Cholona Abar O Amon Ekta Prem Kori | Aritrika Bhattacharya | Bangla Romantic Love Poem

Cholona Abar O Amon Ekta Prem Kori | Aritrika Bhattacharya | Bangla Romantic Love Poem
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে অরিত্রিকা ভট্টাচার্য এর "চলোনা আবার ও এমন একটা প্রেম করি" কবিতাটি রইলো তোমার জন্য ।  

চলোনা আবার ও এমন একটা প্রেম করি 

অরিত্রিকা ভট্টাচার্য 

 কিছু রাত এমন ই  হোক না ,

 যে রাতে আমি অভিমানে  মুখ ভার করে থাকবো , 

আর তুমি গান শুনিয়ে রাগ ভাঙাবে ,

চুম্বনে চুন্বনে ভিজিয়ে দেবে আমার নরম শরীর । 

কিছু রাত এমন ই হোক ,

যে রাতে চোখ থেকে অঝোর ধারায় জল বেরিয়ে এলে ও ,

তা সম্বিলিত স্বরে চিৎকার করে বলবে, 

"এটা আনন্দের ধারা "। 

রাত হলে তো এমন হওয়া যায় । 

যে রাতে তুমি শুধু আমার,

 শুধুই আমার একার। 

এই রাত গুলো তো শুধু স্বপ্ন নয় , বাস্তবে ও হোক । 

বিষাদ ভুলে শুধুই রূপ কথা সাজাই আমরা ,

 যে রূপকথার রাজা রানী শুধু তুমি আর আমি । 

আমাদের সবার জীবনেই তো রাত আসে । 

রাত যায়, 

কিছু কিছু রাত হয়তো কারো কথা ভাবতে ভাবতেই কেটে যায় । 

কষ্ট পেয়ে কেটে যায় একটা গোটা সারা রাত ।

 কিন্তু কষ্টরা ও তো কথা বলতে চায় । 

কষ্টরা ও ভালোবাসতে চায় 

ভালোবাসা পেতে চায়  ।

 কিন্তু সব সময় কি সেটা হয় ?

 হয় না বোধ হয় ,

 কখনো কখনো তো মন ভাঙ্গে ,

তাই চলো না এমন একটা প্রেম করি ,

যে প্রেমে প্রেম টা কেবল একটা শব্দ ।

 বা মন ভাঙার অজুহাত নেই। 

যে প্রেমে চোখে কাজল পরতে আমার মনে শুধু নেশা থাকে । 

চোখে চোখ লুকানোর কোনো মানে নেই ।


 এমনই একটা প্রেম হোক , 

যে পথে তুমি আমি শুধু অজানা পথের পথিক ,

 যে পথে আমি আর তুমি ছাড়া কেউ হাটবে না ।

 কেউ তাকাবে না তোমার দিকে ।

 এমনই একটা প্রেম হোক,

যে রাত গুলো তুমি শুধু আমার কথা ভাবতে ভাবতেই ঘুমাবে ।

 ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই প্রেম সাগরে ডুব দিবো আমরা । 

প্রতিদিন জেগে ওঠা সেই সব স্বপ্ন গুলোকে স্বপ্নেই একবার বাস্তবায়িত করবো । 

প্লীজ প্লিজ চলো না । 

এমনি একটা প্রেম করি

 ঘুম থেকে সকালে চোখ ভাঙলেই আমার শত চুম্বনের

 সুপ্রভাত লেখটাই তোমার  আগে চোখে পড়বে ।

 এমনি একটা প্রেম হোক ,

 যে প্রেমে আমায়  দেখতে না পেয়ে তুমি উম্মাদ হয়ে উঠবে ।


 প্রেম তো নানান রকমের হয় ,

 কখনো তা চলন্ত বাসে ,

কখনো ট্রেনের কামরায় ,

পড়ার ব্যাচে ,কলেজে , স্কুলে 

কখনো বা মিসডকলে , 

আবার কখনো তা হয় দূরত্ব প্রেম ।

 যেখানে একমাত্র সম্বল, একমাত্র ভরসা 

ছোট্ট একটা মোবাইল ফোন । 

সেই মোবাইল ফোনেই তাদের কথা, আলাপ 

সেই মোবাইল ফোনেই তাদের একটু একটু করে গড়ে ওঠে ছোট্ট সংসার ।

 কিন্তু যখন এপাশ থেকে শুধু রিং হয়ে যায়, হয়ে যায় এবং হয়ে যায়

 এবং ওপাশের মানুষটা ফোন ধরতে পারে না তখন ভীষণ কষ্ট হয়, ভীষণ । 

আমি ফোন ধরতে না পারলে তুমি দিক ভ্রষ্টের মতো রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে ,

খুঁজে বেড়াবে আমায় , 

আর একটা সময় ক্লান্ত হয়ে রাস্তায় বসে পড়বে । 

 চলোনা এমন একটা প্রেম হোক

 যে প্রেমে আমায় ভালোবাসি বলতে গেলে 

তোমার বুকে শুরু হবে হঠাৎ জোয়ার । 

যে প্রেমে ভালোবাসি বলাটা শুধু একটা ট্রেন্ড ফ্যাশন নয় । 

এমনি একটা প্রেম হোক

 যে প্রেমে রাত ঘুমিয়ে ও আমি এক থাকবো ।

 প্লিজ চলো না এমন একটা প্রেম করি ।

 বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে যখন একটু একটু করে বদলাচ্ছে , 

আমাদের আবহাওয়া ,প্রকৃতি , আমার অভ্যেস চাওয়া পাওয়া ।

 আজ আমি বড্ডো হিংসুটে , 

তাই চলোনা প্রেমময় জীবনের সঙ্গে হিংসুটেমি দিয়েই আধুরি আলাপ সারি । 

চলো.....

সমাপ্ত 

Bengali Poem :- This poem is written by Aritrika Bhattacharya . Poem name, "Cholona Abar O Amon Ekta Prem Kori". Collected "The bong untold" Youtube channel. We are collected best love and romantic poem in Bengali. We can also published your poem or story in bengali. If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in Bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website. Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment. Thank you so much.


Hotath Ekdin | হঠাৎ একদিন | Pallab Mondal | Sad Love Poem Bengali

Hotath Ekdin | হঠাৎ  একদিন  | Pallab Mondal | Sad Love Poem Bengali
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে পল্লব মন্ডলের, "হটাৎ একদিন" কবিতাটি রইলো তোমার জন্য ।  

হঠাৎ  একদিন 

পল্লব মন্ডল 

একদিন সব সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে 

তুমি ও ভুলে যাবে আমায় ।

একদিন কোনো এক নতুন ডাইরির পাতায় 

জুড়ে যাবে তোমার নাম ,

 আমার ডাইরির পাতায় তুমি তখন প্রাক্তন ।

তোমার দেওয়া গোলাপের পাঁপড়ি গুলো 

স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে ,

পরিত্যক্ত পাতার ভাঁজে ।


একদিন সব স্মৃতি গুলো তোমার আবার ও মনে পড়বে 

যখন বহু বছর পরেও 

তোমার দিকে সেই একই ভাবে বোকার মতো 

ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবো ।

সেদিন ঠিক-ই বুঝবে -

ভালোবাসতে শরীর লাগে না 

দূরত্ব প্রেমে ও ভালোবাসা হয় ।


হঠাৎ একদিন শহরের ভিড়ে তোমায় দেখবো ,

আমার শুন্য হাত , 

তোমার হাত জুড়ে নতুন প্রেম ।

হঠাৎ একদিন উম্মাদ হয়ে ঘুরে বেড়াবো পথে ঘাটে 

সবাই ভাববে পাগল 

শুধু আমি ভাববো ,

কথা দেওয়া মানুষ গুলো একদিন কথাটা ঠিক ভুলেই যায় ।


একদিন হঠাৎ-ই  মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যাবে 

কারণে অকারনে জল ঝরবে চোখ দিয়ে ।

তুমি হয়তো তখন অন্যের বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে ,

আমি চেষ্টা করবো তোমাকে ভোলার ।


হঠাৎ একদিন sleeping pills খেয়ে 

আমি ও ঘুমিয়ে পড়বো ।

তোমাকে ভুলিয়ে দেওয়া ঘুম টা হয়তো

 আর জাগিয়ে দেবে না ।

তোমার মন থেকে মুছে গেছি অনেক আগে 

এবার হয়তো চিরজীবনের জন্য মুছে যাবো 

পৃথিবী থেকে ।


তোমার প্রেমে আমি ঠিক নেই 

আবার থেকে ও গেছি ,

তোমার একাকিত্বের আড়ালে ।

এই ধরো একাকী তুমি বসে আছো 

হটাৎ-ই বৃষ্টি আসলো 

তোমার ঠিক-ই মনে পড়বে,

আমাদের বৃষ্টি ভেজা দিন গুলো ।

হয়তো আমি থাকবো না সেদিন 

কিন্তু প্রেমের তো কখনো মৃত্যু হয় না । 

তোমার প্রেমে আমি অমর হয়ে থাকবো 

তোমার একাকিত্বের দিন গুলোয় ।

সমাপ্ত 

আমাদের আর ও ভালোবাসার কবিতার লিস্ট রইলো তোমাদের জন্য :- 👇👇👇👇


Bengali Poem :- This poem is written by Pallab Mondal. Poem name, "Hotath Ekdin". We are collected best love and romantic poem in Bengali. We can also published your poem or story in Bengali. If  you want to send your Bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in Bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website. Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment. Thank you so much.

Mago Tomar Kole ( মাগো তোমার কোলে ) | Pallab Mondal | Bangla Kobita

Mago Tomar Kole ( মাগো তোমার কোলে ) | Pallab Mondal | Bangla Kobita
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে পল্লব মন্ডলের, "মাগো তোমার কোলে" কবিতাটি রইলো তোমার জন্য ।  


মাগো তোমার কোলে  

পল্লব মন্ডল 

কত দিগন্ত পেরিয়ে     বহু বছর পরে ,

ফিরিয়াছে বাংলার ছেলে বাংলার ঘরে ।

দুর্জয় স্বপ্ন বুকে     এক রাশ হাসি মুখে 

গ্রাম বাংলার সবুজ পথটি ধরে ,

ফিরবে এবার বাংলার ছেলে বাংলার ঘরে ।।


রোদের তিক্ততা এড়িয়ে     এক পড়ন্ত বিকালে ,

পৌঁছাবে ছেলেটি মাগো তোমার কোলে ।

হারানো স্মৃতিটা    ফিরে পাবে রীতিটা ,

দেখবে সৌন্দর্য স্নিগধ সকালে ।

ফিরবে এবার তোমার ছেলে মাগো তোমার ছেলে।। 


নিঝুম ল্যাম্প টার দুপ দুপ  আলো 

বাইরে অন্ধকার আবছা কালো ,

চলবে না আর রূপকথা   গল্প শুধু হারানো ব্যাথা 

বলবে আমার কানে।

এত দিন তুই কেমনে ছিলি ওই বিদেশ পানে ।।


বুকের ভিতর আশা মেলে     নিশিত রাতে বাতি জ্বলে, 

চোখের জলে ওই পথ রেখেছে সাজিয়ে ।

অসময়ে বৃষ্টির ফল     মুছে দিলো চোখের জল, 

স্মৃতি নাহি ভোলে ।

ফিরবে এবার তোমার ছেলে মাগো তোমার কোলে ।।

সমাপ্ত 

Bangla Kobita :- This poem is written by Pallab Mondal.Poem name, "mago tomar kole".We are collected best love, romantic sad poem in bengali. We can also published your poem or story in bengali.If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website.Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment.Thank you so much.

শ্রুতি মেনন | Bangla Motivational Success Story | inspirational stories of success

শ্রুতি মেনন | Bangla Motivational Success Story | inspirational stories of success
তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com".আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে এই কবিতাটি তোমার জন্য ।  

শ্রুতি মেনন     

    মেয়েটির নাম শ্রুতি । শ্রুতি মেনন । ব্যাঙ্গালােরে একটি সাজানাে গােছানাে ছিমছাম ফ্ল্যাটে নিজের বাবা মায়ের সঙ্গে থাকত শ্রুতি । মাত্র ১৫/১৬ বয়স তার । কাছেই একটা নামী স্কুলে পড়ে শ্রুতি । পড়াশােনাতেও সে বেশ ভালাে । বাবা মা আর স্কুলের শিক্ষিকাদের চোখে একরাশ স্বপ্ন শ্রুতিকে ঘিরে । স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষায় নিশ্চয় খুব ভালাে ফল করবে সে স্বপ্ন দেখে শ্রুতি ।

       কিন্তু সহসা কোথা থেকে যেন ছুটে আসা এক উদ্দাম ঝােড়াে হাওয়া জীবনটাকে তার তছনছ করে দিল মুহূর্তে । 

       পাড়ার ছেলে রাজেশ । স্কুলে আসা যাওয়ার পথের ধারে প্রায় প্রতিদিনই দাঁড়িয়ে থাকত সে । প্রথম প্রথম শ্রুতি দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যেতাে । কিন্তু ক্রমে ক্রমে ব্যাপারটা বেশ সিরিয়াস হয়ে দাঁড়াল । 

       রাজেশ মস্তান টাইপের ছেলে । সে শ্রুতিকে প্রথম প্রথম নানারকম তােষামুদে কথাবার্তা বলে বাগে আনবার চেষ্টা করত । কিন্তু শ্রুতি একেবারেই পাত্তা দিচ্ছে না দেখে রাজেশের জেদ ক্রমশ বেড়ে যেতে লাগল । সে প্রতিদিন শ্রুতিকে শাসাতে লাগল এই বলে যে যদি তার কথা শ্রুতি না শােনে তবে তাকে সে চরম শাস্তি দেবে । 

      শ্রুতি শক্ত চরিত্রের মেয়ে । মেয়েমানুষ হলেও সে বুঝতে পেরেছিল এ ধরনের সমাজবিরােধী ছেলেদের সংস্রব কতােখানি বিপজ্জনক । তাই সে সাবধানে রাজেশকে এড়িয়ে চলত । এমনকি স্কুল যাবার একটা বিকল্প পথও সে বার করে নিল ।

       কিন্তু রাজেশ এতাে সহজে ছাড়বার পাত্র নয় । পরদিন বিকল্প এই পথের পাশেই যথাসময়ে তাকে দেখা গেল । এবার সে সরাসরি এসে দাঁড়াল স্কুলের পােশাক পরা বালিকাটির সামনে ।

      —আমি জানতে চাই , তুমি আমাকে বিয়ে করবে কিনা ! আচমকা এরকম ঘটনায় হকচকিয়ে গেল শ্রুতি । কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে কঠোর ও ঠাণ্ডা গলায় উত্তর দিল সে ,

      —প্রাণ থাকতেও নয় । 

      —তার কারণ ?

       —কারণ তােমাকে আমি ঘৃণা করি ।

       –বেশ , এর প্রতিফল তােমাকে পেতে হবে । 

        কথাটা শুনেও তেমন গুরুত্ব দিল না শ্রুতি । মাস্তানি মার্কা হাল্কা শাসানি ভেবে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করল ।

       পরদিন স্কুলের পােশাক পরে দ্রুত পায়ে এগিয়ে চলেছে শ্রুতি । হঠাৎ পথের ধারে ঝােপের পিছন থেকে সাঁ করে ছুটে এলাে একটা অ্যাসিড বাল্ব তার মুখ লক্ষ করে । মুহূর্তে কী ঘটে গেল ! অসহ্য যন্ত্রণায় তীব্র আর্তনাদ করতে করতে দু হাতে মুখ ঢেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল শ্রুতি এবং জ্ঞান হারাল তৎক্ষণাৎ |

