Agami । আগামী। Nilima Nil। Love junction। Sad Story Bengali

      প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে নিলীমা নীল এর আগামী লেখাটা রইলো তোমাদের জন্য।

আগামী  

নিলীমা নীল 

  "উমা। নাতি নাতনির মুখ না দেখেই আমরা ওপারে চলে যাব, এটাই কী তোমরা চাইতেছো? পাঁচ বছর তো হইলো এবার একটা চিন্তা ভাবনা করো। আমাদেরও তো বয়স হয়েছে।"

    শাশুড়ির কথায় একটুও মন খারাপ হয়নি। বরং সাফিনের উপর বেজায় রাগ হলো। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য যতবার বলেছি, ততবারই সাফিন বিভিন্ন অজুহাতে বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছে। সবার ধারণা আমরা ইচ্ছে করেই বাচ্চা নিচ্ছি না। আসল কারণ কেউ জানে না।

 'সাফিন, তোমার সঙ্গে আমার কথা আছে?'

আমার বলার ভঙ্গিতেই সাফিন বুঝে নিয়েছে, আমি বেশ রেগে আছি ৷ 

একগাল হেসে সাফিন আমার পাশে এসে বললো, "জ্বী, বেগম সাহেবা। আপনার মূল্যবান বক্তব্য শ্রবণ করার জন্য এই বৎস প্রস্তুত।"

"শোনো, একদম ঢং করবে না। ডাক্তারের কাছে কবে যাচ্ছি আমরা?"

"আগামী মাসে। এ মাসে হাতে একদমই সময় নেই গো।"

"তোমার এই আগামী মাস কখনোই আসবে না, আমার ভালো করে জানা আছে।"

"ডাক্তারের কাছে গিয়েই বা কী হবে?"

"কী হবে এটা তুমিও জানো। অবান্তর প্রশ্ন করো না।"

সাফিন চুপ করে রইলো। আমি সাফিনের হাতের মধ্যে হাত গুঁজে দিয়ে বললাম, "আমাদের নিশ্চিত হওয়া দরকার আমরা আসলেই কখনো বাবা-মা হতে পারব কী না! যদি না পারি সেটা সবাইকে জানিয়ে দিলে আর কেউ অযথা প্রশ্ন করে মন খারাপ করে দিবে না এবং কেউ প্রত্যাশায়ও থাকবে না।"

আমার হাতটা চেপে ধরে সাফিন প্রশ্ন করলো, "যদি সমস্যাটা আমার হয়, তবে কী তুমি আমায় ছেড়ে চলে যাবে?"

"পাঁচ বছরে এই আমাকে চিনলে সাফিন?"

সাফিন চুপ করে তাকিয়ে রইলো। আমি সাফিনের কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে বললাম, "তুমি ছাড়া আমি, এমন কথা আমি কখনো কল্পনায়ও আনি না।"

"তোমাকে খুব ভালোবাসি জুলিয়া।"

"যদি সমস্যাটা আমার হয় তখনো কী বাসবে?"

"আজীবন।"

"সত্যি করে বলো তো, সমস্যাটা তোমার হতে পারে শুধু এই ভয়েই কী তুমি ডাক্তারের কাছে যেতে চাওনি?"

"আমার কেন যেন মনে হয়, সমস্যাটা আমারই। আর আমি তোমাকে হারাতে চাই না।"

"এসব ভাবার কোনোই দরকার নেই। চলো সামনের সপ্তাহেই ডাক্তারের কাছে যাই। বাবা-মা অস্থির হয়ে উঠেছেন। প্রায়ই আমাকে প্রশ্ন করেন।"

সাফিন রাজি হলে আমরা পরের সপ্তাহে ডাক্তারের কাছে গেলাম। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলে জানা যায়, সমস্যাটা আসলে সাফিনের নয়, আমার। যদিও ডাক্তার পুরোপুরি হতাশ করেননি। বলেছেন, সম্ভাবণা রয়েছে তবে খুব কম। কিন্তু আমি ডাক্তারের এই কথাটাকে কেবল সান্ত্বনা হিসেবেই ভাবছি। 

সাফিনকে নিয়ে ভয় হচ্ছে না। কিন্তু শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। তাদের ছেলের সমস্যা নেই জানলে নিশ্চয়ই তারা আমার বিপরীতে কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন। বংশের ধারা বহল রাখলে নতুন সদস্য তো তারা চাইতেই পারেন, তাদেরই বা কী দোষ!

তবে কী সাফিনের ভালোবাসা ভাগ হয়ে যাবে! ভাবতেই চোখ জোড়া ছলছলিয়ে উঠলো। সাফিন আমার হাতটা শক্ত করে ধরে আছে৷ এতদিন ওর চোখ জুড়ে শঙ্কা দেখেছি। আর এখন ওর জুড়ে স্বস্তি দেখছি। যেন কোনো কলঙ্কের দায় থেকে মুক্তি পেয়েছে সাফিন। 

বাড়ি ফিরলাম। সাফিনকে বললাম, বাবা-মাকে বিষয়টা জানানো প্রয়োজন। সাফিন বললো, পরে জানানো যাবে। তাই আর এ নিয়ে এখন কিছু ভাবছি না৷ 

নিজের মধ্যে কেমন একটা অসম্পূর্ণতা অনুভব করছি। দিন যত যেতে লাগলো অস্থিরতা বাড়তে লাগলো। একসময় শ্বশুর শাশুড়িকে বিষয়টা জানালাম। তারা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। আমাকে তারাই পছন্দ করে বেশ আগ্রহ সহকারে এ বাড়িতে নিয়ে আসেন। আমার কষ্ট হয়, এমন সিদ্ধান্ত নিতেও তারা বেশ হিমসিম খাচ্ছেন। 

শাশুড়ি মা বললেন, "চিন্তা করো না। আল্লাহ নিশ্চয়ই নিরাশ করবেন না৷ তাকে ডাকো।"

আমিও এই কথাই বিশ্বাস করি। সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই সুখবর দিবেন৷ 

    দেখতে দেখতে আরও একটা বছর কেটে গেলো। কিন্তু সুখবরের দেখা মিলছে না। ইদানীং সাফিন বেশ দেরি করে বাড়ি ফেরে। সবসময় ব্যস্ত থাকে, সবকিছুতে যেন ওর তাড়াহুড়ো। সকালের নাস্তাটাও প্রায়ই না করে বের হয়। অথচ আগে আমার হাতের নাস্তা দিয়েই ওর দিন শুরু হতো।

"জুলিয়া, অফিসের কাজের জন্য কয়েকদিন আমাকে ঢাকার বাহিরে থাকতে হবে।"

"আমাকেও নিয়ে চলো না।"

"অফিসের আরো সহকর্মীরা যাচ্ছে৷ তোমায় নিয়ে যেতে পারছি না। তুমি দয়া করে মন খারাপ করো না। তবে কথা দিচ্ছি, কাজ শেষ করে এসে তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাব।"

"তোমায় ছাড়া থাকতে খারাপ লাগবে সাফিন। অভ্যেস নেই তো।"

সাফিন আমায় ওর বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে বললো, "আমি যতদূরেই থাকি না কেন, আমার চিন্তা চেতনা জুড়ে সবসময় তুমিই আছো।"

সাফিন চলে গেলে বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগতে শুরু করে। রাতে ঘুমও হয় না ঠিকঠাক। সাফিনকে কল করলেও তেমন কথা হয় না, কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছে। 

