Erik Weihenmayer Biography In Bengali | Best Powerful motivational Success Story In Benagli | inspirational stories of success

Erik Weihenmayer Biography In Bengali | Best Powerful motivational Success Story In Benagli | inspirational stories of success

তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com".আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে এই কবিতাটি তোমার জন্য ।

এরিক ওয়াইহেনমায়ার 

       খুব একটা পরিচিত নয় নামটি । কিন্তু শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তির জোরে মানুষের অসাধ্য সাধনের যে ইতিহাস তাতে এরিক ওয়াইহেনমায়ারের নাম নিশ্চয়ই প্রথম সারিতেই লেখা থাকবে সােনার অক্ষরে ।

      নিউজার্সির একটি প্রাথমিক স্কুলে পড়বার সময় তেরাে বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ছিলেন এরিক । জন্মান্ধ তাে নন । এই আলাে ঝলমল , আনন্দমুখর পৃথিবীকে জীবনের ১৩ টি বছর ভালােভাবে দেখার পর , উপভােগ করার পর হঠাৎ একদিন সব আলাে মুছে গেল তার চোখ থেকে । চরম হতাশা আর দুঃখ চেপে বসল তাঁর জীবন জুড়ে ।

       সমবয়সী বন্ধুরা চিৎকার চেঁচামেচি করে মাঠে খেলা করত । এখানে ওখানে বেড়াতে যেতাে হৈ হৈ করে । পড়াশােনা করত । স্কুল থেকে ফিরে স্কুলের গল্প বলতাে । কতাে রকমের বিচিত্র অভিজ্ঞতার গল্প ।

       এরিক শুধু চুপচাপ বসে বসে শুনতেন । তার জীবনে কোনাে গল্প ছিল না । শুধু ছিল অন্ধকারের কালাে পর্দা টাঙানাে একটা কঠিন নির্মম বর্তমান । 

     এরিক বসে বসে ভাবতেন কেমন করে ছেড়া যায় এই পর্দাটাকে । লােকে তাকে যখন করুণা করে , দয়া দেখিয়ে বলে আহা রে ! বেচারা অন্ধ ! তখন সবচেয়ে দুঃখ হয় তাঁর । সবচেয়ে অপমানিত লাগে । নিজেকে । কারাে দয়ার পাত্র তাে তিনি হতে চান না । চান সবার মতাে নিজের পায়ে দাঁড়াতে । স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে । 

      অবােধ বালক সব ভুলে ছুটে যায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে । বন্ধুরা অনুকম্পা দেখিয়ে তাকে বসিয়ে দিয়ে যায় মাঠের পাশে । কেউ বা ছড়ে দেয় বিদ্রুপের তীর । 

      একদিন মনের মধ্যে জেদ চেপে গেল । দেখিয়ে দিতে হবে ওদের । সবাইকে । হলেই বা অন্ধ , ওরা যা যা পারে , তিনিও তা পারেন । এমনকি যা ওরা পারে না , তাও করে দেখাতে হবে । প্রতিবন্ধী মানেই যে অক্ষম , অকর্মণ্য , দয়া বা বিদ্রুপের পাত্র— এই ধারণাটাই পাল্টে দিতে হবে মানুষের । 

      এরিক ভীষণ ভালােবাসতেন খেলাধুলাে । কিন্তু দৃষ্টিশক্তি হারাবার পর কেউ আর তাকে খেলায় নেয় না । একা একা আর যাই হােক , খেলা তাে যায় না ! তাই ভাবতে লাগলেন এমন কি খেলা আছে , যা নিজেই খেলা যায় , একা একা ! মাউন্টেনিয়ারিংকেই শেষ অবধি মনে ধরল । ছেলেবেলায় স্কুলের বইতে পড়েছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট । এরিকের মনে হল এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গে জয় করা মােটেই সহজ ব্যাপার নয় । পৃথিবীর বেশ কিছু মানুষ এই অসাধ্য সাধন করতে পেরেছেন , কিন্তু তারা সবাই ছিলেন পূর্ণাঙ্গ মানুষ । এরিকের মতাে প্রতিবন্ধী যদি এই দুর্জয় শৃঙ্গ জয় করতে পারেন তবে তাে সেটাই হবে আশ্চর্যের আশ্চর্য ! 

       বন্ধুদের ঠাট্টা বিদ্রুপ আর অনুকম্পার উচিত মতাে জবাব দেওয়া হবে । লক্ষ্যস্থির করে নিয়ে উঠে পড়ে লাগলেন এরিক অনুশীলনে । 

     ভর্তি হয়ে গেলেন বাড়ির কাছাকাছি এক মাউন্টেনিয়ারিং স্কুলে । একটানা বছরের পর বছর অনুশীলন করতে করতে পর্বতের চড়াই , উৎরাই সব মুখস্ত হয়ে গেল এরিকের । বরফ ঢাকা শৃঙ্গের ওপর দিয়ে কেমন করে চলতে হয় পরস্পরের কোমরে দড়ি বেঁধে , কেমন করে দড়ির মাথায় বাঁধা গাঁইতি ছুঁড়ে দিলে তা আটকে যায় কঠিন বরফের খাঁজে আর তাই বেয়ে বেয়ে কাঠবিড়ালীর মতাে উঠে যায় অভিযাত্রীরা এক শৃঙ্গ থেকে আর এক শৃঙ্গে— এ সমস্তই জলের মতাে মুখস্থ হয়ে গেল এরিকের , একনিষ্ঠ অভ্যাসের ফলে ।

       মহাভারতে আছে মহাবীর অর্জুন নির্ভুল লক্ষ্যভেদ অভ্যাস করবার জন্য চাঁদ তারা বিহীন ঘন অন্ধকার অমাবস্যার রাত্রে তীর ধনুক লক্ষ্যভেদ অভ্যাস করতেন ।

      এরিকের অভ্যাস ছিল অনেকটা তেমনই । শিক্ষাশেষে ২০০১ সালে এরিক ইউরােপীয় অভিযাত্রী দলের সঙ্গে যাত্রা করলেন । দৃষ্টিহীন দুচোখের সামনে তার তখন শুধু গগনচুম্বী , তুষার মৌলী এভারেস্ট ।

      অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হল । বিশ্বের সর্বপ্রথম দৃষ্টিহীন এভারেস্ট বিজয়ী হিসেবে অমর হয়ে রইল তার নাম । এরিক ওয়াইহেন মায়ার শুধু তাঁর সহপাঠী বন্ধু বা আত্মীয়দের কাছেই নয় , সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছেই এই বাণী পৌছে দিলেন যে প্রতিবন্ধী বলে আজকের পৃথিবীতে কোনাে শব্দ নেই ।

       মানুষ যদি ইচ্ছে করে ঐকান্তিক ভাবে কিছু পাবার জন্য , যদি পরম নিষ্ঠাভরে অনুশীলন চালিয়ে যায় , তবে জগতের যে কোনাে প্রতিবন্ধকতাকেই সে জয় করে নিতে পারে ।

        ‘ মূকং করােতি বাচালং পঙ্গুং লংঘ্যয়তে গিরি । 

       Patience and perseverance overcome mountains .

                                                                        -Gandhiji

success story :- This success story written by jayanti chakrabarti. This story revolves around Erik Weihenmayer like Erik Weihenmayer biography. We are collected this type success story that revive your lost mind. You get more success story on Bengali in our website. And I think  all success story will take place in your mind. So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story. Thank you so much.         

বার্নার্ড প্যালিসি এর সফলতার কাহিনী | Motivational Story In Bengali

 বার্নার্ড প্যালিসি এর সফলতার কাহিনী | Motivational Story In Bengali

 বার্নার্ড প্যালিসি 

       ফ্রান্সের এক পাড়াগাঁয়ে জন্ম বার্নার্ড প্যালিসির। মানুষটি ছিলেন সৌখিন শিল্পী মনের মানুষ সাধারণত ফরাসিরা যেমন হয় ঠিক তেমনি । সারাদিন ছবি এঁকে , কাচে রঙ করে ভারি আনন্দে সময় কাটাতেন তিনি । মাঝে মঝে অবশ্য জরীপের কাজে এখানে ওখানে যেতে হত । সেটাই আসলে তার পেশা ছিল। আর ছবি আঁকা , কাচ রাঙানাে এসব ছিল নেশা । প্যালিসি তার পেশার চেয়ে নেশার পিছনেই বেশি সময় ব্যয় করতেন । 

       একদিন জরীপের কাজে এক জায়গায় গিয়ে প্যালিসির চোখে পড়ে গেল একটি মাটির পেয়ালা , যাকে আজকের ইংরেজি ভাষায় বলে কাপ । কাপটি দেখে প্যালিসি একেবারে আশ্চর্য হয়ে গেলেন । জিনিসটি সাধারণ মাটির তৈরি হলে কি হবে তার ওপর ছিল চমৎকার পালিশ করা এনামেলের কাজ । নিশ্চয়ই ফ্রান্সের বাইরের কোনাে দেশে তৈরি । একমাত্র ইটালির লােকেই জানে এইরকম আশ্চর্য বাসন তৈরির রহস্য। কিন্তু পাছে তাদের ব্যবসা মার খায় এই ভয়ে তারা সাবধানে সেই তত্ত্ব গােপন করে রেখেছিল । 

      প্যালিসি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে বসলেন ওই রকম বাসন তৈরি না করে তিনি ছাড়বেন না । যেমন প্রতিজ্ঞা তেমন কাজ। দিন নেই , রাত নেই প্যালিসির মনে একমাত্র চিন্তা , একমাত্র কাজ সৌখিন চকচকে মাটির বাসন বানাতেই হবে । 

      বাড়ির উঠোনে মস্ত এক উনুন বানিয়ে সারাদিন সেই উনুনে রাশি রাশি মাটি আর ভাঙা পাথরের গুড়াে গলিয়ে চলেছেন । নিজে লেখাপড়া কিছুই শেখেন নি । মাটির বাসনের ব্যবসায় কোনােদিন কোনাে অভিজ্ঞতাও নেই । সুযােগ বুঝি সহকারীরা বেশ দুপয়সা ঠকিয়ে নিতে লাগল উল্টোপাল্টা বুদ্ধি দিয়ে । প্যালিসির স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্যরাও এই উদ্ভট পাগলামি দেখে বিরক্ত হয়ে উঠল । কিন্তু প্যালিসির কোনােদিকে কোনাে ভ্রুক্ষেপ নেই । সারাদিন উনুনের পাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলীর মধ্যে বসে বসে তিনি নিজের মনে একের পর এক এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছেন— ঠিক কি কি মিশিয়ে গলালে সেই গলিত পদার্থ চকচকে পালিশের কাজ করবে ঠিক যেমনটি তিনি চাইছেন । 

      টানা ২ বছর হাড়ভাঙা পরিশ্রম করার পর মােটামুটি একটা মশলা পাওয়া গেল । প্যালিসি শ - তিনেক মাটির কাপ তৈরি করে তার ওপর সেই মশলার প্রলেপ লাগিয়ে ৮ মাইল দূরের এক ব্যবসায়ীর চুল্লীতে পুড়তে দিলেন । বেশ কয়েকদিন ধরে কাপগুলাে পুড়ল । চুল্লীর আঁচ নিবলে পর দেখা গেল অতগুলাে কাপের মধ্যে মাত্র একটি কাপের গায়ে পালিশ ধরেছে । চমৎকার সাদা পালিশ । আনন্দে আটখাটা হয়ে গেলেন প্যালিসি । এবার তার মনে হল চুল্লীর দোষেই আগুন সব জায়গায় সমানভাবে পড়েনি । তাই একটি মাত্র কাপে পালিশ ধরেছে । 

       এই ভেবে প্যালিসি নিজের বাড়িতেই বাগানে একটি চুল্লী বানিয়ে ফেললেন । কুমােরদের হাঁড়ি কলসি পােড়াবার জন্যে যেমন পােন বা বিশাল চুল্লী থাকে সেইরকম একটা চুল্লী প্যালিসি নিজেই বানিয়ে নিলেন । ইটের পাজা থেকে ইট কিনে নিজেই মাথায় করে বয়ে আনলেন । তারপর ইটের পর ইট সাজিয়ে কুমােরদের নকলে চুল্লী তৈরি হল । এবার মাত্র একশাে মাটির কাপ তৈরি করে তার গায়ে মশলার প্রলেপ মাখিয়ে আবার পুড়তে দিলেন চুল্লীতে । অধীর আগ্রহ নিয়ে প্যালিসি বসে রইলেন চুল্লীর পাশে ।

        কিন্তু মশলা যে গলতেই চায় না । একদিন দুদিন করে ছয়দিন ছয়রাত পার হয়ে গেল । চুল্লীর আগুন নিভে গেল । কিন্তু কাপগুলি যেমন ছিল তেমনিই রয়ে গেল । 

      প্যালিসি কিন্তু হাল ছাড়লেন না । আবার নতুন করে কাঠ খুঁজে দিলেন চুল্লীতে । নাওয়া নেই , খাওয়া নেই , প্যালিসি সারাদিন কাঠ গুজে চলেছেন গনগনে আগুনের মধ্যে । 

      ক্রমে সব কাঠ ফুরিয়ে গেল । প্যালিসি তখন বাগানের কাঠের বেড়া ভেঙে আগুনের মধ্যে চালিয়ে দিলেন । তাও যখন ফুরােল তখন বাড়ির চেয়ার টেবিল যা সামনে পেলেন সব ভেঙে ভেঙে গুজে দিতে লাগলেন আগুনের মধ্যে । এদিকে বাড়িতে তখন রীতিমতাে কান্নাকাটি পড়ে গেছে ।

        ছেলেমেয়ের হাত ধরে প্যালিসির স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসে উদভ্রান্তের মতাে দৌড়তে লাগলেন আর লােকজনকে ডেকে ডেকে বলতে লাগলেন তার স্বামী পাগল হয়ে গেছেন । ঘরদোর সব ভেঙেচুরে পুড়িয়ে দিচ্ছেন । লােকে কৌতূহলী হয়ে প্যালিসির বাড়ি ছুটে এল ব্যাপারখানা কি দেখার জন্য ।

        কিন্তু প্যালিসির বাগানে গিয়ে ব্যাপার দেখে তাে সকলের চক্ষু চড়কগাছ । ততক্ষণে প্যালিসির চুল্লীর আঁচ নিভে গেছে । আর সেই গরম চুল্লীর ভেতর থেকে অতি সাবধানে একটি একটি করে কাপগুলি বের করছেন তিনি আর ঠাণ্ডা হতে মেলে দিচ্ছেন খােলা বাতাসে । প্রতিটি কাপের গায়ে তখন চমৎকার সাদা পালিশ ধরেছে । দেখে আর চোখ ফেরানাে যাচ্ছে না । 

       নিজের দৃঢ় মনােবল আর অমানুষিক পরিশ্রমের পুরস্কার পেলেন প্যালিসি । 

      তার উৎসাহ আরাে বেড়ে গেল । ঠিক করলেন প্রচুর বাসন এভাবে পালিশ লাগিয়ে পুড়িয়ে বিক্রি করবেন । সুন্দর জিনিসগুলাে সহজেই পছন্দ করবে লােকে । প্রচুর লাভ হবে তার ব্যবসায় । কিন্তু কাজটি মােটই সহজ ছিল না । একজন কুমােরকে দিয়ে নিজের মনের মতাে ডিজাইনের বেশ কিছু বাসন তৈরি করালেন প্যালিসি । কিন্তু চুল্লীতে দেবার পর আগুনের তাপে চুল্লীটাই ফেটে গেল আর বাসনগুলােতে কালি ঝুলির দাগ পড়ে সেগুলাে একেবারে বিশ্রী হয়ে গেল । 

       এবারেও ধৈর্য হারালেন না প্যালিসি । হাল ছাড়লেন না । পরম ধৈর্য সহকারে আবার চুল্লিটি মেরামত করে নিলেন । তারপর বাসনগুলাে ভেঙে আবার নতুন বাসন গড়ালেন ।

       কিন্তু হায় রে ! আবার যেই না সেগুলােকে চুল্লীতে ঢুকিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিলেন— আবার ফেটে গেলাে চুল্লী । বার বার এরকম চলতেই লাগল ।

       কিন্তু কিছুতেই হাল ছাড়লেন না প্যালিসি । লােকে তাকে দেখলেই পাগল বলে খেপাত । স্ত্রী পুত্র পর্যন্ত তার ধারে কাছে ঘেঁষত না । সেই অবস্থার মধ্যেও সারাদিন বাগানে রােদ , বৃষ্টির মধ্যেও বসে বসে নিজের কাজ করে যেতেন । টানা ষােলােটি বছর এরকম সাধনা চালাবার পর অবশেষে সফল হলেন প্যালিসি । ফ্রান্সের রাজা খুশি হয়ে নানা পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত করলেন তাঁকে । জয় হল ধৈর্য , নিষ্ঠা ও অক্লান্ত অধ্যবসায়ের ।

         Do not give way , hold tight . It is when everything seems lost that all is saved .

                                                     - The Mother

চার্লস ডিকেন্সের সফলতার কাহিনী | Charlse Dickence Success Story | Bangla motivational success story |

চার্লস ডিকেন্সের সফলতার কাহিনী  | Charlse Dickence Success Story | Bangla motivational success story |

 চার্লস ডিকেন্স 

Adversity causes some men to break , others to break record . 

       বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ কথা সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্স সম্বন্ধে এই প্রবাদটি ভীষণভাবে সত্যি । প্রতিকূলতা বা বাধার সামনে কেউ কেউ ভেঙে পড়ে আবার কেউ বা ভেঙে দেয় যাবতীয় রেকর্ড । 

      সত্যিই চার্লস ডিকেন্স নিদারুণ দুঃখকষ্টের মধ্যে জীবন শুরু করেছিলেন আর শেষ করেছিলেন সব রেকর্ড ভাঙা ইংল্যান্ডের জনপ্রিয়তম ঔপন্যাসিকের সিংহাসনে বসে । 

      এখানে কষ্ট করে আর কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাবার পথ খুঁজতে খুঁজতেই একদিন তিনি উঠে এসেছিলেন সার্থকতার শীর্ষে । 

       ১৮১২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের পাের্টস মাউথে ডিকেন্সের জন্ম । বাবা জন ডিকেন্স নৌ বিভাগে সামান্য কেরাণীর চাকরি করতেন । দরিদ্রের সংসার অনেকগুলি ছেলেমেয়ে । তাই অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী ।জন বাধ্য হয়ে ঋণ করতেন , ঋণ করতে করতে এমন একটা সময় এলে যখন ঋণশােধ করবার কোনাে ক্ষমতাই রইল না জনের । দেনার দায়ে জেলে যেতে হল তাকে ।

        ডিকেন্সের বয়স তখন মাত্র বারাে বছর । পরিবারের একমাত্র রােজগেরে সদস্য জেলে যাওয়ায় ওই বারাে বছর বয়সের বালকটিকেই এগিয়ে আসতে হল সংসারের হাল ধরতে । স্কুল টুল ছেড়ে দিয়ে ডিকেন্স এক কারখানায় শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজে ঢুকে গেলেন । তার মাইনে ছিল প্রতিদিন সিলিং । এই টাকায় কোনােরকমে গ্রাসাচ্ছাদূনটুকু হয়তাে সম্ভব কিন্তু ঋণশােধ তাে সম্ভব নয় । তাই স্কুলে ফেরা আর হলাে না ডিকেন্সের । 

       তবে কারখানার হাড়ভাঙা পরিশ্রমের চাকরির হাত থেকে রেহাই পেলেন । বছর তিনেক বাদে এক উকিলের অফিসে অফিস বয় - এর কাজ পেলেন । বছর পনেরাে মাত্র বয়স তখন ডিকেন্সের । এই বয়সেই অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরে উঠেছে তার । জীবনের অন্ধকার দিক , শিশু শ্রমিকদের নির্যাতিত জীবন , কিভাবে মুনাফালােভী শয়তানেরা ছােটো ছােটো শিশুদের ধরে এনে ছুঁড়ে দেয় অন্ধকার জীবনে , তাদের দিয়ে চুরি , ডাকাতি , ছিনতাই , খুন ইত্যাদি যাবতীয় অপকর্ম করায়– এসবই জানা হয়ে গেছে তার । পরবর্তী জীবনে এই সমস্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতি নিঙড়েই ডিকেন্স রচনা করেছিলেন তাঁর অবিস্মরণীয় অলিভার টুইস্ট , নিকোলাস নিকোলবি ইত্যাদি উপন্যাস । 

        যাই হােক , চার্লস ডিকেন্স উকিলের অফিসে বয়ের কাজ করতে করতে ক্রমে উন্নীত হলেন কেরাণীর পদে । উপার্জন কিছুটা বাড়ল ।

        নিজের চেষ্টায় অবসর সময়ে বইপত্র পড়ে পড়ে নিজেকে ক্রমাগত তৈরি করে চললেন চার্লস ডিকেন্স । ক্রমাগত এই আত্মনির্মাণ , দিনের পর দিন এই সাধনা তার সিদ্ধির পথ প্রশস্ত করে দিল । অল্পদিনের মধ্যেই চার্লস আদালতের রিপাের্টারের পদে উন্নীত হলেন ।

        কিন্তু পিতৃঋণ তখনও তার মাথার ওপরে ঝুলে আছে বিরাট একটা পাহাড়ের মতাে ।

        ইতিমধ্যে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি শুরু করে দিয়েছেন । জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতাই তার লেখার মশলা । চার্লস দেখলেন লেখালেখিতে বেশ দু পয়সা আসে । চাকরির বাইরে এভাবে যদি লেখালেখিটাই ভালােভাবে চালানাে যায় তাহলে হয়তাে একটু একটু করে একদিন পিতৃঋণের বিশাল পাহাড়টাকেও ঘাড় থেকে নামিয়ে ফেলা যাবে ।

        দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে , কষে কলম ধরলেন চার্লস ডিকেন্স । বিরাট কোনাে মহৎ উদ্দেশ্যে নয় , স্রেফ পিতৃঋণ পরিশােধের স্বপ্নে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের ছােটো বড়াে নানা অভিজ্ঞতাকে মূলধন করে একের পর এক লিখে চললেন উপন্যাস । দিনভর অফিসে কাজ করে এসে রাতভাের লেখা । লিখতে লিখতে একদিন দেখলেন সমস্ত ঋণ শােধ হয়ে গেছে তার বাবার । আর নিজে হয়ে পড়েছেন পৃথিবী বিখ্যাত ঔপন্যাসিক , চার্লস ডিকেন্স যাঁর প্রতিটি লেখাই বেষ্ট সেলার । 

       Adversity causes some men to break , others to break records 

                                                                 .-- William A Ward

সমাপ্ত 

কলম্বাসের সফলতার কাহিনী | Colombas Success Story | Bangla Motivational Success Story

