়ারমেট।অল্পদিনেই
খুব ভাল বান্ধবী হয়ে গেছে
তারা।
হঠাৎ নীলা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তাই নীলাকে দেখতে যায়
রাহি।আর তখনই জানতে পারে
নীলার ভাই হল নিলয়।
.
নীলার জন্য নীলার পরিবারের
সাথেও ভাল সম্পর্ক হয়ে যায়
রাহির।রাহি বা নিলয় কখনই কেউ
কাউকে কিছু বলে নি।কিন্তু
নির্বাক কিছু নিরবতায় হারিয়ে
গেছে দুজন প্রায়ই।
.
.
সন্ধ্যা নামছে গোধুলী বেলা।
রাহি নীল শাড়ি পড়েছে আজও
খোপায় বেলীফুলের মালা।
নিলয়ের জন্য অপেক্ষা করতে
করতে আবার হারালো পাঁচ বছর
আগের এমন এক গোধুলী বেলায়....
.
--কিছু বলবে না..??
.
--চুপ করে আছে রাহি।
.
--তুমি চাইলে আমরা নতুন জীবন শুরু
করতে পারি..
.
--চুপ রাহি।
.
--তুমি কি চাও না আমাদের
বিয়েটা হোক!!?বাড়ির সবাইকে
তোমাদের এখানে আনাটা কি
ভুল হয়েছে??
.
--এখনও চুপ রাহি।
.
--স্যরি..হয়তো আমি তোমায়
ঠিকমত বুঝতে পারি নি।
.
--টস করে চোখ থেকে দুফোঁটা জল
পড়ে রাহির।
.
নিলয় কিছু বলার আগেই,নিলয়কে
জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে
রাহি।নিলয় কিছু না বলে আকঁড়ে
ধরে অনুভব করতে থাকে সকল
অনুভূতি।
.
.
হঠাৎ কলিংবেলের শব্দে অতীত
থেকে ফিরে রাহি।
.
এমনটা প্রথম হল,
নিলয় অফিস থেকে ফিরেছে আর
দরজাটা রাহি ছাড়া অন্য কেউ
খুললো।
ঘরটা অন্ধকার,তবে হালকা
আলোর ল্যাম্পটা জ্বলছে।
নিলয় রুমের লাইট অন করল আর
ল্যাম্পটা অফ করতে গিয়ে দেখে
একটা কাগজ,যাতে লিখা
"পৃথা"।
.
নিলয় দৌড়ে যায় বেলকুনিতে।
নীল শাড়ি পড়ে নিলয়ের জন্য
বেলকুনিতে অপেক্ষা করছে
রাহি।
পিছন থেকে নিলয় জড়িয়ে ধরে
রাহিকে....
.
--পৃথা আসছে...!!!!?
.
--হুম
বলতেই রাহি মুখটা লুকায়
নিলয়ের বুকে।
দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ এক অনুভূতিতে
ডুবে আছে তারা,পবিত্র এক
অনুভূতি।
বিবাহবার্ষিকীর সবচেয়ে বড়
উপহার।
এখন শুধু অপেক্ষা নতুন অতিথি
পৃথার জন্য.........


              সমাপ্ত 

Amar soimoi furiye eseche (আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে ) bengali poem || Best bengali poem collection

Amar soimoi furiye eseche (আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে ) bengali poem || Best bengali poem collection

আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে 

                     সুমন মন্ডল 

  আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে -
  সৌজন্যে তোর আমাকে এড়িয়ে চলা ।
  প্রতিবারের মতো এবার ও আমি বার্থ ,
  ছদ্মবেশী প্রেমের কাছে হেরে যাওয়া । 

  সময় ছিল নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার ,
  কিন্তু পারিনি ;
  দৃষ্টি হারাচ্ছি , 
  তোকে দেখছি আবছা ।।


  Amar Somoi Furiye Eseche 

       Sumon Mondal 

  Amr somoi furiye eseche -
  soujonye tor amake  eriye chola .
  protibarer moto ebar o ami byartho ,
  chodmobeshi premer kache here jaoa |

  somoi chilo nijeke guchiye neoar ,
  kintu parini ;
  dristi haracchi ,
  toke dekhchi abcha || 


Bangla Love Poem


    ইচ্ছে হয় 

-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় 


এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি 
          ভিড়ের মধ্যে ভিকারী হয়ে মিশে যাওয়া ?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে 
          মানুষ সেজে একজীবন মানুষ নাম বেঁচে  থাকা ?
রূপের মধ্যে মানুষ আছে , এই  জেনে কি নারীর কাছে 
         রঙের ধাঁধা খুঁজতে খুঁজতে টনটনায় চক্ষু স্নায়ু 
কপালে দুই ভুরুর সন্ধি , তার ভিতরে ইচ্ছে বন্দী 
       আমার আয়ু , আমার  ফুল ছেঁড়ার নেশা 
নদীর জল সাগরে যায় , সাগর জল আকাশে মেশে 
         আমার খুব ইচ্ছা হয়  ভালোবাসার 
                           মুঠোয় ফেরা !



   Ecche hoi

-Sunil Gongoopadhyay


Emon vabey hariye jaoa sohoj naki 
      virer moddhey vikari hoye mishey jaoa?
emonvabe ghurte ghurte  shorgo theke dhulor mortey 
      manush sejey ekjibon  manush name bechey thaka?
ruper moddhey manush achey , ei jene ki narir kache 
      ronger dhada khujtey khujtey tontonai chokhu  snayu
kopale dui vurur sondhi , tar vitore eccha bondi 
     amar ayu , amar ful cherar nesha
 nodir jol sagore jai , sagor jol akashey meshey 
       amar khub ecchey hoi valobasar 
                          muthoi fera ! 


Taslima Nasrin Love Poem | Best Love Poem By Taslim Nasrin | Bangla Kobita

Taslima Nasrin Love Poem | Best Love Poem By Taslim Nasrin | Bangla Kobita
তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com.আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে এই কবিতাটি তোমার জন্য ।  


         প্রেম 

    তসলিমা নাসরিন 


   যদি আমাকে কাজল পড়তে হয় তোমার জন্য ,
   চুলে মুখে রং মাখতে হয়,
  গায়ে সুগন্ধি ছিটাতে হয় ,
  সবচেয়ে ভালো শাড়িটা যদি পড়তে হয়,
  শুধু তুমি দেখবে , মালাটা চুড়িটা পরে সাজতে হয় ,
  যদি তলপেটের মেদ ,
  যদি গলার বা চোখের কিনারের ভাঁজ কায়দা করে লুকাতে হয় ,
  তবে তোমার সঙ্গে অন্য কিছু , প্রেম নয় আমার ।

  প্রেম হলে আমার যা কিছু এলো মেলো
  যা কিছু খুঁত , যা কিছুই ভুলভাল , অসুন্দর থাক , সামনে দাঁড়াবো ,
  তুমি ভালোবাসবে ।
  কে বলেছে প্রেম খুব সহজ , চাইলেই হয় !
  এতো যে পুরুষ দেখি চারিদিকে , কই , প্রেমিক তো দেখি না !!




  আগ্রাসন 

তসলিমা নাসরিন 


মানুষের চরিত্রই এমন
বসলে বলবে , "না , বোসো না
দাঁড়ালে , কি ব্যাপার হাঁটো
আর হাঁটলে , ছি : বসো ।
শুয়ে পড়লে ও তাড়া - নাও ওঠো ,
না শুলে ও স্বস্তি নেই , একটু তো শোবে !
ওঠো বসো করে নষ্ট হচ্ছে দিন
এখনো মরতে গেলে বলে ওঠে - বাঁচো
না জানি কখনো বাঁচতে দেখলে বলে উঠবে - ছি : মরো ।
বোরো ভয়ে গোপনে গোপনে বাঁচি ।



    আর ও প্রেম দিও 

     তসলিমা নাসরিন 



আর ও প্রেম দিও আমাকে , এতো অল্প প্রেমে আমার
হয় না , আমি পড়ি না ।
আর ও প্রেম দিও , বেশি বেশি  প্রেম দিও
যেন আমি রেখে  কুলিয়ে উঠতে না পারি ,
যেন চোখ ভরে ,
হৃদয়ের সব কটি ঘর যেন ভরে যায়
যেন শরীর ভরে , এই তৃষ্ণার্ত শরীর , এই তৃষ্ণার্ত শরীর ।
প্রেম দিতে দিতে আমাকে অন্ধ করে দাও ,
বধির করে দাও , আমি যেন শুধু তোমাকেই দেখি ,
কোনো ঘৃণা , কোনো রক্তপাত যেন আমার দেখতে না হয় ,
আমি যেন আকাশপার থেকে ভেসে আসা তোমার শব্দ গুলো শুনি ,
কোনো বোমারু বিমানের কর্কশতা ,
কার ও  আর্তনাদ , চিৎকার
আমার কানে যেন না  পৌঁছোয়
দীর্ঘকাল অসুখ র মৃত্যুর কথা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত
দীর্ঘকাল প্রেমহীনতার সঙ্গে পথ চলে আমি ক্লান্ত ,
আমাকে শুশ্রুষা দাও ,স্নান করিয়ে দাও তোমার শুদ্ধতম জলে ।
যদি ভালো না বাসো, তবে বোলো না কিন্তু যে ভালোবাসো না ,
মিথ্যে করে হলে ও বোলো যে ভালোবাসি ,
মিথ্যে করে হলে ও প্রেম দিও ,
আমি তো সত্যি সত্যি জন্য যে প্রেম দিচ্ছ ,
আমি তো কাঁটাকে গোলাপ ভেবে হাতে নেব ,
আমি তো টেরই  পাবো না আমার আঙুল কেটে গেলো কাঁটায় ,
রক্ত চুষে নেবে আঙুল থেকে , এদিকে ভাববো বুঝি চুমু খাচ্ছে !

প্রেম দিও ,
যতো প্রেম জীবনে সঞ্চয় করেছো তার সবটুকু ,
কোথাও কিছু লুকিয়ে রেখো না ।
আমার তো অল্প তে হয় না ,
আমার তো যেন তেন প্রেমে মন বসে না ,
উতল সমুদ্রের মতো চাই ,,
কোনো দিন না ফুরানো প্রেম চাই ,
কলঙ্কী কিশোরের মতো চাই ,
কান্ডজ্ঞানহীনের মতো চাই ।

পাগল  বলবে তো আমাকে ? বলো ।


  তোমার জন্য 

  তসলিমা নাসরিন 


  আমি ঘুম থেকে জেগে উঠছি , তোমার জন্য উঠছি ,
  শুয়ে আছি অনেক্ষন বিছানায় , তোমার জন্য ,
  মনে মনে আমি তুম্মি হয়ে আমাকে দেখছি ,
  তুমি আমাকে এরকম শুয়ে থাকতে দেখতে পছন্দ করছো হয়তো ,
  শুয়ে থেকে তোমাকে ভাবছি, তোমাকে কাছে চাইছি ,
  উঠে চা করে আনছি ,
  তোমার দেখতে ভালো লাগবে যে আমি চায়ে চুমুক দিচ্ছি , তাই দিচ্ছি ।
  স্নান করছি , তোমার জন্য করছি ।
  তুমি হয়ে আমার নগ্ন শরীরে আমি তাকিয়ে আছি ,
  যে পোশাকে আমাকে মানায় মনে করো , সে পোশাক পরছি ,
  গান গাইছি , যে রকম গাইলে তুমি বিহ্বল হও ,
  হাসছি , যে ভাবে হাসলে  তুমি হাসো ,
  দিনের কাজগুলো প্রতিদিন আধখেঁচড়া থেকে যাচ্ছে ,
  মন নেই কোথাও ,
  দিনকে ঠেলে পাঠাতে থাকি দ্রূত রাতের দিকে , রাত পার করছি যেন রাত নয় ,
  ভয়ংকর একটা সাঁকো দৌড়ে পেরোচ্ছি ।
  আমি দিন পার করছি কোনোরকম কাটিয়ে না কাটিয়ে
  সব এড়িয়ে পেরিয়ে সেই সময় এর কাছে পৈছাতে চাইছি ,
  যে সময় টিতে তুমি  আসবে ।

  আমি বেঁচে আছি তোমার জন্য ,
  তোমার সঙ্গে দেখা হবে বলে একদিন ।

        সমাপ্ত 

Bengali Poem :- This all poem's are written by Taslima Nasrin. We are collected best love and romantic poem in bengali. We can also published your poem or story in bengali.If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website.Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment.Thank you so much.

এক অপ্রেমিকের জন্য | Ek Opremiker Jonno | Taslima Nasrin | Bangla Sad Love Poem | Bangla Kobita

এক অপ্রেমিকের জন্য | Ek Opremiker Jonno | Taslima Nasrin | Bangla Sad Love Poem | Bangla Kobita
তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com.আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে এই কবিতাটি তোমার জন্য ।  

এক অপ্রেমিকের জন্য

          তসলিমা নাসরিন




এই শহরেই তুমি বাস করবে ,
কাজে অকাজে দৌড়াবে এদিক ওদিক
কোথাও আড্ডা দেবে অবসরে ,মদ খাবে , তুমুল হৈ চৈ  করবে ,
রাত ঘুমিয়ে যাবে, তুমি ঘুমাবে না ।
ফাঁক পেলে কোনো কোনো সন্ধেয় এ বাড়ি ও বাড়ি
খেতে যাবে খেলতে যাবে ,
কে জানে হয়তো খুলতেই যাবে আলগোছে কারো ও  শাড়ি
আমার আঙিনা পেরিয়েই কারোর বাড়িতে হয়তো ।
এ পাড়াতেই হয়তো দু বেলা হাঁটাহাঁটি করবে ,
হাতের নাগালেই থাকবে ,
হয়তো কখনো জানিয়ে ও দিবে আমাকে ,
যে , কাছেই আছো ,
কুঁকড়ে যেতে থাকবো, কুচি  কুচি করে নিজেকে কাটতে থাকবো
দেখা না হওয়ার যন্ত্রনায় ,
তবু বলবো না , এসো ।
বলবো না ,
তোমাকে সুযোগ দেব না বলার যে;
 তোমার সময় নেই
বা ভীষণ ব্যাস্ত তুমি ইদানিং

তোমার অপ্রেম থেকে নিজেকে বাঁচাবো আমি ।
তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে না \
বছর পেরোবে তোমার সঙ্গে দেখা হবে না আমার ,
দেখা না হতে না হতে ভুলতে থাকবো
তোমার সাথে দেখা না হওয়া টা ঠিক কেমন ছিল ।
কি রঙের শার্ট পড়তে তুমি ,
হাসলে তোমাকে ঠিক কেমন দেখাতো ,
কথা বলার সময় নখ খুঁটতে
চোখের দিকে নাকি অন্য কোথাও তাকাতে ,
পা নাড়তে , ঘন ঘন চেয়ার ছেড়ে উঠতে , জল খেতে কিনা ,
ভুলতে থাকবো ।
দেখা না হতে হতে ভুলতে থাকবো
তুমি ঠিক দেখতে কেমন  ছিলে
তিল গুলো মুখের ঠিক কোথায় কোথায় ছিল '
অথবা আদৈ ছিল কিনা ।
তোমার চুমু খাওয়া গুলো ঠিক কেমন ,
জড়িয়ে পেঁচিয়ে চুলে বা বুকে মুখ গোঁজা গুলো ঠিক কেমন
ভুলতে থাকবো ।

অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যাবে ,
তোমার সঙ্গে আমার আর দেখা হবে না ।
এক শহরেই , অথচ দেখা হবে না ।
পথ ভুলে ও কেউ কার ও পথের দিকে হাঠবো না ,
আমাদের অসুখ বিসুখ হবে , দেখা হবে না ।
কোনো রাস্তার মোড়ে কিংবা পেট্রোল পাম্পে
কিংবা মাছের দোকানে , বই মেলায়, রেস্তোরাঁয় ,
কোথাও দেখা  হবে না ।

আর ও অনেকগুলো  বছর পর ভেবে রেখেছি ,
যেদিন হুড়মুড় করে
এক ঝাঁক আলো নিয়ে সন্ধ্যে ঢুকতে থাকবে আমার নির্জন ঘরে ,
যেদিন বারান্দায় দাঁড়ালে আমার অচল উড়িয়ে নিতে থাকবে বুনো বৈশাখী
এক আকাশ চাঁদের সঙ্গে কথা বলবো যে রাতে সারারাত।......
তোমাকে মনে মনে বলবোই সেদিন ,
কি এমন হয় দেখা না হলে ,
দেখা না হলে মনে হতো বুঝি বেঁচে থাকা যায় না,
কে বলেছে যায় না , দেখো দিব্বি যায় !
তোমার সঙ্গে দেখা হয় নি কয়েক হাজার বছর।
তাই বলে কি আর বেঁচে ছিলাম না ?
দিব্বি ছিলাম !
ভেবেছি বলবো ,
তুমি তো আসলে একটা কিছুই -না ধরনের কিছু ,
আমার আকাঙ্খা দিয়ে এঁকেছিলাম তোমাকে ,
আমার আকাঙ্খা দিয়ে তোমাকে প্রেমিক করেছিলাম ,
আমার আকাঙ্খা দিয়ে তোমাকে অপ্রেমিক ও করেছি
তোমাকে না দেখে লক্ষ্য বছর ও বেঁচে থাকতে পারি !
অপ্রেমিক কে না ছুঁয়ে , অনন্তকাল ।
এক ফোটা চোখের জল বর্ষার জলের মতো ঝরে  ধুয়ে দিতে পারে
এতকালের আঁকা সবগুলো ছবি ,
তোমার নাম ধাম দ্রুত মুছে দিতে পারে চোখের জল ।
তোমাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে ।

আমাকে এক বলে ভেবো না কখনো ,
তোমার অপ্রেম আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকে ।

         সমাপ্ত 

Bengali Poem :- This poem is written by Taslima Nasrin.Poem name ek opremiker jonno. We are collected best love and romantic poem in bengali. We can also published your poem or story in bengali.If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website.Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment.Thank you so much.

Baba ( বাবা ) | Bangla Story | Best Bengali Story

Baba ( বাবা ) | Bangla Story | Best Bengali Story

               বাবা

         হেলাল চৌধুরী




আমাদের সময় স্কুলে যে শাস্তিগুলো দেয়া হতো, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মিনিমাম শাস্তি ছিল কান ধরে বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থাকা। তো আমি চুপচাপ কান ধরে বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে আছি। মনে একটু টেনশন কাজ করছে। ক্লাস ক্যাপ্টেনকে স্যার কমনরুমে পাঠিয়েছেন বেত আনার জন্য। আমার অপরাধ, আমি স্যারের প্রশ্নের উদ্ভট একটা উত্তর দিয়েছি। আমার সঠিক মনে নাই, খুব সম্ভবত তখন আমি ক্লাস সিক্স এর ছাত্র।
যাইহোক, ক্লাস ক্যাপ্টেন যথারীতি বেত নিয়ে প্রবেশ করলো। স্যার চশমার উপরদিয়ে আমাকে একনজর দেখে নিলেন। তারপর হাতের ইশারায় ডাকলেন... এই গাধা, এদিকে আয়।
আমি জল টলমল দুচোখে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গেলাম। বেতের বাড়ি খাওয়ার জন্য আমার পিঠ মানসিকভাবে প্রস্তুত।
স্যার বেত নিয়ে মারতে উদ্যত হলেন। ততক্ষনে আমি চোখ বন্ধ করে ফেলেছি। ভয়ের চোটে চিৎকার করে বললাম.... স্যার, আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারার নাম SIRIUS
স্যার এবার আরো রেগে গেলেন। আবারো আমাকে মারতে উদ্যত হয়ে বললেন, যদি সঠিক উত্তর তুই জানিস, তাহলে তুই কেন বললি, আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারার নাম হেলাল? এই উদ্ভট তথ্য তুই বইয়ের কোথায় পেয়েছিস? এটা আমাকে দেখা। যদি দেখাতে না পারিস, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।
আমি ভয়ে জড়সড় হয়ে বললাম... স্যার, আমার বাবাই আমাকে বলেছেন, আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারার নাম হেলাল।
স্যার কিছুটা থমকে গেলেন। অবাক বিস্ময়ে বললেন, বলিস কি....!!!
আমি ভয়ে ভয়ে বলতে শুরু করলাম.....  স্যার, গতরাতে আমার বাবা-মা বারান্দায় বসে কথা বলছিলেন, আমি বাবার কাছে গিয়ে আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারার নাম জানতে চাইলাম, বাবা আমাকে আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারার নাম হেলাল।
আমার মা একথা শোনা মাত্রই বাবাকে বকা দিলেন। বললেন, আপনি ছেলেকে কি সব উল্টাপাল্টা শিখাচ্ছেন! ওতো পরীক্ষায় ভুল লিখবে।
আমার মায়ের কথার উত্তরে বাবা হাসতে হাসতে বললেন, সঠিক উত্তরটা নাহয় ওর টিচারই শিখাবে। আমার জন্যতো আমার ছেলেই আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারা।
স্যার অবাক বিস্ময়ে আমার কথাগুলো শুনছিলেন। কিছুক্ষণ তিনি শান্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর খুব মোলায়েম গলায় বললেন, আয়, আমার কাছে আয়।
আমি ভীত চোখে স্যারের আরো কাছে গেলাম। স্যার আমার মাথায় হাত বুলিয়ে পরম মমতায় আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর আস্তে করে বললেন..... যা, সিটে বস।
তারপর ক্লাসের উদ্দেশ্যে বললেন.... হেলালের বাবা ভুল কিছু বলেননি। প্রতিটি বাবার চোখেই তার সন্তান হলো ;আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারা।; কিন্তু তাই বলে পরীক্ষার খাতায় তোরা নিজের নাম লিখে দিয়ে আসিস না যেন।
বাবা মারা গেছেন অনেক বছর আগে। আজ অনেকগুলো বছর পর স্মৃতি হাতড়ে যখন এই লেখাটা লিখছি, তখন আমি নিজে একজন বাবা। আজ আমার চোখে আমার সন্তানই আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারা।


                            সমাপ্ত 

ফিজিক্যাল রিলেশনশিপ ( Physical Relationship ) | Bangla Sad Love Story | Latest Bangla Love Story

ফিজিক্যাল রিলেশনশিপ ( Physical Relationship ) | Bangla Sad Love Story | Latest Bangla Love Story

ফিজিক্যাল রিলেশনশিপ




    বিয়ের পরে যদি আমরা ফিজিক্যাল রিলেশন করতে পারি তাহলে বিয়ের আগে কেন পারবো না ?
বাধনের প্রশ্ন শুনে আমি একদম নিশ্চুপ হয়ে গেলাম।
বাঁধন বলল, দেখো আমরা দুজন দুজন কে ভালোবাসি। সময় হলে আমাদের বিয়েও হবে। আর বিয়ের পর যদি এসব করতে পারি তাহলে এখন কেন পারবো না?
নাকি তুমি আমাকে বিলিভ করোনা?