       কয়েকদিন পর হাসপাতালে জ্ঞান ফেরবার পর শ্রুতি জানতে পারল অ্যাসিডে পুড়ে চিরদিনের মতাে নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার চোখ আর কান । চিরদিনের মতাে অন্ধ আর বধির হয়ে গিয়েছে সে । সমস্ত মুখ , বুক আর মাথায় অসহ্য দাহ । চামড়া পুড়ে পুড়ে একটু একটু করে কুঁচকে যাচ্ছে আর সমস্ত উর্ধাঙ্গ ধারণ করছে এক বীভৎস রূপ । সে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্যের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে । প্রতিটি মুহূর্তে মনে হচ্ছে এ নরক যন্ত্রণা সহ্য করে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভালাে । 

       কিন্তু না , শেষপর্যন্ত হাল ছাড়ল না শ্রুতি । সে ভাবল এভাবে যদি সে জীবন থেকে পালিয়ে যায় তা হলে রাকেশের মতাে গুণ্ডা বদমাইশরা আরাে বেশি প্রশ্রয় পেয়ে যাবে । তাকে জিততেই হবে । তার জিত মানেই রাকেশদের হার । তাই এই যুদ্ধটা অর্থাৎ বেঁচে ওঠার যুদ্ধটা জিততেই হবে শ্রুতিকে যেমন করেই হােক ।

        কিন্তু এরকম রুগীকে সুস্থ করে তুলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে গেলে প্রচুর প্রচুর অর্থের প্রয়ােজন । শ্রুতির বাবা একজন দর্জি । তবু একমাত্র মেয়ের চিকিৎসার জন্য তিনি নিজের সমস্ত সঞ্চয় উজাড় করে ঢেলে দিলেন । নিতান্ত ছেলেমানুষ শ্রুতির তীব্র মনের জোর আর চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখে সেদিন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানও । 

       সবার সহযােগিতা পেয়ে মনের জোর বেড়ে গেল শ্রুতির । দ্রুত সেরে উঠতে লাগল সে । যমের সঙ্গে প্রথম রাউন্ডের লড়াইয়ে বীরের মতাে বিজয়ীর হাসি হাসতে হাসতে হাসপাতাল থেকে একদিন ঘরে ফিরে এল শ্রুতি । 

      কিন্তু বাড়ি ফিরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতাে অবস্থা হল তার ঘৃণায় - আতঙ্কে - লজ্জায় । নিজের অতিপ্রিয় কিশােরী শরীরটার দিকে আর তাকাতে পারল না সে একবারও । তবে কি সারাজীবন এই বিভৎস রূপ নিয়ে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হবে তাকে ? না , হার মানলে চলবে না ।

      কিছুতেই হার মানবে না সে । যতাে কষ্টই হােক- যতাে দিনই লাগুক ! শ্রুতির বাবা মা প্লাস্টিক সার্জেন্টের সঙ্গে কথা বললেন । ছ বছরে মােট ৩৯ বার অপারেশন করা হল তার শরীরে । ধীরে ধীরে ফিরে এলাে হারানাে রূপ । যদিও সম্পূর্ণ নয় তবু বছরের নিরলস চেষ্টায় অনেকটাই স্বাভাবিক চেহারায় ফিরে এলাে শ্রুতি । 

        শরীরের জন্য পড়াশােনায় বাধা পড়েছিল বলে টেনথ স্টান্ডার্ডের পরীক্ষাটাও দেওয়া হয়ে ওঠেনি তার । এ কারণে সবসময় হীনমন্যতায় ভুগত শ্রুতি । বয়সটাও অনেকটাই বেড়ে গেছে । এখন তাে আর স্কুলে অল্পবয়সী মেয়েদের সঙ্গে পড়তে যাওয়া সম্ভব নয় । 

        তবে কি মূখ হয়েই থাকবে সে আজীবন ? না , শ্রুতি কিছুতেই হার মানবে না । বাবা মা - এর সাহায্যে বইপত্র যােগাড় করে ঘরে বসেই পড়াশােনা করে পরীক্ষা দিল শ্রুতি এবং যথেষ্ট ভালাে নম্বর পেয়েই পাশ করল সে । এবার বাবাকে সাহায্য করার জন্য ঘরে বসে টেলিমার্কেটিংয়ের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে লাগল শ্ৰতি । নিজের স্বােপার্জিত অর্থে সংসারকে সাহায্য করছে সে , একটু একটু পরিশোধ করতে পারছে চিকিৎসার জন্য হয়ে যাওয়া বিপুল ঋণ । এই চিন্তা থেকেই হারানাে আত্মবিশ্বাস একটু একটু করে ফিরে আসতে লাগল শ্রুতির মনে । সে বুঝতে পারল সেও পাচজনের মতােই সহজ সুস্থ , স্বাভাবিক একজন দায়িত্বশীল মানুষ । সেও পারে সংসারের দায়িত্ব নিতে , বাঁচতে , বাঁচাতে । 

       এখন শ্রুতি বড়াে একটি কোম্পানিতে চাকরি করে । আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ শ্রুতি সাধারণ হয়েও আজ অসাধারণ । অশুভ শক্তির সঙ্গে অসম যুদ্ধে সসম্মানে জয়ী হয়ে সে আজ সকলের আদর্শ , সমস্ত দুঃখী , দুর্গত ও উৎপীড়িত মানুষের কাছে এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা । 

         Real leaders are ordinary people with extraordinary determinations .

আমাদের আর ও মহিয়সীদের সফলতার কাহিনী :-

Success Story :- This success story written by  Jayanti chakrabarty.This story revolves around Sruti Menon like Sruti Menon biography. We are collected this type success story that revive your lost mind. You get more success story on Bengali in our website. And I think  all success story will take place in your mind. So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story. Thank you so much

Bandi Jibon | বন্দী জীবন| পল্লব মন্ডল | Sad Love Poem In Bengali | Poem In Bengali

Bandi Jibon | বন্দী জীবন| পল্লব মন্ডল | Sad Love Poem In Bengali | Poem In Bengali
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে পল্লব মন্ডলের, "বন্দী জীবন" কবিতাটি রইলো তোমার জন্য ।  

বন্দী জীবন 

পল্লব মন্ডল 

খুলে দাও দুয়ারটা একবার বাহিরিব আমি,

দেখো কত স্বপনে      রয়েছি গোপনে 

দূরের পথগামী ।

খুলে দাও দুয়ারটা একবার বাহিরিব আমি 


ছোট্ট বদ্ধ ঘরে       কত বছর ধরে 

পড়ে রয়েছি একলা ,

কত পাখি উড়ে যায়    ফিরে আর নাহি চায় 

স্মৃতির গুলো কেঁদে যায়, মন মেঘলা ।

বহুদিন যায়নি বনে     রয়েছি তোমার সনে 

ছেড়ে দাও আমায় , ওগো মুক্তিকামী 

খুলে দাও দুয়ারটা একবার বাহিরিব আমি ।।


স্বাধীন তুমি      বদ্ধ আমি 

বুঝবে কি করে বন্দীর ভাষা ,

তুমি মানব      হওনিকো দানব 

কত বিদ্যে তোমায় ঠাসা 

রয়েছি কাতরে      খাঁচার ভিতরে 

বাহিরিবার পথ দিতে পারে কে সন্ধান আনি ,

দেখো পড়ে আছি বদ্ধ ঘরে একলা আমি ।


আমি সামান্য পাখি      বদ্ধ খাঁচায় রাখি 

পাইয়াছো কি মজা তুমি,

 থাকিতে পারে না কেউ    যতই আসুক ঢেউ 

ছাড়িয়া আপনার ভূমি ,

দেখো বাহিরে       দুটো পাখির মনে 

কত ভালোবাসা ,

একলা আমি খাঁচার ভিতরে বাঁধবো কি করে বাসা ।

মুক্ত করো সীমানা      উড়াল দেব ডানা 

যাবো ওই দূর দেশ পারে ।

দেখো !

রয়েছি একলা পড়ে আজ ও,

আমি বন্দী ছোট্ট ঘরে ।।

সমাপ্ত 

আমাদের আর ও ভালোবাসার কবিতার লিস্ট রইলো তোমাদের জন্য :- 👇👇👇👇


Bengali Poem :- This poem is written by Pallab Mondal. Poem name ,"Bondi Jibon". We are collected best love and romantic poem in bengali. We can also published your poem or story in bengali.If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website.Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment.Thank you so much.

বাবা | Baba Song Lyrics | GR Tanmoy

 বাবা | Baba Song Lyrics | GR Tanmoy

  বাবা 

ছিলাম তখন ভালো যখন হইলো আমার জন্ম 

মাথায় বুদ্ধি ছিলো কম আর মস্তিষ্ক টা বন্ধ

 আস্তে আস্তে হইলাম বড় বাবা চিনায় দিলো জগত 

আমি কষ্ট পাইলে বাবার মাথায় চিন্তা হইতো নগদ 

বাবার দেওয়া শিক্ষা গুলা আজো আমার চোখে ভাসে 

বাবা বইলা ডাক টা আজো আমার কানে বাজে 

আজ কেউ করে না শাসন আর নাইতো মনে ভয় 

বাবা চইলা গেছে আমার এইডা কেমনে প্রানে সয় 

ছেলের মাথা রাইখা বুকে রাত দিন বাবা বইলা ডাকতো

 সারা জীবন তার বুকে পরিবার টা আগলে রাখতো 

বাবা কষ্টের মাঝেও করতো ভালো থাকার অভিনয় 

আর কেউ না দেখলেও বাবা আমি তোমার তন্ময় 

বাবা এইটা তোমার ছেলে একদিন ছিলো তোমার কোলে

আজ তোমার স্মৃতি ভাইবা দুই চোখ ভেজায় শুধু জলে 

হাজার ভিরেও শূন্যতা আর ডাকতে পারি না বাবা 

আল্লাহর কাছে দোয়া করি তুমি বেহেশত টাই পাবা 


অচীন দেশে গেছে বাবা আমার আর আসবো না ফিরা 

আর কেউ দেখবো না সপ্ন এই আমারে ঘিরা 

বাবার সপ্ন হয় নাই পুরন কষ্ট নিয়াই চইলা গেছে 

আত্মা ছাড়া দেহো সামনে আমার বাবা অচীন দেশে 

রক্তের টানে আমার চোখে আর থামতে চায়না পানি 

আল্লাহ নিয়া গেছে কোনোদিনো ফিরবো না জানি 

মাথায় আকাশ ভাংগা পরলো আমি হইলাম আত্মহারা  

বাবা নাই জগতে তুমি কেমনে বাচমু তোমারে ছাড়া 

চোখে শুখায় গেছে পানি কিন্তু মনডাও যে অবাধ্য 

আল্লাহ'র দেওয়া নিয়ম কানুন আমি মানতে হইছি বাধ্য 

তবু বিশ্বাস হয়না আমার স্মৃতি ঘুরে আমার পিছে 

হাজার মানুষের শান্তনা আমি খুইজা পাইনা কিযে 

ছোটো বেলায় আংগুল ধইরা যে শিখাইছিলো হাটা 

এখন আত্মা ছারা দেহো কাফন পইরা আছে সাদা 

সাদা কাফনে পেচানো বাবা শেষ বারের সেই দেখা 

লাশটা দুই হাতে নামাইয়া কবর পারেই হইলাম একা। 


তোমার অবাধ্য এই ছেলে শুইনা চলব তোমার কথা 

তুমি চইলা গেলা ঠিকি আমায় রাইখা কেন অযথা 

আমার জগত হইছে কষ্টের মাথার উপরে নাইকা হাত 

তুমি ছাড়া কত কষ্টের জীবন ভাইবা কাটে রাত

বাবা কানে ধরছি আমি তোমার সাথে নিয়া চলো 

আমায় রাইখা গেলা কেনো একবার এই কথা টা বলো 

আজ কত গুলা দিন বাবা বইলা হয়না ডাকা 

কি দরকার ছিলো আমারে তোমার থেইকা দূরে রাখা?

 আত্মবিশ্বাস তুমি বাবা তুমিই তো নাই 

এখন জীবন চলার পথে প্রতিদিনই হোচোট খাই

তুমি অনেক দূরে ভাইবা চোখে পানি আসলেও লুকাই 

মা এর মুখে হাসি দেখতে আমি নিজেরেই তো বুঝাই 

আর বাবা কি জিনিস বাবা না থাকলে যায় বুঝা 

তখন ভুল শুধরানোর জন্য বাবা রে এই দিক ওইদিক খোজা। 

এখন কেউ বলে না সোনা মানিক আমার বুকে আয় তো 

আমারে বলবই বা কেরা আমারে বলার মানুষ নাই তো।

সমাপ্ত 

Song Lyrics :- This song written and singing by GR Tanmoy. Song name, "Baba".I am sure you enjoyed this baba song lyrics. This song is one of the Bengali rap song. Specially I say thank's to Tanmoy for this lyrics. Go ahead give us the gift of lyrics. Thank you 💞💕

Jhapsa Chokhe | ঝাপসা চোখে | Bengali Sad Poem | Pallab Mondal

Jhapsa Chokhe | ঝাপসা চোখে | Bengali Sad Poem | Pallab Mondal
প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখায় তাদের নিজেদের পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো। তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার real নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। তবে সেটা অবশ্যই তোমার নিজের লেখা হতে হবে। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে পল্লব মন্ডলের, "ঝাপসা চোখে" কবিতাটি রইলো তোমার জন্য ।  

ঝাপসা চোখে 

পল্লব মন্ডল 

সেই কোনো এক মুহূর্ত 

জীবনের বৃহত্তম ঢেউ গুলো আছড়ে পড়ে  দু কূলে 

ভেঙে দিয়ে যাই সুখের সীমানা ।

আমি ঝাপসা চোখে চেয়ে দেখি 

আর দীর্ঘশ্বাস ভেসে ওঠে হৃদয়ের গভীরতা থেকে 

দু চোখ ভরে দেখতে থাকি শহরটা ,

ধাঁধা লেগে যায় ।

আবার ঝাপসা হয়ে আসে চোখ ,

না না ; বড়ো বড়ো অট্টালিকা আর 

কোটিপতি মানুষদের দেখে নয় ,

মনে পড়ে মায়ের কথা 

আর গ্রাম্য প্রকৃতির জন্মভূমির কথা ।

সন্তানকে না দেখে থাকার এক চাপা কান্না 

হৃদয়কে কতোটা আঘাত করে, বুঝি আমি 

আর থেকে থেকে সেই বুঝে ও অবুঝের মতো থাকা ।।


চোখের কোঠরে জমতে থাকে জল 

সব সহ্যের বাঁধ ভেঙে সবার অজান্তেই 

এক সময় ছাপিয়ে যায় কিনারা 

ঝাপসা হয়ে আসে চোখ 

কেউ দেখে না 

কেননা শহর তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন

আর  

  রাতের আঁধারে , ঝাপসা চোখের জল কেমন যেন -

হৃদয়ের গভীরেই আঘাত হানে ।।

সমাপ্ত

Bengali Sad Poem :- This poem is written by Pallab Mondal. We are collected best love and romantic poem in bengali. We can also published your poem or story in bengali.If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website.Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment.Thank you so much.


একটি হার না মানা জীবনের গল্প | Ratri Menon | Best Powerful Motivational Success Story | Inspirational Stories Of Success

 একটি হার না মানা জীবনের গল্প | Ratri Menon | Best Powerful Motivational Success Story | Inspirational Stories Of Success

 রাত্রি মেনন 

       আর একটা ছােট্ট গল্প শােনাই হার না মানার । 

       ২২ বছরের তরুণী রাত্রি , রাত্রি মেনন বি এ পাশ করার পর ইনকাম ট্যাক্সের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল এক দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে । তীব্র গতি ছিল গাড়িটার । রাত্রি মাঝখানের প্যাসেজে দাঁড়িয়ে বেসিনে মুখ হাত ধুচ্ছিল । পাশেই খােলা দরজা । হঠাৎ কে বা কারা যেন এক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল রাত্রিকে । কিছু বুঝে ওঠবার আগেই লােহার চাকায় গুড়িয়ে পিষ্ট হয়ে গেল রাত্রির ডান হাতখানা আর মেরুদণ্ডের হাড়খানা চৌচির হয়ে গেল ফেটে । 

       মুহূর্তে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল মেয়েটা । কিন্তু সহসা আবার আর একটা ট্রেনের গর্জনে জ্ঞান ফিরে এলাে তার । দেখল আবার আর একটা ট্রেন দৈত্যের মতাে ধেয়ে আসছে তার দিকে ওই একই লাইনের ওপর দিয়ে । 

        প্রাণপণে চেষ্টা করতে লাগল রাত্রি কোনােমতে শরীরটাকে লাইনের ওপর থেকে একটুখানি সরিয়ে নিয়ে যেতে । কিন্তু এমনই দুর্ভাগ্য তার যে একচুলও নড়াতে পারল না সে নিজেকে আর ভয়ঙ্কর যন্ত্রদানব তার একখানি পা গুড়িয়ে দিয়ে চলে গেল । 

        অর্ধমৃত অবস্থায় লাইনের ওপরই পড়েছিল রাত্রি মেননের ছিন্নভিন্ন দেহটা । কতােক্ষণ পর কে জানে একটা ইঞ্জিন চালিয়ে শান্টিংয়ে আনছিলেন এক ড্রাইভার । তারই প্রথম নজরে পড়ল । তিনি রাত্রিকে লাইন থেকে তুলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করে দিলেন । 

        ডাক্তাররা রাত্রির জীবনের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন । এমনকি তারা একথাও পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন যে যদিও বা কোনােমতে বাঁচেও , সারাজীবন রাত্রিকে বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে । 

        ডাক্তারদের আলােচনা পৌঁছে গিয়েছিল রাত্রির কানে । মাত্র ২২ বছরের জীবনের তৃষ্ণায় ভরপুর এক তরুণী সে । সে কেন শুয়ে থাকতে যাবে সারাজীবন ? কতাে কাজ আছে তার করবার । পৃথিবী থেকে পাবার , পৃথিবীকে দেবার কতাে অফুরন্ত সম্ভাবনার ভাণ্ডার লুকিয়ে রয়েছে তার মধ্যে । সে কি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে ?

      না , হাল ছেড়ে দিলে চলবে না । মনকে শক্ত করল রাত্রি । ঐকান্তিকভাবে প্রার্থনা করতে লাগল আমি বাঁচব , বাঁচব , বাঁচব ...। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষ যেমন করে বাঁচে ঠিক তেমন সসম্মানে , সানন্দে , স্বনির্ভরতায় । 

       তীব্র ইচ্ছাশক্তির জোরে আশ্চর্য ফল ফলল রাত্রির জীবনে । অপারেশনের পর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এল সে । 

       এরপর তার পায়ের সঙ্গে লাগিয়ে নেওয়া হল কাঠের এক নকল পা ও হাত । প্রথম প্রথম খুব যন্ত্রণা ও অসুবিধা হলেও প্রচণ্ড মনের জোরে ধীরে ধীরে রীতিমতাে সহজ হয়ে গেল তার এই কৃত্রিম হাত পা ব্যবহারের প্রণালী । 

        এবার নেমে পড়ল শ্রুতি প্রতিযােগিতার লড়াইয়ে । পর পর তিনটি পরীক্ষা দিল সে ইনকাম ট্যাক্স - এ এবং প্রতিবারই প্রথম স্থান অধিকার করে নিল । বর্তমানে রাত্রি ইনকাম ট্যাক্সের ইন্সপেক্টর হিসাবে ভারত সরকারের অধীনে কর্মরত । 

      পৃথিবীর কাছে প্রমাণ করে দিয়েছে সে তার যােগ্যতা । সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে মনের জোর হল এমন এক আশ্চর্য অলৌকিক শক্তি যা যে কোনাে পরিস্থিতিতে , যে কোনাে মুহূর্তে যে কোনাে মিরাকল ঘটিয়ে দিতে পারে । যেমন ঘটেছে তার নিজের জীবনে । 

         Adversity is the diamond dust that heaven polishes its jew els with 

                                                                     - Leighton

বিঠোফেনের সফলতার কাহিনী | Best Powerful Motivational Success Story | Inspirational stories of success

বিঠোফেনের সফলতার কাহিনী | Best Powerful Motivational Success Story | Inspirational stories of success

 বিঠোফেন 

      পৃথিবীর মানুষ তাঁকে চেনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে । পুরােনাম লাডুইগ ভন বিঠোফেন । হাজার হাজার দর্শক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মন্ত্রমুগ্ধের মতাে শুনতাে তাঁর পিয়ানাের সুর আর বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেত । আজও তার সিম্ফনীগুলি বিশ্বের যে কোনাে সুররসিক ব্যক্তির কাছে এক অমূল্য সম্পদ । সে সুর শােনা এক অনির্বচনীয় অভিজ্ঞতা । 

       কিন্তু ভাবতে পার ? অদৃষ্টের এমনই পরিহাস যে সারা পৃথিবী যাঁর সুরে মুগ্ধ সেই বিঠোফেন নিজেই কখনাে শুনতে পাননি তার নিজের রচিত শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতগুলাে । কারণ তার আগেই তিনি সম্পূর্ণ বধির হয়ে গিয়েছিলেন । কিন্তু হাল ছাড়েন নি । নির্মম ভাগ্যের কাছে নতিস্বীকার করেন নি । বরং আরাে নিষ্ঠা , আরাে একাগ্রতার সঙ্গে মগ্ন হয়ে গিয়েছিলেন সঙ্গীত সাধনায় ।