কলম্বাসের সফলতার কাহিনী | Colombas Success Story | Bangla Motivational Success Story

 কলম্বাস 

         কলম্বাস যে আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন একথা তােমরা সবাই জানাে । কিন্তু এই আবিষ্কারের পিছনে যে কী ভীষণ সংগ্রাম আর কী মরণপণ ঝুঁকির ইতিহাস লুকিয়ে আছে , সেই গল্পই আজ তােমাদের শােনাব ।

        ক্রিস্টোফার কলম্বাস ছিলেন ইতালির এক হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে । কিন্তু গরিবের ঘােড়া রােগ হবার মতাে গরিবের ছেলে কলম্বাসও স্বপ্ন দেখতেন একদিন মস্ত বড়াে নাবিক হবেন । শহরে সমুদ্র ফেরৎ কোনাে নাবিক এলেই কলম্বাস ইনিয়ে - বিনিয়ে তার সঙ্গে ভাব জমাত , তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে শুনতে উত্তাল তুফান , ডুবুডুবু জাহাজ , জীবন - মৃত্যু একটি বিন্দুতে এসে দাঁড়ান ইত্যাদি নানা রােমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার গল্প । এসব কাহিনি শুনতে শুনতে তিনি বিভাের হয়ে যেতেন আর ভাবতেন কবে কেমন করে তিনিও একদিন ভেসে পড়বেন অকূলে— উন্মাদ সমুদ্রের ওপর দিয়ে ভাসতে ভাসতে পৌছে যাবেন অজানা অচেনা কোনাে এক স্বপ্নের দেশে । 

       এসব আজ থেকে প্রায় পাঁচশাে বছর আগেকার কথা । তখন ইউরােপ থেকে ভারতে আসতে হলে পূর্বদিকে পারস্য উপসাগরের ওপর দিয়ে জাহাজে চড়ে আসতে হত । এছাড়া অন্য কোনাে পথ ছিল । সময়ও লেগে যেত মাসের পর মাস , পথে বিপদও ছিল প্রচুর । 

      ইতিমধ্যে গ্যালিলিও আবিষ্কার করেছেন যে পৃথিবী গােল । কলম্বাস ভাবলেন , পৃথিবীটা যদি গােলই হয় তবে পূর্বদিক দিয়ে গেলে যেখানে পৌছনাে যাবে পশ্চিম দিক ধরে গেলেও সেইখানেই পৌছানাে যাবে । তিনি যাকেই পান তাকেই তার এই বিশ্বাসের কথা বলেন আর বলেন , একটু সুযোেগ যদি কেউ করে দেয় তবে তিনি হাতেনাতে প্রমাণ করে দেখাবেন । কিন্তু কলম্বাসের কথা শুনে সকলেই হেসে উড়িয়ে দিত । কেউ সমর্থন করলেও কি করে এটা বাস্তবে করে দেখানাে সম্ভব হবে সে ব্যাপারে কোনাে হদিশ দিতে পারত না । 

       এদিকে কলম্বাসের মাথায় জেদ চেপে গেছে । শেষকালে এমন হল , নাওয়া নেই , খাওয়া নেই , সমস্ত দিনরাত তিনি মশগুল হয়ে রইলেন সমুদ্রপথে ভারতযাত্রার স্বপ্নে । দেশের যেখানে যত ধনী লােক আছে তাদের ঠিকানা যােগাড় করে , তিনি তাদের কাছে চিঠি পাঠাতে লাগলেন নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে । এমনকি ইতালির বাইরে ইউরােপের অন্যান্য দেশের ধনী ব্যক্তিদের কাছেও দিনের পর দিন চিঠি লিখে চললেন কলম্বাস । রাজা মহারাজারাও বাদ গেলেন না । 

      কিন্তু কে কলম্বাস ? একটা গরিব মুখ্যু - সুখ্যু  লােক , তার না আছে কোনাে অভিজ্ঞতা না আছে লােকবল কিংবা অর্থবল । কেউ চেনে না , কেউ জানে না , এমন লােককে বিশ্বাস করে কে দেবে টাকা পয়সা , জাহাজ আর লােকলস্কর ? কোনাে চিঠিরই উত্তর এল না । কলম্বাসও হাল ছাড়লেন না । 

       আমরা যে সময়ের কথা বলছি , সে সময়টা ছিল ইউরােপের ব্যবসা বিস্তারের যুগ।শিল্পবিপ্লবের ফলে ইউরােপের কলকারখানায় রাশি রাশি উৎপাদন হয় । সে সব জিনিস বিক্রির জন্য চাই নতুন নতুন দেশে নতুন নতুন বাজার । তাই স্পেন , পর্তুগাল , ইতালি রােম , ইংল্যান্ড , ফ্রান্স সকলেই বড়াে বড়াে জাহাজ নিয়ে নেমে পড়েছিল সমুদ্রে । স্পেন আর পর্তুগাল আবার সবচেয়ে বাণিজ্যে এগিয়ে কারণ তাদের দেশের লােকেরা ছিল নৌকা চালানাের ওস্তাদ । এইরকম একটা সময়ে কলম্বাসের প্রস্তাবটা মােটেই হেলা ফেলা করার মতাে নয় বরং যথেষ্ট সে বেচারা গরিব , অনভিজ্ঞ আর লােভনীয় । তবু যেহেতু অজ্ঞাত - অখ্যাত তাই তার কথাটায় কেউ পাত্তাই দিল না । 

        কলম্বাসও হাল ছাড়লেন না । এক বছর গেল , দুবছর গেল ক্রমে একদিন ঘুরতে ঘুরতে কলম্বাস এসে পড়লেন পর্তুগালে । যাকে পান তাকেই বলে বেড়ান তার পরিকল্পনার কথা । রাজবাড়িতে তাে ঢুকতে পান না তাই রাজার কাছে আসা - যাওয়া আছে এমন লােক খুঁজে খুঁজে তাদের কাছে বলেন সব । যদি কোনে সুরাহা হয় । 

       ক্রমে রাজার কানে কথাটা পৌছল । তিনি ভালাে মানুষ । তিনি ভাবলেন বেশ তাে , লােকটা যদি সত্যি কোনাে শর্টকাট পথ বার করতেই পারে তাহলে সমুদ্র বাণিজ্য অনেক বেশি সহজ আর লাভজনক হয়ে উঠবে । দেশে আসবে প্রচুর সম্পদ । প্রজারা সুখী হবে । তিনি মন্ত্রীদের বললেন লােকটার সঙ্গে দেখা করে ব্যাপারটার খোঁজ নাও | 

        মন্ত্রীরা কলম্বাসকে ডেকে পাঠাল । তারপর তার কাছ থেকে সব কথা শুনে নিয়ে বলল তােমার যাতায়াতের খরচ বাবদ সমস্ত টাকার হিসেব আর যাত্রাপথের একখানা নকশা দাও । রাজাকে দিয়ে মঞ্জুর করাতে হবে । মহা উৎসাহে কলম্বাস সরল মনে তুলে দিলেন সবকিছু তাদের হাতে । এবার শয়তান ধূর্ত মন্ত্রীরা রাজার বরাদ্দ করা টাকা আর কলম্বাসের নকশা নিয়ে গােপনে নিজেরাই কয়েকজন পর্তুগীজ নাবিককে পাঠিয়ে দিলেন পশ্চিমমুখী সমুদ্রপথে । কলম্বাস যখন জানতে পারলেন কি ভয়ানক নির্মমভাবে ঠকানাে হয়েছে তাকে , তখন ক্ষোভে - দুঃখে হতাশায় আর পর্তুগীজদের প্রতি ঘৃণায় সমস্ত অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল তার । কিন্তু হাল ছাড়লেন না ।

        আবার পথে এসে দাঁড়ালেন । শূন্য হাতে ঘুরতে ঘুরতে এবার এসে পড়লেন স্পেনে । স্পেনের রানি ইসাবেলার ভারী মায়া হল ছেলেটাকে দেখে আর তার স্বপ্নের কথা শুনে । কিন্তু স্পেন ছােট্ট দেশ , চট করে অজ্ঞাতকুলশীলের মুখের কথায় নেচে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢেলে দেওয়া তাে যায় না । তাই তিনি কলম্বাসকে অপেক্ষা করতে বললেন । কলম্বাসও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে লাগলেন । 

       এক বছর দু - বছর করে সাত সাতটা বছর কেটে গেল তার স্পেনের রাজসভায় আবেদন নিবেদন জানাতে জানাতে । ক্রমাগত ফিরিয়ে দিতে দিতে অবশেষে একসময় মন গলল রানির । তিনি আশ্বাস দিলেন সমুদ্রযাত্রার জন্য প্রয়ােজনীয় সব ব্যয় বহন করবে স্পেন । 

       ধৈর্যের জয় হল । নির্দিষ্ট দিনে ১৪৯২ খ্রি . প্রচুর লােকজন নিয়ে স্পেনের সমুদ্রতীর থেকে যাত্রা শুরু করলেন কলম্বাস । নিনা , পিন্টা আর সান্টামারিয়া এই তিনটি বিশাল বাণিজ্যতরী নিয়ে সােজা পশ্চিমমুখে যাত্রা শুরু করলেন কলম্বাস ভারতবর্ষের উদ্দেশ্যে । এতদিনে স্বপ্ন সত্য হল তার । অথৈ সমুদ্রের বুকে ভেসে চলার দুর্লভ সুযােগ পেয়েছেন তিনি । কিন্তু শেষ রক্ষা হবে কি ? রানির এতগুলি টাকা , এতগুলি মানুষের প্রাণ সব এখন  তার হাতে । ভারতবর্ষে পৌছতে পারলে তবেই না সার্থক । যতদিন যায় তত টেনশন বাড়তে থাকে কলম্বাসের । 

       দেখতে দেখতে দু - দুটো মাস কেটে গেল । ডাঙ্গার চিহ্নমাত্র নেই । সঙ্গের লােকজন ক্রমশ বিরক্ত হয়ে পড়েছে । খাবারদাবারের ভাণ্ডারও শেষ হয়ে আসছে দ্রুত । নাবিকরা প্রথমে আড়ালে , তারপর প্রকাশ্যেই তার সমালােচনা করতে লাগল । তাকে বার বার চাপ দিতে লাগল । দেশে ফিরে যাবার জন্য । তারা বলতে লাগল ঢের হয়েছে । কলম্বাসের মতাে আনাড়ী লােকের সঙ্গে সমুদ্রে আসাটাই তাদের ভুল হয়েছে । এবার মানে মানে দেশে ফিরতে পারলে বাঁচা যায় । না হলে জাহাজ - সুদ্ধ সকলকেই অকুল সমুদ্রের মাঝখানে অনাহারে মরে পচতে হবে । এই বিপদের মধ্যে এল আর এক নতুন বিপদ । দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার ধকলে বা অন্য কোনাে কারণে কলম্বাসের সঙ্গীদের মধ্যে কয়েকজন মারা গেলেন । 

       চিন্তার রেখা পড়ল এবার কলম্বাসেরও কপালে । জাহাজের ডেকের ওপর দাঁড়িয়ে দিকচিহ্নহীন সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার কেবলই মনে হতে লাগল তবে কি সবটাই ভুল হল তার ? দিকভ্রষ্ট হয়েছে  তার যাত্রা ? আনাড়ী মানুষের এতখানি ঝুঁকি নেওয়াটা ঠিক হয়নি ? 

