অনুভূতি | Anuvuti | মুহাম্মদ মারুফ আল-আমিন Love story | Best Romantic Love Story In Bengali |

     প্রিয় লেখকের প্রিয় লেখা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! আপনার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে আপনার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে মুহাম্মদ মারুফ আল-আমিন এর  "অনুভূতি" লেখাটা রইলো তোমাদের জন্য। 

অনুভূতি

মুহাম্মদ মারুফ আল-আমিন


 -“আমাকে জানালার পাশের সীটটা দেয়া যাবে?”
আমি বই পড়ছিলাম। মাথা তুলে দেখলাম মেয়েটিকে। আমাকে আন্তরিক ভঙ্গিতে প্রশ্নটি করে এখনও জোর করে মুখে এক টুকরো হাসি ধরে রেখেছে মেয়েটি।
আমি বললাম ---“ অবশ্যই দেয়া যাবে। সুন্দরী মেয়েদের জানালার পাশের সীট ছেড়ে দেয়ার নিয়ম আছে”
-“ তাই? তা এই নিয়ম বুঝি এখন বানালেন? ” মেয়েটি লাগেজ টেনে নিয়ে জানালার পাশের সীটে বসে পরলো।
আমি বললাম -“ হ্যাঁ। সুন্দরী মেয়েদের জন্য নতুন নতুন নিয়ম বানানোর ও নিয়ম আছে ”
এবারে মেয়েটি হেসে ফেললো। ট্রেনের ঝকঝক শব্দে সেই হাসির শব্দ মৃদু শোনালো। মেয়েটি লাজুক ভঙ্গিতে বলল -“ দেখুন, নিয়ম বানান আর যাই করুন, ফোন নাম্বার, ফেইসবুক আইডি এইসব চাওয়ার চেষ্টা করবেন না। ”
-“ না ওসবে আমার আগ্রহ নেই। তাছাড়া সুন্দরী মেয়েদের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠ ও হতে নেই। তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হয়।”

-“কিন্তু আপনি তো আমার পাশের সীটেই বসে আছেন। দূরত্ব থাকছে কোথায়?”
-“পাশে বসে আছি কিন্তু সহস্র মাইল ব্যবধান আছে মেম।” আমি হেসে বললাম।

  আমাকে বেশিক্ষণ মেয়েটির পাশে বসতে হলো না। পরের স্টেশনে একটি লোক নেমে যাওয়াতে তার সীটে আমি বসে পরলাম। এখন আমরা মুখোমুখি বসে আছি। দুইজনই জানালের পাশে। চোখে চোখ পরতেই মেয়েটি বলল-“ আচ্ছা আপনার এমনটা কেন মনে হলো যে সুন্দরী মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে হবে। এটাও কি আপনার বানানো কোন নিয়ম?”
আমি বললাম -“সুন্দরের খুব বেশি কাছে যেতে নেই। একবার কাছ থেকে সৌন্দর্য দেখে ফেললে দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।”
-“তাই নাকি? এমন তো শুনিনি কখনও।”

-“তাছাড়া আরও একটা বেপার ঘটতে পারে।দূর থেকে যা সুন্দর দেখায় কাছে চলে গেলে সেই সৌন্দর্য অনেক সময় চোখে পরে না। দূর থেকে যা খুব বেশি আকষর্ণীয় কাছ থেকে দেখলে তাই খুব সাদামাটা”
-“ আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি দূর থেকে সুন্দর। কাছ থেকে দেখতে পঁচা?”
-“ আমি সেটা কখন বললাম”
-“ এই যে মিস্টার আপনি বই পড়ছিলেন পড়ুন। আমার সাথে গল্প জমানোর চেষ্টা করছেন আপনি। ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছেন। আগেই বলে দিচ্ছি ভুলেও আমার সাথে প্রেম করার চেষ্টা করবেন না। একদমই না।?
-“দেখুন আপনি ভুল পথে চিন্তা এগুচ্ছেন। আমার মোটেও এরকম ইচ্ছে নেই। তাছাড়া আমি সুন্দরী কোন মেয়ের প্রেমে পরতে চাই না। যদি কখনও প্রেম করি অল্প সুন্দরী মেয়ে বেছে নেবো।”
-“তাই নাকি? ইন্টারেস্টিং তো। এরকম ইচ্ছের কারণ? ”
-“কারণ খুব সুন্দরী কারও প্রেমে একবার পরে গেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না। পরেই থাকবো।”