    আমি চুপ করেই শুনছি। গত কয়েক দিন যাবত বাঁধন শারীরিক সম্পর্ক গড়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
আজও সে আমাকে উলটা ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছে।
বাঁধন বলল, আজকালকার দিনে কাউকে বিশ্বাস করা যায় না।
তাহলে - বছরের রিলেশন গুলা টিকে আছে কিভাবে?
এই জিনিস টার উপর ভিত্তি করেই সম্পর্ক টিকে থাকে। তুমি যদি তোমাকে টাচ করতে দাওআমার ইচ্ছা পূরণ করতে দাওতবে আমি পূর্ণ বিশ্বাস পাবো যে তুমি আমার ই।
আমি তোমাকে দখল করে রাখতে চাই যাতে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে না পারো।
আর শুনতে পারছি না কথাগুলো। বিষের মত লাগছে।
নিজের উপর নিজেরি রাগ হচ্ছে যে এরকম একটা ছেলেকে আমি ভালোবেসেছি!
কিন্তু আমিতো এই বাঁধন কে ভালোবাসিনি।
আমি ভালোবেসেছি একটা পাগল কে যে আমাকে পাগলের মত ভালোবাসত।
আমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য যে কত কি করতো! সেই বাঁধন আজ এমন বাজে প্রস্তাব দিচ্ছে?
সেকি বদলে গেছে নাকি সে আগে থেকেই এমন ছিলো? তার পাগলামো গুলা ছিলো মেয়ে পটানোর ধান্ধা!
বাঁধন বলল, আমি আর থাকতে পারছি না অবনী। প্লিজ কিছু একটা করো। তুমি সবসময় একটা রেস্ট্রিকশন রাখো কেন বলোতো? কিস করা যাবেনা,
হাগ করা যাবে না,কাছাকাছি বসা যাবেনা।
এসব কি অবনী?
এখন কার দিনে কি এমন রিলেশন আছে?
সব রিলেশনেই তো এসব কমন ব্যাপার। প্রতিবার দেখা হলে একটা কিস হবেই। বাট তুমি!
আমাদের এই নিয়ে অসংখ্য বার মিট হয়েছে কিন্তু কখনো ই কাছে আসতে দাওনা।
নাহ,এভাবে আর পারবো না অবনী।
এবার শুধু জিজ্ঞেস করলাম, কি চাইছো বাঁধন?
- জানোনা কি চাই? একটু কাছে পেতে চাই তোমায়।প্লিজ অবনী, আমাদের মাঝে আর দূরত্ব রেখো না।
- এটাই তোমার শেষ কথা?
- মানে!
- আর কিচ্ছু চাও না?
আমি যে পাগলের মত ভালোবাসি তোমাকে, সেটা তোমার কাছে মূল্যহীন?
- পাগলের মত ভালোবাসলে এই দূরত্ব রাখতে না।
এটলিস্ট একটা পাপ্পি দিতে এতদিনে।
এ তোমার কেমন ভালোবাসা তুমিই জানো!
বাধনের এই কথা শুনে আমার চোখে পানি এসে গেলো। নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,
ফিজিক্যাল রিলেশন ছাড়া সম্পর্ক টেকে না?
- আচ্ছা অবনী, এই পর্যন্ত আমরা অনেক পার্কেই ঘুরেছি।আশেপাশে কি হয় দেখো ই তো।
আমাদের সাইডে কি হচ্ছে দেখো।
পাশের ভাইয়া আপুরা কি করছে একবার দেখো।
- আমি কেন দেখবো? কে কি করছে তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নাই।
আমি আমার মত করে তোমাকে ভালোবাসি।
আর ওসব কাজ করলে সেটা খারাপ হয়ে যাবে।
ওতে অনেক পাপ হয়।
- ইহ,হাজিগিরি দেখাইতে আসছে।
পাপ হয় তাইলে প্রেম করতে আসছো ক্যান?
এই যে আমার পাশে বসে আছো, মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছো তাতে পাপ হয়না?
শুনো, ওইসব হাজিগিরি দেখাইলে প্রেম করতে আইসো না। আজাইরা..
- দেখো বাঁধন,আমরা এমন একটা যুগে জন্মেছি, এখানে প্রেম ভালোবাসা হবেই।
সবাই তো জানি বিয়ের আগে প্রেম টাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তবুও তো সেভেন্টি পারসেন্ট ছেলে মেয়েরা প্রেমে পড়ে আর ইদানীং নিজেদের পছন্দেই সবাই বিয়ে করছে।
- এটা বুঝো আর আমার কথাটা বুঝো না?
অত কথা বাদ,আমি যা চাই তা দিবা কি না বলো।
- সম্ভব না কখনো।
- তাইলে রিলেশন চালিয়ে যাওয়াও সম্ভব না আমার দ্বারা।
আমি একদম স্তব্ধ হয়ে গেলাম।
আমার বাঁধন আজ এ কথা বলতে পারলো!
অথচ কদিন আগেও সে বলতো, আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবো না।
হায় রে ভালোবাসা!
বাঁধন অন্যদিকে তাকিয়ে আছে।
আমি শুধু বললাম,আচ্ছা ঠিক আছে।
মনের বিরুদ্ধে কিছু করে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে একা থাকাই ভালো।
আর কখনো তোমাকে ফোন দিবো না।
.
এরপর তুমুল কথা কাটাকাটির পর সেদিনের মত চলে আসলাম।
আসার আগে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়ে এসেছি।
আর কখনো ভালোবাসার অধিকারে কথা বলতে পারবো না।সেটা নাকি আমাকে মানায় না! আমি নাকি ভালোবাসতেই জানিনা!
.
১ সপ্তাহ কেটে গেলো।
অনেক কষ্ট হলেও নিজেকে সামলে নিয়েছি।
বিকেলবেলা হঠাৎ বর্ষা আমাদের বাসায় এলো।
বর্ষা বাধনের ছোট বোন।
এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিবে।
বর্ষাকে প্রাইভেট পড়াতাম আমি।
আর টিউশনিতে গিয়েই বাধনের সাথে পরিচয় আমার।
বর্ষাকে কেমন উদভ্রান্ত দেখাচ্ছে।
জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে?
কিছুতেই বলতে চাইছিল না।
অনেক বার জিজ্ঞেস করার পর বলল,আপু আমি একজন কে ভালোবাসি।
ছেলেটা অনার্স ফাস্ট ইয়ারে পড়ে।
তিন মাসের রিলেশন আমাদের।
ও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
কথাগুলো শুনে কয়েক মুহুর্ত থমকে তাকিয়ে রইলাম। বললাম,হুম। কেন চলে গেলো?
- সেটা জানিনা।
- চলে গেলে আর কি করার।
ভুলে যাও ওকে।
যে তোমাকে ছেড়ে গেছে তাকে মনে করে কষ্ট পাবা কেন?
- আপু,ওর সাথে আমার অনেক কিছু হয়ে গেছে।
- মানে?
তারপর বর্ষা সবকিছু খুলে বলল আমাকে।
শারীরিক সম্পর্ক গড়ার পর ছেলেটা নিজের মত বর্ষাকে ব্যবহার করে ছেড়ে চলে গেছে।
কিন্তু বর্ষার বয়স কম,আবেগ টা বেশি।
কিছুতেই তাকে ভুলতে পারছে না।
বারবার বলছে, ওকে ছাড়া বাচতে পারবো না।
বর্ষাকে অনেক বুঝালাম, দেখো তুমি ছোট মানুষ।
ভালো মন্দ বুঝার বয়স হয়নি।
কিন্তু যা ভুল হওয়ার হয়ে গেছে, এখন ওকে ভুলে যাও।কারণ ও তোমাকে ভালোই বাসেনা।
অযথা ওকে ভেবে কষ্ট পাবে কেন?
- না আপু। আমি ওকে ছাড়া বাচবো না।
- কয়েক দিন গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে আপু।
শক্ত হও।
- উহু,মরে যাবো আমি।
বর্ষাকে বুঝানো দায় হলো। তাই জিজ্ঞেস করলাম, সে তো চলেই গেছে।
তা কিভাবে ফিরাবে ওকে শুনি?
- তুমি হেল্প করবা আপু। ভাইয়াকে একটু বুঝিয়ে বলবা সবটা।
ভাইয়ার অনেক গুন্ডা টাইপের ফ্রেন্ড আছে,
সোহানকে একটু ভয় দেখালেই ও আমার কাছে ফিরে আসবে।
- সে তো মন থেকে চায় না।
ভয় দেখিয়ে ভালোবাসা আদায় করবা?
- আমি জানিনা কিছু।
- ছোটদের নিয়ে এই এক যন্ত্রণা
।ভুল করে সেটা বুঝতেও চায়না,শোধরাতেও চায়না।
- আপু প্লিজ।
- কিন্তু বাধনের সাথে আমার গত সপ্তাহে ব্রেকাপ হয়ে গেছে।
ওর সাথে কথা বলার সুযোগ নাই আমার।
- তোমরা তো দুজন ই খুব ভালোবাসো একে অপরকে।তাহলে ব্রেকাপ হলো কেন?
- একই কাহিনিরে বোন।
বাঁধন ও এসব করতে চেয়েছিল।
রাজি হইনি বলে ব্রেকাপ করলো।
আমিতো বড় হয়ে গেছি।
ম্যাচিউরিটি এসেছে,ভালো মন্দ বুঝি।
তাই রাজি হইনি।
তোমার মত থাকলে হয়ত আমিও একই ভুল করে ফেলতাম।
তারপর আমাকে ও তোমার মত কাঁদতে হত।
নিজের সম্মান হারিয়ে কাঁদবো কেন?
আগেই কাঁদছি, এটা ই ভালো।
জিত টা তো আমার ই হয়েছে।
বর্ষা অনেক্ষণ চুপ করে বসে রইলো।
তারপর কান্নায় ভেঙে পড়ল।
আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
আর বলল,ছেলেরা এমন কেন আপু?
দুনিয়ায় কি ভালো ছেলে নাই?
আমরা কি কাউকে বিশ্বাস করবো না?
- সব মেয়েরই এখন এই একটাই প্রশ্ন।
মেয়েরা বলে,ছেলেদের বিশ্বাস করা যায় না।
আর ছেলেরা বলে মেয়েদের বিশ্বাস করা যায় না।আসলে উভয়কেই বিশ্বাস করা যায়।
কিছু বিশ্বাস ঘাতকদের জন্য আমরা তো আর সবাইকে অবিশ্বাস করতে পারিনা।
- হুম আপু। কিন্তু আমি কি ওকে ভুলে যাবো?
- সেটাই ভালো হবে।
কারণ যে তোমাকে চায় ই না,তাকে কেন জোড় করে বেধে রাখবে?
তাতে দুজনের কেউই সুখী হবা না।
বরং এসব চিন্তা বাদ দিয়ে পড়াশুনা করো মন দিয়ে।
এবার বর্ষা কিছুটা বুঝেছে।অনেক্ষণ কান্নাকাটি করার পর বাসায় চলে গেলো। বলেছে ছেলেটিকে ভুলে যাবে।
কিন্তু দুদিন পর শুনলাম বর্ষা হাসপাতালে।হাত কেটে ফেলেছে সুইসাইড করবে বলে।মৃত্যু তো এত সহজ না।অযথা নিজেকে কষ্ট দেয়া।
এরা যে জীবন টাকে এত তুচ্ছ ভাবে কেন আমি বুঝিনা!
এসব ভাবতে ভাবতে বাসার কাজ করছিলাম। এমন সময় দরজায় কড়া নাড়লে দরজা খুলে দেখি বাঁধন!
আমি অবাক হয়ে চেয়ে আছি।বাঁধন বলল,বর্ষার অবস্থা খুব খারাপ।
তোমাকে একবার দেখতে চাইছে।
বাধনের সাথে হাসপাতালে আসলাম।
বর্ষাকে খুব মানসিক রোগীর মত দেখাচ্ছিল।
প্রায় এক ঘন্টা ওকে বুঝালাম।
পুরোটা সময় ওর হাত ধরে ছিলাম।
অনেক বুঝানোর পর মেয়েটা কিছুটা স্বাভাবিক হলো।এতক্ষণ বাঁধন আমার পাশেই বসা ছিলো।
.
বাইরে আসতেই বাঁধন এসে আটকে ফেললো আমাকে।অনেক বার করে মাফ চাইলো।
কান্না করলো আর বলল,আর ভুল হবেনা।
এখন থেকে সবসময় সম্মান করবো তোমাকে আর আমাদের ভালোবাসা টাকেও শ্রদ্ধা করবো।
বাঁধন যে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে তাতেই আমি খুশি।
আসলে এসব জিনিস আজকাল খুব কমন হয়ে গেছে। এসবের শিকার হয়ে মানুষ ভালোবাসার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
ভালোবাসা পবিত্র জিনিস,দুটি মানুষের হৃদয়ের বন্ধন। এখানে যারা লুতুপুতু যোগ করতে চায়,তারা আসলে ভালোবাসাকে অসম্মান করে।
ক্রমাগত সেক্সুয়াল কথাবার্তা বলা,জান তুমি ভিতরে কি পড়ছো,তোমার সাইজ কত, এইগুলা আসলে ভালোবাসার নামে বেয়াদবি।
এসব কথা যারা বলে, প্রকৃত অর্থে তারা লুইচ্চা,আর যারা শুনে তারা লুচু।
ভালোবাসলে বারবার আই লাভ ইউ জান বলতে হয় না।এটা অনুভব করার জিনিস।যাকে ভালোবাসেন, সে অবশ্যই বুঝবে।
এত লুতুপুতুর প্রয়োজন নেই।
আসলে আমাদের কি করা উচিৎ?
বাস্তবিক পক্ষে বিয়ের আগে প্রেম থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
আর যদি প্রেমে পড়েই যান,কিংবা ভালোবাসা হয়ে যায় তবে পবিত্রভাবে ভালোবাসুন।ভালোবাসা কে সম্মান করুন,এটা স্বর্গীয় সুখানুভূতি এনে দেয়!
.
(গল্পটিতে একজন আপুর জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে)