       কিন্তু এতগুলি বছরের স্বপ্ন , এত চেষ্টা , এত অর্থব্যয় সবই কি বৃথা হবে ! একজন বিশ্বাসী নাবিক এসে চুপি চুপি কলম্বাসের কানে কানে বলল নাবিকরা যড়যন্ত্র করছে আপনাকে খুন করার । যদি প্রাণে বাঁচতে চান এখুনি জাহাজের মুখ ঘােরান ।

       শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলেন কলম্বাস । মৃত্যুভয় নয় , মানুষের বিশ্বাসঘাতকতা আর ক্ষুদ্রতা তাকে বােবা করে দিয়েছে । কিন্তু না ; হাল ছাড়তে তিনি নারাজ । মেরে ফেলে ফেলুক তবু শেষপর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি । নিচে নেমে এসে নাবিকদের আরাে একবার ভালাে করে বােঝাবার চেষ্টা করলেন । কিন্তু না , কেউ কোনাে কথাই শুনতে রাজী । নয় । প্রতিহিংসা , আতঙ্ক আর নিষ্ঠুরতায় জ্বলজ্বল করছে তাদের চোখ । কলম্বাস আবার ফিরে এলেন ডেকে । স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলেন অন্ধকার সমুদ্রের দিকে । 

      এর মধ্যে ৭০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে । হয়তাে আজকের রাতটাই জীবনের শেষ রাত । প্রিয় পৃথিবী আর অতি প্রিয় এই সমুদ্রকে কলম্বাস শেষবারের মতাে প্রাণভরে দেখে নিতে চান । সমস্ত রাত ওইখানে একভাবে দাঁড়িয়ে রইলেন কলম্বাস । একটি বারের জন্য চোখের পাতা বন্ধ করলেন না । 

       ক্রমে ভাের হয়ে এলাে । পূবের আকাশে দেখা দিয়েছে হাল্কা গােলাপী রঙা ঈশ্বর । শেষবারের মতাে প্রণাম জানিয়ে ডেক থেকে নেমে আসছিলেন কলম্বাস । কিন্তু একটি দৃশ্যে তার চোখ আটকে গেল হঠাৎ, একি ! একটা ভাঙা সবুজ ডাল ! ঢেউয়ের মাথায় মাথায় নাচতে নাচতে ভেসে চলেছে নিরুদ্দেশের পথে ।

       তবে কি কাছেই এসে গেছে তীরভূমি ! তবে কি -

      কলম্বাস নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলেন না । এবার দূরবীন চোখে দিয়ে দিগন্তরেখার দিকে তাকালেন । ওই তাে ! ওই তাে অস্পষ্ট তটরেখা । ওই তাে জীবনের আশ্বাস , জয়ের বিজয় পতাকা । 

       তার চিৎকারে দলে দলে নাবিক ও খালাসীরা জাহাজের ডেকে চলে এলাে । কেউ আনন্দে জড়িয়ে ধরল । কেউ পায়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমা ভিক্ষা করতে লাগল । কলম্বাস কাউকে কোনাে শাস্তি দিলেন না বা তিরস্কারও করলেন না । 

       বহু কষ্টে অর্জন করা জয়ের আনন্দে তিনি তখন আকাশের মতাে মহান ও উদার । মনে মনে তখনই তিনি দ্বীপটির নাম রেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ । তার ধারণা ছিল তিনি ভারতের পশ্চিমের কোন দ্বীপে এসেছেন । আসলে সেটি ছিল আমেরিকার বাহামা দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি একটি স্থান । 

       পরবর্তী কালে আরাে কয়েকবার সমুদ্র অভিযান করে কলম্বাস উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশির ভাগটাই আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন । 

       তাই আমেরিকা মহাদেশের সঙ্গে গরীব আনাড়ী নাবিক কলম্বাসের নাম অমর হয়ে থাকবে চিরদিন আর থাকবে নির্ভীক , ধৈর্যবান , কিছুতে হার না মানা , হাল না ছাড়া মানুষদের ইতিহাসে উজ্জ্বল , অম্লান একটি নাম হয়ে ।

       To be able to lead others , you must be willing to for ward alone . 

                                                                                       -Harry S. Truman

সমাপ্ত 

আমাদের আর ও মহিয়সীদের সফলতার কাহিনী :-

আর ভালোবাসি না তোমায় | Ankan das | Bengali love poem । Bengali poem by ankan das

আর ভালোবাসি না তোমায় | Ankan das | Bengali love poem । Bengali poem by ankan das

তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com".আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে এই কবিতাটি তোমার জন্য ।  


আর ভালোবাসি না তোমায় 

অঙ্কন দাশ 

আজ সকালে ভেঙে  উঠে আমি দেখলাম 

তোমার গায়ের নীল ওড়না টা আর নেই ,

তুমি যেন একটা ধূসর ওড়না গায়ে জড়িয়ে 

সকাল হওয়ার আগেই উঠে চলে গেছো বিছানা থেকে ।

বাসি মুখে Good Morning টা  ও Missing বিছানার পাশে ।

বেশ অনেক্ষন ভাবার পর খেয়াল হলো 

হ্যাঁ , আজই তো সেই দিন ।


কাল রাতেই তো তোমার সাথে সমস্ত রঙের গল্প গুলো মুছে ফেলে,

একটা ধূসর রং মেখে আমি এগিয়ে চলে এসেছি এতো টা দূরে ।


আচ্ছা এই যে রোজ দিন সকালে আমার বালিশ জুড়ে একটা আগুন রং লেগে থাকতো ,

কাল রাত থেকে তাতে একটা মন খারাপের গল্প লেগে আছে কেন বলতো ?


সেই যে প্ৰিন্সৰ ঘাটের কলিজমা বিকালে পা ডুবিয়ে জেনেছিলাম,

এক মুঠো গল্পের ঘুম পাড়ানি গান 

কেমন যেন তোমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা দিয়ে ।


আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম ,

"তুমি মিথ্যা হবে না তো কোনো দিন ?"

নিজেকে ভাঙার আগে ,

তোমাকে অবিশ্বাস করার আগে 

তুমি সামলে নেবে তো এই ভাবেই ?


কই কোনো দিন বলোনি তো !


একটা রাতের দফাতেই তুমি এতো টা দূরে চলে যেতে পারো ?


কাল রাতে ও যখন ঝগড়া থেমে যাওয়ার পরে 

তুমি চুপ করে ছিলে ,

আমি বারং বার তোমায় জিজ্ঞাসা করেছিলাম 

বলে দাও ,

শেষ বারের মতো কিছু বলার থাকলে বলে দাও ।

তখন ও তুমি কান্না ভেজা গলার উপস্থিতি লুকানোর জন্য, 

"না কিছু বলার নেই "

এই বলেই কাটিয়ে যাচ্ছিলে 

তারপরে ও শেষে স্বীকার করে নেওয়াটা কি খুব প্রয়োজন ছিল ?


তোমার মনে আছে ?

একদিন ভীষণ বৃষ্টির মধ্যরাতে 

তুমি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেছিলে 

মেঘ ডাকলে আমার আর ভয় করে না বুঝলে অঙ্কন 

মনে হয় এই অনন্ত বিস্তৃত আকাশের একেকদিন এই ভাবে গলা ছেড়ে চিৎকার করার ইচ্ছা হতেই পারে ।

আমি অবাক হয়ে তোমাকে বলেছিলাম ,

"ধুর পাগলি "

এতে আকাশের কোনো ভূমিকা নেই 

মেঘে মেঘে ঘষা লেগেই এরকম শব্দ হয় ।


তোমাকে সেদিন রাতেই বার বার জিজ্ঞাসা করেছিলাম ,

"বলো না "

তোমার কিছু বলার থাকলে বলে দাও আমাকে,

তুমি সেদিন ও হেসে সমস্ত মেঘের গর্জনকে নিজের মধ্যে ঢুকিয়ে বলেছিলে ,

"ঘুমিয়ে পড়ো 

কাল সকালে বলবো ।"


আচ্ছা কাল সন্ধ্যা বেলা আমার কি দরকার ছিল বলো তো ,

তোমার জন্য আবদার কিনতে যাওয়ার ।

যদি না যেতাম ,

যদি না দেখতাম ,

আমার সব থেকে পছন্দের লাল চুড়িদারটা পরে 

তুমি অনির্বানের সঙ্গে ঠোটে ঠোট লাগিয়ে বসে আছো । 

কি এমন ক্ষতি হয়ে যেত আমাদের ?

অনেক দিন ধরেই তো জানি ,

জেনে গেছি ।

প্রতি রাতে আমাকে মিষ্টি কথা আর দু একটা চুমুতে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার পরে ও ,

তোমার যে আর ও অনেকটা দায়িত্ব বাকি থাকে ।

নিজের শরীরের প্রতিটা লোমকূপকে 

অন্যের শরীরের শিহরিত হতে দেওয়ার 

এতটা নেশা কিভাবে লাগলো তোমায় ?

না জানতে তো চাইনি কোনো দিন 

সবটা জেনে যাওয়ার পরে ও ,

কোনোদিন তো তোমার কাছ থেকে শুনতে চাই নি 

আমি তো বুঝতাম ।

আমি তো বুঝতাম এই সব প্রশ্নের মুখোমুখি হলে 

তোমার মধ্যে একটা আকাশ বোবা হয়ে যায় ,

তোমার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে এক পাহাড় ছাপিয়ে নেওয়া নদী ,

তোমার শরীর থেকে শব্দের গন্ধ হারিয়ে যায় নিমেশে । 

আর তার জন্যই তো রাত দিন এই দেওয়া নেওয়া সম্পর্কটাকে 

একটু একটু গুরুত্বহীন হয়ে যেতে দেখেও 

চুপ করে থাকতাম ।

আর রাতের শেষে ঘুমানোর আগে সেই একই প্রশ্ন তোমাকে বার বার জিজ্ঞাসা করতাম ।

জানতে না কি শুনতে চাইতাম রোজ ?


" হ্যাঁ ভালোবাসি তোমায় "

এই মিথ্যা মতো দেখতে সত্যি কথাটা যদি একদিন বলে দিতে না আমায় ,

আর কোনো দিন ভালোবাসতাম না তোমায় ।

আর কাল রাতে কেমন অদ্ভুত সুরে তুমি সেটা ও বলে দিলে !


হ্যাঁ  আমি জানি তুমি ভালোবাসো আমাকে ।

না, আমাদেরকে 

আর আমার মতো আর ও অনেক কাউকে যেন ভালোবাসতে পারো ,

এই ইচ্ছা নিয়ে আজ সকাল থেকেই আর ভালোবাসি না তোমায় ‌।


শুধু ভালোবাসি সেই মিথ্যা তুমিটাকে ,

যে রোজ দিন সম্পর্কটাকে  খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে যেতে ঠিক সামলে নিয়ে আবার বুকের মধ্যে আগলে নিতো ।

কারণ ওই অনন্ত বিস্তৃত প্রাচীন আকাশের মতন 

আমার ও গলা  ফাটিয়ে চিৎকার করতে ইচ্ছা হয় একান্তে ।


সমাপ্ত 

Bengali Love Poem :- This poem is written by Ankan Das. We are collected best love and romantic poem in bengali. We can also published your poem or story in bengali.If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website.Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment.Thank you so much.


চার্লস ডারউইনের সফলতার গল্প | Charles Darwin success story | Bangla success story |

চার্লস ডারউইনের সফলতার গল্প | Charles Darwin success story | Bangla success story |
Bangla success story :- This success story written by Jayanti Chakrabarti.This story revolves around Charles Darwin.We are collected this type success story that revive your lost mind.You get more success story on bengali in our website. And I think  all success story will take place in your mind.So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story.Thank you so much.       

