নিস্তব্ধ দুপুর আমার ও তিনের শত্রু | আহমেদ ফারুক | Nistobdho Dupur Amar O Tiner Shotru | Ahmed Faruk। Love junction

নিস্তব্ধ দুপুর আমার ও তিনের শত্রু | আহমেদ ফারুক | Nistobdho Dupur Amar O Tiner Shotru | Ahmed Faruk। Love junction

     প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে আহমেদ ফারুকের  নিস্তব্ধ দুপুর আমার  ও তিনের শত্রু লেখাটা রইলো তোমাদের জন্য।

নিস্তব্ধ দুপুর আমার ও তিনের শত্রু

আহমেদ ফারুক

বিনীতা মেয়েকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে আছে দুই সপ্তাহ যাবৎ
আমি একাকি বাসায় থাকি,কেউ থাকে না
কাশ হলো দুইদিন ধরে,বুকের ব্যথাটা হয়ত বাড়ছে
আমি বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে আছি দুপুরের নিস্তব্ধতায়
কেমন ভয়াবহ নিস্তব্ধতা—অন্য বাসার বারান্দায় একটা তিনের শিশু দাঁড়িয়ে আছে
আমি হয়ত মরে যাব কিছুক্ষণের মধ্যে—বুকের ব্যথাটা বেড়েছে
বিনীতার জন্যে মায়া হচ্ছে,মেয়েটার জন্যে বেশি
আমি মরে যাব ভেবে খারাপ লাগছে না—খারাপ লাগছে আমি মরে যাব কেউ দেখবে না—
ঘরের হাড়ি—পাতিলগুলোর জন্যে কেমন মায়া লাগছে 
সেগুলোকে একা রেখে চলে যাব
আমার মউত হয়ত ঝুলে আছে বারান্দার চেপে থাকা পর্দায়
আমি মরে যাব—কেউ কাঁদবে না

শিশুটা এতক্ষণে দুইটা গ্রিল উপরে উঠে গেছে
ধীরে ধীরে আরো উপরে উঠার চেষ্টা করছে
আর দুইটা গ্রিল উপড়ে উঠার পর সে সাত তলা থেকে নিচে পড়ে যাবে
আমার ভয় হচ্ছে তিনের শিশুটার জন্যে

আমার খুব পানি খেতে ইচ্ছে করছে
চোখের পাতা কেমন যেন বুজে আসছে
বিনীতাকে ফোন করতে ইচ্ছে করছে খুব—কিন্তু করব না
বিনীতার সঙ্গে গত দুই বছরের স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছে স্পষ্ট
আমার দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আছে—তবুও স্মৃতিগুলো এত স্পষ্ট কেন

আমি একাকি মরে যাচ্ছি দুপুরের নিস্তব্ধতায়
তার আগেই সাত তলার বারান্দার গ্রিল থেকে নিচে পরে মরে গেল তিনের শিশুটা
আহ, মায়া লাগছে খুব—দেখতে ইচ্ছে করছে শিশুটার চেহারার কি হাল হলো

আমার আর দৃষ্টি শক্তি নেই—আমি কি সত্যিই মরে যাচ্ছি
এই ভয়াবহ দুপুর আমার ও তিনের শিশুটার শত্রু হয়ে গেল
বিনীতা,তুমি আর এ-বাড়িতে এসো না—

সমাপ্ত 

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

  • Bangla poem,
  • Bangla Kobita,
  • Ahmed Faruk,
  • Nistobdho Dupur Amar o tiner shotru,
  • Ahmed Faruk poem,
  • Bangla Kobita Collection,
  • Poem,
  • Bangla kobita lyrics,
  • Bangla kobita,
  • Poem Bengali,

শত বছর দেখিনা তোমায় | সুবর্ণা দাশ | Shoto bochor dekhi na tomai | Subarna Das | Love junction

 শত বছর দেখিনা তোমায় | সুবর্ণা দাশ | Shoto bochor dekhi na tomai | Subarna Das | Love junction

    প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে সুবর্ণা দাশের এর শত বছর দেখিনা তোমায়  লেখাটা রইলো তোমাদের জন্য।

 শত বছর দেখিনা তোমায়

সুবর্ণা দাশ 

এক পলক দেখার আক্ষেপ! 

 মনে হয় কত শত বছর দেখিনা তোমায়। 

কত দিন যায় কোলাহলে, রাত্রি যাপন করি নির্ঝনে।

অশ্রুবারি যেনো নদীর মতো বেয়ে যায় প্রেমিকার দু'গালে,

ওষ্ঠাধার যেনো তুষারে হিম হওয়া কম্পমান।

প্রেমিকার এলো কেশ উড়ছে যেনো ছেড়া পালের ন্যায়।

এ প্রতীক্ষা কেবল তোমাকে দেখার।

কত রাত যে পার হয়ে যায় ছাদের কোণায় বসে,

আকাশের পানে চেয়ে তারা গুণতে গুণতে। 

কিন্তু, তোমার আশার প্রহর যেনো শেষ হতে চায় না।

তোমার অপেক্ষার প্রহর গুলো যেনো থমকে আছে প্রতি পদে পদে।


বলোতো, কত শত বছর দেখিনা তোমায়?

আমার আক্ষেপ যেনো বেড়েই চলেছে।

আমি কল্পনায় চোখে হারাচ্ছি তোমায় বারংবার। 

তুমি আসবে তো?

আমার অপেক্ষার প্রহরের পালা কবে শেষ হবে, বলতে পারো?


তুমি জানো,সারাদিনটা শত ব্যস্ততায় কাটিয়ে দিলেও 

রাতটা আমায় পীড়া দেয়।

আমি তোমায় দেখার আক্ষেপে নির্ঘুম রাত যাপন করি।


হয়তো এই জন্মে আমাদের আর দেখা হবে না। 

কিন্তু পরজন্মে?

পরজন্মে আমি কিন্তু তোমায় আর ছাড়ছি না।

পরজন্মে আমি তোমায় আমার আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখতে চাই।

তাই মানুষ নয়,পরজন্মে আমরা না হয় নীল তিমি হয়ে জন্মাবো।

সারাদিন তোমার সাহচর্যে কাটাবো।

আর কখনো তুমি হারিয়ে গেলে,

স্বেচ্ছায় তীরে গিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করবো।

তখন হয়তো আর এই আক্ষেপের যন্ত্রণা থাকবে না,

কত শত বছর তোমায় দেখি না।

সমাপ্ত 

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

আমাদের আর ও গল্প পড়ুন :-👇👇