             সমাপ্ত 

দেবীরা বার বার ফিরে আসে না | Bangla sad love story । Love Story

 দেবীরা বার বার ফিরে আসে না | Bangla sad love story । Love Story
    প্রিয় লেখকের প্রিয় লেখা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম ( Love Junction)" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে এই গল্পটি রইলো তোমার জন্য ।

দেবীরা বার বার ফিরে আসে না




    রাত তিনটায় তানিশার খিচুড়ি আর কোক খেতে ইচ্ছে হয়েছে। আমি সেই রাতে নিজ হাতে রান্না করে খিচুড়ি আর কোক নিয়ে তানিশার বাসার সামনে হাজির। তানিশা আমার এই পাগলামো দেখে অঝোরে কেঁদেছিলো। বলেছিলো, "তুমি আমার পাগলা প্রেমিক"

    ইনবক্সে কতগুলো নীল চুড়ির ছবি পাঠিয়েছে তানিশা। লিখেছে "রুহুল আমি একদিন অনেকগুলো নীল চুড়ি পরে তোমাকে দেখাবো"। পরেরদিন বিকেলে ওর বোন তাসফিয়ার মাধ্যমে এক ঝুড়ি নীল চুড়ি পাঠিয়েছিলাম। সাথে একটি ছোট চিরকুট দিয়েছিলাম, " তানিশা তুমি নীল শাড়ি আর নীল চুড়িতে ঠিক যেন দেবীর মতোন"

   তানিশার জন্মদিন ছিলো। উনিশতম জন্মদিন। আমি বারোটায় ওর বাসার সামনে উপস্থিত। ঠিক বারোটায় ফোন করে বললাম, তানিশা একটু গেটের সামনে এসো। ও এসে দেখলো, আমি উনিশটা গোলাপে গাঁথা একটি মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। "শুভ জন্মদিন দেবী"। বাসায় ফেরার পর তানিশার টেক্সট" রুহুল তুমি ভালোবাসার প্রতিক"
আমরা এখন বিবাহিত। 
বিয়ের বয়স প্রায় বছর খানেক।

   রাত চারটার সময় তানিশা বালিশে মাথা রেখে কাঁদছে। কান্নার শব্দে আমার ঘুম ভেঙেছে। ঘুম চোখে জিজ্ঞাসা করলাম, এত রাতেও না ঘুমিয়ে কী প্যান প্যান করে কান্না করছো! তোমার আবার কিসের দুঃখ? তানিশা ভেজা কন্ঠে বলে উঠলো, "রুহুল আজ সেই রাত, যেই রাতে তুমি উনিশ গোলাপে গাঁথা মালা নিয়ে আমাদের গেটে দাঁড়িয়েছিলে, অথচ, তুমি সামান্য উইশটুকুও করলেনা!"

    রাব্বির বিয়েতে আমাদের বাসার সবাই যাচ্ছে। তানিশা হলুদ রঙের একটা শাড়ি পরে আমার বাইকের পাশে এসে দাঁড়ালো। আমি বললাম, তুমি সবার সাথে গাড়িতে যাও, আমার সাথে আমার ফ্রেন্ড রাব্বি যাবে। তানিশা ঠিক আছে বলে ফিরে গেলো। পরে জানতে পারলাম তানিশার পেট ব্যাথার কারণে নাকি বিয়েতে আসেনি। আমি বুঝতে পারলাম, ও আমার সাথে রাগ করে আসেনি।

    রাব্বির জন্মদিনের পার্টিতে আমি এ্যাটেণ্ড করেছি। খুব মজা করছি৷ তানিশা বারবার ফোন দিচ্ছে। কয়েকবার কেটে দেয়ার পরেও ফোন দিচ্ছে। টেক্সট করলো, "রুহুল আজ একটু দ্রুত বাসায় ফিরবে প্লিজ"। আমি তানিশাকে রিপ্লাই দিলাম, " তুমি ঘুমিয়ে পরো, আমি আজ বাসায় ফিরবোনা, সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছি"

    পরেরদিন সকালে বাসায় ফিরলাম। তানিশা বাসায় নেই। দেয়ালে একটা কাগজে বড় করে লেখা আছে, "হ্যাপী এ্যানিভার্সারি"। খাটজুড়ে নীল শাড়িটা পড়ে আছে। শাড়ির উপরে সেই নীল চুড়িগুলো ছড়ানো। বালিশের উপরে একটি চিরকুট, "যেখানে ছোটছোট অনুভূতিগুলো অবহেলায় আর্তনাদ করে, সেখানে সংসারটা অর্থহীন "।

    তানিশাকে ফোন করলাম। ফোনটা কেটে দিয়ে টেক্সট করলো, "বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই, বঞ্চিত করে বাঁচালে মোরে"

    প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলো। তানিশাহীন জীবনটা যেন শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতোন, যার দাগ থাকে, জল থাকেনা।

    দেবীরা বারবার জীবনে ফিরে আসেনা।

   তানিশাও আর কোনদিন আমার অনুভূতিহীন সংসারে ফিরে আসেনি |

                                                           সমাপ্ত 

জোস্না ও জননী | Bangla love story | Humayun ahmed

জোস্না ও জননী | Bangla love story | Humayun ahmed

            জোস্না ও জননী 

                        হুমায়ুন আহমেদ 


মরিয়ম বসে আছে তাদের বাসার সিঁড়ির সামনে। আজ সারাদিন সে কিছুই খায় নি। যদিও ঘরে অনেক কিছু রান্না হয়েছে।...একটু পরপর মরিয়মকে খাওয়ার জন্যে সাধাসাধি করা হচ্ছে। তার খুবই বিরক্তি লাগছে। সে তো অনশন করছে না যে সেধে তার অনশন ভাঙ্গতে হবে। সে যথাসময়ে খেতে যাবে।
নাইমুল কথা দিয়েছিল দেশ যেদিন স্বাধীন হবে সেদিন সে উপস্থিত হবে। মরিয়ম জানে নাইমুল কথা রাখবে। যত রাতই হোক, সে বাসার সামনে এসে গম্ভীর গলায় বলবে - মরি, আমি এসেছি। কেউ কথা না রাখলেও আমি নাইমুল। আমি কথা রাখি। এই বলে সে নিশ্চয়ই ইংরেজি কবিতাটাও বলবে, Anable Lee নাকি কী সব হাবিজাবি।
সন্ধ্যার পর সাফিয়া এসে মেয়ের হাত ধরলেন। কোমল গলায় বললেন, মা তুই কতক্ষণ এখানে বসে থাকবি?
মরিয়ম বলল, মা, তুমি বিশ্বাস করো আমি ও না আসা পর্যন্ত বসেই থাকব।
রাত একটা বেজে গেল। মরিয়মের দুই বোন তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। মরিয়মের মুখ ভাবলেশহীন। এক সময় মরিয়ম বলল, তোমরা এখান থেকে যাও। আমি একা বসে থাকব।
সবচে' ছোট বোন করুণ গলায় বলল, তুমি একা বসে থাকবে কেন? আমরাও বসি।
মরিয়ম কঠিন গলায় বলল, না। বোনেরা উঠে গেল।
তারও অনেক পরে ঘন কুয়াশার ভেতর দিয়ে বাড়ির সামনে দাড়ি-গোঁফ ভর্তি এক যুবক এসে দাঁড়াল। গম্ভীর গলায় বলল, সিঁড়িতে যে মেয়েটি বসে আছে, তাকে কি আমি চিনি? দীর্ঘকার এই যুবক দু হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মরিয়ম চিৎকার করে বলল, মা দেখ, কে এসেছে! মাগো দেখ কে এসেছে!
মরিয়ম যুবকটিকে জড়িয়ে ধরে আছে। যুবকের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে বলছে - আচ্ছা, এইভাবে সবার সামনে আমাকে ধরে আছ কেন? আমাকে ছাড় তো। আমার লজ্জা লাগে।
নাইমুল কিন্তু তার স্ত্রীকে ধরে ছিল না। তার হাত এখনও প্রসারিত। কঠিন হাতে নাইমুলকে জড়িয়ে ধরেছিল মরিয়ম নিজেই।
পাঠক, মহান বিজয় দিবসে যে গল্প শেষ হবে, সেই গল্প আনন্দময় হওয়া উচিত বলেই আমি এরকম একটা সমাপ্তি তৈরি করেছি।
বাস্তবের সমাপ্তি এরকম ছিল না। নাইমুল কথা রাখে নি। সে ফিরে আসতে পারে নি তার স্ত্রীর কাছে। বাংলার বিশাল প্রান্তরের কোথাও তার কবর হয়েছে। কেউ জানে না কোথায়। এই দেশের ঠিকানাবিহীন অসংখ্যা কবরের মধ্যে তারটাও আছে। তাতে কিছু আসে যায় না। বাংলার মাটি পরম আদরে তার বীর সন্তানদের কবরে অপূর্ব নকশা তৈরি করে। গভীর বেদনায় বলে, আহারে! আহারে!

              সমাপ্ত 


Love Story :- " Josna o Jononi " this love story is very intersting . bengali love story is very imterstimg amd enjoyfully . please share this love story to your friends or lover .