চার্লস ডারউইন 

মানুষ পৃথিবীতে এলাে কেমন করে ? এই প্রশ্নটি যুগ যুগ ধরে মানুষকে ভাবিয়েছে । কতাে ভাবেই না মানুষ খুঁজে বেড়িয়েছে তার উত্তর ।
     
      কিন্তু পায়নি ।
     
      সঠিক উত্তরটি মানুষকে যিনি জানালেন , শুধু জানালেনই না বিশ্বের বড়াে বড়াে বিজ্ঞানীদের ডেকে প্রমাণ করে দিলেন যে তিনি ঠিক কথাই বলছেন তিনি হলেন চার্লস ডারউইন । বিবর্তন বাদের আবিষ্কারক । 

     তিনি বললেন যে জেলিফিস নামক এক ধরনের সামুদ্রিক এককোষী প্রাণী থেকেই পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব । তারপর থেকে প্রাণীজগৎ আর উদ্ভিদ রাজ্যে এসেছে অসংখ্য বিচিত্র প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ । তারা ক্রমাগত পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে খাওয়াতে একটু একটু করে উন্নত হয়েছে । মানুষ হচ্ছে সেই উন্নয়ন ধারার সবচেয়ে শেষ পর্যায়ের জীব । এই মতবাদের নাম দিয়েছিলেন ডারউইন Theory of revolution বা বিবর্তনবাদ । 

     এতােবড়াে একটা আবিষ্কার যিনি করেছিলেন বিশ্বের মহা মহা বিজ্ঞানী বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন যার কথা শুনে সেই চার্লস ডারউইনকে কিন্তু এককথায় একজন মূখই বলা যায় । স্কুল থেকে শিক্ষকরা তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন ।

      কেনই বা দেবেন না ? চার্লস প্রতিদিন স্কুলে এসে পেছনের বেঞ্চে চুপচাপ বসে থাকতেন । বন্ধুদের সঙ্গে বড়াে একটা খেলাধুলাে বা গল্পগাল করতেন না । শুধু জানলার বাইরে তাকিয়ে তাকিয়ে ড্যাবড্যাবে বড়াে বড়াে চোখ দুটি দিয়ে একমনে দেখে যেতেন গাছপালা , পাখি , প্রজাপতি , নানান কীটপতঙ্গ । মাস্টারমশাইরা পড়া জিজ্ঞেস করলে বিপন্ন মুখে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতেন । ফলে জুটত শাস্তি । তাতে অবশ্য চার্লসের কোনাে আক্ষেপ ছিল না কারণ ক্লাসের বাইরে বের করে দিলেই বাইরের জগৎটাকে আরাে কাছে থেকে দেখার সুবিধা হতাে তার ।

     ধীরে ধীরে শিক্ষকরা হাল ছেড়ে দিলেন । চার্লস স্কুলে নিয়মিত আসাও বন্ধ করে দিল । অর্ধেক দিনই অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতে হয় বেচারাকে । পড়া তৈরি হয় না । বছরের পর বছর একই ক্লাসে পড়ে থাকে । শেষে শিক্ষকরা একদিন চার্লস - এর মা - বাবাকে ডেকে বললেন এ ছেলের আর কি হবে না । একে বাড়িতে নিয়ে যান । কাল থেকে আর স্কুলে আসবার দরকার নেই । 

     বেঁচে গেল চার্লস । বাবা মা - ও রুগ্ন ছেলেকে বকাবকি না করে নিজের যা ভালাে আগে তাই করবার স্বাধীনতা দিলেন । 

     চার্লস সারাদিন বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় । মাঠে ঘাটে বনে বাদাড়ে কতাে রঙবেরঙের প্রজাপতি , কীটপতঙ্গ , পাখি । কতাে বিচিত্র সরীসৃপ । ডারউইন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে । যা কিছু তার চোখে অদ্ভুত লাগে তাকেই পকেটে পুরে ঘরে নিয়ে আসেন । ছােটো ছােটো কাচের জারে , শিশিতে , বােতলে ভরে রেখে দেন । কিছুদিনের মধ্যে রঙবেরঙের নানারকম বিচিত্র পােকামাকড়ে ভরে উঠল তার ঘর । বাড়িতে থাকলেই ডারউইন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোনাে একটা পােকার দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন । পােকাটার চালচলন একমনে লক্ষ করে যান । বন্ধুরা তার কাণ্ডকারখানা দেখে হাসে আর ঠাট্টা করে বলে আমাদের চার্লস মস্ত বড়া বৈজ্ঞানিক হবে । 

     এভাবে একবছর দুবছর নয় - বাইশটি বছর কেটে গেলো চার্লসের । লেখা পড়া কাজ কর্ম  কিছুই করলেন না । শুধু জীব জন্তু , পোকামাকড় সংগ্রহ করা আর তাদের গতিবিধী খাওয়া - ঘুম , সংসার যাত্রা - এই সব পুঙ্খানুপুঙ্খ  ভাবে লক্ষ্য করে যাওয়া - এই নিয়ে বাইশটি বছর কেটে গেলো তার । ততদিনে লোকে  আড়ালে পাগল বলতে শুরু করেছে তাকে । 

      এমনি সময় হঠাৎই একদিন এসে গেল একটা দারুণ সুযােগ । ডারউইন যেন মনে মনে এইটারই প্রতীক্ষা করছিলেন । বিগলস নামে একটা জাহাজ বেরিয়েছিল পৃথিবী ভ্রমণে । ডারউইন এসে তার ক্যাপ্টেনকে ধরে বসলেন তাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে । ভাড়ার টাকা দিতে পারবেন না তবে বিনা বেতনে সবরকম ফাইফরমাশ খেটে দিতে রাজী আছেন । 

      ক্যাপ্টেন রাজী হয়ে গেলেন । পাঁচ বছর ধরে বিলস্ জাহাজের সঙ্গে পৃথিবীর নানা দেশ ঘুরে বেড়ালেন তিনি । বনে জঙ্গলে আর পাহাড় পর্বতে ঘুরে ঘুরে অসংখ্য বিচিত্র সব প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করতে লাগলেন । নানা রকমের জীবজন্তুতে জাহাজ ভরে উঠল । 

    দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এই বিপুল পরিমাণ জীবজন্তু সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরে এলেন চার্লস । এরপর শুরু হল তার আসল সাধনা । দিনরাত ওইসব নতুন সংগৃহীত জীবজন্তুদের জীবনযাত্রার খুঁটিনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন আর মােটা এক নােটবুকে লিখে রাখতে লাগলেন তার অভিজ্ঞতার কথা । এইভাবে পার হয়ে গেল আরে কুড়ি বছর । চার্লস ততদিনে যৌবন পার হয়ে এসেছেন । বার্ধক্য উকি মারছে শরীরের আনাচে কানাচে । 

       দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা করতে করতে একটি গভীর সত্য উপলব্ধি করতে লাগলেন চার্লস । তাহল এই যে , প্রকৃতির রাজ্যে শুধুমাত্র টিকে থাকার জন্যেই প্রতিমুহূর্তে লড়াই করে চলেছে প্রাণীকুল । পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারলেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । এক একটি প্রজাতি । যারা মানিয়ে চলতে পারে তারা বেঁচে থাকে আর নিজের বৈশিষ্ট্যগুলিকে দিয়ে যায় ভবিষ্যত বংশধরদের মধ্যে । যতদিন টিকে থাকে এক একটি প্রজাতি তত পরিশীলিত হয় তাদের জীবনযাত্রা আর উন্নত হয় বুদ্ধিবৃত্তি । এভাবেই বাঁদর থেকে এসেছে বনমানুষ এবং বনমানুষ থেকে বিবর্তনের পথ বেয়ে সৃষ্টি হয়েছে মানুষের । হয়তাে সুদূর ভবিষ্যতে এই মানুষ ও বিবর্তনের ধারা অনুসরণ করে আর এক রকম চেহারা নেবে । তারা হবে আরাে উন্নত জীব । 

      এইসব কথা ডারউইনের মুখে শুনে এবং তাঁর গবেষণার ফলাফল বিচার করে পৃথিবীর মানুষ তাজ্জব বনে গেল । চার্লস নামের একটা স্কুলছুট , মুখ অপদার্থ ছেলের মাথাতেই যে এতাে সব রহস্য লুকোনাে ছিল— তাকি সেদিন ঘুণাক্ষরেও জানতে পেরেছিল তার শিক্ষকমশাইরা ? জানলে কি আর বলতেন— ওর দ্বারা কিস্যু হবে না ? 

      যারা সহজে হাল ছাড়ে না , মানুষের নিন্দা , প্রশংসা , সমালােচনা সবকিছুকে তুচ্ছ করে নিজের লক্ষ্যে দৌড়তে জানে , ক্লান্ত হয় না কিছুতেই , তাদের কাছে অসম্ভব বলে কোনাে কথাই নেই । 

       One single ideal can transform a list less soul into a towering man .


সমাপ্ত 

জন ওয়াশিংটনের সফলতার কাহিনী | John Washington successs story in bengali | John Washinton

জন ওয়াশিংটনের সফলতার কাহিনী | John Washington successs story in bengali | John Washinton
Bangla success story :- This success story written by Jayanti Chakrabarti.This story revolves around John Washington.We are collected this type success story that revive your lost mind.You get more success story on bengali in our website. And I think  all success story will take place in your mind.So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story.Thank you so much.       

জন ওয়াশিংটন  

When fate closes one door faith opens another . 

        জন ওয়াশিংটনের নাম অনেকেরই অজানা । কিন্তু মানুষের মনের জোর আর তার আশ্চর্য শক্তি নিয়ে যদি কোনাে ইতিহাস লেখা হয় তবে তার প্রথম পাতাতেই থাকবে জন ওয়াশিংটনের নাম । দুর্ভাগ্য যাকে টলাতে পারেনি । চরম দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েও যিনি নিজস্ব লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছেন নির্ভুল পদক্ষেপে এবং শেষপর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়েছেন মুকুট নির্মম ভাগ্য দেবতার কৃপণ হাতের মুঠি থেকে । 

         ১৮৮৩ সালের কথা । জন রুবলিং নামে নিউইয়র্ক শহরের এক স্থপতির মাথায় একটা আইডিয়া এল– নিউইয়র্ক শহরটার সঙ্গে লভ আইল্যান্ড নামের দ্বীপটাকে যদি একটা সেতু দিয়ে জুড়ে দেয়া যায় তবে বেশ হয় । 

      কাজটা হলে যদিও অনেকের অনেক দিক থেকেই লাভ হবার সম্ভাবনা , তবু দুনিয়ার বড় বড়া ইঞ্জিনিয়াররা কিন্তু একবাক্যে বললেন এ কাজটা করা এককথায় অসম্ভব । তাঁরা রুবলিঙকে এই সেতু তৈরির স্বপ্নটা ভুলে যেতে বললেন । 

       কিন্তু রুবলিঙ কিছুতেই সেতু তৈরির স্বপ্ন মন থেকে মুছে ফেলতে পারলেন না । কি করে স্বপ্নটাকে সার্থক করে তােলা যায়- দিনরাত শুধু এই কথাই তিনি চিন্তা করতে লাগলেন । কিন্তু অন্য কোনাে স্থপতির সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই তারা সেটাকে একটা উট কল্পনা বলে হেসে উড়িয়ে দেন । তাই শেষপর্যন্ত আর কাউকে না পেয়ে রুবলিঙ তার ছেলে ওয়াশিংটনের সঙ্গেই তার স্বপ্নের সেতু নিয়ে আলােচনায় মেতে উঠলেন । 

       ওয়াশিংটনও একজন উঠতি ইঞ্জিনীয়ার । বাবার স্বপ্নের নেশা তাকেও পেয়ে বসল । পিতা পুত্র মিলে দিনরাত ভেবে ভেবে একটার পর একটা উপায় বার করে ফেললেন কি করে সেতু তৈরির পথে বাধাগুলােকে দূর করে ফেলা যায় ! 

       তারপর আর কি ! বাপবেটায় মিলে মহা উদ্যমে শুরু করে দিলেন কাজ । বেশ কিছু ইঞ্জিনীয়ার ভাড়া করে শুরু হয়ে গেল সেতু তৈরি । প্রথম কিছুদিন বেশ ভালােভাবেই এগিয়ে চলল সবকিছু । কিন্তু হঠাৎ অতর্কিতে নেমে আসা নিয়তি সবকিছু ওলােট পালট করে দিল । 

      এক আকস্মিক দুর্ঘটনা— কর্মরত অবস্থাতেই ছিনিয়ে নিল রুবলিঙের জীবন । ছেলে ওয়াশিংটনও রক্ষা পেলেন না । দুর্ঘটানায় ভীষণ ভাবে আহত হলেন তিনি । তার ব্রেনের একটা অংশ পুরােপুরি নষ্ট হয়ে গেল । দীর্ঘ চিকিৎসার পর কোনােরকমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেন বটে তবে হাঁটাচলা করা , কথা বলা এমনকি নড়াচড়া করার ক্ষমতা পর্যন্ত তার রইল না । 

      যারা গােড়া থেকেই বাধা দিয়ে আসছিলেন এবার তারা সমস্বরে বলতে লাগলেন ,
      -কি ? বলেছিলাম না ? এরকমটা যে হবে আমরা জানতুম ।
      —জেদী , একগুঁয়ে লােকেদের শাস্তি এভাবেই হয় । 
      –এখন আহাম্মুকি করার ফল বােঝে— ইত্যাদি নানা কথা । ওয়াশিংটনেরও কানে কিছু কিছু কথা এসে পৌঁছে যায় । কিন্তু তাতে ফুল হয় উল্টো । কৃতকর্মের জন্য অনুশােচনা করার বদলে তার মনে কোখেকে যেন সঞ্চিত হতে থাকে নতুন উদ্যম , নতুন স্বপ্ন । সেতুটা যে এখনাে তৈরি করা হয়নি । অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে যে বাবার স্বপ্ন , নিজেরও স্বপ্ন । দেহে যতক্ষণ প্রাণ আছে ততক্ষণ এই স্বপ্নের হাত থেকে রেহাই নেই । 

      ওয়াশিংটন আবার ভাবতে লাগলেন কেমন করে আবার শুরু করা যায় অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে থাকা সুবিশাল কর্মযজ্ঞ । 
    
       কিন্তু এই বিশাল সেতুর পুরাে কল্পনাটাই জানত শুধু রুবলিঙরা । আন্য ইঞ্জিনীয়াররা শুধু তাদের নির্দেশমতাে কাজ করে যেতেন । 
  
      ওয়াশিংটন যে আবার তার সহকর্মীদের ডেকে পাঠাবেন তাদের যথাযথ নির্দেশ দিয়ে আবার শুরু করে দেবেন কাজ সে পথও বন্ধ । 
 
      কারণ ওয়াশিংটন তাে একটি কথাও বলতে পারেন না । হাতের আঙুলগুলিকেও নাড়াতে পারেন না যে লিখে জানিয়ে দেবেন তার বক্তব্য । তাহলে কি হার মানতে হবে ? হাল ছেড়ে দিতে হবে ? স্বপ্নের সেই সেতু তবে কি সত্যি সত্যিই আর কোনােদিন বাস্তবে গড়ে তােলা যাবে না ? 

       বিছানায় শুয়ে শুয়ে ওয়াশিংটন যখন এইসব কথা ভাবতেন তখন তার ভেতর থেকে কে যেন বলে উঠত না , হাল ছেড়াে না । হাল ছেড়ােনা কিছুতেই । 
 
        হঠাৎ ওয়াশিংটনের মনে পড়ল একটি কথা । একটি আঙুল— হ্যা একটিমাত্র আঙুল তাে তিনি এখনাে নাড়াতে পারেন । এই একটি মাত্র আঙুলকেই কাজে লাগাতে হবে । 

      সাহায্যে এগিয়ে এলেন ওয়াশিংটনের স্ত্রী । স্ত্রীর বাহুতে আঙুলের ভগা দিয়ে স্পর্শ করে ওয়াশিংটন তার মনের নানা ভাব প্রকাশ করতে লাগলেন । এভাবে অভ্যাস করতে করতে ধীরে ধীরে মােটামুটি একটা সাঙ্কেতিক ভাষা তৈরি করে ফেললেন তরুণ স্থপতি ওয়াশিংটন । ঠিক হল স্ত্রীর বাহুতে স্পর্শ করে তিনি তার মনের ভাবগুলি জানিয়ে দেবেন । আর তার স্ত্রী সেই কথাগুলিকে ভাষায় প্রকাশ করে বলবেন সহযােগী স্থপতিদের । 

       ভাঙ্গা স্বপ্ন আবার জোড়া লাগতে শুরু করল । স্ত্রীর বাহুতে আঙুলের স্পর্শ বুলিয়ে ওয়াশিংটন জানিয়ে দিলেন তার ইঞ্জিনীয়ারদের আবার ডাকা হােক । 

      স্বামীর ইচ্ছার কথা মুহূর্তে বুঝে নিয়ে ইঞ্জিনীয়ারদের সব খবর পাঠানাে হল । আবার বসল বৈঠক ওয়াশিংটনের শয্যার চারপাশ জুড়ে । একই পদ্ধতিতে ওয়াশিংটন প্রকাশ করতে লাগলেন তার কৌশল আর তার বুদ্ধিমতী স্ত্রী তা বুঝে নিয়ে ভাষায় বুঝিয়ে দিতে লাগলেন শ্রোতাদের । 

       শুনলে মনে হবে অসম্ভব ব্যাপার , কিন্তু ঘটনাটা সত্যিই ঘটল । অসম্পূর্ণ ব্রীজের কাজ শুরু হয়ে গেল আবার নতুন উদ্যমে । 

       দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলল নির্মাণের কাজ । এই তেরােটি বছর সমানে নির্দেশ দিয়ে গেলেন ওয়াশিংটন তার ওই একটিমাত্র সক্রিয় আঙুলের সাহায্যে— যতােদিন না শেষ হয় তার স্বপ্নের সেতু । 

       আজ সুদীর্ঘ ব্রুকলিন সেতু নিউইয়র্কের অন্যতম দর্শনীয় বিষয় । একটি মানুষের পর্বতের সদৃশ দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে , নিষ্ঠা ও একাগ্রতার জয়স্তম্ভ হয়ে এই সেতু আজ দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে যে মানুষটিকে একদিন সবাই একবাক্যে পাগল বলেছিল ।

Man does not live in years , but in work.- Aditya Birla


সমাপ্ত 

"নিঃস্ব প্রেমের চাওয়া পাওয়া " Bangla Poem By Pallab Mondal | Bengali Sad Poem | Nissho Premer Chaoa Paoa

"নিঃস্ব প্রেমের চাওয়া পাওয়া " Bangla Poem By Pallab Mondal | Bengali Sad Poem | Nissho Premer Chaoa Paoa

 তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com.আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে এই কবিতাটি তোমার জন্য ।  


নিঃস্ব প্রেমের চাওয়া পাওয়া 

পল্লব মন্ডল

  আমি আর কিছুই চাই না ,

যদি তোমার হৃদয়  নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে 

আমার মনটাকে মুছে দিয়ে যাও ।


আমি ব্যার্থতার জালে মুড়ে 

নতুন করে বাঁচার আশায় তোমাকে ডাকবো না ,

যদি তোমার কোমল হস্তের স্পর্শে 

আমার হৃদয়ে স্পন্দন জাগিয়ে তোলো ,

আমি এমনই বেরিয়ে আসতে পারবো 

ছলনা ঘেরা অতলগহ্বর থেকে ।


ঝরে যাওয়া গোলাপের মতো -

তোমার হাসি টা আমার হৃদয়ে ভাসাতে চাই না ,

চাই শুধু তোমার স্মৃতিকে উজ্জীবিত করতে 

যেখানে শুধু আমারই হাত ধরে 

তুমি তোমার রোমাঞ্চকর মুহূর্ত গুলির 

অবকাশ ঘটিয়েছিলে ।


শরতের শুভ্র মেঘে ও যেদিন তুমি বৃষ্টি ঝরিয়েছিলে 

যে বৃষ্টির ফোটায় প্রকৃতির রুক্ষ মাটির অন্তগহ্বর ও 

গুমরে গুমরে কেঁদে উঠে গলে গিয়েছিলো ,

কষ্টের ভার না সইতে পেরে ।


তাই আর চাই না 

সেই বৃষ্টি হয়ে তুমি আবার ঝরে পড়ো ।


শুধু চাই ,

দিনের শেষ আলোর রক্তিম রেখাটি 

আমার মর্মাহত হৃদয়ের মাঝে বেঁধে রাখো ।

তাহলে মনে হবে সূর্যের মতো তুমি ও অস্ত যাও নি 

তুমি শুধু আমার হৃদয়ে উদীত হয়ে রয়েছো 

নিশিত সূর্যের দেশের মতো ,

রাতহীন তারহীন এক কষ্টের মমতায় ।।

সমাপ্ত 


Nissho Premer Chaoa Paoa

Pallab Mondal

Ami r kichiui chai na ,

Jodi tomar hridoy ningrano valobasa diye 

amar mon takey muchey diye jao .


Ami baarthotar jaley murey

notun korey bachar ashai tomakey dakbo na,

Jodi tomar komol hoster sporshey 

Amar hridoye spondon jagiye tolo,

Ami emni beriye astey parbo 

cholona ghera otolgohobbor thekey.


Jhorey jaoa golaper moto -

Tomar hasi ta amar hridoye vasatey chai na ,


Chai sudhu tomar sriti k ujjibito kortey 

Jekhane sudhu amar e hath dhore 

Tumi tomar romanchokor muhurtto gulir

 obokash ghotiye chiley .


Shoroter suvro meghey o jedin tumi bristi jhoriye chiley 

Je bristir fotai prokritir rukkho matir antoghobbor o

Gumrey gumrey kedey uthey goley giyechilo ,

Koster var na soitey perey .


Tai r chai na

 Sei bristi hoye tumi abar jhorey poro .


Sudhu chai,

Diner sesh alor roktim rekha ti

Amar mormahoto hridoyer majhey bedhey rakho.

Taholey mone hobey surjer moto tumi o osto jao ni

Tumi sudhu amar hridoye udito hoye royecho ,

Nishit surjer desher moto 

rathin tarahin ek koster momotai.

End

Bengali Sad Poem :- This poem is written by Pallab Mondal. We are collected best love and romantic poem in bengali. We can also published your poem or story in bengali.If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website.Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment.Thank you so much.

100 + best bangla life quotes by Apurba Roy | Bangla motivational quotes | Apurba roy best bangla quotes

100 + best bangla life quotes by Apurba Roy | Bangla motivational quotes | Apurba roy best bangla quotes
Life Quotes :-  We are collected some bengali life quotes from Apura Roy Philosophy.Many people suffer from depression at some point in their lives.So I think this quotes will change your think and it will make the way of life easier.I hope all motivitional quotes must be very good to you. And perfect solution for your life depression.You share this best quotes about life to your friends or lover.

"একটা সময়  তুমি স্বপ্নের জন্য বেঁচে ছিলে "

আর একটা সময় ,

"বেঁচে থাকাটাই "

 তোমার কাছে স্বপ্ন হয়ে দাঁড়াবে .....

---অপূর্ব  রায় 

"Ekta somoi tumi swapner jonno bechey chiley "

Ar ekta somoi ,

" Bechey thakatai "

Tomar kache swapno hoye darabey......

---Apurbo Roy



" নিজের মূল্য বোঝো "

এই পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ ;

বিক্রেতা....

---অপূর্ব রায় 

" Nijer mullo bojho "

Ei prithibir beshirvag manush ;

Bikreta......

----Apurbo Roy


' স্বার্থ ফুরিয়ে যাওয়ার পর '

যে তোমার জীবন থেকে সরে গিয়েছে ,

" সে মরে গিয়েছে "

যেদিন থেকে এই বিষয় টা  বুঝতে শিখবে ,

সেদিন থেকে তুমি নতুন করে বাঁচতে শিখবে......

---অপূর্ব রায় 

"Sartho furiye jaoar por "

Je tomar jibon thekey sorey giyeche ,

"Sey more giyechey "

Jedin thekey ei bishoi ta bujhtey shikhbey ,

Sedin thekey tumi notun kore bachtey shikhbey.....

----Apurbo Roy


"সে সুখে নেই  ",

এই খবর পেয়ে ,

আনন্দ পাওয়ার অর্থ  ;

তুমি ও সুখে  নেই......

---অপূর্ব রায় 

"Sey sukhey nei"

Ei khobor peye ,

Anando paoar artho ,

Tumi o sukhey nei.....

---Apurbo Roy


এই মায়াবি পৃথিবীর বুকে ,

"সবাই সময়ের বন্ধু "

সময় হলেই বুঝতে পারবে.....

---অপূর্ব রায় 

"Ei mayabi prithibir bukey,

Sobai somi er bondhu 

Somi holei bujhtey parbe....."

---Apurbo Roy


তুমি শিখরে পঁইচে যাওয়ার পর 

যারা বলবে , "কিভাবে আসলে,"

তাদের হাসি মুখে বলে দিও,

"অভাবে...."

---অপূর্ব রায় 

Tumi shikhore poichey jaoar por

Jara bolbey, " kivabey ashley" ,

Tader hasi mukhe boley dio,

"Ovabey...."

---Apurbo Roy


"তার কথা বিশ্বাস করো না ,

যে বার বার বিশ্বাস এর কথা বলছে....."

---অপূর্ব রায় 

"Tar kotha biswas koro na ,

Je bar bar biswas er kotha bolchey......"

---Apurbo Roy


"এই পৃথিবীর কাছে ভালো মানুষ সবাই 

নিজের কাছে....."

---অপূর্ব রায় 

"Ei prithibir kachey valo manush sobai

Nijer kachey....."

---Apurbo Roy


"খুশির মুহূর্তে অতীত খুশির মুহূর্তরা আসুক বা না আসুক ,

দুঃখের মুহূর্তে অতীত দুঃখের মুহূর্তরা ছুটে আসবে......"

---অপূর্ব রায় 

"Khusir muhurtey atit khusir muhurtto ra ashuk ba na ashuk,

dukkher muhurtte atit dukkher muhurtto ra chutey asbey....."

---Apurbo Roy


"অন্যের কাছে উদাহরণ হওয়ার জন্য ,

নিজের ভাবনার ধরন বদলাও....."

---অপূর্ব রায় 

"Onner kachey udahoron hoar jonno,

Nijer vabnar dhoron bodlao....."

---Apurbo Roy


হতাশার পর্বে ;

"যে তোমার জীবনে এসেছে "

তাকে হৃদয়ে সাজিয়ে রাখার আগে ,

একটু বাজিয়ে দেখে নিও......

---অপূর্ব রায় 

Hotashar porbey;

"je tomar jiboney esechey "

Takey hridoye sajiye rakhar agey ,

Ektu bajiye dekhey nio....."

---Apurbo Roy


"যে তোমায় স্বপ্ন দেখাচ্ছে "

তার স্বপ্ন দেখার আগে ;

একবার ভালোভাবে তাকে দেখে নিও.....

---অপূর্ব রায় 

"Je tomai swapno dekhaccey"

Tar swapno dekhar agey ;

Ekbar valovabe takey dekhey nio.....

---Apurbo Roy


নিজের স্বপ্নকে ;

"বাস্তবে রূপ দেওয়ার সময় "

তুমি আর ও অনেকের 

বাস্তব রূপ দেখতে পাবে....

---অপূর্ব রায় 

Nijer swapno ke ;

"Bastobey rup deoar somoi "

Tumi r o oneker 

Bastob rup dekhtey pabey.....

---Apurbo Roy


যে তোমায় নিয়ে হিংসে করছে ,

"তার কথা ভেবে হতাশায় জড়িয়ো না "

সে তোমায় নিয়ে ইতিমধ্যে ;

এক -আকাশ হতাশায় আছে.....

---অপূর্ব রায় 

Je tomai niye hingsey korchey,

"Tar kotha vebey hotashai joriyo na "

Sey tomai niye etimoddhey;

Ek-akash hotashai achey......

---Apurbo Roy


অন্যকে হারানোর চেষ্টা না করে ;

নিজে জেতার চেষ্টা করো.....

---অপূর্ব রায় 

Onno ke haranor chesta na kore ;

Nijey jetar chesta koro.....

---Apurbo Roy


"যে  প্রেম ধরা দেয়নি "

সে প্রেম তোমার ছিল ।

"যে প্রেম ধরা দিয়েছে "

সে প্রেম ছিল ;

অন্যের....

---অপূর্ব রায় 

"Je prem dhora dei ni "

Se prem tomar chilo. 

"Je prem dhora diyechey "

Se prem chilo ;

Onner......

---Apurbo Roy


যে ব্যাক্তি কথায় কথায় রেগে যায় ;

"সে ব্যাক্তি নিজের কাছে বেশি ক্ষতিকারক "

এবং যে ব্যাক্তি কথায় কথায়  হাসে ;

সে ব্যাক্তি অন্যের কাছে বেশি ক্ষতিকারক.....

---অপূর্ব রায় 

Je baakti kothai kotahi regey jai;

"se baakti nijer kachey beshi khotikarok"

Ebong je baakti kothai kothai hasey;

Sey baakti onner kachey beshi khotikarok.....

---Apurbo Roy


এ দেশের শিক্ষিত ব্যাক্তি ;

"সেফ জব খোঁজে "

এবং সৃষ্টিশীল ব্যাক্তি ;

তার জব- কে সেফ করার জন্য ,

আপ্রাণ লড়াই করে.....

---অপূর্ব রায় 

A desher sikkhito baakti;

"Safe job khojey"

Ebong sristishil baakti;

Tar job-ke safe korar jonno ,

Apran lorai korey.....

---Apurbo Roy


সমাপ্ত 




চলার পথে | Cholar pothe | Benali poem by pallab mondal | Bengali love poem |

চলার পথে | Cholar pothe | Benali  poem by pallab mondal | Bengali love poem |

তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com.আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি । ততক্ষনে এই কবিতাটি তোমার জন্য ।  

  চলার পথে 
 পল্লব মন্ডল 

আমি কোনো দিন ভালোবাসার দাবি নিয়ে দাঁড়ায় নি 
তোমার চলার পথে 
আর হয়তো দাঁড়াবোই না ।

আমি কোনো দিন পিছু ডাকি নি তোমায় 
তোমার চলার পথে 
আর হয়তো ডাকবোই না । 

জানিনা কি দিয়েছি আর কি পেয়েছি 
হিসাবের অবসর পেলে ও মেলায় নি 
হয়তো এক চাপা অশ্রুতে সেটা ধুয়ে গেছে  ।

তবে এটা জানি  ভালোবাসা যা দিয়েছি 
ক্ষণিক হলে ও কিছু পেয়েছি ,
এর বেশি তো কিছুই চাই নি 
আর আশা ও করি নি ।

কিন্তু আজ একটা জিনিস চাইতে বড়ো মন চায় ,
বড়ো  ইচ্ছা হয় 

আমি  কেমন আছি কি করছি
এটা  নিয়ে ভাবতে হবে না,
অন্তত এটা  ভেবো 
সীমাহীন দূরের কোন এক প্রান্ত থেকে 
কোনো এক দুর্ভেদ্য দেওয়াল যেন 
বাধা হয়ে না দাঁড়ায় 
আমার চলার পথে,  
একলা অনেক দূরে যেতে হবে 
অনেক দূরে ।

সমাপ্ত 


Cholar pothe

Pallab Monndal

Ami kono din valobasar dabi niye darai ni 
tomar cholar pothey
ar hoito daraboi na .

Ami kono din pichu dakini tomai
tomar cholar pothey
ar hoito dakboi na .

Jani na ki diyechi ar ki peyechi 
hisaber obosor peley o melai ni
hoito ek chapa ashrutey seta dhuye gechey

Tobe eta jani valobasa jja diyechi
khonik hole o kichu peyechi
er beshi toh  kichui chai ni 
ar asha o kori ni .

Kintu ajj ekta  jinis chaitey boro mon chai 
boro eccha hoi .

Ami kemon achi  ki korchi
eta niye vabtey hobey na 
ontoto eta vebo 
simahin durer kono ek pranto thekey 
kono ek durveddo deoal jeno badha hoye na darai
amar cholar pothey 
akla  onek dure jetey hobey 
onek durey |

End

Bengali Love Poem :- This poem is written by Pallab Mondal. We are collected best love and romantic poem in bengali. We can also published your poem or story in bengali.If  you want to send your bengali poem . Like sad poem, romantic poem, love poem and many others poem in bengali. Then you can contact me. My email id , "lovejunction506@gmail.com". So please sent your poem or story and don't forget to mention your name. I published your creation on my website.Please share this poem in your friends or lover to gift a beautiful moment.Thank you so much.

চার্লি চ্যাপলিনের সফলতার কাহিনী | Charlie Chaplin Success Story | Charlie Chaplin

 চার্লি চ্যাপলিনের সফলতার কাহিনী | Charlie Chaplin Success Story | Charlie Chaplin
Bangla success story :- This success story written by Jayanti Chakrabarti.This story revolves around Thommas Alva Edison.We are collected this type success story that revive your lost mind.You get more success story on bengali in our website. And I think  all success story will take place in your mind.So please share this story to your friends and I sure they will also benefit from this success story.Thank you so much.              