এই সামান্য কথায় মেয়েটি মনে হচ্ছে অনেক বেশি মজা পেল। শব্দ করে হাসছে মেয়েটি। হাসিটা অন্য রকম। শিশুদের হাসির মতো নির্মল যা আশেপাশের সবকিছুতেই মুগ্ধতা ছড়ায়। সেই হাসি বড় বেশি সংক্রামক। আমাকেও হাসতে হলো। আমি মেনে নিতে বাধ্য হলাম মেয়েটির হাসি সুন্দর। অল্প সুন্দর না। মন ভালো করে দেয়ার মতো সুন্দর। যেই হাসি এক নাগারে বেশিক্ষণ সহ্য করা কঠিন বেপার। এরকম হাসি দেখলে শুধু যে বুকের বা পাশে চিনচিন ব্যাথা করে তা না। সেই ব্যথা বুকের ডান পাশ অবধি চলে আসে----------

ধীরে ধীরে গল্প বেশ ভালোই জমে উঠলো। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো সেই হাসি। মেয়েটি একটু পর পর হাসছে আর আমাকে টেনশনে ফেলে দিচ্ছে। কারণ যখনই মেয়েটা হাসছে আমার সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। কী নিয়ে কথা বলছিলাম মনে থাকছে না। ভাবনায় ছেদ পরলে যা হয়। ভালো সমস্যায় পরা গেল।

মেয়েটা বলল-“তা আপনি যাচ্ছেন কোথায়?”
-“এখনও ঠিক করিনি। কোন একটা স্টেশন পছন্দ হলে নেমে যাব।”
-“আপনি এমন ভাবে কথা বলছেন মনে হচ্ছে আপনি মস্ত বড় একজন কবি-সাহিত্যিক।”
-“মস্ত বড় কিনা জানি না। কিন্তু আমি লেখালেখি করি।”
-“তাই? আপনাকে তো চিনি না। নাম কী আপনার?”
-“হুমায়ুন আহমেদ”
-“আজব। মিথ্যা বলছেন কেন?”
-“আপনার নাম হুমায়ুন আহমেদ হতে যাবে কেন? উনি কত বড় একজন লেখক।”
-“হ্যাঁ, উনি অনেক বড় একজন লেখক। তাই বলে কি আর কারও নাম হুমায়ুন আহমেদ হতে পারে না?” -“আপনার নাম সত্যি হুমায়ুন আহমেদ?”
-“ হ্যা আমার নাম হুমায়ুন আহমেদ। আমার সাথে ভোটার আইডি কার্ড আছে। আপনি চাইলে দেখাতে পারি।”
-“ না না থাক।দেখাতে হবে না। I am sorry.”
-“আমার মা হুমায়ুন স্যারের লেখা খুবই পছন্দ করেন। তাই আমার নামও উনার নামে রেখেছেন।”
এমন সময় হঠাৎ দমকা বাতাস এলো। বসন্তের মাতাল করা বাতাস নয়। বর্ষার ভীজে বাতাস। মেয়েটার একপাশের চুল বাতাসে উড়ে মুখ ঢেকে ফেলেছে।
অন্যরকম একটি অবয়ব। ইচ্ছে করছে হাত দিয়ে চুল সরিয়ে দিতে। সেটি সম্ভব না। আমি বললাম -“ বাতাসে কারো টিপ খুলে যায় দেখি নি। আপনার কপালের টিপ কিন্তু এক পাশে সরে গেছে।”
মেয়েটা টিপ দেখার জন্য কপালে হাত দিয়েছে। পুরো কপাল হাতরে টিপ খুজে পাওয়া গেল না।
আমি হেসে ফেললাম।
মেয়েটা মিছেমিছি রাগের ভান করে বলল-“আপনি তো ভালই পাজি। আমি আজ টিপই পরি নি। কিন্তু এমন ভাবে বললেন বিশ্বাস করে ফেললাম।”

এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলো। আকাশে মিষ্টি রোদ ছিলো। হঠাৎ করে এমন ভাবে বৃষ্টি নেমে যাবে বোঝা যায়নি। প্রকৃতির এমন খেয়ালিপনা দেখে মনে হল, আমাদের গল্প করার সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতেই যেন এই আয়োজন। আমি বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছি। আজকের বৃষ্টিটা অন্যরকম। ভিজতে ইচ্ছে করছে।
-“চা খাবেন?
ট্রেনে উঠলেই আমার চায়ের নেশা হয়। তাই ফ্লাস্কে চা নিয়েই ট্রেনে উঠি।”-মেয়েটার কথায় সম্বিৎ ফিরে পেলাম।
বললাম-“হ্যা খাব। চা আমি পারত পক্ষে খাই না। তবে ওই যে নিয়ম আছে সুন্দরি কেউ চায়ের অফার করলে না করতে নেই।”
-“হয়েছে। আপনি যে লেখক আর বোঝাতে হবে না। ক চামচ চিনি খান আপনি?”
-“চিনি খাই না।”
-“একটু ও না? এভাবে ভালো লাগবে?”
-“এক কাজ করুন, চিনির বদলে আমার চায়ে দুই ফোটা বৃষ্টির জল দিয়ে দিন। আমি এভাবেই চা খাই।”
-“সত্যি? দিবো?”
-“সত্যি।”

মেয়েটি আমার কাপে বৃষ্টির জল দিয়ে দিল। সাথে নিজের কাপেও নিল।
-“আপনার দেখাদেখি আমিও খাচ্ছি রেইন টি। কি অদ্ভুত।”
আমি কিছু বললাম না। নিশ্চুপ চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি।
মেয়েটা বলল-“আচ্ছা শীতের সময় তো বৃষ্টি হয় না। তখন চা কীভাবে খান?”
-“তখন তো আরও ভাল। দুই ফোটা বৃষ্টির বদলে এক ফোটা শিশির দিলেই হয়।তখন মনে হয় পৃথিবীতে এসেছি শীতের সকালে শিশির ছোয়া চা খাওয়ার জন্য।”

মেয়েটা কিছুক্ষণ কথা বলল না। চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে চোখ পরতে আমি বললাম -“ কী হলো?”
মেয়েটা দ্রুত নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বলল-“ আপনি কেমন মানুষ বলুনতো। আমি আপনার নাম জানলাম। অথচ আপনি একবারও আমার নাম জানতে চাইলেন না।”
-“ ওহ হ্যা।আপনার নাম জানা হয়নি। কী নাম আপনার?”
-“ তিয়াশা,সুন্দর না নামটা?”
-“ হ্যা, অনেক সুন্দর।”
-“আচ্ছা লেখক সাহেব। আপনি কোথায় যাচ্ছেন বললেন না তো।”
-“ ওই যে বললামতো কোন একটা স্টেশন পছন্দ হলেই নেমে যাব।”
-“এটা কোন কথা। মিথ্যা বলছেন আপনি।”
-“ নাহ, তিশা, আমি মিথ্যা বলি না”
-“ এই যে মিস্টার আমার নাম তিশা না,তিয়াশা।”
-“ সরি তিয়াশা।”
-“ আচ্ছা আপনি হঠাৎ এমন চুপচাপ হয়ে গেলেন যে? কী হয়েছে?”
-“ কই না তো। কথা বলছি তো। তাছাড়া সুন্দরী মেয়েদের সাথে খুব বেশি গল্প করতেও নেই।”
-“ ইশ, আপনার এই বোরিং ডায়ালগ বাদ দিন প্লিজ। আচ্ছা আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে?”
-“ হঠাৎ এই প্রশ্ন?”
-“ আছে কিনা বলুন।”
-“ নাহ। নেই।”
-“হুম, বুঝলাম। আপনি কিন্তু আমাকে আবার জিজ্ঞেস করবেন না যে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা। আপনি জিজ্ঞেস করলেও আমি কিন্তু বলবো না।”
-“হাহাহা, আচ্ছা ঠিক আছে আমি জানতে চাচ্ছি না।”
মেয়েটি হয়তো ভেবেছিল আমি জিজ্ঞেস করবো তার কোন বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা। আমি জিজ্ঞেস করছি না দেখে মনে হল মন খারাপ হয়ে গেল মেয়েটার।
এমন সময় আমি ব্যাগ নিয়ে উঠে দাড়ালাম। মেয়েটা বলল-“ কোথায় যাচ্ছেন?”
আমি বললাম-“ নেমে যাব।এই স্টেশনটা পছন্দ হয়েছে।”
-“ বৃষ্টি হচ্ছে তো। ভীজে যাবেন। এখানে না নেমে অন্য কোন স্টেশনে নামলে হয় না?”
-“ জী না মেম। হয় না” মুচকি হেসে বললাম আমি।