Bengali Love Poem |Best Love Poem In Bengali | Bangla Kobita

Bengali Love Poem |Best Love Poem In Bengali | Bangla Kobita

                শুধু তোমার জন্য 

                                 নির্মলেন্দু গুন্


      তোমাকেই স্পর্শ করতে গিয়েও কতবার যে আমি
      গুটিয়ে নিয়েছি হাত , সে কথা ঈশ্বর জানেন ।
   তোমাকে আমার ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে ও
    কতবার যে বলিনি , সে-কথা আমার ঈশ্বর জানেন
   তোমার হাতের মৃদু কড়া-নাড়ার শব্দ শুনার জন্য
    দরোজার সঙ্গে চুম্বক খন্ডের মতো আমার কর্ণ যুগলকে
    গেঁথে রেখেছিলাম । কোনো নির্জন মধ্যরাতে তুমি এসে
                          ডেকে বলবে , "এই ওঠো ,
                       আমি এসেছি , আ...মি...।"
                     আর আমি এ কি শুনলাম
  এমত উল্লাসে নিজেকে নিক্ষেপ করবো তোমার উদ্দেশ্যে
   কতোবার যে এরকম একটি দৃশ্যের কথা আমি মনে মনে
   কল্পনা করেছি , সে-কথা আমার ঈশ্বর জানেন  ।
    আমার ঈশ্বর জানেন , আমার চুল পেকেছে তোমার জন্য ,
   আমার ঈশ্বর জানেন আমার গায়ে জোর এসেছে তোমার জন্য,
   আমার ঈশ্বর জানেন , আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য ।
   তারপর ওই ঈশ্বরের মতো কোনো এক দিন তুমি ও জানবে ,
   আমি জন্মে ছিলাম তোমার জন্য , শুধু তোমার জন্য ।


                                   সমাপ্ত 

Valobasar kobita & Bengali love poem


                  স্বপ্নে 

               জয় গোস্বামী 

  স্বপ্নে তোকে বাড়ির দিকে এগিয়ে দিতে যাই 
  স্বপ্নে এসে দাঁড়াই পাড়ার মোড়ে 
  কখন তুই ফিরবি ভেবে চারিদিকে তাকাই 
  টান লাগাই তোর বিনুনি ধরে । 

  স্বপ্নে আমি ভিক্টোরিয়ায় তোর পাশে দাঁড়াই 
  স্বপ্নে বসি ট্যাক্সিতে তোর পাশে 
  স্বপ্নে আমি তোর হাত থেকে বাদাম ভাজা খাই 
  কাঁধ থেকে তোর ওড়না লুটোয় ঘাসে ।

  তুলতে গেলি - কনুই ছুঁলো হাত 
  তুলতে গেলি - কাঁধে লাগলো কাঁধ 
  সরে বসবো ? আকাশ ভরা ছাতে 
  মেঘের পাশে সরে বসলো চাঁদ ।

  ক'টা বাজলো ? উঠে পড়লি তুই 
  সব ঘড়িকে বন্ধ  করলো কে ?
  রাগ করবি হাত টা একটু ছুঁই ?
   বাড়ির দিকে এগিয়ে দিচ্ছি তোকে......

  স্বপ্নে তোকে এগিয়ে দিই যদি 
  তোর বরের তাতে কি যায় আসে ?
  সত্যি বলছি বিশ্বাস করবি না 
   স্বপ্নে আমার চোখে ও জল আসে !


              সমাপ্ত 


Bengali Love Poem 


                   তুমি তৈরী থেকো 

                       আদিত্য অনিক 


তুমি তৈরী থেকো এবার আমি এসে যাবো ,
 যে কোনো দিন যে কোনো জুঁই ঝরার আগে । 
            বুঝলে নিনা , আকাশ লীনা -
পথে যদি  সন্ধ্যা লাগে পাঁজর খুলে 
আগুন দেব অন্ধকারে । 
শান ধরানো শুকনো ফলের লাঙ্গল টেনে 
সবুজ মাটি চোষে আবার বীজ ছড়াবো 
 মনের মধ্যে ঘুমের নারী জাগিয়ে দেব 
 সত্যি এবার রক্তে তোমার নীল মেশাবো ।
 ইডেন বনে নিষিদ্ধ ফল ছিঁড়ে খাবো ।
 র্যাবের চাকায় পিষ্ট হয়ে যে কোনো খুন ঝরার আগেই 
মাটির কাছে তোমার কাছে যে কোনো দিন এসে যাবো ।

                          সমাপ্ত 


Bangla kobita , Bengali Love Poem's ,  Bengali Poem 


               ফেরিওয়ালা 

 
          হেলাল হাফিজ


               কষ্ট নেবে কষ্ট
       হরেক রকম কষ্ট আছে
            কষ্ট নেবে কষ্ট

   লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট
   পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা  কষ্ট ,
   আলোর মাঝে কালোর কষ্ট
  'মালটি- কালার ' কষ্ট আছে            কষ্ট নেবে কষ্ট

  ঘরের কষ্ট, পরের কষ্ট , পাখি এবং পাতার কষ্ট
                  দাড়ির কষ্ট
        চোখের বুকের নখের কষ্ট ,
 একটা মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হওয়ার কষ্ট আছে
                  কষ্ট নেবে কষ্ট

    প্রেমের কষ্ট , ঘৃণার কষ্ট , নদী  এবং নারীর কষ্ট
            অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট ,
      ভুল রমণী ভালোবাসার
       ভুল নেতাদের জনসভার
   হাইড্রোজেনে দুটি জোকার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কষ্ট আছে
                        কষ্ট নেবে কষ্ট

            দিনের কষ্ট রাতের কষ্ট
         পথের এবং পায়ের কষ্ট
   অসাধারণ করুন চারু কষ্ট ফেরিওয়ালার কস্ট
                কষ্ট নেবে কষ্ট

     আর কে দেবে আমি ছাড়া
        আসল শোভন কষ্ট
   কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন
   আমার মতো ক'জনের আর সব হয়েছে নষ্ট
    আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্ট পুষ্ট কষ্ট ।

                     সমাপ্ত 



Bengali Love Poem :- Now bengali is very popularity. You can read this love poem any time any situation . love poem is now very popularity any bengali country and bengali area . If your mind is very sad. You can read this love poem . I sure that this love poem give your mind fresh . please share this love poem to your best person or your lover. They will happy with you . Thank you so much .

                Thanks You So Much 

ছলনা || Bengali love story | bengali sad love story

ছলনা || Bengali love story | bengali sad love story

       ছলনা    

                         

এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে টানা চার মাস পর ক্যাডেট কলেজ থেকে বাসায় আসলাম। ছুটিতে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু বাসায় এসে আমার মাথায় হাত। কারন আমি কলেজে থাকা অবস্থায় আমাদের বাসা চেঞ্জ হয়েছে। নতুন বাসায় এসে কিছুটা অস্বস্তিতে পরলাম। কাউকে চিনিনা। বাসায়এসে কিছুক্ষন ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি, এমন সময় কেউ একজন বলে উঠল-
– আন্টি…
একটা মেয়ে দৌড়ে ঘরে এসে ঢুকল। ঢুকেই আমাকে দেখে লজ্জা পেয়ে গেল। আর আমি হা করে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। অপূর্ব!!! চোখ ফেরাতে পারছি না। মাথায় সেই বিখ্যাত কবিতা চলে এল-“প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস,তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ”।
মনে মনে নিজেকে গালাগালি দিলাম তার দিকে এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকার জন্য। আম্মুকে ডাক দিলাম। আম্মু এসে মেয়েটাকে দেখে খুশি হয়ে গেল।
– আরে তানিয়া, বাইরে কেন? ভিতরে এস।
– না, আন্টি। থাক। পরে আসব।
আরে আস তো।মেয়েটা লজ্জাবনত মুখে ঘরে এসে বসল। আমি আম্মুর ভয়ে তার দিকে তাকাতে সাহস পেলাম না। তারপর ও আড় চোখে দেখার চেষ্টা করছিলাম। আম্মু বোধহয় আমার কৌতূহল টের পেয়ে বললেন-
– ওর নাম তানিয়া। এবার এইচ.এস.সি দেবে। আর ও আমার ছেলে, তুহিন। এইবার এস.এস.সি দিয়ে কলেজ থেকে ছুটিতে এসেছে। (বুঝতে পারলাম আমাকে নিয়ে আগেও কথা হয়েছে)মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে একটা সুন্দর হাসি দিল। আমার হার্ট বিট বেড়ে গেল। মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিলাম( এত সুন্দর একটা মেয়ে অথচ আমার সিনিয়ার, কেমন রাগ টা লাগে……গররর)
– তোমরা বসে গল্প কর, আমি একটু আসছি।আম্মু পাশের ঘরে গেলেন হয়ত কিছু খাবার নিয়ে আসতে। আমি একটু অস্বস্তিতে পড়লাম কি নিয়ে কথা বলব ভেবে। আমার মত সে ও চুপ করে বসে রইল। আমাদের প্রথম পরিচয়ের মুহূর্তটা নিরবতা দিয়েই কাটল।

দু’ তিন দিন পার হয়ে গেল এখনো তার সাথে কোন কথা হয়নি। এক বিকেলে দেখিআমাদের বাসার উঠোনে কয়েকজন ক্যারাম খেলছে। আমি কাছে গিয়ে দেখতে লাগলাম। একটু পরেই একজন চলে গেল তার মায়ের ডাকে। বাকিরা সবাই আমাকে জোরাজুরি করতে লাগল খেলার জন্য। আমি রাজি হয়ে গেলাম। যে চলে গেছে তারজায়গায় গিয়ে দাঁড়াতে দেখি আমার সাথে জুটি হচ্ছে তানিয়া। আমি এতক্ষন খেয়াল ই করিনি যে সে ও খেলছে।আমি ইন্টার হাউস প্লেয়ার না হলেও খুব একটা খারাপ খেলি না। তাই একটু পরেই নিজের কারিশমা দেখান শুরু করলাম। নিজের ভিতর পার্ট অনুভূত হল(:))। সে ও অনেক ভাল খেলছিল। প্রথম সেট জেতার পর তানিয়া আমার দিকেতাকিয়ে অপূর্ব একটা হাসি দিল। তারপর আমাকে অবাক করে দিয়ে তার ডান হাতউঁচু করে একটা হাই ফাইভ দিল। আমি তার হাতের স্পর্শে এক মুহূর্তের জন্য অনড় হয়ে ছিলাম।
– তুমি তো অসাধারণ খেল। কলেজে কি কম্পিটিশন হয়?
– হ্যাঁ।
– তুমি খেল তাতে?
- আমি ইন্টার হাউস চ্যাম্পিয়ন। (মিথ্যা বলতে একটু খারাপ লাগছিল!!!!!!!!!!)
– ওয়াও।তার মুগ্ধ হওয়া দেখে আমার খুব ভাল লাগল। কি যে সুন্দর দেখাচ্ছিল! এরকম সৌন্দর্যের জন্য আমি হাজার টা মিথ্যা বলতে পারি। আমি আবার তার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলাম। পাশের একজনের গলা খাঁকারিতে সম্বিত ফিরে এল। তারপর আবার খেলায় মনোযোগ দিলাম। সেদিন সবগুলো খেলাতেই আমরা জিতেছি। এরপর থেকে নিয়মিত খেলা হত। আর বেশির ভাগ খেলাতেই সে আমার জুটি থাকত।

ইতোমধ্যে আমি বাড়িতে আসার তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। তার পরীক্ষা কাছেচলে এসেছে। আর মাত্র সাত দিন বাকি। তার ভিতর কোন ভাবান্তর নেই। সে দিব্যি আছে নিজের মত। আমি মাঝে মাঝেই তাদের বাসায় গিয়ে বসে থাকি। তারসাথে গল্প করি। অন্য রকম এক উন্মাদনা কাজ করে নিজের ভিতর। তার মায়ের কথায় তাকে মাঝে মাঝে ইংলিশ টা দেখিয়ে দিতাম। একদিন তাদের ঘরের সামনে একটা বেঞ্চে বসে আছি, সে আমার সামনেই একটা চেয়ারে বসে পড়ছে। আমি তার একটা বই উলটে পালটে দেখছিলাম। হঠাৎ সে আমাকে বলে উঠল-
– বইয়ের ভিতরে মাঝামাঝি জায়গায় দেখ একটা পাতা আছে।
আমি কিছুক্ষণ খোঁজার পর দেখি এক জায়গায় একটা গাছের পাতা। তার মাঝে কিছু লেখা। আমি পাতা টা কাছে নিয়ে এসে দেখি তাতে লেখা- “Do you love me?”আমি হতভম্ব হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। কিন্তু কিছু বলার আগে দেখি তার ছোট ভাই চলে এসেছে। তাই আর কিছু বলার সুযোগ পেলাম না। মনে শুধু একটাই প্রশ্ন- “Is she serious?”