  চার্লি চ্যাপলিন 

      বিশ্বের সর্বকালের সবসেরা কৌতুকাভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন । মানুষের ভাবভঙ্গী , কথাবার্তা নকল করে দর্শককে হাসিয়ে হাসিয়ে একেবারে লুটোপুটি খাইয়ে দেবার আশ্চর্য কৌশল জানা ছিল তার । সারা পৃথিবীর অসংখ্য সিনেমা অনুরাগী মানুষ চার্লি চ্যাপলিনের গুণমুগ্ধ । নিজের কাজের স্বীকৃতিতে প্রচুর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি । কোটি কোটি টাকা উপার্জনও করেছেন দু হাতে । কিন্তু নিজের অতীত দিনগুলাের কথা যখন মনে পড়ত তার তখন হয়তাে এই দুরন্ত রসিক মানুষটিরও চোখের কোণে জমে উঠত দু - ফোটা জল । 

      সমস্ত শৈশবটাই চার্লির কেটেছে দুঃসহ দারিদ্র আর অপমানের মধ্যে । ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে লন্ডন শহরে তার জন্ম । বাবা - মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেল । অনেকগুলি ভাই বােনকে নিয়ে মা পড়লেন নিদারুণ অসহায় অবস্থার মধ্যে । মা ছিলেন অভিনেত্রী । তবে নিয়মিত কাজ পেতেন না । যখন কাজ থাকত না তখন উপােস করে কাটাতে হত সারাটা দিন । নিজে নয় কোনােরকমে সহ্য করতেন কিন্তু ছােটোছােটো অবােধ শিশুগুলি খিদের জ্বালায় যখন চিৎকার করে কাঁদত , তখন আদর করে , গল্প বলে , ভয় দেখিয়ে কোনােমতেই বেচারী মা বাচ্চাগুলিকে ভােলাতে পারতেন না । 

     শেষে এক অদ্ভুত কৌশল বার করলেন তিনি । লন্ডনের বস্তি অঞ্চলে , ছােট্ট ঘুপচি যে ঘরটায় তারা থাকতেন ঠিক তার পাশেই ছিল জনসাধারণের চলার পথ । মা তার বাচ্চাগুলিকে নিয়ে সেই পথের পাশে জানলার ধারে এসে দাঁড়াতেন । নানারকমের মানুষ চলে যেতাে একের পর এক । তাদের কেউ বেঁটে , কেউ ঢ্যাঙা , কেউ রােগা লিকপিক করছে , কেউ বা আবার হাঁসফাস করতে করতে হেলেদুলে চলেছে অতিরিক্ত মেদের ভারে । 

     লােকগুলি দেখতে শুধু বিচিত্র নয় , তাদের হাবভাবও বিচিত্র । কেউ হাসতে হাসতে চলেছে , কেউ ভিখারি , কেউ যেন ভয় পেয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে দৌড়ে পালাচ্ছে , কেউ চলেছে অন্যকে গালি দিতে দিতে , গজগজ করতে করতে । আবার কেউ বা উদাসীন । অন্যমনস্ক ভাবে চলেছে কিছু যেন ভাবতে ভাবতে । মা ছেলেদের ডেকে ডেকে পথিকদের দিকে আঙুল তুলে দেখাতেন , তারা অবাক হয়ে দেখত কান্না ভুলে ।

     -দেখ দেখ ওই লােকটা কেমন চোখ মটকে তাকাচ্ছে । চারদিকে । ঠিক এইরকম না ? এই বলে তিনি লােকটির ভাবভঙ্গী অবিকল নকল করে দেখাতেন । হৈ হৈ করে হেসে উঠত বাচ্চাগুলাে । 

      ঘােড়ার পিঠে একজন সৈনিক চলে গেল অহঙ্কারী ভঙ্গিতে । মা অমনি তার ভঙ্গী নকুল করে দেখাতে লাগলেন । আবার হেসে লুটিয়ে পড়ল । বাচ্চারা । এভাবে হাসতে হাসতে হঠাৎ একসময় ঘুমিয়ে পড়ত তারা ক্লান্ত হয়ে । চার্লির মা ভাবতেন , যাক একদিনের সমস্যা কোনােমতে মিটল ।

       কিন্তু মা নিজে ঘুমােতে পারতেন না । 

      সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তা ও খিদের জ্বালায় দিনের পর দিন জেগেই কেটে যেত তার সারাটা রাত । এভাবে দিনের পর দিন শরীর ও মনের ওপর চাপ সহ্য করতে না পেরে চার্লির মা উন্মাদ হয়ে গেলেন । 

      বড়াে ছেলে চার্লির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল । বেঁটেখাটো চেহারার ,দূর্বল , অপুষ্টিতে ভােগা ছােট্ট ছেলেটি । লেখাপড়াও প্রায় শেখেননি বললে চলে । কে কি কাজ দেবে তাকে ? শেষে মায়ের শিখিয়ে দেয়া পথেই মাকে অনুসরণ করলেন তিনি । 

     মানুষকে নকল করার মধ্যে একটা দারুণ মজা আছে । একটা নির্দোষ নির্মল আনন্দ যা সবাই মিলে ভােগ করা যায় অথচ তার জন্যে কোনাে পয়সা লাগে না । চার্লি লােককে ডেকে ডেকে ক্যারিকেচার করে দেখাত । কখনাে তার নিজের , কখনাে পরিচিত বা বিখ্যাত কোনাে ব্যক্তির । লােকে উদ্দাম হাসিতে ফেটে পড়ত । দু - চার পেন্স পকেট থেকে বের করে বাচ্চাটির হাতে গুঁজে দিত তারা স্বতঃফুর্ত ভাবে । 

     একটু একটু করে উপার্জন বাড়তে লাগল । ছােটো ভাইবােনগুলির জন্য খাবার কিনে এনে , তাদের খাইয়ে দিত চার্লি । তারপর মায়ের সেবা করত । ওষুধ খাওয়াতাে , ঘুম পাড়াত । অবসর পেলেই বসত গিয়ে পথের পাশের সেই জানলায় । 

      ধীরে ধীরে ভালাে হয়ে উঠলেন মা । দুটি একটি শাে করতে লাগলেন । কিন্তু চার্লি ততদিনে দক্ষ , অভিনেতা হয়ে উঠেছে । মা - কে আর কাজ করতে দেবে না । 

     যেদিন মা স্টেজে নিজের শেষ শাে করলেন , সেইদিন সেই স্টেজেই । চার্লি চ্যাপলিনের হল অভিষেক , তার প্রথম শাে । তারপর থেকে আর একটি দিনও পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে । জগৎ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল চার্লির খ্যাতি । ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ তাকে দিলেন নাইট উপাধি । সেকালে সিনেমায় কথা ছিল না । তার সিনেমার গল্পগুলাে চার্লি নিজেই লিখতেন , পরিচালনাও করতেন আবার মূল চরিত্রে অভিনয়ও করতেন , নিজেই । গােল্ডরাশ , সিটি লাইটস মডার্ন টাইমস— এসব চার্লির বিখ্যাত সিনেমা । দুঃখদারিদ্র এসব হল ঈশ্বরের গােপন আশীর্বাদ কারণ এগুলিই খুলে দেয় ভবিষ্যতের স্বর্ণদুয়ার । 

      চার্লি চ্যাপলিন কি স্বপ্নেও ভাবতে পেরেছিলেন যে নিঃসীম দারিদ্র্যই তার জীবনে একদিন প্ৰবতারা হয়ে সফলতার পথটি দেখিয়ে দেবে । জীবনে উপচে পড়বে অর্থ , যশ আর আনন্দ !

            Happiest is he who makes other happy .

20+ bangla valobasar kobita | ভালোবাসার কবিতা | Bengali love poem

20+ bangla valobasar kobita | ভালোবাসার কবিতা | Bengali love poem

বাংলা কবিতা

আমাদের এই ওয়েবসাইট টি কিছু ভালোবাসার গল্প ,কবিতা আর কিছু সফলতার গল্প দিয়ে সাজানো । এখানে রয়েছে কিছু ভালোবাসার কবিতা । তোমার আর আমার মনের কথা । প্রত্যেক এরই জীবনে এই রকম কিছু ঘটে থাকে । কবিতা  গুলো  দেখো তোমার ও ভালো লাগবে , তোমার ও মন তা ভালো হয়ে যাবে । কবিতা গুলো ভালো লেগে থাকলে প্লিজ বন্ধুদের কে  শেয়ার করে দিও । আর এই রকম কবিতা ও গল্প পেতে আমার সাথে থেকো ।

হয়তো চেষ্টা করলে আমি ও পারতাম 


 হয়তো চেষ্টা করলে আমি ও পারতাম 

তোর থেকে অনেক আগে, তোকে ভুলে যেতে ।

তাই চেষ্টা করিনি আর কখনো 

হাত জোড় করে, ফিরে আসার ভিক্ষে চাওয়ার ।


যে দিন কেটে গেছে 

বই -খাতার আড়ালে হাত ধরে 

গালে হাত , আড় চোখে তোকে দেখে ,

তার সীমানা টানা আছে স্কুল ব্যাগের বল্ক চেনে ।

 তার পরে  ও চশমার কাঁচ পাল্টেছি অনেক বার 

ঝাপসা গুলোর রং বদল হয়েছে অনেক 

আমি ও সাক্ষী থেকেছি  তোর অপেক্ষিত দিন বদলের ।


এখনো তোকে ভিজতে দেখি মাঝে মাঝে 

বৃষ্টিতে চোখ বন্দ করে 

আপন হওয়ার অভিসার ,

আমার খুচরো যত মেঘের দল  

ভেসে বেড়াই ,যেদিকে দু চোখ চায় 

তোর গাল ছুঁয়ে, হাওয়ায়  হারানোর উপহার ।।

সমাপ্ত 


আমাকে ছাড়া


তোমাকে ভালোবাসা দিতে গিয়ে দেখলাম ,

তুমি আমাকে ছাড়া এখন অনেক ভালো থাকো ।

আমার ভালোবাসা আর যত্ন গুলো আর 

কোনো প্রয়োজন নেই তোমার ।

তুমি আমাকে ছাড়াই তোমার পথ চলতে পারো ।

আমাকে ছাড়াই তোমার ভোর  হয় ,

দিন পেরোয়, রাত  পেরোয় ।

তুমি তোমার আপন জনদের মাঝে অনেক বেশি সুখী 

ওদের মান অভিমান গুলো তোমাকে ভীষণ ভাবে ভাবায় 

আমি কে ? এখন আমার কথা না ভাবলে ও চলে ,

আমার অভিমান গুলো আর তোমায় ভাঙ্গাতে  হবে না 

তুমি ওদের নিয়েই ভালো থেকো ।

সমাপ্ত 


তখন কোথায় ছিল


তখন কোথায় ছিল তোমার ভালোবাসা , যখন নগ্ন হয়ে 

পড়ে  ছিলাম রাস্তার ধরে ।

শিয়াল কুকুরে ভোগ করেছিল আমায় , রক্ত চুষে 

খেয়েছিলো জোঁকে ।

কি তখন তো আসোনি ছুঁয়ে ও দেখোনি , কত তীব্র ছিল 

দংশনের দাগ ।

খুবলে গিয়েছিলো শরীর আমার , শিউরে উঠেছিলাম 

নিজেকে দেখে ।

তখন কোথায় ছিল তোমার ভালোবাসা , যখন মুখ 

টিপে লোকে সান্তনা দিতে এসেছিলো ।

নাকি কফিন বন্দি জ্যান্ত মানুষ দেখবে বলে ,

কি তখন তো আসোনি , বুকে জড়িয়ে ধরোনি 

আমায় ।

বিষাক্ত হয়েছিল আমার সারা গা , মৃত্যু চেয়েছিলাম 

আমি নির্বিশেষে ।

তুমি ভালো সেই দিন ও বাসো নি আমি জানি 

যে মরীচিকার শিকার হয়েছিলাম আমি , তার খানিক 

বালি তুমি ।

তাই আজ তুমি এসেছো , কই কান্না তো তোমার চোখেই 

স্পর্শ করেনি ।

নির্বিকার হয়ে দাঁড়িয়ে আছো , ওই পাড়ে  পাড় ভাঙ্গার  

সময় থেকেই ।


সমাপ্ত 

আমাদের আর ও কবিতা :-