টানা পাঁচ দিন পর বাড়ি ফেরে সাফিন। বেশ ফুরফুরে লাগছে ওকে। ওর চোখে মুখ জুড়ে আনন্দ আর খুশি লেগে আছে। সাফিন মুখে খুব বললেও আমার কেন যেন মনে হচ্ছে না, ও এতদিন আমার জন্য মন খারাপ করেছে। বরং কেন যেন বারবার মনে হচ্ছে আমি ছাড়া ওর সময়টা আরও ভালো কেটেছে। 

তারপর থেকে সাফিনকে সবসময় বেশ খুশি খুশি লাগতে শুরু করে। মানুষ প্রেমে পড়লে যেমন তার ভেতরকার খুশি তার চেহারায় ফুটে ওঠে, সাফিনের বেলাও ঠিক তেমন মনে হচ্ছে। হয়তো অফিসে পদোন্নতি হতে চলছে খুব শীঘ্রই। আমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলেই হয়তো বিষয়টা লুকিয়ে রেখেছে। আমি উপরওয়ালার কাছে খুব প্রার্থনা করি, যেন সাফিনের মনোবাসনাটা পূর্ণ হয়। 

সাফিনের প্রায়ই রাত করে বাড়ি ফেরা, সারাদিন ফোনে ব্যস্ত থাকা, বাড়ি ফিরলেও ফোন নিয়ে পড়ে থাকা, কখনো কখনো বাড়িই না ফেরা, ওর এই ব্যস্ততাগুলো আমার থেকে ওকে ক্রমশ দূরে নিয়ে যাচ্ছে। আমায় নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা তো বেমালুম ভুলে বসে আছে। তবে কী সাফিন তার ভেতরের দুঃখ ভোলার জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখার প্রয়াস চালাচ্ছে! বাবা না হওয়ার দুঃখটা যে অনেক বড় একটা যন্ত্রণা। 

কেটে যাচ্ছে সময় বিষন্নতায়। সাফিনকে কাছে পাই খুব কম সময়। দিন রাত খেটে চলছে অফিসের পেছনে। এত কষ্ট করে কী লাভ! কী হবে এত টাকা দিয়ে! আমাদের তো কোনো ভবিষ্যৎ নেই। 

"বউমা, সাফিন বাড়ি ফিরেছে?"

"না, মা। আজ মনে হয় ফিরবে না।"

"কী যে হয়েছে ছেলেটার! নিজের দিকে খেয়াল নেয় না একটুও।"

চুপ করে রইলাম। সাফিনকে কল করলে দেখি নাম্বার বন্ধ। অন্ধকার গিলে খাচ্ছে আমায়। এখন যেন একা থাকতেই আমার অভ্যেস হয়ে যাচ্ছে। 

পরদিন সকালে সাফিন ফোনে জানায়, "অফিসের কাজে সাত দিনের জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছে। সঙ্গে সহকর্মী আরিফ সাহেব যাচ্ছেন।"

জিজ্ঞেস করলাম, "ব্যাগ গুছিয়ে রাখবো। এসে নিয়ে যাবে?"

"দরকার হবে না। ওখানে গিয়ে ব্যবস্থা করে নিব।"

শেষ কবে সাফিন ফোনে আমার সঙ্গে একটু সময় নিয়ে কথা বলেছে, আমি একদম ভুলে গিয়েছি। ব্যস্ততার অজুহাতে আমি আমাকে সামলে নিচ্ছি। 

পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলো, সাফিন আমাকে একবারের জন্যও মনে করেনি। আমি ফোন করলেও কথা বলার যেন তার সময়ই নেই। 

বেশ কয়েকদিন যাবৎ শরীরটা একদম ভালো লাগছে না। ভাবলাম, সাফিন ফেরার আগে ডাক্তার দেখিয়ে আসি। শাশুড়ি মা'কে সঙ্গে নিয়ে বের হলাম।

ডাক্তার বললেন, পরদিন এসে টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে যেতে। ডাক্তারের ওখান থেকে বের হয়ে আমি আর শাশুড়ি মা কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে শপিংমলে এলাম। হঠাৎ সাফিনের সহকর্মী আরিফ সাহেবের সঙ্গে দেখা। 

কুশল বিনিময় শেষে জিজ্ঞেস করলাম, "কবে এলেন চট্টগ্রাম থেকে?"