         ১৭৭০ সালে জার্মানীতে জন্ম বিঠোফেনের । সঙ্গীত শিল্পী বাবার কাছেই পিয়ানােয় হাতে খড়ি তার । মাত্র / বছর বয়স থেকেই বাবার দেখাদেখি দিনরাত পিয়ানাে নিয়ে নাড়াচাড়া করতেন । খেলাচ্ছলে যেমন খুশি আঙুল চালাতেন পিয়ানাের বুকে । আর এমনি করতে করতেই কখন সবার অজ্ঞাতে বিঠোফেন হয়ে দাঁড়ালেন একজন পাক্কা শিল্পী । মাত্র দশ বছর বয়সেই সারা দেশে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল তার । 

        হঠাৎ মা মারা গেলেন । বাবা তাকে পাঠিয়ে দিলেন বাের্ডিং স্কুলে । সেই স্কুলেই একদিন বিঠোফেনের দেখা হয়ে গেল বিখ্যাত সুরকার যােশেফ হেডেনের সঙ্গে । যােশেফ বিঠোফেনের বাজনা শুনে অবাক হয়ে গেলেন । 

        এরপর যােশেফের পরামর্শে ভিয়েনায় চলে এলেন বিঠোফেন । ভিয়েনা সঙ্গীতের পীঠস্থান । যােশেফের সাহায্যে একের পর এক রচনা করতে লাগলেন আশ্চর্য সব শিম্ফনী । ভিয়েনায় গুণগ্রাহীর অভাব নেই । হাজার হাজার শ্রোতা টিকিট কেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুগ্ধ হয়ে বসে । এইসব শিম্ফনী বা সুরলহরী শুনে যেত আর বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে ভাবত এমন স্বর্গীয় সুর এতােটুকু একটা ছেলের হাত থেকে বের হওয়াও কি সম্ভব ? 

        সহসাই দুর্ভাগ্য নেমে এলাে বিঠোফেনের জীবনে । এমন দুর্ভাগ্যের কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বিঠোফেন । ফিফথ ও সিক্সথ শিম্ফনী রচনার সময় তিনি বুঝতে পারলেন যে একটু একটু করে বধির হয়ে যাচ্ছেন । যা বাজাচ্ছেন তার সবটুকু যেন তার কানে পৌছচ্ছে না । যেন দূর থেকে ভেসে আসা পথিকের গানের মতাে তা ক্রমশ একটু একটু মিলিয়ে যাচ্ছে দূর থেকে আরাে দূরে । 

       বাচ্চা হলেও বুদ্ধিমান বিঠোফেন বুঝতে পারলেন কি হতে চলেছে । কিন্তু ভেঙে পড়লেন না । একজন শিল্পী যদি সুর শুনতেই না পায় তবে কেমন করে সৃষ্টি করবে সে ? 

      তবু হাল না ছেড়ে দিনের পর দিন আরাে বেশি সময় দিয়ে মগ্ন হয়ে রইলেন সুরে । প্রতিটি নােট বা স্বরলিপির সুর যেন হৃদয়ের মধ্যে একেবারে গেঁথে নিতে চাইলেন যাতে কোনাে ভুল না হয় ।

      সপ্তম অষ্টম শিম্ফনী রচনা হয়ে গেল অতি দ্রুততার সঙ্গে । কিন্তু নবম সিম্ফনী রচনা শেষ হবার আগেই সম্পূর্ণ বধির হয়ে গেলেন তিনি । 

       তবু থামলেন না । সম্পূর্ণ আন্দাজে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসে ভর করে শেষ করলেন নাইনথ শিম্ফনী । 

      কাজ শেষ করে বিষন্ন শান্ত মনে বসেছিলেন বিঠোফেন । কাউকে ডেকে শােনাবার কথা মনে হবার আগে ভাবছিলেন কি জানি কেমন হয়েছে এই গান । হয়তাে শ্রোতারা শুনে বলবে বিঠোফেনের আগের সৃষ্টির তুলনায় এটি একেবারেই নিকৃষ্ট হয়েছে । অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী মনটি বলল- না না- হৃদয়ের সুরে বাঁধা সঙ্গীত , মানুষের ভালাে লাগবেই লাগবে । 

       যাই হােক , ফুলের সুরভী চাপা থাকে না । মানুষ বিঠোফেনের নাইনথ শিম্পনী শুনল এবং সবাই একবাক্যে বলল- এইটাই বিঠোফেনের সমস্ত শিম্ফনী মধ্যে শ্রেষ্ঠ । অন্য কিছু না করে বিঠোফেন যদি শুধু এই নাইনথ শিম্ফনী টুকুই রচনা করতেন তা হলেও জগতে তিনি অমর হয়ে থাকতেন । ঠিক যেমন অমর হয়ে আছেন আজ , সরস্বতীর বরপুত্র বধির বিঠোফেন । বধির হয়েছিলেন বলেই বিশ্বসংসারের কল কোলাহল থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে সরিয়ে এনে একটি মাত্র বিষয়ের প্রতি পুরােপুরি মগ্ন হতে পেরেছিলেন । আর তাই পেয়েছিলেন সাধনায় অভূতপূর্ব সিদ্ধি । 

                                ' Every cloud has a silver line !'

আমাদের আর ও মহিয়সীদের সফলতার কাহিনী :-