তানিয়ার পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। এতদিনে টের পেলাম আমার মা ওকে কত টা পছন্দ করে। এমনিতে প্রতিদিন কিছু রান্না করলেই ওর জন্য পাঠিয়ে দেয়। একদিন আমাকে জোর করে পাঠিয়ে দিল ওর পরীক্ষা শেষ হলে ওকে নিয়ে আসার জন্য। আমি তো অবাক। আন্টির ও দেখি তাতে সায় আছে। কি আর করা। যেদিন যেদিন পরীক্ষা থাকত আমি গিয়ে তাকে নিয়ে আসতাম। রাস্তায় হেঁটে আসার সময় অনেক গল্প হত। আমার ভালই লাগত। আমাদের একটা অদ্ভুত খেলা ছিল। প্রায় দিন ই আমরা যার যার বাসার সামনের সিঁড়িতে বসে চিরকুট চালাচালি করতাম। ডাক পিওন ছিল পাশের বাসার একটা বাচ্চা মেয়ে। খুব মজা লাগত এভাবে চিরকুট পাঠাতে। একদিন তাকে প্রশ্ন করলাম সেই পাতা টার ব্যাপারে। “সেদিন যে প্রশ্ন টা করেছিলে সেটা কার উদ্দেশ্যে ছিল?” সে প্রশ্ন টা পরে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকল। তারপর কিছু একটা লিখে আমার কাছে পাঠাল। আমি কাগজের ভাঁজ খুলে দেখি তাতে লেখা-
– তোমার উদ্দেশ্যে।
– Are you serious?
– হ্যাঁ।
এখন তোমার Answer দাও।
আমি অনেকক্ষণ চুপ করে থাকলাম। কি উত্তর দেব তাকে? সে আমার থেকে কমপক্ষে দু’বছরের বড়।(পরে জেনেছি সে আমার থেকে নয় মাসের বড়)। আর আমার মা জানতে পারলে আমাকে মেরেই ফেলবে। আবার তার দিকে তাকিয়ে আমি চোখ ফেরাতে পারিনা। মনে মনে তাকে আমি পছন্দ যে করিনা তা না। কিন্তু তাই বলে তার সাথে আমার সম্পর্ক হওয়াও অসম্ভব। আমি তাকে কিছুই বলতে পারলাম না। নিজেকে কেন জানিনা খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল।

.ভেবেছিলাম সে হয়ত আমার সাথে আর কথাই বলবে না। কিন্তু দেখলাম আমার ধারনা ভুল। সে আগের মতই আমার সাথে গল্প করছে। আমার খুব ভাল লাগল তার ব্যাবহারে। সে হয়ত নিজে থেকেই বুঝতে পেরেছে যে এ ভালবাসা কোন দিন সম্ভব নয়। আমাদের বন্ধুত্ব আগের থেকে আরও ভাল হল। আমাকে সে অনেক কথা বলত নিজের সম্পর্কে। আমার খুব ভাল লাগত তার কথা শুনতে।সেবার আমার জন্মদিনে বছরের প্রথম বৃষ্টি হয়। বিকেলে আমরা তাদের নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর ছাঁদে বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ করেই কোন আগাম সংকেত না দিয়েই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল। আমরা তাড়াতাড়ি নিচে নেমে এসে অসমাপ্ত একটা রুমে আশ্রয় নিলাম। কেউ কোন কথা বলছি না। কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টির তেজ কমে গেল। আমি বাসায় যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সে কোথা থেকে জানিনা হঠাৎ একটা টুকটুকে লাল গোলাপের কলি বের করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। তারপর আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে আমার ঠোঁটে আলতো করে একটা কিস করল।
– Happy Birthday to You.
সে আর কিছু না বলে বেরিয়ে গেল। আর আমি বজ্রাহতের মত সেই অন্ধকার প্রায় ঘরে দাঁড়িয়ে রইলাম, হাতে একটি লাল গোলাপ নিয়ে।

আড়াই মাস পর আমার এস.এস.সির রেজাল্ট দিল। A+ পেয়ে ভালই লাগছিল। তখনও গোল্ডেন এর খবর আসেনি। আম্মু খুশিতে বাসার আশে পাশের সবাই কে মিষ্টি খাওয়াল। বিকেলে তানিয়া কে নিয়ে হাঁটতে বের হলাম। ওর পরীক্ষা প্রায় শেষ। আর বোধহয় একটা বাকি আছে। তাও ৫ দিন পর। আমরা এখন নিয়মিত বের হই হাঁটতে। ওর সাথে গল্প করতে খুব ভাল লাগে আমার। কিভাবে যে সময়টা চলে যায় টের ই পাইনা। আমার মাথায় যে এত গল্প ছিল আমি নিজেও আগে টের পাইনি। রাজ্যের কথা হয় ওর সাথে। গল্পের কোন শুরু-শেষ নেই।
– আমার রেজাল্টে তুমি খুশি হওনি?
– অসম্ভব খুশি হয়েছি। আমার খুব ভাল লাগছে। ইনশাল্লাহ তুমি গোল্ডেন ও পাবে, দেখ।
– দোয়া কর।
দিঘীর পাড়ে এসে বসলাম। অপূর্ব সুন্দর একটা জায়গা। আমার খুব ই ভাল লাগে এখানে এসে বসতে। তার ওপর ও সাথে থাকলে তো কথাই নেই। শুধু ওর দিকে তাকিয়েই সময় পার করে দেয়া যায়। মুগ্ধ হয়ে ওর কথা শুনছি। “মেমসাহেব” এ পড়া সেই শের এর অনুবাদ মনে পড়ে গেল-“তুমি আমার সামনে বসে আছ, আমার সাথে কথা বলছ।তুমিই বল তোমাকে দেখব, না তোমার সাথে কথা বলব”।ওর ভাল লাগা, না লাগা জিনিস গুল কেন জানি নিজের সাথে মিলে যাচ্ছে। নামিললেও নিজের ভালোলাগাকে পরিবর্তন করতে ইচ্ছা হচ্ছে।
– কাল আমাকে ঢাকায় যেতে হবে। (আমার কথা শুনেই ওর মুখটা কাল হয়ে গেল) ।
– কেন?
– আব্বু যেতে বলেছে। আমাকে একটা মোবাইল কিনে দেবে। তাই পছন্দ করতে যেতে হবে।
– না গেলে হয়না?
ওর কষ্ট আমাকে ছুঁয়ে গেল। খুবই খারাপ লাগছে। নিজেকে স্বার্থপর মনে হলখুব। কী দরকার যাওয়ার? নাই বা গেলাম। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারলাম না। নিজের একটা মোবাইলের আশা আমার অনেক দিনের। সে আশাটাকে জলাঞ্জলি দিতে খুব কষ্ট লাগল।– আমাকে যেতেই হবে। মাত্র তো কয়েকদিন। তারপর ই ফিরে আসব আবার।প্লিজ তুমি আমার উপর রাগ করে থেক না।
– ধুর পাগল। আমি তোমার উপর রাগ করব কেন? তুমি যাও কয়েকদিন ঘুরে আস।ও না বললেও বুঝতে পারছিলাম কষ্টে ওর বুক ফেটে যাচ্ছে, কিন্তু মুখে স্বীকার করছে না। ওর প্রতি ভালবাসা আমার কয়েকগুন বেড়ে গেল।

ভেবেছিলাম ঢাকায় অনেক মজা হবে। কিন্তু এসে কিছুই ভাল লাগছিল না। বারবার আসার সময়কার ওর মুখটা ভেসে উঠছিল। আসার আগে ও আমার রুমে এসে চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে ছিল। হঠাৎ খেয়াল করে দেখি ওর গাল বেয়ে পানির ফোঁটা ঝরে পড়ছে। আমি আশে পাশে কিছু চিন্তা না করেই ওর মুখটা দু’হাত দিয়ে তুলে ধরে ওর ঠোঁটে একটা কিস করলাম। আমার পক্ষ থেকে এই প্রথম ওকে কিস করা। ওকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। একটু পর ই ও নিজেকে শান্ত করে নিল। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে জোর করে একটা হাসি দিল।
– ভাল ভাবে যেও। আর তাড়াতাড়ি চলে এস। আমি তোমার অপেক্ষায় থাকব।
আমি কিছুই বলতে পারলাম না। চুপ করে বসে থাকলাম। একটু পর আম্মু বাইরে থেকে এলে ব্যাগ নিয়ে বের হলাম। ও আম্মুর সাথে আমার পিছনে পিছনে আসতে লাগল। বাস ছাড়া পর্যন্ত তারা দাঁড়িয়েই ছিল। জানালা দিয়ে বারবার ঘাড় ঘুরিয়ে ওকে দেখার চেষ্টা করছিলাম। আস্তে আস্তে ও দৃষ্টির আড়ালে চলে গেল। কেন জানিনা চোখের কোণ বেয়ে এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।আশা করেছিলাম ঢাকায় এসে নারায়ণগঞ্জ যাব। ক্লাস 6 এ ক্যাডেট কোচিং করার জন্য সেই যে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে টাঙ্গাইল এসেছিলাম আর ফেরা হয় নি। আমার স্কুল জীবনের বন্ধুদের খুব মিস করি। কিন্তু বিধি বাম। ঢাকায় এসে সাত দিন থাকলাম, একটা দিন ও বৃষ্টির জন্য বাইরেই বেরুতে পারলাম না। শুধু মোবাইল কেনাই সার হল, আর কিছুই করা হয়নি। সারাদিন ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে। কি আর করা, ব্যর্থ মনোরথে আবার বাড়িতে ফিরে এলাম।(এখন পর্যন্ত ও আমি নারায়ণগঞ্জ যেতে পারিনি ) । বাসায় এসে হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার বাসায় তানিয়াকে আর দেখা যাচ্ছে না কখনো। খুব অবাক লাগল। ওকে জিজ্ঞেস করাতে কিছুই বলল না। শেষে আমার ছোটবোনের কাছে শুনলাম কাহিনী। আমি যেদিন ঢাকা যাই সেদিন আমার এক খালাত বোন আসে আমাদের বাসায়। আমি তার আগমন টের পাইনি। আমার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে সে আমাকে আর তানিয়াকে একসাথে দেখতে পায়। দুর্ভাগ্যক্রমে আমি তখন তানিয়া কে কিস করছিলাম। সে কিছু না বলেই বেড়িয়ে চলে যায় বাসা থেকে। পরবর্তীতে আমি চলে গেলে বাসায় এসে আম্মুকে সব কথা বলে দেয়। আর তারপর আম্মু তানিয়ার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দেয়। তানিয়াও বুঝতে পারে যে কোন একটা সমস্যা হয়েছে, তাই সে আর আমাদের বাসায় আসে না। মনে হল নিজের উপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে গেল। সব শুনে আমি পাথরের মত চুপ করে বসে রইলাম। আগের মত বাইরে বেরাতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। মাঝে মাঝে আমি ওদের বাসায় যেতাম ঠিক ই কিন্তু ও আর আমার বাসায় আসত না। এদিকে আমার কলেজে যাওয়ার সময় এসে গেল। না বলা এক যন্ত্রণা নিয়ে কলেজে ফিরে গেলাম। এসে কয়েকদিনের মধ্যেই টের পেলাম জীবনে প্রথম বারের মত আমি সত্যি সত্যি কাউকে খুব বেশী ভালবেসে ফেলেছি।

কলেজে এসে অনেকদিন পর প্রিয় বন্ধু গুলোকে দেখে খুব ভাল লাগল। ছুটিতে কে কি করেছে, কে খুব সুন্দরী এক মেয়ের সাথে পরিচিত হয়েছে, কে ইতোমধ্যেই প্রেম নিবেদন করে ফেলছে এসব জানতে জানতেই কয়েকদিন পার হয়ে গেল। চির পরিচিত সেই মাঠ আর একাডেমিক ব্লকে প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততারমাঝে কিছুদিনেই নিজেকে খুব একা মনে হল। বারবার ছুটিতে কাটান তানিয়ার সাথের মুহূর্ত গুল মনে পরতে লাগল। ব্রেক  টাইম এ ক্লাসের বদলে বাইরের বারান্দায় দাঁড়াতেই বেশী ভাল লাগত। চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগত। মনে হত চাঁদটাও আমার মত নিঃসঙ্গ। মাঝে মাঝে মনে হত হয়ত সে ও আমার মতই চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে এই মুহূর্তে। দিন গুলো যেন কাটতেই চাইছিল না। বন্ধুরা শিঘ্রীই বুঝে ফেলল আমার রোগ টা কোন জায়গায়। শুরু হল আমাকে জ্বালান। তবুও যন্ত্রণা গুলো ভালই লাগত।সবসময় ওর কথা মনে পড়লেও পরীক্ষা গুলো কিভাবে জানি ভাল হয়ে গেল। অথচ পড়া লেখার খাতায় ততটা দাগ পড়েনি, যতটা গল্পের খাতায় পড়েছে। বুঝলাম আমি জাতে মাতালদের দলে হলেও তালে ঠিক ই আছি এখনও। ক্লাস 11 এর প্রথম টার্ম এন্ড এ প্রথম ৫ জনের ভিতরে নিজেকে দেখে খুব ভাল লাগল। এইভেবে সাহস বেড়ে গেল যে অন্তত মাকে তো বলতে পারব যে ওর জন্য আমি নিজের ক্যারিয়ার নষ্ট করিনি। অনেক জ্বালা যন্ত্রণা ও দুঃখ-সুখের ভেতর দিয়ে অবশেষে আবার কলেজ বাসে উঠে রওনা হলাম নিজের বাড়ির উদ্দেশে। বাসায় এসেদেখি যার জন্য আমার এত আকুলতা সে ই চলে গেছে তার গ্রামের বাড়িতে ছুটিকাটাতে।

শুরু হল আমার অপেক্ষার দ্বিতীয় প্রহর।প্রতিটা দিন বাইরে থেকে বাসায় এলেই রাস্তা থেকে আগে ওর ঘরের জানালার দিকে তাকাতাম। যখন দেখতাম জানালা টা বন্ধ, সাথে সাথে আমার মন খারাপ হয়ে যেত। বাসায় আর কিছুই ভাল লাগত না। সারা দিন মন মরা হয়ে পড়ে থাকতাম। আমার মা বুঝতে পারত কেন আমার মন খারাপ, কিন্তু এই নিয়ে কখনো কিছু বলত না। আমিও চাইতাম না আমার মায়ের সাথে এ নিয়ে কোন কথা বলতে। অন্য প্রতি বছর রোজার ছুটিতে বাড়িতে এলে আমার খুব ভাল লাগত। এক টানা এতদিনের ছুটির মজাই আলাদা ছিল। কিন্তু এই প্রথম মনে হল ছুটির আসল আনন্দের উৎস হারিয়ে গেছে।

 এভাবে চলে গেল প্রায় ২০ দিন।একদিন বিকেলে কেমিস্ট্রি পড়ে বাসায় আসার সময় দেখি ওর জানালার পাল্লা দুটো খোলা। আমার মুখটা সাথে সাথে ১০০ ওয়াট বাল্বের মত জ্বলে উঠল। দৌড়ে বাসায় এসেই ওদের ঘরের দিকে ছুটলাম। ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই জিজ্ঞেস করল “কেমন আছ?” অজানা অভিমানে আমার কোন কথা বলতে ইচ্ছা হল না। ও বুঝতে পারল আমি রাগ করে আছি। তাই আমার মন ভাল করার জন্য আমার গালে আলতো করে একটা চুমু দিল। সাথে সাথে আমার রাগ গলে পানি। আমরা আবার সেই আগের মত গল্পে মেতে উঠলাম। আমার যে এ কয়দিন মন আদৌ খারাপ ছিল তা নিজের ই মনে থাকল না।কয়েকদিনের মধ্যেই ওদের রেজাল্ট দিল। খুব বেশি ভাল না হলেও খারাপ করেনি। আমার সবচেয়ে ভাল লাগল যখন ও আমাকে জিজ্ঞেস করল আমি খুশি হয়েছি কিনা। তখন আমার মত খুশি আর কেউ ছিল না। এভাবেই চলতে থাকল আমার অসম ভালবাসা।

রেজাল্ট দেয়ার কয়েকদিন পর আমাদের বাড়িওয়ালার ছেলে শিমুল ঢাকা থেকে বাড়িতে এল। সেও সেবার এইচ.এস.সি দিয়েছে। সে আসার পর থেকে হঠাৎ করে খেয়াল করে দেখি তানিয়া কেমন যেন বদলে গেল। আমার সাথে আগের মত তেমন একটা কথা বলেনা। ওকে বেশির ভাগ সময় ই শিমুলের সাথে দেখা যেতে লাগল, গল্প করছে। আমার খারাপ লাগলেও কখনো মুখ ফুটে কিছুই বলিনি। কেননা আমার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে খুব খারাপ লাগত। নিজেকে কেমন ছোট ছোট লাগত। কিন্তু দিন দিন তাদের মেলামেশা বেড়েই চলল। আমি নিরবে সেসব কিছুই সহ্যকরে গেলাম।ঈদের পরে একদিন সন্ধ্যার আগে আমি আমার রুমে শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছিলাম।পাশে আমার মা আর আমার বোন বসে ছিল। হঠাৎ দেখি তানিয়ার মায়ের পিছনে তানিয়া আমার ঘরে এসে ঢুকল। তানিয়া এসে আমার মাথার কাছে বসল। আগে ও আমাদের বাসায় এলে সবসময় এই জায়গাতেই বসত। আমার খুব ভাল লাগল ওকে আবার সেই আগের মত আমার কাছে বসতে দেখে। একটু পরেই ও ওর হাত টা পিছনে এনে আমার বালিশের নিচে রাখল। দেখে বুঝলাম ওর হাতে কিছু আছে। আমি আমার মায়ের চোখ এড়িয়ে ওর হাতে হাত রাখলাম। ও আমার হাতে একটা কাগজের টুকরো ধরিয়ে দিল। তারপর কিছু না বলেই ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল। আমি অনেক দিন পর ওর কাছ থেকে আবার সেই আগের মত চিরকুট পেয়ে খুব খুশি হলাম। তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে পাশের ঘরে এলাম চিরকুট টা পড়ার জন্য। তাকিয়ে দেখি পেন্সিল দিয়ে কাগজটাতে কিছু লেখা আছে। আমি পড়া শুরু করলাম।

“তুহিন, তুমি এস.এস.সি দিয়ে বাসায় আসার পর আমি তোমাকে একদিন একটা গাছের পাতা তোমাকে দেখিয়েছিলাম। তাতে একটা প্রশ্ন ছিল। তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে প্রশ্ন টা কার উদ্দেশে ছিল। আমি তোমাকে বলেছিলাম ওটা তোমার জন্য। আসলে ওই লেখা গুলো তোমার জন্য ছিলনা। I am sorry. আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমাকে ভুলে যেও”।
আমি হতভম্বের মত তাকিয়ে রইলাম পেন্সিলে লেখা কিছু শব্দের দিকে। মনে হচ্ছিল এটা কোন চিঠি না। এটা আমার Death Note. আমি আমার বাসার বাইরে এসে তাদের ঘরের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। কিছুক্ষন পর সে ঘর থেকে বেরিয়ে এল। আমার মুখ দিয়ে শুধু একটা কথাই বের হল
- “আপনাকে ধন্যবাদ”।

হঠাৎ করে জীবন টা খুব ফালতু মনে হল। মনে হল এ জীবনে বিশ্বাস বা ভালবাসা বলে আসলে কিছুই নেই। সব কিছুই মিথ্যে। নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছা হল। কিন্তু কেন জানিনা বারবার দোষ গুলো সব ওর দিকে সরে যাচ্ছিল। ওর প্রতি আমার ঘৃণা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে লাগল। কোন কারনে ওর সাথে রাস্তায় দেখা হলেই আমি ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিতাম। মনে হত ওকে দেখলেই আমার পাপ হবে।ছুটি শেষ হয়ে এল। যাওয়ার আগের রাতে আমি আমাদের বাড়িওয়ালাদের বাসায় গেলাম বিদায় নিতে। কারন আমার গাড়ি ছিল খুব সকালে। গেট দিয়ে ঢুকেই তাদের সামনের রুম এ চোখ গেল। দেখি তানিয়া ঘুমিয়ে আছে তাদের বিছানায়। সাথে সাথে রাগে আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল। ইচ্ছা করছিল গলা টিপে ওকে সেখানেই মেরে ফেলি। কিন্তু পারিনি। হয়ত ওকে খুব বেশি ভালবাসতাম বলেই আমার ঘৃণা পরাজিত হয়েছিল। আমি আর ঘরে না ঢুকে কাউকে কিছু না বলেই বেরহয়ে এলাম। এরপর আর কোনদিন আমি ওর মুখের দিকে তাকাইনি।মখমুর দেহলভির শের টা মনে পড়ে যাচ্ছে-“মহাব্বাত জিসকো দেতে হ্যায়,উছে ফির কুছ নেহি দেতে।উছে সাবকুছ দিয়া হ্যায়, জিসকো ইস কাবিল নেহি সামঝা”-“জীবনে যে ভালবাসা পায়, সে আর কিছু পায়না। যে আর সবকিছু পায়, সে ভালবাসা পায় না”ঘৃণা মিশ্রিত একটি ভালবাসার গল্পের এখানেই পরিসমাপ্তি।


                              সমাপ্ত 


Report Positive (রিপোর্ট পজিটিভ ) | Bengali Story

Report Positive (রিপোর্ট পজিটিভ ) | Bengali Story

                             ● রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ ❗️


আজ সকাল দশটা। প্রাতঃরাশ করে ঘরে বসে আছি। হঠাৎ কলিং বেল৷ দরজা খুলে দেখি পাশের ফ্লাটের শান্ত। আমার পাশের ফ্লাটে ভাড়া থাকে ওরা৷ ও আর ওর স্ত্রী কঙ্কা থাকে। খুবই মিশুকে দুজন। আমার বেশকিছু কাজও করে দেয় ওরা৷
তো শান্ত বললো -কাকু, একটু গাড়ির চাবিটা দেবেন ? আধঘন্টার মধ্যেই ফিরে আসবো৷ দিলাম। আধ ঘন্টার মধ্যেই ফিরেও এলো শান্ত। দু চোখ ভর্তি জল।
আমাকে জড়িয়ে ধরে থাকলো কিছুক্ষণ। তারপর চাবিটা দিয়ে চলে গেল।
আমার কেন জানি খটকা লাগলো। গেলাম ওর পেছন পেছন। শুনি কাঁদতে কাঁদতেই কঙ্কাকে বলছে - রিপোর্ট পজিটিভ।
কেমন যেন হয়ে গেলাম আমি ! ভীষণ রাগ হচ্ছিল৷ ফ্লাটে ঢুকে বাথরুমে গিয়ে একটা পুরো ডেটল সাবান দিয়ে স্নান করলাম অনেকক্ষন ধরে৷ দরজা ধাক্কা দিয়ে বউ বললো - এতক্ষণ ধরে স্নান করছো কেন? জ্বর বাঁধাবে না কি ?
বেরোলাম জলের পাইপটা নিয়ে। এক বোতল ডেটল জল দিয়ে ধুলাম গাড়িটা। এত ভয় পেয়েছিলাম যে, আমার বাবার নামও ভুলে গিয়েছিলাম তখন।
বাড়িতে ঢোকবার আগে শান্তদের বেল বাজালাম। শান্তকে বের হতে বললাম - তোমার কোন কান্ডজ্ঞান নেই ? আমি সত্তর বছরের বুড়ো। তোমার কাকিমাও সিনিয়ার সিটিজেন, রিপোর্ট পজিটিভ জেনেও তুমি আমায় জড়িয়ে ধরলে ? 
শান্ত হাসলো। বললো - ভুল বুঝেছেন কাকু, কঙ্কার প্রেগনেন্সি রিপোর্ট পজিটিভ৷ খবরটা ওকেও প্রথম দেব বলে আপনাকে তখন বলিনি। পরে গিয়ে দেখি আপনি নীচে। কাকিমাকে খবরটা দিয়ে এসেছি৷
আজকাল পজিটিভ শুনলেই মনে হয় করোনা৷ পজিটিভ যে আনন্দেরও হতে পারে তা প্রায় ভুলতেই বসেছি আমরা।
■ এখন শালা ঠান্ডা লেগে জ্বর না  আসে !



                       সমাপ্ত 



                                                 Thank You So Much

Tomar Chokh Eto Lal Kno ( তোমার চোখ এতো লাল কেন ) | Nirmolendu Gun | Bangla Sad Love Poem ||

Tomar Chokh Eto Lal Kno ( তোমার চোখ এতো লাল কেন )  | Nirmolendu Gun | Bangla Sad Love Poem ||
                              তোমার চোখ এতো লাল কেন

                                          নির্মলেন্দু গুন্ 
                                            


               আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে
      কেউ এক জন  আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
 শুধু ঘরের ভিতর থেকেই দরজা খুলে দেওয়ার জন্য ।
 বাইরে থেকে দরজা খুলতে খুলতে  আমি এখন ক্লান্ত ।



             আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে ,
            আমি চাই কেউ আমায় খেতে দিক ।
     আমি  হাত পাখা নিয়ে কাউকে আমার পাশে
                     বসে থাকতে বলছি না
           আমি জানি এই ইলেক্ট্রিকের যুগ
 নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী সেবার দায়  থেকে
               

        আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক
  আমার জল লাগবে কিনা , আম্মার নুন লাগবে কিনা ,
        পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
   তেলে ভাজা শুখনো মরিচ লাগবে কিনা ।
 এঁটো বাসন , গেঞ্জি রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি
  আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
 কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরজা খুলে দিক ।
         কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
 কাম বাসনার সঙ্গী না হোক , কেউ  অন্তত আমাকে

   জিজ্ঞেস করুক , "তোমার চোখ এতো লাল কেন ?"

                                     

                  সমাপ্ত



Bangla Love Poem :-  Now bengali poem is very popular . All people read bengali poem. And many other person recetation in bengali language. This poem is written by Nirmolendu gun. This is a love poem . All people love this poem . Please share this poem to your best person or lover . Thank you so much .



                                       The End



                  

Sudorshona (সুদর্শনা ) | Jibanondo dash | Bengali Love Poem

Sudorshona (সুদর্শনা )  | Jibanondo dash | Bengali Love Poem
                  


Bangla Poem :-  If you are lokking for reading love poem in bengali you've come to the right palace.Bengali poem is felling sad, lovely,  rommantic and emotionaly. This poem is bengali love poem by  Jibonondo das (জীবনন্দ দাস ). Poem name Sudorshona (সুদর্শনা ) ।


document.write('');                       সুদর্শনা


                            জীবনানন্দ দাস

                      একদিন ম্লান হেসে আমি
                 তোমার মতন এক মহিলার কাছে
               যুগের সঞ্চিত পণ্যে লিন হতে গিয়ে ও,
                   অগ্নিপরিধির মাঝে সহসা দাঁড়িয়ে
                  শুনেছি কিন্নরকণ্ঠ দেবদারু গাছে,
                        দেখেছি অমৃতসূর্য আছে ।

সব চেয়ে আকাশ নক্ষত্র ঘাস চন্দ্রমল্লিকার রাত্রি ভালো
                      তুমি ও সময় স্থির নয় ,
               আরেক গভীরতর শেষ রূপ চেয়ে
                      দেখেছে সে তোমার বলয় ।

          এই পৃথিবীর ভালো পরিচিত রোদের মতন
            তোমার শরীর , তুমি দান  করোনি তো ;
         সময় তোমাকে সব দান  করে মৃতুদার বলে
                       সুদর্শনা , তুমি আজ মৃতু ।

Poem( মৃত্যু মিছিল) | Bengali poem 2020 | বাংলা কবিতা।

Poem( মৃত্যু মিছিল) | Bengali poem 2020 | বাংলা কবিতা।
Bangla poem 2020 :-Bengali poem is felling sad.it is a very nice poetry.Bengali poem is very popular now. If you like bengali poem.like sad poem, romantic poem.Then you can read this poem.Many people now stay home in this time.But some people are serving us.Some people are fighting for their lives.This poem is about them.Please share this poem to your friend. I sure that your friend understand this quarrantain day reality in this poem and if you want to published your poem or stories.Then you can send your creation.I will published your creation on my website.Thank you so much.

                   মৃত্যু মিছিল

রাত ৩ টা বেজে ১০ মিনিট। শহর ঘুমায়।
এর মাঝেও জেগে থাকে কিছু মানুষ !!

... কেউ বিছানায় এপাশ ওপাশ করে।

... কারো পেটের তাগিদে বের হতে হবে রাত
ফুরোলেই।

... খুব কাছের মানুষটা পাশের রুমে ছটফট করছে গোঙানীর শব্দ আসছে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পারিয়ে দিয়ে আসতে ইচ্ছে করছে খুব..
আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয়টা টেনে ধরছে বার বার।

...কেউবা আইইউসির বেডে শুয়ে ভারী নিঃশ্বাস ফেলছে, কখনো সব স্থবির।
ঘরির কাটার টিক টিক শব্দটা ভীষন কানে লাগছে
মনে পরছে সাজানো স্বপ্নগুলোর কথা,
দেখতে ইচ্ছে করছে প্রিয় মুখ গুলো
তবুও এক অদৃশ্য বাধা।


... কেউ কেউ স্বপ্ন সাজাচ্ছে,

আপন মানুষগুলোর কাছে ফিরে যাওয়ার
পুরনো ভুল গুলো শুধরে নিয়ে
আবার নতুন করে বাঁচার।
কিন্তু সে নিজেও জানে না তার স্বপ্নগুলো
পূরন হবে কিনা..

... কারো হয়তো ঘরে খাবার নেই
পেটের ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে
ভারী করে তুলছে বালিশের
তুলাগুলো !!
হয়তোবা ক্ষুধাই তাকে খেয়ে ফেলবে...


... কেউবা নিজের জিবনের
ঝুকি নিয়ে সবাইকে বাঁচাতে
মরিয়া হয়ে উঠেছে,
ছোট বাচ্চাগুলো অপেক্ষা করছে
মা/বাবার জন্য, বোন অপেক্ষা করছে
ভাইয়ের জন্য, স্ত্রী অপেক্ষা করছে স্বামীর জন্য
কবে তারা বাড়ি ফিরবে কেউ জানেনা।

...  চারোদিকে মৃত্যুর মিছিল
পৃথিবীটা পরিনত হয়েছে মৃত্যু পূরীতে
এই অনিশ্চিত জিবন নিয়ে
মানুষগুলোর রাতে ঘুম হয় না।
নিজের অজান্তেই চোখের কোনা দিয়ে
জল গড়িয়ে পরে!!

... আমার মতো কিছু মানুষ জেগে আছে,
নিছক জেগে থাকার নেশায় !!
এরা ঘুমকে চোখে লালন করে বশ
করেছে দিনের পরে দিন !!
নেশার
আনন্দ অন্যরকম।।
নির্ঘুম থাকার নেশা সম্ভবত
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নেশা!!

       - যান্ত্রিক পেন্সিল


Bengali Love Quotes

Bengali Love Quotes
                                                   Bengali Love Quotes

     Are you looking for the best bengali quotes for love. With the best bengali love quotes you can get some romantic moment from your best person. There is so many bengali quotes in many books and novel, but there is so small amount of bengali love quotes you will get. So here I have collected some bengali love quotes for you.Life different part, it may be happiness,sadness,emotion, thankfull and much more.Here i have post many Bengali Love Quotes for you.So you can read and share its confidently.All those quotes are very romantic lovely.So you can share it any person of your life.If  you share this bengali love quotes for your friends and lover then will be most happy surely.



Mitthey kothai vijsey tor sukh , haoar dapotey sudhu oi stobdotai, shanti khujey pai sob purano ashuk, shobdo joma ei bisonnotai..




Valobasa holo sukher ekta thikana, ja khujey paoa somvob. kintu tar joggo manush paoa onektai osomvob.





Jodi kew tomakey sondeho korey taholey dukkho peo na. mon a rakhbey sobai sona ba hira k sondeho korey jey seta ashol kina. kintu kew loha sondeho korey na.

                                                                                                      APJ Abdul Kalam





Megher hatey  ekti chithi pathiye dilam ajj, bondhu aci onek durey hatey onek kaj, bristi tumi ekti bar janiye dio takey, bondhu tomar pasei aci, hazar kajer fakey.





Onek jotoney rekheci tomai amari bukey, 
parbena kerey nitey kew j tomakey,
kothai jabo ami, k acey amar
tumi sara prithibita lagey j adhar
ek prithibi prem ami tomakey debo,
jonomey jonomey ami sudhu tomari robo.





Amar dosh peley amai bujhiye dio, na hoi regey giye duto thappor merey dio,tobu o tumi amai kokhono serey jeo na....






Valo bondhu knvalobasa jai, kintu valobasar manush k bondhu vaba jai na, karon bondhu holo moner sathi, r valobasar manushti holo jiboner sathi....






Rokter somporko thaklei apon hoa jai na, apon hotey geley lagey atmar somporko...






Amar jiboner sob tuku paoa ami tomar majhei peyeci, ami tomakey valobasi....






Chumutey chini nei, modhu o meshano thakey na, tobu o chumur moto modhur shad jogotey r kisui nei....





Jiboney emon kaw k valobaso, j tomakey valobastey na parley o somman korbey......




Valobasa holo ekti boi, r vul bojha bujhi holo ekta pristha, jodi kaw k sotti valobaso taholey ekti pristhar jonno puro boi takey feley dio na.....




                                                                      Tumi 

Jntey chao tai na ami kakey valobasi ? Taholey prothom sobdo ti abar poro..........