আমার কথায় আরিফ সাহেব বিস্মিত হলেন। "চট্টগ্রাম তো যাইনি ভাবী।"

"কেন আপনি আর আপনার সাফিন ভাই কয়েকদিন আগেইতো চট্টগ্রামে গেলেন অফিসের কাজে! সাফিন তো এখনো ফেরেনি।"

"কী বলেন ভাবী! সাফিন ভাই তো সাত দিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন অফিস থেকে।"

আমার চোখ কপালে উঠলো। সাফিন আমার সঙ্গে মিথ্যা কথা বলবে না। আরিফ সাহেবেরই হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে।

"সাফিন তো এর আগেও একবার অফিসের কাজে ঢাকার বাহিরে গিয়েছিলো।"

"ভাবী আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। সাফিন ভাইকে কিংবা আমাকে এখনো অফিস ঢাকার বাহিরে কোথাও পাঠায়নি।"

মাথা ঘুরিয়ে এলো। সাফিন তাহলে মিথ্যা বলেছে আমার সঙ্গে। কিন্তু কেন! সন্দেহের কাটা বইছে মস্তিষ্ক জুড়ে। শরীরটা আরও খারাপ লাগছে। নিজেকে সামলে অপেক্ষা করতে লাগলাম সাফিনের ফেরার।

ডাক্তারের কাছ থেকে রিপোর্ট আনতে গিয়ে জানলাম, সত্যিই এবার আমি মা হতে চলছি। মুহুর্তেই যেন সব মন খারাপেরা দূরে সরে গেলো। খুশিতে চোখে জল জমে গেলো। আগামীকাল সাফিন বাড়ি ফিরবে। তখন ওকে এই খুশির খবরটা নিজেই জানাবো। তার আগে আর কাউকে জানাবো না বলে ঠিক করেছি। ও নিশ্চয়ই ভীষণ খুশি হবে। আমাদের মধ্যেকার সব দূরত্ব ঘুচবে এবার, ভাবতে আনন্দ যেন বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে।

পরদিন সাফিন বাড়ি ফেরে। সাফিনের চালচলন সবই আমার কাছে সন্দেহজনক লাগে। যেন এ এক অন্য সাফিন, আমার সাফিন নয়। বারবার মনে হয় সাফিন কিছু লুকাচ্ছে। এদিকে খবরটা জানানোর জন্য ভেতরে ভেতরে ছটফট করে চলছি কিন্তু সঠিক সময়টাই যেন পাচ্ছি না।

সাফিন ওয়াশরুমে গেলে আমি ওর ফোনটা হাতে নেই। এত বছরে আমি কখনোই ওর ফোন এভাবে সন্দেহ নিয়ে ধরিনি। আজ প্রথমবার সাফিনের ফোনে তল্লাশি চালাচ্ছি। মনে মনে প্রার্থনা করে চলছি, যেন আমার সব সন্দেহ ভুল প্রমাণিত হয়। 

মেসেজ বাক্সে চোখ রাখতেই কেঁপে উঠলাম। একটার পর একটা করে মেসেজগুলো পড়ে চলছি। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। শরীরটা খুব দুর্বল লাগছে। নিজের চোখেই বিশ্বাস হচ্ছে না।

সাফিন হয়তো ভেবেছে আমি কখনোই ওকে সন্দেহ করতে পারি না। তাই ফোনের একটা ফোনকল, মেসেজও ডিলিট করেনি। আমার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না, সাফিন অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এতদিন আমাকে বোকা বানিয়ে সাফিন ওর সময়গুলো অন্য কারো সঙ্গে কাটিয়েছে। 

সাফিন ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আমার হাতে ওর ফোন দেখতেই আঁতকে ওঠে। আমার চোখ ভিজে জল গড়াচ্ছে। সাফিন অপরাধীর মত চুপ করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। 

চোখের জল মুছে প্রশ্ন করলাম, "বিয়ে করেছো নাকি শুধুই সময় কাটিয়েছো?"