আর কোন কথা বললাম না। উঠে চলে এলাম। মেয়েটা অদ্ভুত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।‘ভাল থাকবেন, আবার হয়তো দেখা হবে’-এই জাতীয় কোন কথা হয়তো আশা করেছিল মেয়েটা।মেয়েটাকে বিভ্রান্তির মধ্যে রেখে আমি ট্রেন থেকে নেমে গেলাম। বৃষ্টির বেগ আরও বেড়েছে। আমার আসলে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছিল অনেক আগে থেকেই। নামার সাথে সাথেই ভিজে গেলাম। বৃষ্টির ফোটা গুলো একটু একটু করে আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছিলো। প্রকৃতির আহবানে আমি নেমে গেলাম ট্রেন থেকে কিন্তু অদৃশ্য কোন শক্তি যেনো আমার হাত ধরে টানছে ট্রেনে ফিরে যাওয়ার জন্য। কানের কাছে কে যেন বলছে মেয়েটার সাথে আরেক কাপ বৃষ্টির জল মেশানো চা খাওয়ার জন্য। সেই অদৃশ্য আকর্ষণ উপেক্ষা করেই আমাকে নামতে হলো। কোন দিকে যাব ঠিক করতে পারছি না। মেয়েটা জানালা দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এই বয়সী মেয়েরা খুব বেশি জেদি হয়। মেয়েটা আমাকে পেছন থেকে ডাকবে না। নিজের আবেগের কাছে হেরে যাবে না কখনোই। মনে মনে হয়তো আমাকে খুজবে কিন্তু পাবে না। বৃষ্টির বেগ বাড়ছে সাথে আদ্র বাতাস বাতাস। আমি চলে আসবো এমন সময় আমি অবাক মেয়েটার কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম।বৃষ্টি হচ্ছে এজন্য মেয়েটা জোরে ডেকে বলল-“ এই যে হুমায়ুন সাহেব। আপনি আমাকে আসল নামটা বলেননি। তাই না?”
আমি ফিরে তাকালাম।এক টুকরো হাসি ছুড়ে দিলাম। সরি বলা টাইপ হাসি। কোন জবাব দিলাম না। ফিরে যাওয়ার সাহস আমার নেই। জগতটা রহস্যময়। জগতের সব রহস্যের ব্যাখ্যা থাকে না।মেয়েটা আমাকে নিয়ে একটু হলেও ভাববে। আমি না হয় একটু খানি রহস্য হয়েই থাকলাম। সব রহস্যের সমাধান হয়ে গেলে প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট হবে। সেই অধিকার আমার নেই।

   বৃষ্টির মধ্যে সামনে এগুচ্ছি। চোখে মুখে বৃষ্টির ঝাট এসে লাগছে। বুকের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে যেই অনুভূতির সাথে আমার পরিচয় নেই। এমন সময় একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। আমার বিস্ময় সীমাকে অতিক্রম করে আমাকে দ্বিতীয় বারের মতো ডাকলো মেয়েটা। আমার সব হিসেব নিকেশ এলোমেলো হয়ে গেলো মুহুর্তেই। এবারে আমাকে মেয়েটার কাছে ফিরে যেতে হবে।
কেন যেতে হবে? 
কারণ সুন্দরী মেয়েরা দ্বিতীয় বার ডাকলে সাড়া দেয়ার নিয়ম আছে।


                                                                             সমাপ্ত

                                                  Best Romantic Love Story In Bengali

আমাদের আর ও গল্প পড়ুন :-👇👇

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

Tags:-

  • Anuvuti 
  • Mohammad Maruf Al-Amin
  • Bangla story
  • Bangla golpo
  • Story in Bengali,
  • Bangla valobasar golpo
  • Love story
  • bengali love story
  • Love story in Bengali,
  • golpo bangla
  • Romantic love story,
  • train love story,
  • journey love story,
  • Travel Love story

Love Story :- Everyone likes love story.Sad love story,emotional love story and romantic love story.This story is very romantic.A boy and a girl love each other from train journy.They are felling love to each other.if your mood is very sad now, you read  this love story.i sure that this love story fresh your mind and mood. Then you fall love this story. Please share this love story in your best friend or lover.They will fall in love with this story.So now you read this love story very carefully with attention.Thank you so much...

0 Comments: