অভিযোগ | Avijog | Tanmoy Adhikari | Religion poem topic in Bengali | Love Junction

অভিযোগ | Avijog | Tanmoy Adhikari | Religion poem topic in Bengali | Love Junction
    প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্পকবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে তন্ময় অধিকারী -এর "অভিযোগকবিতাটি রইলো তোমাদের জন্য। 

অভিযোগ

তন্ময় অধিকারী 

হে কেশব, তুমি নাকি দয়ারসাগর, দীনবন্ধু,
সমূলে করিলে ধ্বংস রাখিলে না এক বিন্দু।
হে যদুবর, তুমি তো অর্ন্তযামী,
পাপকর্ম সব তো জানিতে,
পারিতে না কী তখনি রুখিতে?
আমার পরিবারের প্রতি কেন এত রাগ?
তোমায় তো দিয়েছিনু মায়ের সোহাগ।
শুধু কি সত্যের সারথি বলে পাণ্ডবপক্ষ নিলে?
নাকি অর্জুন নিকটাত্মীয় তাই সঙ্গ দিলে?
জানিয়াছি দ্যুতসভায় হয়েছিল নারীর অসস্মান,
দয়ানিধি তুমি,বাঁচিয়েছিলে দ্রৌপদীর মান।
বল তুমি কেমন অনাথের সখা?
হতভাগী মা কে দিলে শতপুত্র শোকব্যাথা।
তবে কি তুমিই সড়যন্ত্রী, এই যুদ্ধের হোতা?

হে মা,ফেলো না অশ্রুজল।
আমি নিমিত্ত,সবই কর্মফল।

এই সান্ত্বনায় কেমনে ভুলিবে মায়ের মন।
তুমিই রাজনীতির নেতা, নও জনার্দন।
তুমিই বাঁধালে এই কুরুক্ষেত্র,
স্বামীর প্রতি সস্মানে বেঁধেছিনু নেত্র।
পুত্রস্নেহে অন্ধ ছিল মায়েরই মন,
সেই সুযোগ লাগালে কাজে নয়ন-রঞ্জন।
জানি মোর দুর্যোধনের মনন অতি খল,
কর্ন-দ্রোনচার্য্য হত্যাকালে তুমিও করেছিলে ছল।
তখন কোথায় ছিল তোমার ধর্মেতে আস্থ,
হে মাধব, স্বীকার করো-
তুমিই খুলেছো অধর্মের রাস্তা।

হে কৌরবজননী,
আর কত ভৎসনা করিবে আমারে।
হে মাতা জেনে রেখো,
আমি রয়েছি বাঁধা ধর্ম বাহুডোরে।
সপ্তরথী মিলে করিছিলে শিশু অভিমন্যু বধ,
এরপরেও কহিবে কি মাতা তব সন্তানেরা সৎ?
সারথী সেজেছিলেম অস্ত্র ধরিতে করিলে মানা,
দুর্যোধনেও দিয়েছিনু নারায়নী সেনা।
তবু কেন কর মোরে অভিযুক্ত?
বঞ্চিত করে সকলেরে ভোগের বাসনা সুপ্ত।

হে মধুসূদন, তুমি অতি নিষ্ঠুর,
করেছ সকলকে তুমি শোকাতুর।
বুঝিবে না তুমি সন্তানহারা মায়ের বেদনা,
মাতৃত্বের কাছে ক্ষুদ্র ধর্ম সংস্থাপনা।
এ ব্যাথা না বুঝিবে তুমি অনঙ্গমোহন,
দূঃখ জানিবে কি, যখন পরিবার করিবে বর্জন।
শতপুত্রের মৃত্যু শোকে হয়েছি মূক,
গোপীকান্ত তুমিও পাবে না কভু পুত্রসুখ।

হে মাতা, বন্ধ রোদন,মোছ নয়ন,
লহ হে জননী কিঞ্চিৎ ভোজন।
পুত্রস্নেহে অন্ধ হয়ে হারিয়েছ ধর্মেতে ভীতি,
বঞ্চিত করেছ পাণ্ডবেরে আছে তাহা স্মৃতি।
বিনা কারণে মোরে করিছ অভিযোগ,
জানি কষ্টে আছ, পেয়েছ শত পুত্রশোক।

হে শ্রীবংশীবদন, এতে না মিলিবে সান্ত্বনা,
ছল করে সুযোগ বুঝে দিয়েছ যাতনা।
কপটতা করে তুমি করেছ কৌরবে ধ্বংস,
একই রূপে হবে শেষ তোমার প্রিয় যদুবংশ।
অভিশাপ দিতেছি আমি শোন নারায়ন,
হায় হায় করিবে যদু নর-নারী গন।
না পারিবে কোন দেবে রোধ করিতে এ শাপ,
শোন জগন্নাথ, কক্ষনো করিব না তোমায় মাফ।

সমাপ্ত 

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

Tags:-

  • Ovijog,
  • Tanmoy Adhikari,
  • Bangla religion poem,
  • love junction,
  • Kobita,
  • Poem in Bengali,
  • Bangla Kobita,
  • Bengali poem

চিঠি | সাধন রায় | Chithi | Sadhan Ray | Love Junction | Poem in Bengali

চিঠি | সাধন রায় | Chithi | Sadhan Ray | Love Junction | Poem in  Bengali
    প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে সাধন রায় -এর  "চিঠিকবিতাটি রইলো তোমাদের জন্য। 

চিঠি 

সাধন রায় 

আজ হঠাত্ বিকেলের ডাকে 
তোমার এক চিঠি পেলাম ।
চিঠি লেখা তো প্রায় উবেই গেছে 
মোবাইলের আগমনে 
অবাক হলাম ।
অভিন্ন হৃদয়েষু দিয়ে শুরু করলে
একান্ত আপন দিয়ে করলে শেষ 
প্রথমেই চোখে পড়ল
রবীঠাকুরের দুটো লাইন 
মনের কোণে জমে থাকা সব অভিমান গলে জল হল
কি কারণে তুমি এতদিন পর লিখলে 
বুঝে উঠতে একটু সময় লাগল।
তোমার হাতের লেখা ভারী সুন্দর 
বাংলা সাহিত্যেও তোমার দখল যথেষ্ট 
এটা আমার অজানা নয় 
এই শতাব্দীতে কেউ কাগজ কলম নিয়ে 
চিঠি লিখবে 
ওটাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না ।
আমার নম্বর তো তোমার সেভ করা 
চাইলেই ফোন করতে পারতে
কিন্তু করলে না। 
ব্যস্ততার মধ্যে সময় বার করে 
হঠাত্ চিঠি লেখার ইচ্ছে 
কেন জাগল তোমার জানি না,
আমার ঘরের ঠিকানা 
তোমার জানা ছিল কিনা 
তাও জানি না ।
কয়েক লাইন পড়ার পর 
তোমার লেখনীতে এক অদ্ভুত অনুভূতির
ছোঁয়া পেলাম,
অক্ষর গুলির মধ্যে কি চরম মাদকতা 
অনুভব করলাম 
তা তোমাকে বোঝাতে পারব না 
লাইন গুলো বার বার পড়তে মন চাইল
পড়লাম ও
মনের মধ্যে এক অসীম তৃপ্ততা অনুভূত হল
ভালো লাগলো ।
অনেক না বলা কথার ছোঁয়া 
তোমার লেখনীতে পেলাম 
শিউরে উঠলাম 
অনেক পুরনো স্মৃতি মন কে
আলোড়িত করলো
মনপটে ভেসে উঠলো 
মনের কোণে জমে থাকা 
মান অভিমানের পাহাড়
যেন ধূলিসাত্ হলো 
হৃদয় গহনে স্বস্তির বন্যা 
বয়ে গেল ।
ফোনে কথা বলা বা কাছে আসার থেকে 
এ এক তীব্র উন্মাদনা 
আমাকে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ধরল
আমি যেন কোথায় 
হারিয়ে গেলাম ।
 
সমাপ্ত 

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

বিদায় বেলায় | Biday Belai | Prashanta Patra | Love Junction

বিদায় বেলায় | Biday Belai | Prashanta Patra | Love Junction
     প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে প্রশান্ত পাত্র-এর  "বিদায় বেলায়কবিতাটি রইলো তোমাদের জন্য।

বিদায় বেলায়

প্রশান্ত পাত্র

ট্রেন ছাড়লো প্ল্যাটফর্ম
সঙ্গে একটা দীর্ঘশ্বাস
মনের গভীর থেকে।
তুমি ছিলে চোখের বায়নায়
এলে মনের আয়নায়।
আজ তুমি দাওনি বিদায়,
আমি নিয়েছি।
তাকাওনি ফিরে একবার
এ বিদায় যে বারবার
তোমার চোখের জল
ভাবালো বৃষ্টিকে
আজ তুমি থেমোনা
করলে বারন।
মনে হলো আজ বর্ষার শুরু
আর আমাদের সয়ে যাওয়া বহু প্রতীক্ষার
বর্ষা দেবে সবুজ
সবুজ আমার ভরসা
যেনো খুলে দেয় জট
আজ দুটো গাছ আনবো নতুন
তুমি নাম দিও “বর্ষা”
আর আমি দেবো “বৃষ্টি”

সমাপ্ত 

Biday Belai

 Prashanta Patra

Train charlo platfrom
Songe ekta dirghoshas
Moner govir theke
Tumi chile chokher bainai
Ele moner ainai
Ajj tumi daoni biday,
Ami niyechi.
Takao ni fire ekbar
A biday je barbar
Tomar chokher jol
Vabalo bristi ke
Ajj tumi themo na
Korle baron.
Mone holo ajj borshar suru
Ar amader soye jaoa bohu protikhar
Borsha debe sobuj
Sobuj amar vorsha
Jeno khule dei jot
Ajj duto gach anbo notun
Tumi nam dio "Borsha".
Ar ami debo "Bristi".

Somapto

অনুভূতি | Anuvuti | মুহাম্মদ মারুফ আল-আমিন Love story | Best Romantic Love Story In Bengali |

অনুভূতি |  Anuvuti | মুহাম্মদ মারুফ আল-আমিন  Love story | Best Romantic Love Story In Bengali |
     প্রিয় লেখকের প্রিয় লেখা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! আপনার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে আপনার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে মুহাম্মদ মারুফ আল-আমিন এর  "অনুভূতি" লেখাটা রইলো তোমাদের জন্য। 

অনুভূতি

মুহাম্মদ মারুফ আল-আমিন


 -“আমাকে জানালার পাশের সীটটা দেয়া যাবে?”
আমি বই পড়ছিলাম। মাথা তুলে দেখলাম মেয়েটিকে। আমাকে আন্তরিক ভঙ্গিতে প্রশ্নটি করে এখনও জোর করে মুখে এক টুকরো হাসি ধরে রেখেছে মেয়েটি।
আমি বললাম ---“ অবশ্যই দেয়া যাবে। সুন্দরী মেয়েদের জানালার পাশের সীট ছেড়ে দেয়ার নিয়ম আছে”
-“ তাই? তা এই নিয়ম বুঝি এখন বানালেন? ” মেয়েটি লাগেজ টেনে নিয়ে জানালার পাশের সীটে বসে পরলো।
আমি বললাম -“ হ্যাঁ। সুন্দরী মেয়েদের জন্য নতুন নতুন নিয়ম বানানোর ও নিয়ম আছে ”
এবারে মেয়েটি হেসে ফেললো। ট্রেনের ঝকঝক শব্দে সেই হাসির শব্দ মৃদু শোনালো। মেয়েটি লাজুক ভঙ্গিতে বলল -“ দেখুন, নিয়ম বানান আর যাই করুন, ফোন নাম্বার, ফেইসবুক আইডি এইসব চাওয়ার চেষ্টা করবেন না। ”
-“ না ওসবে আমার আগ্রহ নেই। তাছাড়া সুন্দরী মেয়েদের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠ ও হতে নেই। তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হয়।”

-“কিন্তু আপনি তো আমার পাশের সীটেই বসে আছেন। দূরত্ব থাকছে কোথায়?”
-“পাশে বসে আছি কিন্তু সহস্র মাইল ব্যবধান আছে মেম।” আমি হেসে বললাম।

  আমাকে বেশিক্ষণ মেয়েটির পাশে বসতে হলো না। পরের স্টেশনে একটি লোক নেমে যাওয়াতে তার সীটে আমি বসে পরলাম। এখন আমরা মুখোমুখি বসে আছি। দুইজনই জানালের পাশে। চোখে চোখ পরতেই মেয়েটি বলল-“ আচ্ছা আপনার এমনটা কেন মনে হলো যে সুন্দরী মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে হবে। এটাও কি আপনার বানানো কোন নিয়ম?”
আমি বললাম -“সুন্দরের খুব বেশি কাছে যেতে নেই। একবার কাছ থেকে সৌন্দর্য দেখে ফেললে দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।”
-“তাই নাকি? এমন তো শুনিনি কখনও।”

-“তাছাড়া আরও একটা বেপার ঘটতে পারে।দূর থেকে যা সুন্দর দেখায় কাছে চলে গেলে সেই সৌন্দর্য অনেক সময় চোখে পরে না। দূর থেকে যা খুব বেশি আকষর্ণীয় কাছ থেকে দেখলে তাই খুব সাদামাটা”
-“ আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি দূর থেকে সুন্দর। কাছ থেকে দেখতে পঁচা?”
-“ আমি সেটা কখন বললাম”
-“ এই যে মিস্টার আপনি বই পড়ছিলেন পড়ুন। আমার সাথে গল্প জমানোর চেষ্টা করছেন আপনি। ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছেন। আগেই বলে দিচ্ছি ভুলেও আমার সাথে প্রেম করার চেষ্টা করবেন না। একদমই না।?
-“দেখুন আপনি ভুল পথে চিন্তা এগুচ্ছেন। আমার মোটেও এরকম ইচ্ছে নেই। তাছাড়া আমি সুন্দরী কোন মেয়ের প্রেমে পরতে চাই না। যদি কখনও প্রেম করি অল্প সুন্দরী মেয়ে বেছে নেবো।”
-“তাই নাকি? ইন্টারেস্টিং তো। এরকম ইচ্ছের কারণ? ”
-“কারণ খুব সুন্দরী কারও প্রেমে একবার পরে গেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না। পরেই থাকবো।”

এই সামান্য কথায় মেয়েটি মনে হচ্ছে অনেক বেশি মজা পেল। শব্দ করে হাসছে মেয়েটি। হাসিটা অন্য রকম। শিশুদের হাসির মতো নির্মল যা আশেপাশের সবকিছুতেই মুগ্ধতা ছড়ায়। সেই হাসি বড় বেশি সংক্রামক। আমাকেও হাসতে হলো। আমি মেনে নিতে বাধ্য হলাম মেয়েটির হাসি সুন্দর। অল্প সুন্দর না। মন ভালো করে দেয়ার মতো সুন্দর। যেই হাসি এক নাগারে বেশিক্ষণ সহ্য করা কঠিন বেপার। এরকম হাসি দেখলে শুধু যে বুকের বা পাশে চিনচিন ব্যাথা করে তা না। সেই ব্যথা বুকের ডান পাশ অবধি চলে আসে----------

ধীরে ধীরে গল্প বেশ ভালোই জমে উঠলো। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো সেই হাসি। মেয়েটি একটু পর পর হাসছে আর আমাকে টেনশনে ফেলে দিচ্ছে। কারণ যখনই মেয়েটা হাসছে আমার সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। কী নিয়ে কথা বলছিলাম মনে থাকছে না। ভাবনায় ছেদ পরলে যা হয়। ভালো সমস্যায় পরা গেল।

মেয়েটা বলল-“তা আপনি যাচ্ছেন কোথায়?”
-“এখনও ঠিক করিনি। কোন একটা স্টেশন পছন্দ হলে নেমে যাব।”
-“আপনি এমন ভাবে কথা বলছেন মনে হচ্ছে আপনি মস্ত বড় একজন কবি-সাহিত্যিক।”
-“মস্ত বড় কিনা জানি না। কিন্তু আমি লেখালেখি করি।”
-“তাই? আপনাকে তো চিনি না। নাম কী আপনার?”
-“হুমায়ুন আহমেদ”
-“আজব। মিথ্যা বলছেন কেন?”
-“আপনার নাম হুমায়ুন আহমেদ হতে যাবে কেন? উনি কত বড় একজন লেখক।”
-“হ্যাঁ, উনি অনেক বড় একজন লেখক। তাই বলে কি আর কারও নাম হুমায়ুন আহমেদ হতে পারে না?” -“আপনার নাম সত্যি হুমায়ুন আহমেদ?”
-“ হ্যা আমার নাম হুমায়ুন আহমেদ। আমার সাথে ভোটার আইডি কার্ড আছে। আপনি চাইলে দেখাতে পারি।”
-“ না না থাক।দেখাতে হবে না। I am sorry.”
-“আমার মা হুমায়ুন স্যারের লেখা খুবই পছন্দ করেন। তাই আমার নামও উনার নামে রেখেছেন।”
এমন সময় হঠাৎ দমকা বাতাস এলো। বসন্তের মাতাল করা বাতাস নয়। বর্ষার ভীজে বাতাস। মেয়েটার একপাশের চুল বাতাসে উড়ে মুখ ঢেকে ফেলেছে।
অন্যরকম একটি অবয়ব। ইচ্ছে করছে হাত দিয়ে চুল সরিয়ে দিতে। সেটি সম্ভব না। আমি বললাম -“ বাতাসে কারো টিপ খুলে যায় দেখি নি। আপনার কপালের টিপ কিন্তু এক পাশে সরে গেছে।”
মেয়েটা টিপ দেখার জন্য কপালে হাত দিয়েছে। পুরো কপাল হাতরে টিপ খুজে পাওয়া গেল না।
আমি হেসে ফেললাম।
মেয়েটা মিছেমিছি রাগের ভান করে বলল-“আপনি তো ভালই পাজি। আমি আজ টিপই পরি নি। কিন্তু এমন ভাবে বললেন বিশ্বাস করে ফেললাম।”

এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলো। আকাশে মিষ্টি রোদ ছিলো। হঠাৎ করে এমন ভাবে বৃষ্টি নেমে যাবে বোঝা যায়নি। প্রকৃতির এমন খেয়ালিপনা দেখে মনে হল, আমাদের গল্প করার সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতেই যেন এই আয়োজন। আমি বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছি। আজকের বৃষ্টিটা অন্যরকম। ভিজতে ইচ্ছে করছে।
-“চা খাবেন?
ট্রেনে উঠলেই আমার চায়ের নেশা হয়। তাই ফ্লাস্কে চা নিয়েই ট্রেনে উঠি।”-মেয়েটার কথায় সম্বিৎ ফিরে পেলাম।
বললাম-“হ্যা খাব। চা আমি পারত পক্ষে খাই না। তবে ওই যে নিয়ম আছে সুন্দরি কেউ চায়ের অফার করলে না করতে নেই।”
-“হয়েছে। আপনি যে লেখক আর বোঝাতে হবে না। ক চামচ চিনি খান আপনি?”
-“চিনি খাই না।”
-“একটু ও না? এভাবে ভালো লাগবে?”
-“এক কাজ করুন, চিনির বদলে আমার চায়ে দুই ফোটা বৃষ্টির জল দিয়ে দিন। আমি এভাবেই চা খাই।”
-“সত্যি? দিবো?”
-“সত্যি।”

মেয়েটি আমার কাপে বৃষ্টির জল দিয়ে দিল। সাথে নিজের কাপেও নিল।
-“আপনার দেখাদেখি আমিও খাচ্ছি রেইন টি। কি অদ্ভুত।”
আমি কিছু বললাম না। নিশ্চুপ চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি।
মেয়েটা বলল-“আচ্ছা শীতের সময় তো বৃষ্টি হয় না। তখন চা কীভাবে খান?”
-“তখন তো আরও ভাল। দুই ফোটা বৃষ্টির বদলে এক ফোটা শিশির দিলেই হয়।তখন মনে হয় পৃথিবীতে এসেছি শীতের সকালে শিশির ছোয়া চা খাওয়ার জন্য।”

মেয়েটা কিছুক্ষণ কথা বলল না। চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে চোখ পরতে আমি বললাম -“ কী হলো?”
মেয়েটা দ্রুত নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বলল-“ আপনি কেমন মানুষ বলুনতো। আমি আপনার নাম জানলাম। অথচ আপনি একবারও আমার নাম জানতে চাইলেন না।”
-“ ওহ হ্যা।আপনার নাম জানা হয়নি। কী নাম আপনার?”
-“ তিয়াশা,সুন্দর না নামটা?”
-“ হ্যা, অনেক সুন্দর।”
-“আচ্ছা লেখক সাহেব। আপনি কোথায় যাচ্ছেন বললেন না তো।”
-“ ওই যে বললামতো কোন একটা স্টেশন পছন্দ হলেই নেমে যাব।”
-“এটা কোন কথা। মিথ্যা বলছেন আপনি।”
-“ নাহ, তিশা, আমি মিথ্যা বলি না”
-“ এই যে মিস্টার আমার নাম তিশা না,তিয়াশা।”
-“ সরি তিয়াশা।”
-“ আচ্ছা আপনি হঠাৎ এমন চুপচাপ হয়ে গেলেন যে? কী হয়েছে?”
-“ কই না তো। কথা বলছি তো। তাছাড়া সুন্দরী মেয়েদের সাথে খুব বেশি গল্প করতেও নেই।”
-“ ইশ, আপনার এই বোরিং ডায়ালগ বাদ দিন প্লিজ। আচ্ছা আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে?”
-“ হঠাৎ এই প্রশ্ন?”
-“ আছে কিনা বলুন।”
-“ নাহ। নেই।”
-“হুম, বুঝলাম। আপনি কিন্তু আমাকে আবার জিজ্ঞেস করবেন না যে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা। আপনি জিজ্ঞেস করলেও আমি কিন্তু বলবো না।”
-“হাহাহা, আচ্ছা ঠিক আছে আমি জানতে চাচ্ছি না।”
মেয়েটি হয়তো ভেবেছিল আমি জিজ্ঞেস করবো তার কোন বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা। আমি জিজ্ঞেস করছি না দেখে মনে হল মন খারাপ হয়ে গেল মেয়েটার।
এমন সময় আমি ব্যাগ নিয়ে উঠে দাড়ালাম। মেয়েটা বলল-“ কোথায় যাচ্ছেন?”
আমি বললাম-“ নেমে যাব।এই স্টেশনটা পছন্দ হয়েছে।”
-“ বৃষ্টি হচ্ছে তো। ভীজে যাবেন। এখানে না নেমে অন্য কোন স্টেশনে নামলে হয় না?”
-“ জী না মেম। হয় না” মুচকি হেসে বললাম আমি।

আর কোন কথা বললাম না। উঠে চলে এলাম। মেয়েটা অদ্ভুত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।‘ভাল থাকবেন, আবার হয়তো দেখা হবে’-এই জাতীয় কোন কথা হয়তো আশা করেছিল মেয়েটা।মেয়েটাকে বিভ্রান্তির মধ্যে রেখে আমি ট্রেন থেকে নেমে গেলাম। বৃষ্টির বেগ আরও বেড়েছে। আমার আসলে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছিল অনেক আগে থেকেই। নামার সাথে সাথেই ভিজে গেলাম। বৃষ্টির ফোটা গুলো একটু একটু করে আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছিলো। প্রকৃতির আহবানে আমি নেমে গেলাম ট্রেন থেকে কিন্তু অদৃশ্য কোন শক্তি যেনো আমার হাত ধরে টানছে ট্রেনে ফিরে যাওয়ার জন্য। কানের কাছে কে যেন বলছে মেয়েটার সাথে আরেক কাপ বৃষ্টির জল মেশানো চা খাওয়ার জন্য। সেই অদৃশ্য আকর্ষণ উপেক্ষা করেই আমাকে নামতে হলো। কোন দিকে যাব ঠিক করতে পারছি না। মেয়েটা জানালা দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এই বয়সী মেয়েরা খুব বেশি জেদি হয়। মেয়েটা আমাকে পেছন থেকে ডাকবে না। নিজের আবেগের কাছে হেরে যাবে না কখনোই। মনে মনে হয়তো আমাকে খুজবে কিন্তু পাবে না। বৃষ্টির বেগ বাড়ছে সাথে আদ্র বাতাস বাতাস। আমি চলে আসবো এমন সময় আমি অবাক মেয়েটার কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম।বৃষ্টি হচ্ছে এজন্য মেয়েটা জোরে ডেকে বলল-“ এই যে হুমায়ুন সাহেব। আপনি আমাকে আসল নামটা বলেননি। তাই না?”
আমি ফিরে তাকালাম।এক টুকরো হাসি ছুড়ে দিলাম। সরি বলা টাইপ হাসি। কোন জবাব দিলাম না। ফিরে যাওয়ার সাহস আমার নেই। জগতটা রহস্যময়। জগতের সব রহস্যের ব্যাখ্যা থাকে না।মেয়েটা আমাকে নিয়ে একটু হলেও ভাববে। আমি না হয় একটু খানি রহস্য হয়েই থাকলাম। সব রহস্যের সমাধান হয়ে গেলে প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট হবে। সেই অধিকার আমার নেই।

   বৃষ্টির মধ্যে সামনে এগুচ্ছি। চোখে মুখে বৃষ্টির ঝাট এসে লাগছে। বুকের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে যেই অনুভূতির সাথে আমার পরিচয় নেই। এমন সময় একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। আমার বিস্ময় সীমাকে অতিক্রম করে আমাকে দ্বিতীয় বারের মতো ডাকলো মেয়েটা। আমার সব হিসেব নিকেশ এলোমেলো হয়ে গেলো মুহুর্তেই। এবারে আমাকে মেয়েটার কাছে ফিরে যেতে হবে।
কেন যেতে হবে? 
কারণ সুন্দরী মেয়েরা দ্বিতীয় বার ডাকলে সাড়া দেয়ার নিয়ম আছে।


                                                                             সমাপ্ত

                                                  Best Romantic Love Story In Bengali

আমাদের আর ও গল্প পড়ুন :-👇👇

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

Tags:-

  • Anuvuti 
  • Mohammad Maruf Al-Amin
  • Bangla story
  • Bangla golpo
  • Story in Bengali,
  • Bangla valobasar golpo
  • Love story
  • bengali love story
  • Love story in Bengali,
  • golpo bangla
  • Romantic love story,
  • train love story,
  • journey love story,
  • Travel Love story

Love Story :- Everyone likes love story.Sad love story,emotional love story and romantic love story.This story is very romantic.A boy and a girl love each other from train journy.They are felling love to each other.if your mood is very sad now, you read  this love story.i sure that this love story fresh your mind and mood. Then you fall love this story. Please share this love story in your best friend or lover.They will fall in love with this story.So now you read this love story very carefully with attention.Thank you so much...

প্রতিবাদ | তন্ময় অধিকারী | Protibad | Tanmoy Adhikary | Love Junction | বাংলা প্রতিবাদের কবিতা

প্রতিবাদ | তন্ময় অধিকারী | Protibad | Tanmoy Adhikary | Love Junction | বাংলা প্রতিবাদের কবিতা
     প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে তন্ময় অধিকারী-এর  "প্রতিবাদ" কবিতাটি রইলো তোমাদের জন্য।

 প্রতিবাদ

তন্ময় অধিকারী 


কার যে এমন সাহস বলো
এমন আগুন গানে সুর দিল?
রক্তে রাঙ্গা স্বাধীনতার মন্ত্র নিয়ে করল খেলা!
তুমি শিল্পী হয়তো বা লেজেণ্ড,
বন্ধ করো এমন এক্সপেরিমেন্ট
থামাও এবার আবেগ ভাঙার ধ্বংসলীলা।

আমোদ প্রিয় বাঙালীকুল,
ইতিহাস ভেঙে করছো ভুল,
শৃঙ্খল ভাঙা বিপ্লবীদের করছো হেলা।
সুরের টানে কত মানুষ শহীদ হলো,
গিয়েছো ভুলে সে লড়াই
রক্তে রাঙ্গা স্বাধীনতার মন্ত্র নিয়ে করছো খেলা!

আবেগ জানিস মূল্যহীন,
সন্ন্যাসীর সাজ দিয়েছ রঙিন,
হু লা লা শিল্পী নিয়ে সাজায়েছ মেলা।
সুরের নতুন ঝলকানিতে,
রাখছো পুরানো কাপড় নতুন আলমারিতে,
রক্তে রাঙ্গা স্বাধীনতার মন্ত্র নিয়ে করছো খেলা!

ওরে আমার আবেগপ্রবন,
গুনগুন নয় তোল গুঞ্জন,
মুচড়ে ওঠা শব্দগুলো নিয়ে করেছে রেলা,
তোমার বিশ্ব থেকে দাও ওদের বাদ,
এভাবেই হোক প্রতিবাদ|
রক্তে রাঙ্গা স্বাধীনতার মন্ত্র নিয়ে বন্ধ খেলা!

কারারই লৌহকপাট

সমাপ্ত 

Protibad

 Tanmoy Adhikary

Kar je emon sahos bolo
Emon agun gane sur dilo?
Rokte ranga sadhinotar montro niye korlo khela !
Tumi shilpi hoyto ba legend,
Bondho koro emon experiment
Thamao ebar abeg vangar dhongsho lila ।

Amod priyo bangalikul,
Itihas venge korcho vul,
shringkhola vanga biplobider korcho hela।
Surer tane koto manmush shohid holo,
giyecho vule sei lorai
Rokte ranga sadhinotar montro niye korecho khela!

Abeg janis mullohin,
Sonnasir saj diyecho rongin,
Hu La La shilpi niye sajayecho mela।
surer notun jholkanite,
Rakhcho purano kapor notun almarite
Rokte ranga sadhinotar montro niye korcho khela!

Ore amar agebprobon.
Gun gun noy tolo gunjon.
Muchre otha shobdo gulo niye koreche rela।
Tomar bisho theke dao oder bad
Avabei hok protibad
Rokte ranga sadhinotar montro niye bondho khela!

Kararori loihokopat...

Somapto

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

  • Bangla kobita,
  • Bengali poem,
  • poem in bengali,
  • Protibad,
  • Tanmoy adhikary,
  • Bengali poem collection,
  • Bidrohi kobita,
  • bangla bidrohi kobita,

নতুন অতিথি(২য় খণ্ড)| Sagar Sarkar | Notun Otithi Part 2 | Love Junction | Animal Love Story

নতুন অতিথি(২য় খণ্ড)| Sagar Sarkar | Notun Otithi Part 2 | Love Junction | Animal Love Story
      প্রিয় লেখকের প্রিয় লেখা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! আপনার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে আপনার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে সাগর সরকারের "নতুন অতিথি(২য় খণ্ড) " লেখাটা রইলো তোমাদের জন্য। 

 নতুন অতিথি(২য় খণ্ড)

সাগর সরকার 

      বেশ কয়েকমাস আগে, আমরা কলেজ থেকে সবাই মিলে বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে একটি মজার ঘটনা ঘটে আমাদের সাথে। সকাল ১০:১২ am । আমরা সবাই হাওড়া স্টেশন থেকে বোলপুর শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়লাম সাথে ছিল আমাদের কলেজের অধ্যাপিকা অন্তরা ব্যানার্জী (H.O.D)। ম্যাম কে সাথে পেয়ে আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। ট্রেনের মধ্যে সবাই খুবই আনন্দ করতে করতে পৌঁছে গেলাম বোলপুর শান্তিনিকেতনে। সময়টা যে কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। স্টেশনে নেমে টোটো রিজার্ভ করে পৌঁছে গেলাম গেস্ট হাউসে। 

    গেস্ট হাউসটি খুবই সুন্দর ছিল, চারিদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ মাঝে মাঝে পাখির ডাকের শব্দ মনটা পুরো ভালো করে দিল। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করার পর সবাই মিলে ঘুরতে বার হয়েছিলাম । সন্ধ্যাবেলা ফিরে এসে আমার বন্ধু বান্ধবী সবাই মিলে নাচ, গান, আড্ডা কত কিছুই না হলো। আর আমাদের এখন বাস্তবিক জীবনে ফোন তো আছেই । সবাই এক জায়গায় থেকেও যখন একে অন্যকে ভিডিও কল করা হয় তখন কেমন মজা হয় বলুন তো। রাতে ঘুমানোর আগে সবাই মিলে আলোচনা করে ঘুমালাম। খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠবো, উঠে সবাই মিলে হাঁটতে বার হবো। ঠিক তেমনটাই হল আমরা সবাই মিলে পরের দিন খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বার হলাম,কয়েকজন বান্ধবী বাদে। তারপর আমরা মর্নিং ওয়ার্ক থেকে  ফিরে সবাই মিলে উত্তরায়ণ মিউজিয়াম ও সোনাঝুরির হাটে গেলাম। সবাই অনেক কিছু কেনাকাটা করলো । আমিও কিছু জিনিস কিনে নিলাম বাড়ির জন্য। সেই দিনটাও খুব মজা করে কেটে গেল। পরের দিন আমাদের ফেরার পালা। সবার মনটা যেন খারাপ হতে শুরু করলো। কিন্তু তার মধ্যে একটা ঘটনা ঘটলো যেদিন আমরা ফিরব সেই দিন আমরা সবাই মিলে ঠিক করলাম কংকালীতলা পুজো দিয়েই ফিরবো। কিন্তু হঠাৎ করে মত পরিবর্তন হলো হয়তো আমাদের মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া হবে না। সবার মন খারাপ হয়ে গেল।রাতে ঘুমাতে যাব হঠাৎ করে আমাদের H.O.D ম্যাম ফোন করে বলল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গুছিয়ে নিস ,আমরা সকালে কংকালীতলা পুজো দিতে যাবো। কথাটি শুনে মনাটা খুব ভালো হয়ে গেল। 

    ম্যামের কথা মতো খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে গুছিয়ে নিলাম। সবাই বেরিয়ে পড়লাম। টোটো করে পৌঁছে গেলাম কংকালীতলা মায়ের মন্দিরে। মন্দিরের বাইরে থেকে পূজো দেওয়ার ডালা কিনে নিলাম । জায়গাটা খুবই সুন্দর ছিল। আর কংকালীতলা মায়ের মন্দিরে পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে কোপাই নদী। আমরা সবাই পূজো দিয়ে বার হলাম, তারপর শুরু হলো ছবি তোলার প্রস্তুতি। তার মধ্যে ঘটে গেল এক মজার ব্যাপার। আমি প্রথমে তাকে দেখতেই পায়নি। তিনি আমাদের পিছু নিয়েছে। আমাকে দেখে লেজ নাড়তে থাকলো, আমি বললাম কি রে কেমন আছিস। সে আবার লেজ নাড়তে থাকলো। আমি বললাম চলে আয় আমাদের সাথে । ও সত্যি আমাদের পিছু নিয়েছে। 

   ম্যাম বললো, "তোরা কিছু খাবি ?"  তখন সবাই মিলে ঠিক করলো চা , বিস্কুট খাবো। তিনি কিন্তু আমাদের পিছু ছাড়েন নি, সাথেই আছে। চা, বিস্কুট দিয়ে গেল । আমি আমার ভাগের বিস্কুটের অর্ধেকটা তাকে দিয়ে দিলাম। কিন্তু তিনি ওই টুকুতে খুশি নন বুঝলাম। হঠাৎ করে আমাদের ম্যাম আমাকে ডাকলেন , "বললো বিস্কুট খাওয়াবি?" আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি যে ,ম্যাম কাকে খাওয়ানোর কথা বললেন। কিন্তু পরে বুঝলাম ম্যাম ওনাকে খাওয়ানোর কথা বললেন। আমি বললাম, "অবশ্যই খাওয়াবো, কেন খাওয়াবো না।" চায়ের দোকান থেকে আরো দুটো বিস্কুট নিয়ে তাকে দিতে যাবো দেখি , আরো একজন এসে হাজির হয়েছে। তারপর তাদেরকে বিস্কুট দুটো ভাগ করে দিলাম। 

    কিছু সময় পর দেখলাম, যিনি পরে এসেছিলেন তিনি চলে গেছেন। কিন্তু প্রথম জন রয়ে গেছেন। আমি বললাম কি রে যাবি আমার সাথে। ও খুব খুশি হয়ে লেজ নাড়তে থাকলো। আমি ওকে বললাম তোকে হয়তো আমি নিয়ে যেতে পারবো না, কিন্তু তোর কিছু স্মৃতি আমি নিয়ে যেতে পারি। আমি ওকে ডাকলাম চলে আয় আমার পাশে । ও লেজ নাড়তে নাড়তে চলে এলো আমার পাশে, এসেই ডপ করে বসে পড়লো। আমি বললাম কি রে এবার আমার ফোনের দিকে তাকা, ও সত্যি আমার ফোনের দিকে তাকালো। আমি তো পুরো অবাক হয়ে গেলাম, আর সাথে সাথে দুজনেই ক্যামেরা বন্দি হয়ে গেলাম।

    আমার তো এবার খুব মন খারাপ হতে শুরু করলো। আর কিছুটা সময় আমরা একসাথে আছি, তারপর আমি আমার রাস্তায়, আর ও নিজের রাস্তায়। ম্যাম বললো, "এবার আমাদের বার হতে হবে, না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।" আমরা সবাই উঠে হাঁটতে শুরু করলাম, তখন দেখি ও আমাদের পিছনে আসছে। তখন আমি আর আমার বন্ধু ওকে বললাম আর আসিস না, ফিরে যা। কিন্তু তবুও সে লেজ নাড়তে নাড়তে পিছনে আসতে থাকলো। সে আমাদের টোটো পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এলো। আমি বললাম ভালো থাকিস রে, জানি না তোর সাথে আর কোন দিন দেখা হবে কি না। তবে মনে মনে ঠিক করলাম এখানে এলে তোর সাথে অবশ্যই দেখা করে যাবো।

     কিছু কিছু সময় নিজেকে যেন অন্য জগতে হারিয়ে ফেলি, কেন জানি না মনে হয় ভগবান রূপি এই প্রাণী গুলো যেন পরজন্মে অকুল সুখের অধিকারী হয়। মনুষ্য জন্ম নিয়েও আমরা কতটা বোকা , কিন্তু এই অবুঝ প্রাণী গুলো আমাদেরকে এক নজরে দেখেই বুঝতে পারে কে ভালো আর কে খারাপ। বাস্তব জীবনে অনেক ঘটনা আমাদের সাথে ঘটে থাকে কিন্তু আমরা সেই গুলকে অতটা মনে রাখার কারণ বলে মনে করি না, তবে চেষ্টা করলে সেই ঘটনা গুলোই হয়তো আমাদেরকে এই সুন্দর পৃথিবীটাকে অন্য রূপে দেখার সুযোগ করে দেবে…।  ..ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল প্রাণী। আর খুব ভালো থেকো তোমরা সবাই।

সমাপ্ত 

👉 নতুন অতিথি(১ম খণ্ড)

আমাদের আর ও গল্প পড়ুন :-👇👇

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

Tags:-

  • Sagar Sarkar,
  • Notun Otithi,
  • Notun Otithi Part 2,
  • Story in bengali,
  • Dog lover 
  • Dog lover story,
  • Bangla golpo,
  • Animal love story,
  • Love Junction,
  • bangla golpo,

তোর সাথে কি পারি ? অর্ণব রায় | Tor Sathe Ki Pari ? Arnab Ray | Bangla Kobita Collection | Love Junction

তোর সাথে কি পারি ? অর্ণব রায় | Tor Sathe Ki Pari ? Arnab Ray | Bangla Kobita Collection | Love Junction
      প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে অর্ণব রায়ের "তোর সাথে কি পারি" কবিতাটি রইলো তোমাদের জন্য।

তোর সাথে কি পারি ? 

অর্ণব রায় 

সেই ছেলেটা  
একটা বুড়োর পাশে
নিয়ম করে’ 
প্রতিটি দিন এসে 
জিগেস করে 
কেমন কাটছে দিন? 
করছো কিছু 
যা নয় মূল্যহীন? 
বুড়ো  তাহার 
আঙুল চেপে ধরে
বলে, "এখন 
তোর সাথে কে পারে ?"

তোর আকাশে 
মেঘরৌদ্র খেলা 
এখনও খেলিস 
জমিয়ে সারাবেলা ? 
মেঘ কি তোকে 
এখনও ভালোবাসে --
ভূবন ব্যেপে 
বৃষ্টি নেমে আসে? 
ঝোড়ো হা়ওয়ায় 
দুলতে থাকে মন 
উচ্চে ওড়া 
পাখির ডানা যেমন? 
বৃষ্টিশেষে 
মেঘভাঙা রোদ হেসে
বন্ধু পাতায় 
ছোট্ট বেলার দেশে? 

যে নদীতে 
সাঁতার কাটিস তুই 
সেও তেমনি
একলা বয়ে যায়? 
জোছনাঝড়া
নুড়িপাথরগুলো
ঘুঙুর হয়ে 
বাজে নদীর পায়ে? 
নদীর বাঁকে 
কোন্ সে সবুজদ্বীপে
লুকিয়ে থাকিস 
মনের কষ্ট চেপে ? 
ঢেউগুলো সব
ছুটতে থাকে দ্রুত
শিরায় শিরায় 
ভালোবাসা আপ্লুত।

যত পাথর
ছড়ানো ছিলো পথে --
জড়ো করলে 
পাহাড় হতো ছোটো --
ব্যাঘাত বল্ 
আঘাত বল্-- সবই 
তোর যে তখন 
লাগতো ছোটখাটো ।
এখন সময় 
উল্টো পথে হাঁটে 
ধুলোয় ঢাকা 
স্মৃতিগুলোকে ঘাটে  --

সেই ছেলেটা 
এই বুড়োটার পাশে
নিয়ম করে’ 
প্রতিটি দিন এসে 
জিগেস করে 
কেমন কাটছে দিন
করছি কিছু 
যা নয় মূল্যহীন? 
আমি তাহার 
আঙুল চেপে ধরি, 
বলি এখন
তোর সাথে কি পারি?

সমাপ্ত 

Tor sathe ki pari ?

Arnab Ray


Sei cheleta
Ekta buror pashe
Niyom kore
Protidin ese
 jiggasa kore
Kemon katche din?
Korchokichu
Ja noy mullohin?
Buro tahar 
Angul chepe dhore
bole,"ekhon
Tor sathe ke pare?"

Tor akashe
Megh roidro khela
Ekhono khelis?
Jomiye sarabela?
Megh ki toke 
Ekhono valobase?
bhubon byapi 
Bristi neme ase?
Jhoro haoai 
Dulte thake mon
Ucche ora 
Pakhir dana jemon?
Bristiseshe 
Meghvanga rod hese
Bondhu patai
Chotto belar deshe?

Je nodite
Santar katis tui
Se o temni 
Ekla boye jai?
jhosnajhora 
Nuri pathor gulo
Ghungur hoye
Baje nodir paye?
Nodir bake
Kon se sobuj dipe
Lukiye thakis 
Moner kosto chepe?
Dhew gulo sob
Chutte thake druto
Shirai shirai 
Valobasa aplut.

Joto pathor
Chorano chilo pothe_
Joro korle
Pahar hoto choto_
Byaghat bol
Aghat bol- sobi
tor je tokhon
Lagto chotokhato.
Ekhon somoy
Ulto pothe hante
Dhuloi dhaka
Smriti gulo ke ghate_

Se cheleta 
Ei burotar pashe
Niom kore
Protidin ese
Jigges kore
Kemon katche din 
Korchi kichu 
Ja noy mullohin?
Ami tahar 
Angul chepe dhori,
Bo;i ekhon
Tor sathe ki pari?

Somapto

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

  • Bangla poem,
  • Bangla kobita,
  • Arnab ray,
  • Arnab ray bengali poem,
  • poem in bengali,
  • chora,
  • bangla chora,
  • bengali best poem collection,
  • facebook poem
  • best poem for facebook

Na Bola Kotha | না বলা কথা | Sadhan ray | Best Bengali Sad Love Poem

Na Bola Kotha | না বলা কথা | Sadhan ray | Best Bengali Sad Love Poem
     প্রিয় কবিদের প্রিয় কবিতা । বাংলা জগতে "বাংলামোটিভ ডট কম" এক অন্যতম নাম। গল্প ও কবিতা পড়া বা প্রকাশের এক অন্যতম ঠিকানা। এই ওয়েবসাইট তোমায় সুযোগ দেবে নতুন কিছু লেখার, নতুন কিছু সৃষ্টি করার। তোমার সৃষ্টিশীল জগতের মোটিভেশন হয়ে হাত বাড়িয়ে তোমার পাশে থাকবে। মনে রাখবে কোনো লেখক বা লেখিকা পরিচয়হীন নয়। তাদের লেখাই তাদের নিজস্ব পরিচয়। তাই আর দেরি কেনো ! তোমার লেখা গল্প বা কবিতা আমাদের Website এ প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করো আমাদের সাথে, আমাদের Email Id, "lovejunction506@gmail.com". এখানে তোমার লেখা গল্প, কবিতা বা মোটিভেশনাল স্টোরি, তোমার পুরো নাম দিয়ে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমার Email এর অপেক্ষায় আছি। ততক্ষনে সাধন রায়ের "না বলা কথা" কবিতাটি রইলো তোমাদের জন্য।

 না বলা কথা   

 সাধন রায় 

কিছু কথা ছিল 
তুমি এলে না 
তাই বলা আর হলো না ।
অনেক না বলা কথা 
আজ হয়তো  ধরা ছোঁয়ার বাইরে 
তার গুরুত্ব কতখানি তা জানি না ।
জানি না তার শোনার  আগ্রহ কতটুকু 
বা জীবনে তার দাম কতখানি ।
কিন্তু আমার মন বারবার উতলা হয়ে ওঠে 
দোলা দেয় সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো 
আছড়ে পড়ে তীরে ।
না বলা কথা গুলো 
বারবার উঁকি মারে 
মনের আনাচে কানাচে 
ভ্রমরের মতো গুন গুন করে 
জল থৈ থৈ ভালোবাসার দিঘীর জলের মতো 
উপচে পড়ে ।
বুকের পাঁজরে ফসিলের মতো ছাপ ফেলে 
তাকে মুছে ফেলার সাধ্য আমার নেই ।
সব না বলা কথা 
হয়তো মুখে বলা যায় না 
বুঝে নিতে হয় 
চোখের ভাষায়,
হৃদয়ের আঙিনায়,
ভালোবাসার ছোঁয়ায় ।
কোন অজানা দ্বীপে তুমি পাড়ি দিলে
আজ ও অজানা 
ফিরে আসবে বলেও 
এলে না 
না বলা কথা গুলো 
না বলা হয়েই রয়ে গেল 
মনের অন্তরালে ।

সমাপ্ত 

Na Bola Kotha

Sadhan Ray

Kichu kotha chilo 
Tumi ele na
Tai are bola holo na.
Onek na bola kotha
Ajj hoyto dhora choyar baire
Tar gurutto koto khani ta jani na.
Jani na tar shonar agroho koto khani
Ba jibone tar dam koto khani
Kintu amar mon bar bar utola hoye othe
Dola dei somudrer dhew er moto
Achre pore tire
Na bola kotha gulo
Bar bar unki mare
Moner anache kanache,
bhromer moto gun gun kore
Jol thoi thoi valobasar dighuir joler moto,
Upche pore.
Buker panjore foshiler moto chap fele
Take muche felar saddho amar nei
Sob na bola kotha 
Hoyto mukhe bola jay na
bujhe nite hoy
Chokher vasai
Hridoyer anginay
Valobasar choyai
Kon ojana dipe tumi pari dile 
Ajj o ojana 
Fire asbe bole o ele na.
Na bola kotha gulo 
Na bola hoyei roye gelo
Moner ontorale

Somapto

আমাদের আর ও কবিতা রইলো তোমাদের জন্য :-👇👇

  • Bangla poem,
  • Sadhan Ray,
  • Bangla Sad Love Poem,
  • Bangla Kobita Collection,
  • Sad Love Poem,
  • poem in bengali.
  • Sad Love Poem In Bengali,
  • Sadhan Ray Bengali poem
  • koster kobita
  • Bangla koster kobita,