মাথা নিচু করে উত্তর দিলো সাফিন, "বিয়ে করেছি। তুমি অনুমতি দিলে এ বাড়িতে নিয়ে আসব।"

তীরের মত বিধলো কথাটা বুকের মধ্যে। এই সাফিনকে আমি দিনের পর দিন এতটা বিশ্বাস করে গিয়েছি। 

"আমি মা হতে পারব না বলেই কী এমনটা করেছো নাকি আরও কারণ আছে?"

"জুলিয়া, আমাকে ভুল বুঝো না। সবারই তো বাবা হতে ইচ্ছে করে।"

"সবার মা হতে বুঝি ইচ্ছে করে না সাফিন! অথচ তুমি আমাকে একসময় হারানোর ভয় পেতে। কিন্তু তুমি অপেক্ষা করতে পারলে না।"

"অপেক্ষা করেই বা কী হত? লাভ হতো কোনো?"

চোখে টলমল করে উঠলো জলেরা। ভেতরে যন্ত্রণারা ছটফট করছে। ভাঙচুর হচ্ছে ভেতর জুড়ে। 

"তুমি তোমার স্ত্রী'কে এ বাড়িতে নিয়ে আসতে পারো।"

কথাটা বলেই ওয়াশরুমে ঢুকে পানির ট্যাপটা ছেড়ে দিলাম। হাউমাউ করে কাঁদার শব্দ আর বাহিরে বের হচ্ছে না। এ কষ্ট কোনো সান্ত্বনাই আটকাতে পারবে না। 

চোখ মুখ ধুয়ে বের হয়ে দেখি সাফিন বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছে। নিজের সবকিছু গুছিয়ে ব্যাগে ঢুকালাম। 

শাশুড়ি আর শ্বশুর বারবার প্রশ্ন করে চলছেন, "কী হয়েছে বউমা? কেন এমন করছো? কোথায় যাচ্ছো?"

শান্ত গলায় বললাম, "বাড়িতে আপনার নতুন বউমা আসছে আর পুরাতন বিদায় নিচ্ছে।"

ডাক্তারের থেকে পাওয়া রিপোর্টের কাগজটা শ্বশুরের হাতে দিয়ে বললাম, "এটা আপনার ছেলেকে দিবেন। বলবেন, তার বিয়েতে এটা আমার প্রথম উপহার। আর দ্বিতীয় উপহারের কাগজটা খুব শীঘ্রই পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে স্বাধীনভাবে সংসারটা সে করতে পারে।"

শাশুড়ি আমাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হলেন। আমার সামনের সময় কাটিয়ে দেওয়ার জন্য একজন সঙ্গী আমি পেয়ে গিয়েছি, আমার শত কষ্টের মাঝেও সে সুখের বার্তা হয়ে জীবনে এসেছে। তাকে ঘিরেই তো এখন আমার আগামী🙂🥀
সমাপ্ত

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

আমাদের আর ও গল্প পড়ুন :-👇👇

Tag:-

  • Sad story for facebook
  • Agami
  • Nilima Nil
  • Story in Bengali
  • Bangla sad love story
  • Love junction
  • Bangla golpo
  • valobasar golpo
  • love story
  • sad story bengali
  • bangla koster golpo
  • divorced story
  • break up story in Bengali 
Love Story :- This story is written by "Nilima Nil". Story name, "Agami". We are collected best love poemromantic poemsad poem and sad storylove storyfriendship story, romantic story in Bengali. We can also published your poem or story in Bengali. If you want to send your Bengali poem . Like sad poemromantic poem, love poem and many others poem in Bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website. Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment. Thank you so much.

0 Comments: